| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম
সুস্থ মানসিকতা এবং সুন্দর মনের মানুষদের বন্ধু হিসেবে পেতে চাই...
জামায়াত নেতা এডভোকেট শিশির মনিরের গত ০১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে সিলেটের একটি পূজা মন্ডপে দেয়া বক্তব্য নিয়ে এখন ফেইসবুকে সক্রিয় কওমী ঘরানার আলেম এবং একটিভিস্টদের প্রোফাইল/পেইজগুলো গরম। তাদের বক্তব্য, শিশির মনির রোজা এবং পূজাকে এক বলেছেন। আসলেই কি তাই?
প্রথমেই বলে নিচ্ছি, শিশির মনির পূজা মন্ডপে উপস্থিত হয়ে অবশ্যই বড় ধরণের গোনাহ করেছেন। তিনি যেন এই গোনাহ থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা পেতে পারেন, সেজন্য ওলামাগণ তাকে নসীহাহ দিতে পারতেন।
চলুন দেখি শিশির মনির আসলে কি বলেছিলেন। আমি এ ব্যাপারে দেয়া তার ব্যাখ্যার ভিডিওটি লিঙ্ক দিচ্ছিঃ https://www.facebook.com/reel/1304242701381572
মূল বক্তব্যের ভিডিওটির লিঙ্কঃ Click This Link
ঐক্যের ডাক দিয়ে তিনি তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন,
“মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম, হিন্দু মুসলমান
মুসলিম তার নয়ন মনি, হিন্দু তাহার প্রাণ”
একটাকে আলাদা করলে আরেকটা বাঁচবে না। আমরা একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। এপিঠে আছে শাপলা, ওপিঠে আছে আনারস। এইটাই হইল, এক দিকে রোজা, আরেক দিকে হইল পূজা! এই রোজা আর পূজা মিলে বাংলাদেশ!
আমার বিবেচনায়, উনি বোঝাতে চেয়েছিলেন, এই বাংলাদেশে মুসলমান এবং হিন্দুরা এমনভাবে সহাবস্থান করেন যে একদিকে মুসলমানরা যেমন রোজা পালন করে থাকেন একটা বড় ধর্মীয় বিধান হিসেবে উৎসব মূখর পরিবেশে, অন্যদিকে হিন্দুরা তাদের পূজা উৎসব ঘটা করে পালন করে থাকে। ওনার বক্তব্য কখনোই এটা বোঝায় না যে তিনি রোজা এবং পূজা কে একই বলেছেন। অথচ কওমী ঘরানার কিছু আলেম এবং অনলাইন একটিভিস্ট নির্বিচারে তার ওপর এই অপবাদ দিয়ে যাচ্ছেন। এটা সুস্পষ্টভাবে তার ওপর জুলুম। অথচ দ্বীনি ভাই হিসেবে তার ভুল সংশোধন করে দেয়া উচিৎ ছিল। চাইলে তার সাথে সরাসরি কথা বলে শরয়ী বিধানটি জানিয়ে তওবা করতে বলা যেত পূজা মন্ডপে উপস্থিত হওয়ার অপরাধে।
এবার আসি উত্তরা ১২ নং সেক্টর মসজিদের খতিব এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমীর গত ১০ অক্টোবর ২০২৫ এর জুমার খুতবার সম্পর্কে। যতদূর শুনেছি, তিনি অন্যান্য বক্তব্যের সাথে জামায়াতে ইসলামীর নাম উল্লেখ করে তাদের ভোট না দিতে বলেছেন। আমি ওনার পুরো বক্তব্যটি কোথাও পাইনি। সরাসরি জামায়াতের নাম নিয়ে সমালোচনা করাতেই মূলতঃ জামায়াতের পক্ষ থেকে মসজিদ কমিটির সভাপতি/সেক্রেটারি বরাবর একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। গত ১৭ অক্টোবর ২০২৫ জুমার খুতবায় খতিব সাহেব সেই চিঠি প্রত্যাখ্যান করে মুসল্লিদের সামনে ছিড়ে ফেলেছেন। তার এই ভূমিকাকে অনেকেই সাহসী ভূমিকা হিসেবে দেখে প্রসংশায় ভাসাচ্ছেন। কিন্তু, আদতে বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে মসজিদের মিম্বার থেকে কোন রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ করে বৈধ সমালোচনাও কতটা বাস্তব সম্মত? এটা কি হেকমতের পর্যায়ে পড়ে? তিনি কি সমালোচনার করার ক্ষেত্রে রাসূল (সঃ) এর সুন্নাহর অনুসরণ করেছেন? কওমী ওলামাদের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্পষ্ট বক্তব্য আছে যে “বিএনপি শরীয়াহ আইনে বিশ্বাস করে না”।
এবার আমার কওমী ওলামা এবং খতিবদের কাছে প্রশ্ন, আপনারা কি এই বক্তব্যের জন্য কখনো মসজিদের মিম্বার থেকে সমালোচনা করেছেন বা ভবিষ্যতে জুমা’র খুতবায় এ বিষয়ে কথা বলবেন? আওয়ামী লীগ আমলে জালিমের বিরুদ্ধে জুমার খুতবায় প্রকাশ্যে বলেছিলেন কোন ব্যক্তি বা দলের নাম নিয়ে? বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর নাম নিয়ে খুতবায় কথা বলেন? নাস্তিকদের নাম নিয়ে খুতবায় কথা বলেন?
যদি না করে থাকেন, তাহলে বুঝব, জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে আপনাদের এই বক্তব্য রাজনৈতিক আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ। ২৪ এর জুলাইয়ের পরে কোথায় আপনাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা, সেখানে আপনারা ইসলামিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছেন। আবার শোনা যাচ্ছে, সেক্যুলার দলগুলোর সাথে আসন ভাগাভাগির আলোচনাও চলে মাঝে মাঝে। তখন দ্বীনের কোন ক্ষতি হয় না মোহাতারাম?
আল্লাহর ওয়াস্তে আপনারা এক হোন। একজন সাধারণ মুসলিম হিসেবে সেই আর্জি জানিয়ে গেলাম। অবশ্যই আল্লাহ আপনাদের কার্য কলাপ দেখছেন এবং আপনাদের কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর সামনে আপনাদের জবাবদিহিতা করতে হবে। গত ৫৪ বছরে ইসলামিক দলগুলো রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারেনি, অথচ এই দেশের নাকি ৯০% মুসলমান! একটু চিন্তা করেন, কেন এই অবস্থা…
২|
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৮:০৯
এম এ কাশেম বলেছেন: কুত্তার কাজ হলো ঘেউ ঘেউ করা,
ছবি আর মন্তব্যে দেখি অদ্ভুদ মিল।
৩|
২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ ভোর ৬:২৫
কাঁউটাল বলেছেন: শিশির মনির একটা জামাতি ছাগল, মৌদুদীবাদি ঘৃন্য নিকৃষ্ট.......
হিন্দু মুসলমান সমঝোতার জন্য ইসলাম ধর্ম বিক্রয় করে দেওয়ার দরকার নাই।
আরও অনেক উপায় আছে।
জোমাতি হোড়ামিগুলারে এই সিম্পল কথা বুঝানো যাবে না।
এই হারামজাদাদের জন্যই দেশে এত অশান্তি।
ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এই কুত্তার বাচ্চারা নিজের দেশ মাটি ধর্ম - সবকিছু বিক্রয় করে দিতে পারে।
গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের হাতে চোদন খেয়েও শুওরের বাচ্চাদের সংশোধন হয় নাই।