| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম
	সুস্থ মানসিকতা এবং সুন্দর মনের মানুষদের বন্ধু হিসেবে পেতে চাই...
গত কিছু দিন ধরে ফেইসবুক আর ইউটিউবে “হ্যা” আর “না” ভোট নিয়ে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা গেল। এটা স্পষ্টতই আসলে ছিল বিএনপি’র বিরুদ্ধে “হ্যা” আর “ন্যা” ভোটের ক্যাম্পেইন। মানে সবাই যা বলে বিএনপি তার উলটা। বিভিন্ন জরিপে যেটা বোঝা গেল, “হ্যা” বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হয়েছে, অর্থাৎ জনগণ জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেয়ার জন্য জাতীয় নির্বাচনের আগেই পৃথক গণভোট এর আয়োজনকে সমর্থন করেছে।
আসুন, একটু বুঝে নেই যে এটা আসলে কেন এত জরুরী! কেন আমাদের জুলাই বিপ্লবের নায়ক নাহিদ বা হাসনাতরা এবং ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলো এটা নিয়ে এত সিরিয়াস!
 
 
বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানের [৭ক। (১) এর (ক) এবং (খ) ধারা দু’টো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন।
1[৭ক। (১) কোন ব্যক্তি শক্তি প্রদর্শন বা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বা অন্য কোন অসাংবিধানিক পন্থায় - 
 
(ক) এই সংবিধান বা ইহার কোন অনুচ্ছেদ রদ, রহিত বা বাতিল বা স্থগিত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করিলে ; কিংবা
 
(খ) এই সংবিধান বা ইহার কোন বিধানের প্রতি নাগরিকের আস্থা, বিশ্বাস বা প্রত্যয় পরাহত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করিলে-
 
তাহার এই কার্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা হইবে এবং ঐ ব্যক্তি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী হইবে। 
 
(২) কোন ব্যক্তি (১) দফায় বর্ণিত-
 
(ক) কোন কার্য করিতে সহযোগিতা বা উস্কানি প্রদান করিলে; কিংবা
 
(খ) কার্য অনুমোদন, মার্জনা, সমর্থন বা অনুসমর্থন করিলে-
 
তাহার এইরূপ কার্যও একই অপরাধ হইবে।
 
(৩) এই অনুচ্ছেদে বর্ণিত অপরাধে দোষী ব্যক্তি প্রচলিত আইনে অন্যান্য অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।
যদি গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদকে প্রথমে আইনি বৈধতা না দেয়া হয় এবং গণভোটে অনুমোদিত সনদের ভিত্তিতে যদি পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন না করা হয়, তাহলে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এসে প্রতিটি জুলাই আন্দোলনকারীকে সংবিধানের উপরোক্ত ধারা লংঘনের দায়ে সুন্দর করে ফাঁসি দিয়ে দিতে পারবে! বোঝা গেল ব্যাপারটা??
সেজন্যই জাতীয় নির্বাচনের আগে অবশ্যই গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদকে বৈধতা দিতে হবে!
ইনকিলাব জিন্দাবাদ!
©somewhere in net ltd.