![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতা বিরোধী অপরাধে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা ১ মিনিটে জল্লাদ শাহজাহান তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন। ফাঁসি কার্যকরের সময় ম্যাজিষ্ট্রেট, ডিআইজি প্রিজন, জেল সুপার, সিভিল সার্জন পদ মর্যাদার একজন চিকিৎসক ও ছয়জন জল্লাদ উপস্থিত ছিলেন।
রাত ১০টা ১মিনিটে জেল সুপার লাল কাপড়ের রুমাল হাত থেকে ছাড়েন। রুমাল মাটিতে পড়ার আগেই জল্লাদ শাহজাহান ফাঁসি মঞ্চের পাটাতনের হাতল টান দেন। সাথে সাথেই কাদের মোল্লার পায়ের নীচের পাটাতন সরে যায়। ফাঁসি মঞ্চের নীচে থাকা কুঠুরিতে ঝুলে পড়ে কাদের মোল্লা। এ সময় ছটফট করতে থাকেন তিনি। কিছুক্ষণ পর তাঁর দেহ নীরব, নিথর ও নির্জীব হয়ে যায়।
এরপর ম্যাজিষ্ট্রেট, জেল সুপার, চিকিৎসক ও চারজন জল্লাদ কুঠুরির ভিতর যান। চিকৎসক ঝুলন্ত কাদের মোল্লার হাত ও গলার রক্ত চলাচল (পালস) পরীক্ষা করেন। তারপর ম্যাজিষ্ট্রেট, জেল সুপার ও অন্যান্যদের উপস্থিতিতে চিকিৎসক কাদের মোল্লাকে মৃত ঘোষনা করেন। ম্যাজিষ্ট্রেট ও কারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চার জল্লাদ তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ নামিয়ে এনে একটি স্ট্রেচারে রাখে। চার জল্লাদ ষ্ট্রেচারটি কুঠুরি থেকে বের করে আনেন। সেখানে উপস্থিত চিকিৎসক কাদের মোল্লার হাত ও পায়ের রগ কেটে ডেথ সার্টিফিকেট প্রেস্তুত করেন। হাত পায়ের এই রগ কাটার অর্থ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ময়না তদন্ত রিপোর্ট। এরপর এ্যাম্বুলেন্সে করে র্যাব ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় কাদের মোল্লার লাশ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের করে আনা হয়।
এর আগে রাত ৯টায় কাদের মোল্লাকে জীবনের শেষ গোসল করানো হয়। সাড়ে ৯টায় ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। ৯টা ৪৫ মিনিটে জীবনের শেষ নামাজ পড়েন তিনি। মঞ্চে উঠানোর আগে কেন্দ্রীয় কারাগারের পেশ ইমাম মাওলানা মনির হোসেন কাদের মোল্লাকে তওবা পাঠ করান।
৯টা ৫০ মিনিটে দুজন জল্লাদ কারাগারের কনডেম সেল থেকে কাদের মোল্লাকে তার দুবাহু ধরে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যান। এ সময় দুপাশের লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। হঠাৎ জ্বলে উঠে ফাঁসির মঞ্চের সার্চ লাইট।
মঞ্চে উঠানোর পর প্রধান জল্লাদ শাহজাহান কাদের মোল্লার দু’হাত পিছনে বেধে ফেলেন। একটি জমকালো কাপড় দিয়ে তাঁর মুখমন্ডল ঢেকে দেয়া হয়। গলায় পড়ানো হয় ফাঁসির রশি। এ সময় তাকে সহযোগিতা করে জল্লাদ কালু।
এরপর ঠিক রাত ১০টা ১ মিনিটে জেল সুপারের রুমাল ছেড়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ফাঁসি কার্যকর করেন জল্লাদ শাহজাহান।
আরো পড়ুনঃ
ফাঁসি মঞ্চে ঝুলে ছিলেন ২০ মিনিট
ফাঁসির আগে যা বলেছিলেন কাদের মোল্লা
বাবা-মায়ের পাশে কবর কাদের মোল্লার
Visit my amazing blog: http://beb24.blogspot.com
২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৬
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: আপনার ঘুম তা'হলে!
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এটা শেষ নয় শুরু, যুদ্ধাপরাধী সব গুলোর ফাঁসি হবে ইনশাআল্লাহ এই বাংলার মাটিতে।