নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসসালামু আলাইকুম\nআমি আপনাদের সান ড্যান্স aka স্যাম রহমান :)

সানড্যান্স

এই যে ব্যাস্ততা বাড়ছে, এই যে নিকোটিন!জ্বালিয়ে দেয়া সিগারেটে ধোয়াচ্ছন্ন বেডরুমপ্রতিদিন ভাল্লাগেনার ছাই জমে এস্ট্রেতেব্যাস্ততার কালচে লাইটার, এই যে অলস ঘুম!এক কপি স্বপ্ন আসে সৌজন্য কপি হয়েসারারাত ঘুমিয়ে থাকি প্রচ্ছদে হাত বুলিয়ে।কাশাফাদৌজা নোমান

সানড্যান্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার অনুবাদে নেরুদা-একদল মাতাল ও মৎস্যকণ্যার উপকথা

১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:০৮

একদল মাতাল ও মৎস্যকণ্যার উপকথা

পাবলো নেরুদা





সে যখন সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় সেখানে প্রবেশ করল,

সেই লোক গুলো তখন মদপান করছিলো আর জুয়া খেলছিল।

প্রথমবার নদী থেকে আসায়, কোনকিছু তার জ্ঞাত ছিল না,

সে ছিল এক পথ হারানো মৎস্যকণ্যা।

তাদের অপমান ওর আলোকিত শরীরে পিছলে যাচ্ছিল,

অপমানে নত হয়ে ডুবে যাচ্ছিল তার স্বর্ণালী স্তন!

অশ্রু না চেনায়, সে তা মুছতওে পারছিল না,

আবরন কি, তা না জানায় সে ছিল নিরাভরণ।

তারা তাকে জ্বলন্ত চুরুট আর সিগারেটের স্পর্শে কালচে করে দিচ্ছিল

আর হাসতে হাসতে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ছিল!



সে ছিল নির্বাক,কারণ তার কোন ভাষা ছিল না!

তার চোখে ছিল সুবিস্তৃত ভালোবাসার রঙ,

সাদা রঙের পোখরাজ দিয়ে নির্মিত ছিল তার বাহুযুগল,

মৃদু সাঝেঁর আলোয় তার ঠোটঁ দুটো নীরবে কাপঁছিল।

সে আকস্মিক দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেল,

প্রবেশ করলো তার নদীতে-

পরিচ্ছন্নতা পেল সে সেখানে!



সেখানে তার রূপ ছিল স্বচ্ছ - প্রবল বৃষ্টিতে পড়ে থাকা সাদা পাথরের মত উজ্জ্বল!







একটিবার ও সে পিছু ফিরে তাকালো না,

সে সামনে সাতঁরে এগিয়ে গেল…



এগিয়ে গেল শূণ্যতার দিকে….

এগিয়ে গেল মৃত্যুর দিকে...



মূল কবিতাঃ



Fable of the Mermaid and the Drunks



Pablo Neruda



All those men were there inside,

when she came in totally naked.

They had been drinking: they began to spit.

Newly come from the river, she knew nothing.

She was a mermaid who had lost her way.

The insults flowed down her gleaming flesh.

Obscenities drowned her golden breasts.

Not knowing tears, she did not weep tears.

Not knowing clothes, she did not have clothes.

They blackened her with burnt corks and cigarette stubs,

and rolled around laughing on the tavern floor.

She did not speak because she had no speech.

Her eyes were the colour of distant love,

her twin arms were made of white topaz.

Her lips moved, silent, in a coral light,

and suddenly she went out by that door.

Entering the river she was cleaned,

shining like a white stone in the rain,

and without looking back she swam again

swam towards emptiness, swam towards death

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১৭

বটবৃক্ষ~ বলেছেন:

সরল অবুনাদ।
সুন্দর।

বিষন্নতা ঘেরা কাব্য ।

১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৪৮

সানড্যান্স বলেছেন: মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

এ কবিতার বিস্তৃতি কিন্তু অনুবাদের মত এত সরল নয়!

ধন্যবাদ আবারো।

ভালো থাকুন।

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৫২

পোয়েট ট্রি বলেছেন: প্রাঞ্জল হয়েছে; এটা আমিও অনুবাদ করেছি ২০০৯ সালে।
শুভকামনা...

১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৫৪

সানড্যান্স বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বস। আপনার অনুবাদ টা দেখতেছি আমি
শুভ কামনা, ভালো থাকবেন।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৫৪

পোয়েট ট্রি বলেছেন: কবিতার পঙক্তিবিভাজনে আপত্তি আছে; সেক্ষেত্রে ‘পাবলো’কেই স্ট্যান্ডার্ড ধরতে হবে

১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:০২

সানড্যান্স বলেছেন: আমি পাঠকের সুবিধার্থে করেছি বস, বাঙ্গালী এত হার্ডকোর জিনিস অবিভাজ্য থাকলে পড়তেই চাইবে না!!

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:০৪

বনলতা মুনিয়া বলেছেন: শব্দ চয়ন বেশ ভালো হয়েছে, সহজ সাবলিল ভাষায় কবিতাটা ফুঁটে উঠেছে :)
পোস্টে প্লাস +

১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:০৮

সানড্যান্স বলেছেন: থ্যানক্স বিল্লী।

ভাল থাকিস!

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভাল লাগল অনুবাদ, এবং চমৎকার একটি কবিতার সাথেও পরিচয় হয়ে গেল। ধন্যবাদ জানাচ্ছি এজন্যে।

শুভেচ্ছা।

১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩১

সানড্যান্স বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

নেরুদা আমার প্রিয় কবি!!! আশাকরি সামনে আরো কিছু কবিতার অনুবাদ করে আপনাদের ভালোবাসা অর্জন করে ফেলব!

আপনাকেও শুভেচ্ছা!

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৩০

আমি সাজিদ বলেছেন: মত্স্যকণ্যা নদীতে ফিরে কেনো মৃত্যুর দিকে এগিয়ে গেলো ? তার তো হাঁফ ছেড়ে বাঁচার কথা।যেহেতু সে মাতালদের হাত থেকে বেঁচে গেছে।এটা আমার কৌতুজল।

ভালো লেগেছে অনেক।খুব সাবলীল অনুবাদ সান ভাইয়া।বেশ ভালো।

১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩৩

সানড্যান্স বলেছেন: আসলে এখানে মারমেইড বলে প্রকৃতি আর একদল মাতালের অর্থে সভ্যতার আগ্রাসন বোঝানো হয়েছে!

ধন্যবাদ ক্লক!

৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৩২

নিশাত তাসনিম বলেছেন: ভালো লাগলো ।

১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩৩

সানড্যান্স বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া!

৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: 'ছিলো'ময় অনুবাদ।

১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩৫

সানড্যান্স বলেছেন: শ্রদ্ধেয় হামা ভাইয়া

''ছিলো'' ময় ব্যাপারটা একটু ব্যাখ্যা করলে খুশি হতাম।

ধন্যবাদ!

৯| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৭

আমি সাজিদ বলেছেন: bujhlam..

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:০৮

সানড্যান্স বলেছেন: :)

১০| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৭

আফ্রি আয়েশা বলেছেন:
অনুবাদ ভালো হয়েছে , কবিতার মূলভাব ঠিক রাখতে পারছো :)

//একটিবার ও সে পিছু ফিরে তাকালো না,
সে সামনে সাতঁরে এগিয়ে গেল…

এগিয়ে গেল শূণ্যতার দিকে….
এগিয়ে গেল মৃত্যুর দিকে...//

নেরুদা কবিতাটা আমার জন্যে লিখে গিয়েছেন :)

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:০৮

সানড্যান্স বলেছেন: হয়তো শুধু আপনার জন্য নয়, আপনি সহ আরো অনেকের জন্য লিখে গেছেন!!
এমন কি আমিও হতে পারি সেই ব্যক্তি!!

১১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার লাগলো। তবে এটিকে একটি অনুবাদ কবিতাই মনে হয়েছে।

এ কথাগুলো যদি আপনার নিজের মনে করে আরেকবার রি-রাইট করেন, কেমন হয়?

নিরাভরণ> নিরাবরণ ;)


শুভ কামনা।

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:০৫

সানড্যান্স বলেছেন: আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য ধন্য বড়ভাই।
নেরুদার কবিতা আমি নিজের করে কিভাবে লিখি?
আমি যে বাংলার নেরুদা হতে চাই।

আর শব্দ নিরাভরণ হিসেবেই জানতাম। জানি না ভুল হতেই পারে, আপনি আমাকে এনশিওর করলে আমি এডিট করে দিব বস!

অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভ রাত্রি ভাইয়া!

১২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২১

বটবৃক্ষ~ বলেছেন:
:( কম বুঝি কবিতা!!

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:০৬

সানড্যান্স বলেছেন: ব্যাপার না, পড়তে থাকেন, একসময় বুঝলে দেখবেন কবিতা নেশার মত হয়ে গেছে!

১৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩৪

উদাস কিশোর বলেছেন: খ্রাপ না ;)
ভালই

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:০৭

সানড্যান্স বলেছেন: ধন্যবাদ রে ভাইয়া!

১৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:১৪

নোমান নমি বলেছেন: কবিতার অনুবাদ কবিতা হয় নাই।কেবল বলে যাওয়া হইছে।

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:৩৮

সানড্যান্স বলেছেন: তুই একটু কর, এতো আমার জীবনের প্রথম অনুবাদ!!! ভাবছিলাম তোকেই দিব, পরে ভাবলাম নিজে একটু করে দেখি!!
আচ্ছা, তুই একবার কর, দেখি কেমন হয়!!!

১৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৫:৪১

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
পোয়েট্রি ভাই আসার পর আপনার এই পোস্টে আর কারো মন্তব্য লাগে না।
উনার 'নোবেল জয়ীদের কবিতা' বইটি সংগ্রহ করতে পারেন।
আর উনাকে একটা জিজ্ঞাসা, ভাই বইয়ের এতো হইলে আমরা বেকার রা কেমনে কিনি! :)

ভাল্লাগছে।

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:০৭

সানড্যান্স বলেছেন: ধন্যবাদ দুর্জয় ভাই! আপনার ভালোলাগা পাওয়া বিশাল ব্যাপার!

তবে নোমান কিন্তু হিংসুটে হয়ে যাচ্ছে, খেয়াল করেছেন কি?

বড় লেখক দের দাম বড়ই হবে,। যেমন একদিন আপনার-আমার- নোমানের হবে!!! :p

১৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৫:৪২

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:

* দাম এতো হইলে

১৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: জুয়া খেলছিল জ্ঞাত ছিল না,পিছলে যাচ্ছিল,কালচে করে দিচ্ছিল ভাষা ছিল না!নীরবে কাপঁছিল। রূপ ছিল স্বচ্ছ

২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

সানড্যান্স বলেছেন: প্রথম প্রথম বস, চেস্টায় আছি, ছিলোময় ই বা খারাপ কি? অভিরুচি বহুবিধ হতেই পারে!

আমাদের অনেক কিছু ছিল, এখন নেই, একারনেই হয়ত ছিল আমার মত কারুর খুব প্রিয়!!

১৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৩৮

শিপু ভাই বলেছেন:
ভাল হয়েছে। বাক্য গঠনে আরেকটু সচেতন হলে ভাল হত। হাসান মাহবুব বিষয়টা বলেছে।
পুরোপুরি আক্ষরিক অনুবাদ না করে ভাবানুবাদ করার চেষ্টা করো।

প্রথম প্রচেষ্টা হিসেবে ১০ এ ৮ পাইছো।

আরো লিখো। লিখতে থাকো। অনুবাদ করা সাহসের ব্যপার। তোমার সাহস আছে।

২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

সানড্যান্স বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শিপু ভাই!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.