![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে ভাল লাগে বলে লিখি। আমার সব লেখা নিজের জন্য।
মাঝে মাঝে ভাবি ছাপার অক্ষরে বই পড়ার যে আনন্দ সেটা কি আমাদের শিশুরা বুঝতে পারে? আমার ভাইয়ের ছেলে নব’র বয়স সাত। সে একদিন তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করে, “বাবা, তোমার ফেসবুকে একাউন্ট আছে”? তার বাবা অবাক হয়ে ছেলের কাছে জানতে চাইলেন, “এটা কি বাবা”? বাবার মূর্খতায় নব বিস্মিত। তার বাবা ফেসবুক কি জানে না- এটা তাকে খুব মর্মাহত করে। পরদিন সে স্কুলে গিয়ে ফেসবুক সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করে এবং সেই রাতে ঘুমাতে যাবার আগে বাবাকে সব জানায়।
নব’র এখন একমাত্র আকর্ষণ “মডেম” নামক বস্তুটার উপর নিহিত। তার কট্টরপন্থী বাবা মা কবে তার হাতে এই বস্তু তুলে দেবেন সে এই অপেক্ষায় আছে। আমাদের ছেলেবেলায় এইসব বস্তুর নামও আমরা শুনিনি। বাবা তখন ঠাকুরমার ঝুলি, আরব্য রজনীর গল্প, ঈশপের গল্পের বইগুলো কিনে আনতেন আমাদের জন্য। বানান করে করে সেই বই পড়ার যে আনন্দ সে আনন্দ থেকে আজকালকার শিশুরা বঞ্চিত। হয়ত এর উল্টোটাও হতে পারে। ওরা কম্পিউটার গেম খেলে যে আনন্দ পায়, তা থেকে আমরা বঞ্চিত। অতি জটিল সব গেম, ওরা বেশ অনায়াসে একটার পর একটা ষ্টেজ পার হয়ে যায়। তখন তার আনন্দ চোখে দেখার মত। ওরাও হয়ত আমাদের মত করে ভাবে আধুনিক বিজ্ঞানের কল্যাণে ওরা যে আনন্দের খোরাক পাচ্ছে, সেটা থেকে আমরা আমাদের ছেলেবেলায় বঞ্চিত ছিলাম।
এ লেখাটা এলেবেলে টাইপের লেখা। মাঝে মাঝে চকিতে মনের মধ্যে অনেক ভাবনা খেলা করে যায়। “হুমায়ুন আহমেদে”র বই মাস দু’য়েক যাবত টানা পড়ছি। তার একটা বই আছে “এলেবেলে”।
সেই বইয়ে এই টাইপের কিছু লেখা আছে। সেই বই পড়ে কিনা ঠিক বুঝতে পারছি না, যা মনে আসছে তাই লিখে ফেলছি। কোন লেখাই ফেলনা না, কারন আমি আমার জন্য লিখি, এখানে আমার ভালোলাগাই প্রধান। হাহাহা, লেখাটা লেখার পর নিজেকে বেশ আঁতেল মনে হচ্ছে। হাহাহা.........।
Click This Link
২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫২
সানফ্লাওয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আতলামি না না না ভালই লিখেছেন।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৫৪
সানফ্লাওয়ার বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম
৩| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৭
আমিনুর রহমান বলেছেন:
চমৎকার । আমাদের শিশু সন্তান'রা আজকাল ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার বদলতে ভালোই শিখছে ... সত্যি বলতে দোষতো আর ঐ কমলমতি শিশুদের নয় আমাদের। আমরা নিজেদের নিয়ে এত বেশি ব্যস্ত তাদের যে একটু সময় দিবো, ভালো কিছু শিখবো তা করছি না।
৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২২
সানফ্লাওয়ার বলেছেন: আমাদের দোষ দিয়ে লাভ কি? সময়ের পরিবর্তন এটি। আমরা বড় হয়েছি যৌথ পরিবারে। সেখানে বাবা মা সময় বের করে সন্তানদের সময় দেয়ার কথা ভাবতেন না। পরিবারের কেউ না কেউ তাদের সময় দিত। আমরা যত একক পরিবারে বিচ্ছিন্ন হচ্ছি, ততই সন্তানদের নিয়েও আমাদের ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভালোই লেগেছে