![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত শুক্রবারেও বৃষ্টি ছিল। আজকেও আকাশ ছাপিয়ে নামলো বৃষ্টি। সত্যিই, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বেশীরভাগ সময়টা যাচ্ছে বৃষ্টির। কিন্তু ... এ বৃষ্টি যেন সাধারণ কোন বৃষ্টি নয়। এ যেন অন্যরকম এক রহস্যময় বৃষ্টি। এ এমন এক বৃষ্টি যাকে ঠিক 'ঝমঝমে-বৃষ্টি' বলা যায়না, এ এমন এক বৃষ্টি, যাকে ঠিক 'টুপটাপ' কিংবা 'রিমঝিম-বৃষ্টি'ও বলার উপায় নেই। এ বৃষ্টির জন্য খুঁজতে হয় অন্যরকম কিছু আবেগময় বাংলা শব্দ।
একে বলা যেতে পারে অক্লান্ত, অঝর ধারার অন্তহীণ বৃষ্টি। বলা যেতে পারে আপ্লুত অশেষ-অনুভবের আবেগী বৃষ্টি। বলা যেতে পারে বেদনার্ত বিমূর্ত আকাশের অভিমানী বিরহী বৃষ্টি। বেদনা-বৃক্ষের বিরহী-কান্ড বেয়ে কষ্টের কান্নার মতো সারারাত ঝরে পড়া এ বৃষ্টির সাথে সাত-সকালেই যুক্ত হয়ে পড়ে বিরহী বিষন্ন এক থমথমে কালো আকাশ। এ বৃষ্টির সাথে যুক্ত হয়ে পড়ে অন্যরকম এক মন-কেমন-করা আবেগী শিরশিরে হাওয়া।....এ বৃষ্টির যেন শুরুআছে, শেষ নেই। এ বৃষ্টির যেন গান আছে, গর্জন নেই। এ বৃষ্টি একান্ত একার, এ বৃষ্টি শুধুই একান্ত অনুভবের।
তবে কি এটাই সেই বৃষ্টি যাকে নিয়ে নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী অত আবেগ দিয়ে গেয়েছেন- "আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে....মনে পড়লো তোমায়....অশ্রূ ভরা দুটি চোখ..."। এটাই কি সেই বৃষ্টি যাকে নিয়ে সুবীর নন্দী গেয়ে ওঠেন- "আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি...আমায় আর কান্নার ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই..."। এটাই কি সেই বৃষ্টি, যা দিতে অপারগ হয়ে মোঃ রফিকুল আলম গেয়েছিলেন- "বৈশাখী মেঘের কাছে, জল চেয়ে তুমি কাঁদবে ...আমি চাইনা..." ?
আসলে যেটিই হোক, বাংলা ভাষা-ভাষীদের মতো এ বৃষ্টিকে এতো আবেগ -এতো হৃদয় দিয়ে বিশ্বের আর কোন ভাষার লোকেরা অনুভব করতে পারে কিনা আমি ঠিক জানিনা। আমাদের কথা-সাহিত্যে, কবিতায় এমনকি গানে-নাটকে-কথক নৃত্যে কিংবা সিনেমার সেলুলয়েডের ফিতায় অপরূপ অঝর "বৃষ্টি" বন্দী হয়েছে বিভিন্ন অবয়ব নিয়ে-অনেক যত্নে-অনেক মমতায়।
এই মূহুর্তে ঠিক মনে পড়ছে না, তবে সম্ভবতঃ ব্যতিক্রম ধারার প্রয়াত চিত্র পরিচালক আলমগীর কবিরের কোন একটি চলচ্চিত্রে এক অসাধারন বৃষ্টি ঝরার দৃশ্যের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের আরো বেশী অসাধারণ একটি বৃষ্টির গানের অপূর্ব চিত্রায়ণ উপভোগ করেছিলাম। গানটি ছিল- "আমি তখন ছিলেম মগন গহন ঘুমের ঘোরে, যখন বৃষ্টি নামল তিমিরনিবিড় রাতে.....।" এই দৃশ্যটি দেখার আগে আমার জানাই ছিলনা বৃষ্টি নিয়ে রবীন্দ্রনাথের এতো সুন্দর একটা হৃদয়স্পশর্ী গান আছে।
বৃষ্টি কখন থাকা দরকার, আর কখন থাকার দরকার নেই, কখন তা কাম্য আর কখন কাম্য নয়, তা নিয়ে মান্না দে'র চমৎকার একটা গান আছে--যেখানে তিনি প্রথমে বলেছেন -"ওগো বরষা তুমি ঝরো না গো অমন জোরে... কাছে সে আসবে তবে কেমন করে..?" কিন্তু পরক্ষণেই আবার বলেছেন- "এলে না হয় ঝরো তখন অঝর ধারে... যাতে সে যেতে চেয়েও.. যেতে নাহি পারে..."। এ প্রসঙ্গে আরো একটি গানের কথা মনে পড়ে। সেটি হৈমনত্দী শুক্লার গাওয়া গান-"ওগো বৃষ্টি আমার চোখের পাতা ছুঁয়োনা, আমার এতো সাধের কান্নার দাগ ধুঁয়োনা, সে যেন এসে দেখে- পথ চেয়ে তার কেমন করে কেঁদেছি।"...সত্যি, বৃষ্টির কাছে কতো ভাবেই না আকুতি জানানো হয়েছে এসব বাংলা গানে।
তবে বেশীর ভাগ বৃষ্টির গানেই এসেছে হারিয়ে ফেলা প্রিয় মানুষকে মনে পড়ার কথা।এসেছে তার জন্য বেদনা-থমথমে-আকুতি। লতার সেই ক্ল্যাসিক গান "আষাঢ় শ্রাবণ, মানে নাতো মন, ঝর ঝর- ঝর ঝর ঝরেছে" এর দ্বিতীয় লাইনে যেমন এসেছে-"তোমাকে আমার মনে পড়েছে" তেমনি চিত্রা সিং এর "আকাশ মেঘে ঢাকা, শ্রাবণ ধারা ঝরে" গানের দ্বিতীয় ছত্রে এসেছে- "যেদিন পাশে ছিলে, সেদিন মনে পড়ে..."। এই 'মনে পড়া'র বিষয়টিই বোধহয় বারবার বৃষ্টির বৃহত্তম উপসর্গ হিসেবে এসেছে এসব বাংলা গানে।..
বৃষ্টিকে নিয়ে বাংলা গানের ভুবনে আরো কিছু ক্ল্যাসিক কালজয়ী গান রয়েছে- যার মধ্যে এই মুহূর্তে মনে পড়ছে- মান্না দে'র কন্ঠে গীত বিখ্যাত নজরুলগীতি "শাওন রাতে যদি, স্মরণে আসে মোরে..বাহিরে ঝর বহে, নয়নে বারী ঝরে" কিংবা সতীনাথ এর কন্ঠের "হায় বরষা..."। বাংলাদেশের প্রয়াত শিল্পি নিলুফার ইয়াসমিন এর গাওয়া "এক বরষার বৃষ্টিতে ভিজে..দুটি মন কাছে আসলো" গানটিও বলা যায় ক্ল্যাসিক মর্যাদা পেয়েছে।
তবে ইদানীং কালের শিল্পীদের মধ্যে শ্রীকান্ত আচার্য্য একেবারেই অন্যরকম একটি বৃষ্টি কেন্দ্রিক গান গেয়ে বলা যায় ভীষণভাবে আলোড়ন তুলেছেন। তার "বৃষ্টি-তোমাকে দিলাম" অ্যালবামের "আমার সারাটা দিন মেঘলা আকাশ, বৃষ্টি তোমাকে দিলাম" গানটির কথার মধ্যে যেমন রয়েছে দুর্বোধ্য রহস্যময়তা তেমনি এর মিউজিক, রিদম, সবকিছুর মধ্যে রয়েছে এক মায়াবী আবেশ- যা শুধু এমন অন্যরকম দিনগুলিতেই উপলব্ধি করা যায়। তবে লক্ষ্য করেছি যে, কম্পিউটারে সাব-উফার স্পীকার সহকারে না শুনলে এ গানের সত্তর ভাগ মজাই নষ্ট হয়ে যায়।
সাব-উফার স্পীকার বা সারাউন্ড সাউন্ড সিস্টেম স্পীকারে শুনে প্রচন্ড মজা পাওয়া যায় এমন আরেকটি বৃষ্টির গান হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যান্ড দল 'দলছুট' এর সঞ্জীব চৌধুরীর গাওয়া "বৃষ্টি পড়ে, অঝর ধারায়, বৃষ্টি পড়ে, লজ্জা হারায়......"। এ গানে বৃষ্টি পড়ার শব্দের এমন মায়াবী সাউন্ড ইফেক্ট ব্যবহার করা হয়েছে যে, গানটি শোনার সময় মনে হতে পারে, বৃষ্টি আপনার ঘরের ভেতরেই নেমে এসেছে।....
বৃষ্টিকে নিয়ে কি আনন্দের গান নেই? আছে। মান্না দে'র গাওয়া "রিম ঝিম ঝিম বৃষ্টি" একটি দ্রূত লয়ের আনন্দ অনুভূতির গান। হেমন্তের কন্ঠে গাওয়া "তুমি এলে, অনেকদিনের পরে যেন বৃষ্টি এলো" গানের মধ্যে প্রিয় মানুষের কাছে আসার বিষয়টিকে 'অনেকদিন পর বৃষ্টি আসা'র অনির্বচনীয়-আনন্দের সাথে তুলনা করা হয়েছে।
তবে খুব চমকে দেবার মতো এবং সারা জীবন মনে রাখার মতো গানটি গীত হয়েছে কিশোর কুমার এর গলায়। তার গাওয়া "হাওয়ায় মেঘ সরায়ে... ফুল ঝরায়ে....ঝিরি ঝিরি এলে বহিয়া, খুশিতে ভরেছে লগন.....ভালবাসি, যাও কহিয়া..."-গানটি সর্বকালের সেরা 'মেঘ-বৃষ্টি-ঝিরি ঝিরি হাওয়া মেশানো' বাংলা প্রেমের গান হিসেবে বিবেচিত হলেও অবাক হবার কিছু নেই। এই গানটিতেও বৃষ্টির শব্দ-সমুদ্রের ঢেউ আর কোকিলের কুহূ কুহূ ডাকের অসম্ভব সুন্দর ষ্টেরিও সাউন্ড ইফেক্ট যোগ করা আছে, যা সাব-উফার বা আরো উন্নত মানের স্পীকার সহযোগে শুনলে আরো বেশী উপভোগ্য হয়ে ওঠে।
আমাদের কোকিলকণ্ঠি রুনার গলায় একটি সুন্দর বৃষ্টির গান আছে। "অনেক বৃষ্টি ঝরে...তুমি এলে, যেন এক মুঠো রোদ্দুর আমার দুচোখে ভরে... তুমি এলে...."-আমি এতোদিন জানতাম- এটি বৃষ্টির ছোঁয়া মেশানো শুধুই একটি প্রেমের গান। কিন্তু হঠাৎ আমার এক বন্ধু একদিন আমাকে জানালো, গানটিতে নাকি 'অনেক কষ্ট-অনেক কান্না ঝরিয়ে অবশেষ স্বাধীনতা প্রাপ্তি'র বিষয়টিকে তুলে ধরা হয়েছে। আমি এখনো বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত নই। তো যেটাই হোক না কেন, গানটি যে হৃদয়স্পশর্ী, তার সঙ্গে একমত হবেন অনেকেই।..
পরিশেষে বলি- এ লেখা আরো দীর্ঘ করা যেতো। গানের তালিকাও হয়তো আরো বড় করা যেতো। কিন্তুসমস্যা হচ্ছে এ লেখা শেষ হতে হতে ইতিমধ্যে বৃষ্টি থেমে গেছে। এরপর যদি হঠাৎ সূর্যও ওঠে পড়ে, তখন কি আর এটা ভালো লাগবে আপনাদের? তবে সবশেষে আর একটি প্রসঙ্গ না টেনে পারছি না। কেবল যেসব গানের কথায় "বৃষ্টি" শব্দটি আছে, সেসব গানই কি বৃষ্টির গান হিসাবে চিহ্নিত হবে?
না, আমার কেন যেন মনে হয়, এটি ঠিক নয়। বৃষ্টির গানে 'বৃষ্টি' শব্দটি থাকতেই হবে, এমন কোন বাধ্যবাধকতা আরোপ করা বোধহয় ঠিক নয়।বরং আমরা বলতে পারি, যেসব গান বৃষ্টির দিনগুলোতে শুনতে ভালো লাগে, তা-ই হোক 'বৃষ্টির গান'.... তাতে বৃষ্টি শব্দটি থাকুক আর না-ই থাকুক।... যদি এ সূত্রটি মেনে নেই, তবে প্রতিমার গাওয়া "কতোকাল দেখিনি তোমায়... একবার তোমায় দেখি"-গানটিও একটি বৃষ্টির গান। হেমন্তের গাওয়া "মুছে যাওয়া দিনগুলি আমায় যে পিছু ডাকে"-গানটিও আরেকটি বৃষ্টির গান। আর হ্যাঁ,-- "বলেছিলে তাই... চিঠি লিখে যাই...কথা আর সুরে সুরে...মন বলে তুমি রয়েছ যে কাছে... আঁখি বলে কতো দূরে...."--- জগন্ময় মিত্রের গাওয়া সেই বিখ্যাত চিঠির গানটি তো অতি অবশ্যই- সবচেয়ে সেরা চিরন্তন বৃষ্টির গান.....।
শেলী বলেছিলেন, " Our sweetest songs are those that tells of saddest thought. " কিছুটা মিল রেখে আমরা বোধহয় বলতে পারি, "যে গান বেদনার, যে গান বিষন্নতার, সে গানই বৃষ্টির, সে গানই অপরূপ-একান্ত অনুভবের..."।
ধন্যবাদ সবাইকে।
২| ০৭ ই জুলাই, ২০০৬ রাত ৯:০৭
সারিয়া তাসনিম বলেছেন: বৃষ্টি !!
শব্দটার মধ্যেই কেমন একটা রিন ঝিন ভাব আর সেই ভাবটা আরো রিনি ঝিনি হয় সুনীল সমুদ্রের লেখনীতে
৩| ০৭ ই জুলাই, ২০০৬ রাত ৯:০৭
শাহানা বলেছেন: সুনীল সমুদ্্র: লেখাটি পড়ার সময় কিছু গান খুজছিলাম, যেমন "অনেক বৃষ্টি ঝরে..তুমি", খুব ভালো লাগলো সব গুলোই পেয়ে।
কালপুরুষ: ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে, ঠিকই রাশি বের করে ফেললেন। অপ্রাসংগিক হলেও বলি, আমি মীন রাশির মেয়ে। অনেকে (বেশির ভাগ ছেলে) বলেছে, আমার মন পাথরের মতোন। এবার বলুন বাস্তব আর আপনার রাশি তো মিললোনা।
৪| ১৯ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ৩:০৭
অতিথি বলেছেন: কালপুরুষ, সারিয়া, শাহানা
বহুদিনপর আবার এক বৃষ্টির মুহূর্তে আপনাদের মন্তব্যের জবাব লিখতে বসলাম। আমার এ লেখাটিকে আপনাদের মন্তব্য নিশ্চয়ই আরো বেশী সমৃদ্ধ করেছে ।অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার রাশি তুলা।জন্ম সংখ্যা বলতে কি বুঝায় জানিনা, তবে জন্ম তারিখ 16ই অক্টোবর।
ভীষণ বৃষ্টি নেমেছে আজ ঢাকার আকাশে। নিঃসংকোচে বলি, এমন বৃষ্টির দিনে আবার কেউ লেখাটা পড়ুক, এমন প্রত্যাশা নিয়েই এটিকে নিয়ে আসলাম- সাম্প্রতিক মন্তব্যের তালিকায়।...
৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:২৭
অতিথি বলেছেন:
যতোদিন.... যতোবার...... ঢাকার আকাশে ব্যতিক্রমধমর্ীবৃষ্টি নামে- ততোবার আমি এই পুরনো লেখাটিকে ইচ্ছে করেই সবার গোচরে নিয়ে আসি।....
কেউ পড়ুক বা না পড়ুক, আমি নিজেই আমার এ পুরনো লেখাটি বারবার পড়ি।.... জানিনা..... এটিকেই আত্মপ্রেম বলে কি না।.....
৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫
অঃরঃপিঃ বলেছেন: বস, অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ
৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭
অঃরঃপিঃ বলেছেন: কালপুরুষের লগে বাক্য নাই। মিয়া কাম করলেন এইডা?
৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ৮:৫৪
অতিথি বলেছেন: সুনীল দা, বলেন তো বৃষ্টির মাঝে কেনো এত সুর?
ভালো কথা, আমাদের রি-ইউনিয়নের কতদূর কী হলো?
৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ভোর ৬:০৩
অতিথি বলেছেন:
অঃ রঃ পিঃ ,
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধূসর গোধূলি,
বৃষ্টি নিজেইতো সুরেলা, তাই বোধহয় এর মাঝে এতো সুর......। যাই হোক, আর কোন ভাল উত্তর জানা থাকলে অবশ্যই জানাবেন।
রি-ইউনিয়নের বিষয়টি মনে রেখেছেন, সেজন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ। যে সকল নটরডেমিয়ান নিয়মিতভাবে সামহয়্যার ইন ব্লগে লেখালেখি করছেন, তাদের সবাইকে নিয়ে আগামী ডিসেম্বরে অথবা জানুয়ারীতে ঢাকায় একটি রি-ইউনিয়ন আয়োজন করার ইচ্ছে রাখছি। শীগগিরই এ বিষয়ে যোগাযোগের জন্য আনুষ্ঠানিক ডিটেইলড ঘোষণা দেওয়া হবে।
১০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৩:৫০
অতিথি বলেছেন: বৃষ্টির দিনের আমার ভালো লাগা সব গানগুলোর কথাই তো আছে লেখায়- কোনটার কথা আর বলবো!? অনেক সুন্দর করে লিখেছেন দাদা। আমার লেকা একটি বলি...বৃষ্টিভেজা এই রাতের কান্না যদি আমার চোখের জল হতো/দুঃখ-পাথর চাপা বুকের কষ্টগুলো কিছুটা সান্ত্বনা পেতো।
...তবে বৃষ্টির দিনের কষ্টও অনেক...বিশেষ করে গরীবের...কৃষকের...বস্তিবাসীর...
১১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ভোর ৫:৩৮
অতিথি বলেছেন:
শেখ জলিল,
আপনার মতো একজন গীতিকার/কবি'র ভালো লাগা সব বৃষ্টির গান গুলোর কথা যখন লেখাটিতে আনতে পেরেছি বলে আমাকে নিশ্চিত করলেন- তখন ধরে নিতে পারি এবং আশ্বস্ত হতে পারি যে -লেখাটি থেকে বৃষ্টিকেন্দ্রিক উল্লেখযোগ্য কোন গান বাদ পড়েনি।
আপনার লেখা গানটির রেকর্ড সংগ্রহ করতে চাই। যদি আপনার ইয়াহু আইডি থেকে থাকে তবে mp3 ফরমেটে গানটি ইয়াহু ব্রিফকেস ফাইলে আপলোড করে দিতে পারেন। পরে আমার ইয়াহুমেইল এড্রেস [email protected] এর ফেবারে শেয়ারিং অপশন দিয়ে দিলে আমি গানটি লোড করে নিতে পারবো।
বৃষ্টির দিনের আরেকটি দিক যে খুব কষ্টের --সেটি মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ । সেই কষ্টের কথা নিয়ে হয়তো লেখা হবে আরেকদিন...।
১২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১২:৫৮
অতিথি বলেছেন:
১৩| ১১ ই মে, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৩২
সুনীল সমুদ্র বলেছেন: আজ আবার বৃষ্টি শহরে। আজ আবার হয়তো কারো ভাল লাগতে পারে পুরনো এ লেখাটি.....।
১৪| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:০০
ভাঙা চাঁদ বলেছেন: হা ভালো লেগে গেল.....।
১৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৯:২৯
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়লাম..........
বৃষ্টির এত সুন্দর বর্ণনা।
অসম্ভব ভালো লাগলো।কাল বিকালে আমাদের এখানে বৃষ্টি নেমেছিলো।সে কি বৃষ্টি।দেশের কথা মনে পড়ছিলো।অনেকদিন পর ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নেমেছিলো কাল।এখন মাঝে মাঝেই বৃস্টি পড়বে।
গাছে গাছে পাতারা এলো বলে।
অনেকদিন আপনাকে দেখিনা ব্লগে।
আশাকরি ব্যস্ততায় ভালো আছেন।
শুভেচ্ছা ।
১৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:৩৭
কখনো মেঘ, কখনো বৃষ্টি বলেছেন: এত চমৎকার একটা পোষ্টে এত কম মানুষের কমেন্ট কেনো!?
যাই হোক, গানগুলো ভালো লাগে খুব। বৃষ্টি যদিও আমাকে তেমন ছোঁয়ে যায় না। তবে বৃষ্টি প্রেমিকদের বৃষ্টি নিয়ে পাগলামী দেখতে ভালোই লাগে।
১৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪৮
রিমি (স. ম.) বলেছেন: সমুদ্র, আপনি আমার পোস্টে এই লেখাটা উপহার দিয়েছেন। আমার খুব আনন্দ হচ্ছে যে এমন সুন্দর একটা উপহার পেয়ে গেলাম। লেখাটা যথারীতি মনমোহিনী।
"যে গান বেদনার, যে গান বিষন্নতার, সে গানই বৃষ্টির, সে গানই অপরূপ-একান্ত অনুভবের..."। আসলেই তাই। একথা আগে ভেবে দেখিনি। বৃষ্টি আমাদের বেদনাকেই নাড়া দেয়। আর কে না মানবে যে বেদনাই আমাদের ভালবাসা।
লিখতে থাকুন। শুভকামনা।
১৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: এক সময় বৃষ্টি নিয়ে লেখা যেসব গান আমাদের কন্ঠে থাকতো, তার প্রায় সবগুলোই আপনি আপনার এ পোস্টে অত্যন্ত কাব্যিকভাবে উপস্থাপন করেছেন। আর সবশেষে বলা কথাগুলো খুবই চমৎকারভাবে বলেছেন। আসলেই, বৃষ্টির গান মানেই বেদনার গান, আনন্দদায়ক বিষণ্ণতার গান।
পোস্টে ভাল লাগা + +।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুন, ২০০৬ রাত ১০:০৬
কালপুরুষ বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর একটা লেখা। এক নিঃশ্বাসে পড়ে শেষ করলাম। মনটা কেমন জানি অন্যরকম এক ভাললাগায় ছুঁয়ে গেল। আপনার লেখাতে যেমন ভাষার প্রয়োগ, তেমনি আবেগের দু্যতি। তারচেয়েও বড় আকর্ষণ বর্ণনার ছন্দময়তা ও লালিত্যভঙ্গি। সব মিলিয়ে বলা যায় অপূর্ব কিছু শব্দসূতায় বোনা কাব্যের এক অনুপম নকশিকাঁথা।
আপনার পছন্দের গানগুলোর সাথে কেমন করে যেন আমার পছন্দের তালিকাটা মিলে গেল। উদ্ধৃত সবগুলো গানই আমার শোনা এবং সবগুলোই আমার অসম্ভব প্রিয় গান। আমি নিজেই অবসর সময়ে ওই গানগুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে শুনি। প্রতিনিয়ত আমার কানের কাছে বাজে। ্এখনও বাজছে। আমার মনে হয় দিন বদলের সাথে সাথে আপনি ভীষণ নস্টালজিক হয়ে পড়েন। আর সেই সময়টুকু একা এবং শুধুই একা কাটাতে পছন্দ করেন। আপনার পছন্দের তালিকার সাথে আমারও দুই একটা গান যেমন_ "এলো বরষা যে সহসা মনে তাই, রিমঝিম রিমঝিম গান গেয়ে যাই", "তুমি মেঘলা দিনে নীল আকাশের স্বপ্ন আমার মনে" _ সতীনাথের এই গানদুটো মনে পড়ে গেল। এর সাথে শ্যামল'এর গাওয়া, "ঝিরি ঝিরি বাতাস কাঁদে তোমায় মনে পড়ে, কী যে ব্যাথা জাগে বড় একা লাগে চোখে যে মেঘ করে.."।
সুন্দর ও রোমান্টিক এই লেখার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ও হ্যাঁ, আরেকটি কথা। আপনি ভীষণ রোমান্টিক মানুষ। আমার মনে হয় আপনি কর্কট বা মীন রাশির জাতক। তুলা হলেও হলে অবাক হব না। জন্ম সংখ্যা 2,7,11, 16, 20, 25 হবার সমূহ সম্ভাবনা। পছন্দের রং সাদা, ক্রীম বা হালকা কোন রং। নাহ্ এ নিয়ে আপনার ভাবনার কিছু নেই। এ সবই নিছক আমার কল্পনা।