নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাঙালি কে ভালোবাসি

আমি সত্যের সন্ধান করতে জ্ঞান অর্জন করি..,

সুরাজ হাসান

আমি একজন সাধারণ মানুষ.....ব্যাস এটাই আমার পরিচয়

সুরাজ হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কি আসলেই মুসলমান?

৩১ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯

এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে , প্রথমেই একমত

হতে হবে মুসলমানের সংজ্ঞায়। মুসলমানদের

মাঝে অনেক ভাগ, কেউ সুন্নি , কেউ শিয়া , কেউ

ওয়াহাবী, কেউ আহলে হাদীস, আবার কেউ

লামাযহাবী। এইরুপ বহু গোষ্ঠীতে আজকের

মুসলমানেরা বিভক্ত। একটি মিথ্যা হাদীসের

উদ্ধৃতি দিয়ে সকলেই গর্বের

সাথে বলে মুসলমানেরা ৭২ ভাগে বিভক্ত

এবং শুধুমাত্র ১টি দলই সঠিক পথে আছে।

মজার ব্যপার হলো , প্রত্যেক দলই

আত্মতুষ্টিতে ভুগছে এই ভেবে যে , শুধু তারাই সঠিক

পথে আছে এবং বাকী সকলেই জাহান্নামী।

কোন দলটি আসলেই সঠিক

পথে আছে সেটা না জানতে চাওয়ার একমাত্র

কারন হলো নিজেদের বুদ্ধিবৃত্তির

চর্চা না করা এবং অন্ধভাবে ধর্মীয় নেতাদের

ও পূর্বপুরুষদের অনুসরন করা। ধর্মীয় নেতাদের

সঠিক পথের অনুসন্ধান না করার একটাই কারন ,

সঠিক পথ জানলে বাকি ৭১টি দলের ধর্মীয়

নেতাদের কোন ক্ষমতাই আর

থাকবে না এবং তার অর্থ উপার্জনের

রাস্তাও চিরতরে বন্ধ হয়ে যাওয়া।

কোরানকে সকল দলই ঐশীগ্রন্থ মনে করে।

সুতরাং কোরান

থেকে উদ্ধৃতি দিলে কারো আপত্তি থাকার

কথা নয়।

দলবাজী সম্বন্ধে কোরান কি বলে --

৩০: ৩১,৩২ - সবাই তাঁর (আল্লাহ্র)

অভিমুখী হও এবং ভয় কর , নামাজ কায়েম কর

এবং মুশরীকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। (মুশরীক

তারাই) যারা তাদের ধর্মে বিভেদ

সৃষ্টি করেছে এবং অনেক দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।

প্রত্যেক দলই নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে উল্লসিত।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে আমরা ,

যারা নিজেদেরকে সুন্নি , শিয়া , আহলে হাদীস ,

কাদিয়ানী বলে দাবী করে ধর্মে বিভেদ

সৃষ্টি করছি , আমরা প্রত্যেকেই মুশরিক । অর্থাৎ

মূর্তিপূজারী।

জানেন নিশ্চয় , আল্লাহ শিরক্ ছাড়া আর সব

গোনাহ্ মাফ করেন ।

আমরা সুন্নিরা , শিয়ারা কিভাবে আল্লাহ্র

সাথে শিরক্ করছি , তা ভবিষ্যতে লেখার

ইচ্ছা রইল।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ৭২ দল ভুক্ত মুসলমান , হাদিস টি ছহিহ বুখারি শরীফে বর্ণিত যাচাই করে নিয়েন ।

২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৩১

সুরাজ হাসান বলেছেন: জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ@পরিবেশ বন্ধু.......এটাও দয়া করে জানান যে বুখারি শরিফের কোথায় হাদিস টির হাওলা দেওয়া আছে.....এটা জানালে খুব উপকৃত হতাম

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৫৩

মহসিন আহমেদ বলেছেন: কোরআনে আল্লাহ যত আদেশ করেছেন,তা হচ্ছে নিজের সাথে থাকা খান্নাসকে দূর করার জন্য। আদম (আঃ) থেকে শুরু করে সকল নবী-রাসুলের উম্মতদের একই আদেশ দেওয়া হয়েছে। নামাজ, রোজা, হজ্ব,যাকাত এই গুলি একটাও নিজের সাথে থাকা খান্নাসকে দূর করার মাধ্যম নয়। তা হলে বলতে পারেন আল্লাহ তো এই গুলি করতে আদেশ করেছেন। হ্যা করেছেন এবং আল্লাহ অন্য সকল নবীদের উম্মতদেরও একই আদেশ করেছেন। তা হলে আমরা যেভাবে নামাজ,রোজা,হজ্ব,যাকাত আদায় করি সেভাবে অন্যরা করতো না। আদম(আঃ) থেকে শুরু করে মূসা, নূহ, মহাদেব, কৃষ্ণ, যীশু, গৌতম বৌদ্ধ্ব সহ হযরত মোহাম্মদ (সঃ) পর্যন্ত এবং কোরআনে নাম উল্ল্যেখ না করা ২২৪০০০ নবী-রাসুলকে আল্লাহপাক একটাই আদেশ করেছেন। কারন আল্লাহ কোরানেই বলেছেন, আল্লাহর কথার কোন পরিবর্তন হয় না। আল্লাহ আদম(আঃ) যা আদেশ করেছেন মোহাম্মদ (সঃ) কেও একিই আদেশ করেছেন। যদি কাঠমোল্লাদের কথা মত আলাদা আলাদা আদেশ দিয়ে থাকেন তাহলে কোরান স্ববিরোধী হয়ে যাবে (নাউযুবিল্লাহ)।

বোখারী শরিফের হাদিসটি এইরকম যে মোহাম্মদ(সঃ)এর উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হইবে কিন্তু একটা দল সবসময় সত্যের পথে থাকে। ওই একটা দলই জান্নাতি বাকি সব জাহান্নামি।

একটা দল সবসময় সত্যের পথে থাকা মানে আদম(আ) থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত আছে এবং কেয়ামতের আগে পর্যন্ত ঐ দলটা থাকবে।

এখন আপনারাই খোজে বের করুন কোন দলটা স্বার্বজনিন।

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ(সঃ) ১৫ বছর হেরা পর্বতের গূহায় ধ্যনসাধনা করে মানুষকে যে শিক্ষা দিয়ে গেছেন সেটা আমরা কয়জনে বুঝি?!


(বিঃদ্রঃ মহাদেব,কৃষ্ণ, গৌতবোদ্ধ্ব উনাদের নাম লিখাতে অনেক মাথা-মোটারা লাফাইতে পারে।)

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:০৯

রাজিব বলেছেন: সব ধর্মেই দলাদলি আছে এটাই বাস্তবতা। জানি না মানুষের মধ্যে মানবতা কবে আসবে। দলাদলি বাদ দিয়ে সবাই সবাইকে সন্মান করতে শিখুক।

৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৫৫

সুরাজ হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মহাসিন......এত সুন্দর ভাবে বোঝানোর জন্য.....

৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৫৬

সুরাজ হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ.....রাজিব

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.