নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের অর্ন্তভূক্ত বৃত্তাকৃতির দ্বীপের মতন মতলব উত্তর উপজেলায় কোন এক অজপাড়া গাঁয়ে এক জনম দুঃখী মায়ের ঘরে আমার জন্ম।জন্মের আট মাস পর বাবা চলে গেলেন ফেরার দেশে। প্রতিকুল অবস্থার মধ্যেই মায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বর্ন মালা শিখে ..।

শাওন সাফা

মানবতার জয় ;বিবেকের শাসন আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের সবচেয়ে দামী অস্ত্র।

শাওন সাফা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙালী সংস্কৃতি ও থার্টি ফাস্ট নাইট

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫

পশ্চিমা বিশ্বের কৃষ্টিকালচার আজ আমাদের সর্বক্ষেত্রে ক্রমশ রাহুগ্রাসের মত গিলে ফেলছে। আমাদের রংঢং খাদ্যাভ্যাস ও পোশাক-আসাক এবং পালাপর্বনেও একই দৃশ্যের চিত্র ফুটে উঠছে। মূলত আমরা যে ইসলামের চেতনা ধারণ করে জীবন জিন্দিগি অতিবাহিত করছি, আমরা যে মধ্যপ্রাচ্যের ভারতীয় উপমহাদেশের বাঙালি মুসলমান সেই কথা প্রায়ই ভুলতে বসেছি। আমার ভীষণ অনুতাপ ও বিরাগের কারন হল কেন আমরা স্বকীয়তা হারাতে বসছি? কেন আমরা নিজস্ব সংস্কৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে পর বন্ধনায় আসক্তি হয়ে অধঃপতন ঢেকে আনছি। কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের পরিনতি কম বেশি সবারই জানা।

বিশ্বায়নের যুগে হয়ত আমরা সকলের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। তবে সেটা যেন নিজেকে বিকিয়ে না হয়। দুঃখ জনক হলেও সত্য নতুন বছরকে ঘিরে অবাল বৃদ্ধ বনিতা, যুবক যুবতীদের মধ্যে যে উম্মাদনা বেলী রোড, টিএসসি, ফাইভ স্টার হোটেলগুলোতে যে অনৈতিকতার হাতছানি সত্যি খুবই খারাপ লাগে। থার্টি ফাস্টকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ঐসব নষ্টামী কি খুব বেশী জরুরী? যদি না হয় তা হলে কেন মরিচিকার পিছনে ছুটে জাত মানকে পদদলিত করব। বাল্যকালে আমার মা-চাচীদের দেখছি পুরনো বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগতম জানানোর জন্য বছরের প্রথম দিন ভাল ভাল রান্না করে আমাদেরকে পরিবেশন করতেন। তাদের ধারণা ছিল এই দিন ভাল ভাল খাওয়া গেলে সারা বছর ভাল ভাবে চলা যাবে। কিন্তু আজ লেখা পড়া শিখে সমাজের বা রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ে এসে ইংরেজী বছরকে স্বাগত জাননোর জন্য যে সংস্কৃতির আদলে আমাদের উত্তসূরিদের তৈরি করছি তার পরিণাম নিশ্চিত করে বলতে পারি খুবই ভয়াভহ। দিন দিন আমাদের যুব সমাজ পাপাচারে লিপ্ত হয়ে আগামী আদর্শ রাষ্ট্র গঠনে প্রতিবন্ধক হয়ে দাড়াবে।

সার্বিক দৃষ্টি ভঙ্গি পাল্টাতে হবে, রাষ্ট্রের পদস্থ ব্যক্তিরা এগিয়ে আসতে হবে। প্রশাসন আরো বেশি জোরদার করতে হবে। জোড়ায় জোড়ায় বেহায়াপনা বন্ধের ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা যে মোহাম্মদী ইসলামের ধারক সেই কথাটি অন্তরে লালন করতে হবে। তা হলেই দুনিয়াতে এবং আখিরাতে আলোক উজ্জল সোনালী দিগন্তের সূচনা করতে পারি।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬

শাওন সাফা বলেছেন: আমার ভীষণ অনুতাপ ও বিরাগের কারন হল কেন আমরা স্বকীয়তা হারাতে বসছি? কেন আমরা নিজস্ব সংস্কৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে পর বন্ধনায় আসক্তি হয়ে অধঃপতন ঢেকে আনছি। কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের পরিনতি কম বেশি সবারই জানা।

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯

রাসেল ফেরদৌস নূর বলেছেন: সত্যিই অত্যন্ত দুঃখজনক এবং উদ্বেগ এর বিষয় এটি ।
এই থার্টি ফাস্ট নাইট কে কেন্দ্র করে , অনেক তরুণ ও যুবক রা নেশার রাজ্যে উড়ে বেড়াবে ।
আর কতিপয় তরুণ - তরুণী অবৈধ যৌন সংগমে মেতে উঠবে । যার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ ।
বছরের শেষ দিনে আমরা বন্ধুরা মিলে খিচুড়ি - মাংশের আয়োজন করছি । সাথে বাড়তি একটু আনন্দের জন্য নিজেরা মিলে দোতারা , মন্দিরা আর খন্জনি দিয়ে কিছু সময় গান করবো । এতেই আমরা নির্মল আনন্দ খুঁজে পাই ।
নেশা কে না বলুন । আর আমাদের নিজেদের সংস্কৃতিকে লালন করুন সকলের প্রতি এই আহবান রইলো ।

৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এইগুলা হলো নষ্টামি করার বাহানা। একই জাতি যেভাবে বৈশাখ উদযাপন করে, তারাই আবার থার্টি ফাস্ট উদযাপন করে। অথচ থার্টি ফাস্ট হলো পশ্চিমা সংস্কৃতি। পরিবার থেকে সচেতনতা খুবই জরুরী। যারা ফুর্তি করছে তাদের অভিভাবকের সচেতনতা নিয়ে সন্দেহ হয়...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.