![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ মসজিদে বাইরে থেকে বড় হুজুর আসবে, চল নামায পড়তে যাই সবাই।এভাবেই ছোটবেলার বন্ধুদের সাথে প্রথম বড় হুজুরদের সাথে সাক্ষাত আমার। খুব বেশি মনে নেই আমার, কিছু লেকচার দিয়েছিল, আর সবশেষে আমার নাম, ঠিকানা লিখে নিলো। আরেকটা কথা মনে আছে একটা কাগজে আমার ছোট হাতের সাক্ষর নিয়েছিল। ঐ সাক্ষরে আমি নাকি ওদের সমর্থক হয়ে গেছি। আমাদের ইমাম সাহেব ওদের আর মসজিদে আসতে দেয়নি। এত বড় হুজুরদের সাথে আমার আর সাক্ষাতও হ্য়নি।
তারপর বহুবছর কেটে গেছে তাদের সাথে আর দেখা হয়নি। স্কুল কলেজ পার হয়ে যখন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলাম, তখন আবার তাদের গোষ্ঠিদের সাথে আমার আবার দেখা হয়, তখন আমি বুঝেছি এরাই আসলে তারা।
আমি ইউনিভার্সিটিতে নতুন বলে তারা আমাকে কত যে হেল্প করতে চায়, আমি মনে মনে ভাবি এরা এত ভালো কেন? বিনিময়ে তারা আমার কাছ থেকে কিছুই চায়না। কিছুদিন পর তারা আমাকে মিছিলে ডাকে, হলে সিটের ব্যবস্থা করতে চায়, জিহাদি বই পড়তে দিতে চায়, এয়ানত নামে চাঁদা চায়। এবার আমি বুঝে গেছি এরা আসলে আমার ভালো চায় না, আমাকে দলে চায়। পাঁচ বছর ইউনিভার্সিটিতে পড়ার কারনে এবং হলে একসাথে থাকার কারনে আমি অনেক ওদের সাথে মিশেছি, জেনেছি এবং বুঝেছি।
ওরা ছোট ছোট বাচ্চাদের খুব সুন্দর করে আপন করে দলে টানতে পারে। কিশোর কন্ঠ এক্ষেত্রে তাদের খুবই সাহায্য করে। ছোটবেলা থেকে শিশুদের মধ্যে একটা বিশ্বাস জন্মে গেলে তা থেকে ফেরানো কঠিন।
ইউনিভার্সিটিতে মেধাবী ছাত্ররা ওদের প্রধান টার্গেট । কিন্ত কেন? একটু চিন্তা করুন তো আজ থেকে কয়েক বছর পর যখন ওদের বশীভূত মেধাবী ছাত্ররা দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে , প্রসাশনে রাজত্ব করবে, তখন ?? আপনি ভাবছেন শুধু ইসলামী ব্যাংকে আছে ওরা !! ভূল ভাবছেন আপনি !
প্রায় সকল ইউনিভার্সিটিতে ওদের রাজত্ব । প্রতিবছর এরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ওদের বশীভূত তথাকথিত মেধাবী ছাত্রদের ঢুকাচ্ছে। আমি জানি ওরা সব দখল করতে চায়। ওরা কম মেধাবী ছাত্রদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়, ক্যাডার বানায়। ওরা মুখে ধর্মের কথা বলে, আসলে ওরা শিবির করে। তুমি মুসলমান , পাচ ওয়াক্ত নামায পড়, কিন্তু ওরা তোমাকে পছন্দ করবে না যদি শিবির না করো ।
ওরা তোমার কাছ থেকে প্রতিমাসে টাকা (চাঁদা) নিবে, কিন্তু খারাপ ব্যবহার করবে না। না দিলে সামনে কিছু বলবে না , পরে তোমার হলে থাকা দায় হয়ে যাবে। ওরা খুব ভাল ওদের কথা শুনলে , নইলে ওরা রগ কাটে।
তোমরা জানো ওরা ছাত্রশিবির, ওরা ধর্ম করে।
আমি জানি ওরা দল করে, ওরা ধর্ম ব্যবসা করে।
ওরা মুখে ধর্মের কথা বলে, আসলে ওরা শিবির করে।
[বি: দ্র: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ওদের দূর করতে না পারলে , ওদের শাখা প্রশাখা বাড়তেই থাকবে, ওদের নির্মূল করা যাবে না। কিশোর কন্ঠ, রেটিনা , ইসলামী ব্যংক ওদের প্রধান সহায়ক ]
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৩
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার উপলব্ধি শেয়ার করার জন্য । গত কাল কাপঝাপ দেখলাম দেইখা খুব মজা পাইছি ।
৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৫
টাইম পাস বলেছেন: দারুন। আমার অবস্থাও এমন হইছে। আর রিজালু নামে একটা হাদিস বলতো আর বলতো মহিলা রাজনীতি হরাম, যে দিন মহিলার সাথে জোট করলো সে দিন থেকে আর জামাত করি না। জামাতের এক হুজুরকে আমি এ প্রশ্ন করলাম সে বলে পায়খানা থেকে প্রশাব ভালো
৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৯
চিগিমিকি বলেছেন: ওরা এডুকেশন আর চাকুরি নিয়োগের ক্ষেত্রে অদৃশ্য সার্কিটব্রেকার বসিয়ে রেখেছে। একসময় এই সব জায়গা গুলাতে ওদের লোক ছাড়া কেউই থাকবে না ! যদিও এখনও ওদের লোক মোটেই কম না,
ওদের বিরোধীতা কারিরা এই দেশে কোন জবই পাবে না। দেশের বাইরে গেলেও ওরা পিছু ছাড়ে না !
৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৩
মাটির কথা বলেছেন: মেহেদী নামক শিবিরের এক ক্যাডার ছিলো। সে ছিলো শিবিরের সাথী এবং ওই জেলার(গোপন থাকলো) শিবির অন্যতম অস্র।সে অপারেশনে অন্য এলাকায়ও যেতো।
একাবার ওদের এলাকায় শিবির সম্মেলন হয় ওখানে সে নারী নেতৃত্ব সহ কিছু প্রশ্ল করছিলো কিন্তু সদত্তুর পায়নি।
তারপর সে শিবির ছেড়ে দেয়।
পরে ওরা তাকে অনেক লোভ দেখায় কিন্তু ওদের ধর্মব্যবসা বুঝতে পেরে সব বাদ দিয়ে চাকুরী আর সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩০
মাফকরেবন বিচারপতি বলেছেন: হ এখানে দেখি সব শিবির বিশেষজ্ঞের হাট বসেছে.
৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২২
সুজন কবি বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে
৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৬
হিমু ঘাসফড়িং বলেছেন: খারাপ কোনটা করলো বুঝলাম না।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০০
কায়েস_ বলেছেন: অসাধারন।