![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিন্মোল্লেখিত জাতীয় সমস্যাগুলির আশানুরুপ সমাধানের লক্ষ্যে আমি এমনই একটি সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রস্তাব করছি, যে ব্যবস্থায় থাকবে সরকারকে দূর্নীতি মুক্তকরনের ও জনগনের কাছে জবাবদিহীমূলক সরকার ব্যবস্থার পাশাপাশি নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধানের অধীনে একটি স্থায়ী নির্বাচন পদ্ধতি, যাতে থাকবে সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের নিশ্চয়তা । আমার প্রস্তাবিত এই সরকার ব্যবস্থায় রাস্ট্রপ্রধান হবেন জনগনের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত রাস্ট্রপতি এবং সরকার প্রধান হবেন প্রধান মন্ত্রী, যিনি নির্বাচিত হবেন সংসদ সদস্যদের ভোটে সংসদীয় রীতি অনুযায়ী।
আমার দৃষ্টিতে আমাদের দেশের প্রধান প্রধান জাতীয় সমস্যাগুলি হল :-
(১) দূর্নীতির মহামারীর আকার ধারন
(২) জনগনের ইচ্ছার প্রতি রাজনীতিবিদদের যুক্তিহীনভাবে চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন
(৩) সরকারের আপাদমস্তকে কোনই জবাবদিহীতা না থাকা
(৪) প্রশাসনের সর্বস্তরে নজীরবিহীন দলীয়করন
(৫) বিচারবিভাগের উপর সরকারের অবৈধ প্রভাব বিস্তার
(৬) সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্থায়ী ব্যবস্থা না থাকা
প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করার প্রথমিক যোগ্যতা:মহামান্য রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রাষ্ট্রপতি পদে নিন্মোক্ত মানবিক গুনাবলীর অধিকারী ব্যক্তিকে সরাসরি জনগনের ভোটে নির্বাচিত করে আমরা আমাদের দেশে সৃষ্ট হওয়া অনেকগুলি জাতীয় সমস্যার সমাধান করতে পারি । গুনাবলী সমূহ:-
(১) সততার বিন্দু পরিমান ঘাটতি না থাকা
(২) বিচক্ষণ
(৩) ন্যায়পরায়ন
(৪) দূরদৃষ্টিসম্পন্ন
(৫) সত্যবাদী
(৬) বিবেকবান
(৭) নি:স্বার্থবান
(৮) নির্লোভ ব্যক্তিত্বের অধিকারী
(৯) আমানতদারী
(১০) আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন
(১১) পরমতসহিষ্ণু
(১২) দৃঢ়চেতা
(১৩) প্রচন্ড আত্ববিশ্বাসী
(১৪) এবং শিক্ষিত
উপরোক্ত চারিত্রিক গুনাবলীর অধিকারী চার-পাচজন লোক খুজে পেতে কি খুব কষ্ট হবে , যেদেশে ১৬কোটি লোকের বসবাস ?
প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর অযোগ্যতা:- কোন রাজনৈতিক দলের প্রতি প্রকাশ্য আনুগত্য প্রদর্শনকারী অথবা ওয়ার্ড লেবেল থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পদের কোন দলীয় নেতা,কর্মী প্রেসিডেন্ট পদের জন্য সরাসরি অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন ।
প্রেসিডেন্টপ্রার্থী বাছাই পদ্ধতি: সকল রাজনৈতিক দল থেকে ও সকল শ্রেনীর পেশাজীবিদের সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে ১জন করে নেওয়া প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি জাতীয় বাছাই কমিটির মাধ্যমে উপরোক্ত যোগ্যতা সম্পন্ন পাঁচজন প্রার্থী যাচাই সাপেক্ষে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য চূড়ান্ত মনোয়নের জন্য মনোনীত করা হবে । মনোনিত প্রার্থীদের উপরোক্ত গুনাবলীসমূহ আমাদের দেশের স্বনামধন্য জাতীয় পত্রিকাগুলির সম্পাদকবৃন্দ,দূদক, টিআইবি ও জাতীয় গোয়েন্দাসংস্থা সমূহ দ্বারা আলাদা আলাদাভাবে গোপন তদন্ত সাপেক্ষে চূড়ান্তভাবে তিনজন প্রার্থী মনোনীত করা হবে জাতীয় বাছাই কমিটির তিন-চতুর্থাংশের মতামতের ভিত্তিতে ।
অত:পর নির্বাচনের পূর্বে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের জন্য মনোনীত তিনজন প্রার্থী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের কর্মপরিকল্পনা ও তাদের কর্মজীবন এবং সামাজিক জীবনের উপর নির্মিত প্রামান্যচিত্র ইলেকট্রোনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। তারপর নির্বাচনের মাধ্যমে উপরোক্ত তিনজনের মধ্য থেকে সর্বাধিক ভোট প্রাপ্তজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন এবং যিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাবেন, তিনি হবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
প্রেসিডেন্ট চার বৎসরের জন্য নির্বাচিত হবেন কিন্ত দুই বৎসর পর তাকে সরাসরি জনগনের আস্থা ভোটে বিজয় অর্জন করতে হবে, তাহলেই কেবল পরবর্তী দুই বৎসরও তিনি প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। কিন্ত আস্থা ভোটে হেরে গেলে তিনি প্রেসিডেন্টের পদ হারাবেন। আস্থা ভোট নেওয়ার ১৫দিন পূর্বে প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্টের নিকট ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনকালীন ছুটি ভোগ করবেন, যাতে নির্বাচনে কোন প্রভাব বিস্তার করতে না পারেন।
আস্থা ভোটে জয়লাভ করলেই কেবল তিনি আবার প্রেসিডেন্ট পদে ফিরে আসতে পারবেন, অন্যথায় ভাইস প্রেসিডেন্টই পূর্বের ন্যায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। নূতন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকা ভাইস প্রেসিডেন্টও তার পদ হারাবেন ।
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ও কর্তব্য : প্রেসিডেন্টের নিয়ন্ত্রনে থাকবে যথাক্রমে :-
(১) বিচার বিভাগ
(২) নির্বাচন কমিশন
(৩) দূদক
(৪) পিএসসি
(৫) সশস্রবাহিনী, বিজিবি, রেপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান, সোয়াত ও জাতীয় গোয়েন্দাসংস্থাসমূহ ।
উপরোক্ত বিভাগসমূহ একচ্ছত্রভাবে প্রেসিডেন্ট নিয়ন্ত্রন করবেন। প্রেসিডেন্টের উপর ন্যাস্ত দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নেওয়ার কোন প্রয়োজন হবে না। তেমনি প্রধানমন্ত্রীর বেলায়ও কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। তবে প্রেসিডেন্টের মূল দায়িত্ব হবে সরকারের সর্বস্তরের দূর্নীতি দূর করা এবং সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। প্রেসিডেন্ট একজন সাধারন নাগরিক থেকে শুরু করে সরকারের সর্বোচ্চ পদে আসীন অর্থ্যাৎ প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যে কারোর বিরুদ্ধেই দূর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার অধিকারী হবেন।
দূদক ও রেপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান যৌথভাবে শুধুমাত্র দূর্নীতি প্রতিরোধেই কাজ করবে। আর দূদক ও রেব যাতে দূর্নীতিগ্রস্ত হতে না পারে তার জন্য প্রেসিডেন্টের সরাসরি তত্ত্বাবধানে সোয়াত বাহিনী নিয়োজিত থাকবে । জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে প্রেসিডেন্ট তার অধিনস্থ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। নির্বাচনকালীন তিন মাস মূলত প্রেসিডেন্সিয়াল সরকার ব্যবস্থা দেশে কার্যকর থাকবে ।
প্রেসিডেন্ট ইচ্ছা করলে নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য সরকারের কাজে সহযোগিতার জন্য কয়েকজন নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ত্ব পালনে সক্ষম টেকনোক্রেট মন্ত্রী নিয়োগ দিতে পারবেন, যারা নির্বাচন পরবর্তী সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ত্ব পালন করবেন । প্রেসিডেন্ট মূলত দূর্নীতি বিরোধী সংগ্রামের সেনাপতির দায়িত্ত্ব পালন করবেন যা আমাদের সকল নাগরিকেরই একান্তভাবে কাম্য।
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ত্ব ও কর্তব্য :প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রীবর্গ ও সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে এবং স্থানীয় সরকারের সহায়তায় দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার পাশাপাশি দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রন করবেন এবং প্রেসিডেন্টের দায়িত্ত্বের বাইরের অবশিষ্ট সকল দায়িত্ত্ব প্রধানমন্ত্রীর উপরই ন্যস্ত থাকবে ।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন পদ্ধতি:প্রধানমন্ত্রী বর্তমান প্রচলিত নিয়মেই নির্বাচিত হবেন এবং অবশ্যই রাজনৈতিক দলসমূহ হইতেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হইবেন
আস্থাভোট নির্বাচন পদ্ধতি: দেশে বর্তমানে প্রায় ১০ কোটি মোবাইল ফোন চালু আছে, আর আমাদের ভোটার সংখ্যা প্রায় ৮ কোটির কাছাকাছি । সুতরাং মোবাইল ফোনে এসএমএস এর মাধ্যমে আমরা যার যার অবস্থানে থেকেই খুব সহজে এবং অল্প খরচে আস্থাভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারব ।
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৬
provat বলেছেন: বড দলগুলি তো ভাই সৎ লোকদের প্রার্থী করে না । তবে কিভাবে অামরা সৎ প্রাথীকে ভোট দিব ? বর্তমানে যে পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা চালু অাছে, সেই ব্যবস্থায় সৎ লোকের রাজনীতি করারই কোন সুযোগ নাই ।
৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৭
নায়করাজ বলেছেন: আপনাকে সব সময় বড় দলে ভোট দিতে হবে সেটা কেন ভেবে বসে আছেন ? ছোট দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভোট দেয়া কি বেআইনী ? বাংলাদেশে ৩৮টি নিবন্ধিত বৈধ রাজনৈতিক দল আছে, তাদের অনেক প্রার্থী ভোটে দাড়ায়। তাছাড়া অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থীও ভোটে দাড়ায়। প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে কোন বাধা নাই। যত খুশী লোক ভোটে দাড়াতে পারে।
তাই আপনি কেন শুধু বড় দলে ভোট দেবেন ? আপনি তো দল বা মার্কা দেখে ভোট দেন বলেই বড় দলগুলো আপনার ভোট ব্যবহার করে আপনাকেই হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তাদের নিজের স্বার্থ হাসিল করে।
এমন হতে পারে না, আপনি কোন দল দেখে ভোট দেবেন না, কোন মার্কা দেখে ভোট দেবেন না, ভোট দেবেন প্রার্থী দেখে।
আপনি যখন আপনার অফিসে কোন কর্মচারী নিয়োগ দেই, তখন কি তাদের দল দেখি নাকি তাদের নেতৃত্ব দেয়ার বা কাজ করার যোগ্যতা দেখি ?
৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২১
provat বলেছেন: আমাদের দেশের ভোটারগন যেদল ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নাই ,সেই দলের প্রার্থীকে কোনভাবেই ভোট দিতে চায় না, যতই ভাল প্রার্থী দিকনা কেন, যেমন-বিচৌধুরী, ড.কামাল হোসেন । তারা সেটাকে ভোট নষ্ট করা বলে মনে করে । নিয়ম করে সৎ প্রার্থী নিশ্চিত করা যতটা সহজ , সেই তুলনায় সকল ভোটারের মনমানষিকতার পরিবর্তন করা ততটাই কঠিন । সুতরাং সহজ পথে না গিয়ে কেন আমরা কঠিন পথে যাবো ?
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২২
নায়করাজ বলেছেন: সৎ ও যোগ্য লোক নেতা নির্বাচিত হলে কোন শাসন পদ্ধতিই খারাপ না। অন্য দিকে অসৎ ও অযোগ্য লোককে নেতা নির্বাচিত করলে পৃথিবীর সেরা শাসন পদ্ধতিও কাজ করবে না। আমাদের দরকার সৎ ও যোগ্য নেতা নির্বাচিত করা। সেটা করার জন্য ভোটার হিসেবে আমাদের দায়িত্ব খুব পরিষ্কার। আমরা মার্কা দেখে নয়, প্রার্থীর যোগ্যতা ও সততা দেখে ভোট দেব। কিন্তু বাস্তবে আমরা ১৯৯১ সাল থেকে মার্কা দেখে ভোট দিচ্ছি। এই মার্কা দেখে অযোগ্য এবং অসৎ মানুষকে নেতা নির্বাচন করার কারণেই দেশে এত অশান্তি। বিবেকহীন এবং দুর্নীতিবাজ ভোটাররা প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে ভোট দেয়। সেক্ষেত্রে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী পাশ করাটা কঠিন। ভোটার সৎ না হলে কখনও সৎ ও যোগ্য নেতা পাবেন না।