![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের একসময়ের অতি জনপ্রিয় খেলা ফুটবলের দুই চির প্রতিদ্বন্ধি দলের নাম ছিল আবাহনী ও মোহামোডান। আবাহনী বনাম মোহামেডানের খেলা মানে দারুন উত্তেজনায় ভরপুর একটি প্রতিযোগিতা। সুতরাং প্রায়ই মাঠে বসে তাদের খেলা উপভোগ করতে যেতাম। এই দুই দলের খেলার একটি বড় বৈশিষ্ট ছিল যে, কোন দল যদি খেলার শেষ মূহুর্তে এসে গোল খেতো, তখন তারা প্রচন্ড মাথা গরম করে খেলতে থাকতো, ফলে তখন তারা গোল তো পরিশোধ করতে পারতোই না, বরং উল্টো আরো গোল খেয়ে হারের ব্যবধান আরো বেড়ে যেতো।
আমাদের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলিরও ঠিক একই বৈশিষ্ট বিদ্যমান। মেয়াদের শেষ পর্যায়ে এসে যদি কোন নির্বাচেনে হেরে যায়, তখন শুরু হয়ে যায় তাদের মাথা গরমের মহড়া। তখন কি বলবে আর কি করবে তা বুঝে উঠতে না পেরে উল্টা-পাল্টা সব তুঘলকি কাজ কর্ম শুরু করে দেয়। ফলাফল- ঐ আবাহনী মোহামেডানের খেলার অনুরুপ অর্থ্যাৎ শুধু হারের ব্যবধান বৃদ্ধি, যেমন বিগত বিএনপির নেতৃত্বের জোট সরকারের চরম ভরাডুবি। বর্তমান সরকারের মেয়াদের শেষ পর্যায়ে এসেও ঠিক সেই একই রকম ঘটনার পূনরাবৃত্তি বোধ হয় আমরা দেখতে চলেছি। পাঁচটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে হেরে গিয়ে সরকারীদল আওয়ামী লীগের এখন মাথা গরম অবস্থা বিরাজমান।
কে কি বলবে আর কে কি করবে, তা দলের কোন পর্যায়ের নেতারই যেন আর বোধগম্য হচ্ছে না। তাই শুরু করে দিয়েছে সব পাগলামী কান্ডকারখানা, যার সর্বশেষ উদাহরণ বিলবোর্ডের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি জনগনের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা। আমার আশংকা শেষ পর্যন্ত না এই বিল বোর্ডের বিজ্ঞাপন “কাজীর গরু কিতাবে আছে, গোয়ালে নাই” পূরানো এই প্রবাদটির স্থলাভিষিক্ত হয়ে নূতন প্রবাদ চালু হয় যে “সরকারের উন্নয়ন বিলবোর্ডে আছে, বাস্তবে নাই”। বরং সরকারের এই সকল অপরিকল্পিত ও অবিবেচনা প্রসূত কর্মকান্ড ক্রমাগতভাবে সরকারীদলকে আরো জনবিচ্ছিন্ন করে ফেলবে, যা সরকারীদলের পরাজয়ের ব্যবধান বাড়াতেই কেবল ভূমিকা রাখবে বৈ আর কিছু লাভ হবে না।
সরকারের এই মাথাগরম পরিস্থিতিতে আমার ক্ষুদ্রমস্তিস্ক প্রসূত কিছু পরামর্শ বর্তমান সরকারীদলের জন্য, যা পালনে পূনরায় নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করতে না পারলেও হারের ব্যবধান অন্তত বিগত বিএনপি জোট সরকারের ন্যায় হবে না, এটা নিশ্চিতভাবে দাবী করতে পারি।
এই জন্য বর্তমান সরকারীদল আওয়ামী লীগকে প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে তা হলো, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান সরকারীদলের পরাজয় নিশ্চিত অর্থ্যাৎ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বর্তমান সরকারীদল হবে আগামী সংসদের বিরোধীদল’ এটা সহজভাবে মেনে নিয়েই পরবর্তি পদক্ষেপগুলি গ্রহন করতে হবে। বর্তমান সরকারীদলের যেহেতু সংসদে একক নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, সেহেতু সংবিধানে এমন এমন সংশোধনী আনতে হবে, যাতে আগামী সরকারের জন্য দূর্নীতি করা,প্রশাসনকে দলীয়করন করা,নির্বাচনে কারচুপি করা, ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিরোধীদলের উপর নির্যাতন করা এবং সর্বোপরি দেশে দু:শাসন কায়েম করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে।
আগামী সরকারকে জনগনের কাছে এমনই এক জবাবদিহিতা কাঠামোর ভিতরে নিয়ে আসতে হবে, যাতে সরকারকে ৫ বৎসর ক্ষমতায় থাকার চিন্তা বাদ দিয়ে দুইবছর দুইবছর করে ক্ষমতায় থাকার চিন্তা করতে বাধ্য হয়। ফলে উপরে বর্নিত কাজগুলি করার কোন সুযোগই তারা সৃষ্টি করতে পারবে না। ফলে জনগনের কল্যানের চিন্তা বাদ দিয়ে নিজেদের কল্যানের চিন্তা করারই ফুসরত তারা পাবে না। ফলে দেশে জনগনের অতিকাংখিত এক নূতন ধারার সরকার ব্যবস্থা কায়েম হবে, যে ধরনের একটি সরকার ব্যবস্থা কায়েমের জন্যই ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রায় ৩০ লক্ষ লোক জীবন দিয়েছিল এবং সম্ভ্রম হারিয়েছিল প্রায় ২লক্ষ মা-বোন।
বর্তমান সরকারীদল যদি আমার এই পরামর্শটি গ্রহন করে তা বাস্তবায়ন করে, তবে বর্তমানে সরকারীদলের প্রতি জনগনের যে বিরুপ মনোভাব তৈরী হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে খুব বেশী সময় লাগবে না, এটা আমি নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি।
আগামী সরকারের জন্য দেশ শাসন অত্যন্ত কঠিন করে তুলতে হলে, বর্তমান সরকারীদলকে সংবিধান সংশোধন করে আমার পরিকল্পনার একটি নূতন ধরনের সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে সংযোজন করতে হবে, যা করা বর্তমান সরকারীদলের জন্য খুবই সহজ একটি ব্যাপার । আমি অত্যন্ত আস্থা ও দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি যে, যদি সরকার আমার পরামর্শের এই নূতন ধরনের সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহন করে, তবে সর্বস্তরের জনগনের ব্যাপক সমর্থন তারা পাবে।
আমার প্রস্তাবিত নূতন ধরনের সরকার কাঠামোর ধারনাটি হলো নিন্মরুপ:-
আমার প্রস্তাবিত এই সরকার ব্যবস্থায় রাস্ট্রপ্রধান হবেন জনগনের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত রাস্ট্রপতি এবং সরকার প্রধান হবেন প্রধান মন্ত্রী, যিনি নির্বাচিত হবেন সংসদ সদস্যদের ভোটে সংসদীয় রীতি অনুযায়ী।
প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করার প্রাথমিক যোগ্যতা:প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করার জন্য উপয়ুক্ত হবেন সেই ব্যক্তি, যিনি হবেন সন্দেহাতীতভাবে সৎ, ন্যায়পরায়ন, নি:স্বার্থবান, সত্যবাদী, নিষ্কুলুষ চরিত্রের অধিকারী, নির্লোভ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন । ১৬কোটি লোকসংখ্যার এইদেশে উপরোক্ত গুনাবলীর অধিকারী একজন লোককে খুজে বের করা কি খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার হবে আমাদের জন্য? তবে, কোন রাজনৈতিক দলের প্রতি প্রকাশ্য আনুগত্য প্রদর্শনকারী অথবা ওয়ার্ড লেবেল থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পদের কোন দলীয় নেতা,কর্মী প্রেসিডেন্ট পদের জন্য সরাসরি অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।
প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থীবাছাই পদ্ধতি:
প্রথমেই উপরোক্ত গুনাবলীর অধিকারী ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য আবদনপত্র সংগ্রহ করবে নির্বাচন কমিশন। তারপর প্রার্থীগন কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য কিনা তা বাছাই করার জন্য প্রধান প্রধান রাজনৈতিকদল গুলির সহায়তা নিয়ে প্রাথমিক বাছাই সম্পন্ন করবে নির্বাচন কমিশন। এরপর অবশিষ্ট প্রার্থীগনের মধ্য থেকে সকল রাজনৈতিক দল থেকে ও সকল শ্রেনীর পেশাজীবীদের সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে ১জন করে নেওয়া প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি জাতীয় বাছাই কমিটির মাধ্যমে উপরোক্ত গুনাবলী সম্পন্ন পাঁচ থেকে দশজন প্রার্থী যাচাই সাপেক্ষে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য চূড়ান্ত মনোয়নের জন্য মনোনীত করা হবে । মনোনিত প্রার্থীদের যাবতীয় গুনাবলীসমূহ আমাদের দেশের স্বনামধন্য জাতীয় পত্রিকাগুলির সম্পাদকবৃন্দ,দূদক, টিআইবি ও জাতীয় গোয়েন্দাসংস্থা সমূহের সহায়তায় আলাদা আলাদাভাবে গোপন তদন্ত সাপেক্ষে চূড়ান্তভাবে চারজন প্রার্থী মনোনীত করা হবে জাতীয় বাছাই কমিটির তিন-চতুর্থাংশের মতামতের ভিত্তিতে।
অত:পর নির্বাচনের পূর্বে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের জন্য মনোনীত চারজন প্রার্থী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের কর্মপরিকল্পনা ও তাদের কর্মজীবন এবং সামাজিক জীবনের উপর নির্মিত প্রামান্যচিত্র ইলেকট্রোনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। তারপর নির্বাচনের মাধ্যমে উপরোক্ত চারজনের মধ্য থেকে সর্বাধিক ভোট প্রাপ্তজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন এবং যিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাবেন, তিনি হবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট চার বৎসরের জন্য নির্বাচিত হবেন কিন্ত দুই বৎসর পর তাকে সরাসরি জনগনের আস্থা ভোটে বিজয় অর্জন করতে হবে, তাহলেই কেবল পরবর্তী দুই বৎসরও তিনি প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
কিন্ত আস্থা ভোটে হেরে গেলে তিনি প্রেসিডেন্টের পদ হারাবেন। আস্থা ভোট নেওয়ার ১৫দিন পূর্বে প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্টের নিকট ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনকালীন ছুটি ভোগ করবেন, যাতে নির্বাচনে কোন প্রভাব বিস্তার করতে না পারেন। আস্থা ভোটে জয়লাভ করলেই কেবল তিনি আবার প্রেসিডেন্ট পদে ফিরে আসতে পারবেন, অন্যথায় ভাইস প্রেসিডেন্টই পূর্বের ন্যায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। নূতন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকা ভাইস প্রেসিডেন্টও তার পদ হারাবেন। এখানে উল্লেখ থাকে যে, প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনার দায়িত্ব সম্পূর্ন সরকারী খরচে নির্বাচন কমিশন পালন করবে। প্রতিটি প্রার্থীর জন্য সুষম প্রচার প্রচারনা নির্বাচন কমিশন সুনিশ্চিত করবে। প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের নিজেদের কোন ব্যয় নির্বাহ করার সুযোগ থাকবে না। কারন, প্রেসিডেন্টের দায়িত্বই হবে শুধুমাত্র সকল জনগনের অধিকার সমূহ সুনিশ্চিত করা।
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ও কর্তব্য :
প্রেসিডেন্টের নিয়ন্ত্রনে থাকবে যথাক্রমে : (১) বিচার বিভাগ(২) নির্বাচন কমিশন(৩) দূদক(৪) পিএসসি(৫) সশস্রবাহিনী,পুলিশবাহিনী ও জাতীয় গোয়েন্দাসংস্থাসমূহ।
উপরোক্ত বিভাগসমূহ একচ্ছত্রভাবে প্রেসিডেন্ট নিয়ন্ত্রন করবেন। প্রেসিডেন্টের উপর ন্যাস্ত দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নেওয়ার কোন প্রয়োজন হবে না। তেমনি প্রধানমন্ত্রীর বেলায়ও কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। তবে প্রেসিডেন্টের মূল দায়িত্ব হবে সরকারের সর্বস্তরের দূর্নীতি দূর করা, সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, প্রশাসনে মেধাভিত্তিক নিয়োগ নিশ্চিত করা, বিচার বিভাগ যাতে সম্পূর্ন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করা এবং দেশের স্বাধীনতাকে একটি দক্ষ, পেশাধারী সেনাবাহিনী গঠনের মাধ্যমে সম্মুন্নত রাখা।
প্রেসিডেন্ট একজন সাধারন নাগরিক থেকে শুরু করে সরকারের সর্বোচ্চ পদে আসীন অর্থ্যাৎ প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যে কারোর বিরুদ্ধেই দূর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দেওয়া থেকে শুরু করে প্রয়োজনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান কারীর ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবেন। দূদক ও র্যাব যৌথভাবে শুধুমাত্র দূর্নীতি প্রতিরোধেই কাজ করবে আর পুলিশবাহিনী জনগনের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে নিয়োজিত থাকবে। আর দূদক, র্যাব ও পুলিশ বাহিনী যাতে দূর্নীতিগ্রস্ত হতে না পারে, তার জন্য প্রেসিডেন্টের সরাসরি তত্ত্বাবধানে সোয়াত বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে প্রেসিডেন্ট তার অধিনস্থ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। নির্বাচনকালীন তিন মাস মূলত প্রেসিডেন্সিয়াল সরকার ব্যবস্থা দেশে কার্যকর থাকবে । প্রেসিডেন্ট ইচ্ছা করলে নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য সরকারের কাজে সহযোগিতার জন্য কয়েকজন নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ত্ব পালনে সক্ষম টেকনোক্রেট মন্ত্রী নিয়োগ দিতে পারবেন, যারা নির্বাচন পরবর্তী সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ত্ব পালন করবেন। প্রেসিডেন্ট মূলত দূর্নীতি বিরোধী সংগ্রামের সেনাপতির দায়িত্ত্ব পালন করবেন যা আমাদের সকল নাগরিকেরই একান্তভাবে কাম্য।
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ত্ব ও কর্তব্য :
প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রনে থাকবে অবশিষ্ট সকল মন্ত্রনালয় ও বিজিবি । প্রধানমন্ত্রী তার অধিনস্থ সকল মন্ত্রীবর্গ ও সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বনসাই স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার পাশাপাশি বিজিবির সহায়তায় দেশের সিমান্ত পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন পদ্ধতি:
প্রধানমন্ত্রী বর্তমান প্রচলিত নিয়মেই নির্বাচিত হবেন এবং অবশ্যই রাজনৈতিক দলসমূহ হইতেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হইবেন।
সংসদ সদস্য নির্বাচন পদ্ধতি:
সংসদ সদস্যরা সরাসরি জনগনের ভোটে নির্বাচিত হবেন কিন্ত সংসদ সদস্য হতে হলে তাকে একটার্ম পূর্ণমেয়াদে জনগনের সরাসরি ভোটে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে হবে অথবা তার নির্বাচনী এলাকার কোন পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র হিসাবে দায়িত্বপালন করতে হবে এবং চেয়ারম্যান বা মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পূর্বে একটার্ম পূর্ণ মেয়াদে জনগনের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত মেম্বারের বা পৌর কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করতে হবে। সংসদ সদস্যরা মূলত কেন্দীয়সরকার ও স্থানীয় সরকারের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করবে। যখন সংসদ অধিবেশন থাকবে না, তখন সংসদ সদস্যরা প্রতিটি ইউনিয়নে পালাক্রমে ইউনিয়ন পরিষদ ও অত্র ইউনিয়নের সব দলমতের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভার মাধ্যমে অত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন সমস্যাগুলি পরবর্তী সংসদে তুলে ধরার জন্য চিহ্নিত করে নিবেন এবং অত্র ইউনিয়নের জন্য সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপগুলি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের উপস্থিতিতে জনগনের সামনে উপস্থাপন করবেন এবং ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের বাস্তবায়নের অগ্রগতি জনগনের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের নিকট থেকে বুঝে নিবেন। সংসদ সদস্যগনকে নির্বাচিত হওয়ার দুই বৎসর পর প্রেসিডেন্টের মতো জনগনের আস্থা ভোটের সম্মুখিন হতে হবে। আস্থা ভোটে জিতলেই কেবল পরবর্তী দুই বৎসর সংসদ সদস্য হিসাবে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। আর হেরে গেলে এই আসনে পুন:নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।
আস্থাভোটে হেরে যাওয়া সংসদ সদস্যরা এই পুন:নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে পারবে না । পুন:নির্বাচনের পর যদি ক্ষমতাসীন সরকার সংসদে সরকারের সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমানে ব্যর্থ হয়, তবে সরকার তার ক্ষমতা হারাবে এবং তখন যদি বিরোধীদল সংসদে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমান করতে পারে, তবে তারাই পরবর্তী অবশিষ্ট সময়ের জন্য সরকার গঠন করবে।
আস্থাভোট নির্বাচন পদ্ধতি: দেশে বর্তমানে প্রায় ১০ কোটি মোবাইল ফোন চালু আছে, আর আমাদের ভোটার সংখ্যা প্রায় ৯কোটির কাছাকাছি । সুতরাং মোবাইল ফোনে এসএমএস এর মাধ্যমে আমরা যার যার অবস্থানে থেকেই খুব সহজে এবং অল্প খরচে আস্থাভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারব । সেই সাথে পারব জনগনের কাছে সরাসরি জবাবদিহীমূলক ও দূর্নীতিমুক্ত সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন পূরনের।
পরিশেষে বলব, বর্তমান সরকারীদল যদি আমার এই প্রস্তাবটি বিবেচনায় নিয়ে বাস্তবায়নের উদ্যোগ আন্তরিকভাবেই গ্রহন করে, তবে পূনরায় রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে হয়ত তাদের আর ৫বৎসর অপেক্ষা করতে হবে না,এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস ।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭
কুমার মিজান বলেছেন: বিশাল লেখা সবটা পড়া এইবেলা সম্ভব হল না। পরে পড়ে নেব। সময় হাতে থাকলে এইখানে ক্লিকান।