নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের শুরু থেকে আমরা এক সমীকরনের মধ্য দিয়ে চলছি।।। প্রতিটি কাজ হচ্ছে এই সমীকরণ অনুযায়ী।।। সকালে ঘুম থেকে উঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত চলে এই সমীকরণ।।। এক সময় মারা যাই আমরা,,, শেষ কি হয় আমাদের এই সমীকরণ???উত্তর জানা নেই কারো।।। কারন আমরা

অসাধারন সমীকরণ

অসাধারন সমীকরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেই মেঘনীল (১)

২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ১২:২৭

হঠাৎ অর্ণর ঘুম ভেঙ্গে গেলো।।। চারিদিক ঘুট ঘুটে অন্ধকার।।।
উঠে পাশে টেবিলে রাখা পানি খেয়ে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালো।।।
আকাশের তারা গুলো টিম টিম করে জ্বলছে।।।
পুরনো স্মৃতি গুলো ও যেনো ওর মনে ওভাবেই জ্বলছে।।।

মেঘনীল কে ও প্রায় বলতো,,, ও যে বাড়ি বানাবে, সেই বাড়িতে একটা বারান্দা থাকবে,,, বিশাল বারান্দা, আর তার ছাদ থাকবে খোলা,,, চার পাশে কাঁচের দেয়াল,,, রাতে বারান্দার ঠিক মাঝে ও আর মেঘনীল বসে বসে আকাশের জ্বলতে থাকা এই তারা দেখবে,,, বৃষ্টির দিন ভিজে চুপ চুপ হবে।।।

ওর আসল নাম মেঘনীল না,,, অর্ণ আদর করে ডাকতো এই নামে।।।

অর্ণ এখনো ঠিক ঠিক ওর চেহারা স্পষ্ট মনে করতে পারে,,, এই ১ বছরে একটুও ভুলেনি ওর চেহারা।।। কিভাবে ভুলবে???
এক সময় যে এই চেহারার দিক তাকিয়েই ঘন্টার পর ঘন্টা পার করেছে ও।।।

অর্ণ অনেক স্বপ্ন দেখেছিলো মেঘনীল কে নিয়ে।।।
কিন্তু সময়ের বেড়া জালে আজ সব আটকে গিয়েছে।।।

বিয়ের পর ও যখন অফিস থেকে বাসায় ফিরবে,,, তখন ও বেল বাজানোরর আগেই মেঘনীল দরজা খুলে দাঁড়াবে ওর সামনে।।।
আর ও অবাক হয়ে ভাবতে থাকবে কিভাবে মেঘনীল সব সময় বুঝে যায় যে ও এসেছে।।।
তারপর,,,
তারপর ও মেঘনীল এর কপালে ছোট্ট করে একটা চুমো এঁকে দিয়ে একটা নীল গোলাপ দিবে।।। নীল গোলাপ মেঘনীলের খুব প্রিয় ছিলো।।।

এসব ভাবতে ভাবতেই অর্ণর চোখের কোণা দিয়ে হয়তো দু-এক ফোঁটা পানি ঝরে পরে।।।
কিন্তু অন্ধকারের কারনে তা বুঝা যায় না।।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.