নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনন্ত রূপ সৃষ্টি করলেন সাঁই, শুনি মানব রূপের উত্তম কিছুই নাই

জ্যেষ্ঠ পান্ডব

সাধারন মানুষ।

জ্যেষ্ঠ পান্ডব › বিস্তারিত পোস্টঃ

খন্দকার মুসতাক কে ২০২৪ সালে এসে কাদের সাহেব ডাকা যাবে?

২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:৫৮

রাজনীতি নিয়ে আমার পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে আমার বন্ধু-মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। প্রাক্তন সাংবাদিক হিসাবে কেউ কেউ আমার পর্যবেক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে আবার কেউ নেতিবাচক হিসাবে উড়িয়ে দিয়ে বলে, প্লীজ রিউমার স্প্রেড করবেন না। গতকাল ব্লগার সোনাবীজ ও ধুলাবালি ছাই এর একটি মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আমার একটি বিশ্লেষণ আছে।


১। যারা মনে করছেন, এই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটবে, এটা মূলত আবেগী চিন্তার বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। একটি নির্বাচিত সরকার বা জনগণকে নুন্যতম শ্রদ্ধা করে এমন সরকারের পক্ষে আন্দোলন দমানোর জন্য নির্বিচারে গুলো চালানোর নির্দেশ দেয়া অসম্ভব। শেখ হাসিনা সরকার পেরেছেন কারণ শেখ হাসিনা সরকারের প্রাণ ভোমরা জনগণ নয় বরং প্রতিবেশী দেশের সরকার। প্রতিবেশী দেশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে হাসিনা সরকারের পতন ঠেকাতে। এর জন্য প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পদক্ষেপও তারা নিবে। কারণ এর সাথে তাদের অর্থনৈতিক ও 'কথিত' নিরাপত্তার স্বার্থ জড়িত। 'কথিত' কথাটি বললাম, কারণ ভারত বাংলাদেশের মুসলিমদের বিশ্বাস করে না, তারা মনে করেন এই দেশের মুসলমান মানেই বুঝি উগ্র জামাত ই ইসলামীর সমর্থক। ঠিক এই কারণে ২০০১ সালের পর থেকে তারা বিএনপিকেও বিশ্বাস করতে পারে না। তাদের এই কথিত নিরাপত্তা ঝুঁকির একমাত্র সমাধান হচ্ছে আওয়ামী লীগ। তাই আওয়ামী লীগ এখনও সরকারে টিকে আছে।

২। সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনা বেশ কিছু রাজনৈতিক ভুল করেছেন এবং ভারত সরকারকে বাংলাদেশের পুঁজিতে যা যা ছিলো সেই সবের অধিকাংশ দিয়েই তিনি প্রায়ঃচিত্ত করার চেষ্টা করেছেন। এই বিষয়টি আমার বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনা সরকারের খুব কাছের মানুষগুলো জানেন। বিশেষ করে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির পেছনে আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব ওবায়দুল কাদেরের বেশ ভালো ভূমিকা রয়েছে। বলা যায়, তার একক উসকানিতে, ছাত্রলীগ একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে এতটা রক্তক্ষয়ী পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। শেখ হাসিনার মধ্যে এক ধরনের স্বভাবজাত অহংবোধ কাজ করে, তিনি তাঁর সেই অহংবোধকে উসকে দিয়ে এই গণহত্যার মাধ্যমে প্রমাণ করলেন - শেখ হাসিনা এখন আর বয়সের ভাবে আগের মত সূক্ষ্ম নেতৃত্ব দিতে সক্ষম নয়।

৩। অদূর ভবিষ্যতে যদি কখনও বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের নৃশংস পতন হয়, তাহলে সেখানে দুইটি সম্ভাবনা রয়েছে। এক, ভারত সরকার এইখানে অবশ্যই চেষ্টা করবে একটি পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠা করতে, এই কাজে সহায়তা করবে আমেরিকা। সেই নতুন সরকারে শেখ হাসিনা পরিবারের মধ্য থেকে তেমন কেউ আসার সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত কম। বলা বাহুল্য সেই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ওবায়দুল কাদের উক্ত সরকারের বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

দুই, শেখ হাসিনা সরকার পতনের মুখোমুখি হলে বাংলাদেশে রক্তক্ষয়ী একটি গৃহযুদ্ধ এর প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হয়েছে বলে সেখানে শান্তি স্থাপনের জন্য স্থানীয় সেনাবাহিনীকে সাহায্যের নামে প্রতিবেশী দেশ হিসাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাঠানোর প্রস্থাব উঠতে পারে। যদি এই ক্ষেত্রে চায়নার উপর নির্ভর করে ভারতীয় পলেসি ঠিক হবে। চায়নার জন্য লাদাখ বা বাংলাদেশের উপকূল কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা নির্ণয়ের পর এই ব্যাপারে প্রেডিকশন দেয়া সম্ভব।

৪। বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে একটি ভূ রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্রে আছে এখানে মাঠে আছে ভারত, আমেরিকা, চায়না। ভারত চায় সেভেন সিস্টার্সের সাথে নিরাপদ আর দ্রুত যোগাযোগ এবং অখণ্ড ভারত। সেই সাথে চিকেন নেকের দুর্বলতা কাটাতে। অন্য দিকে আমেরিকা চায় বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে অশান্তি সৃষ্টির মাধ্যমে জুমল্যান্ড নামে নতুন একটি দেশ সৃষ্টি করতে যার দায়িত্বে থাকবে আমেরিকা এবং যেখান থেকে তারা দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এবং চায়নাকে নিয়ন্ত্রণ করতে। অন্য দিকে চায়না চাইছে - বাংলাদেশের উপকূলে গভীর সমুদ্র বন্দর অথবা ভারতীয় চিকেন নেকের কাছে অবস্থান করতে।

৫। আমাদের বাংলাদেশের জনগণ একা। আমাদের জন্য কোথাও কেউ নেই এক মহান সৃষ্টিকর্তা ছাড়া।

আমার এই লেখা পড়ে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। এখানে যে সকল ফ্যাক্ট বলা হয়েছে তার অধিকাংশই অনুমান নির্ভর। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই না এর কোন কিছু সত্য হোক। সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। ছাত্রদের দাবীর ব্যাপারে আন্তরিকতা প্রকাশ করা ছাড়া আবারও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করলে - সেটার পরিমাণ ভয়াবহ হবে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ২:৫১

সোনাগাজী বলেছেন:


১) শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর, জয়ী হয়েছে ১৯৯৬ সালে; অথচ, দেশে আওয়মী ভোটার বেশী ছিলো। শেখ হাসিনা বুঝতে পেরেছিলেন যে ( ভারতও বুঝতে সাহায্য করেছে ), মিলিটারী ও পাকীপন্হীরা দেশের নির্বাচন কন্ট্রোল করে; তখন থেকে তিনি আওয়ামী লীগকে মাঠে নিয়ে আসেন ও মিল টারীকে হাতে আনার জন্য উঠে পড়ে লেগে যান।

ভারত বিএনপি-জামাতকে কখনো নিরাপদ ভাবে না; ফলে, তারা ভাবে যে, বাংলাদেশ এমনিতেই ভালো করছে না, সেখানে আওয়ামী লীগই ভালো, ওদেরকে সাপোর্ট দেয়া দরকার।

২৬ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৫:০৮

জ্যেষ্ঠ পান্ডব বলেছেন: এটা একটি মিথ। ভারত মিথের উপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করছে।

২| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ২:৫৬

সোনাগাজী বলেছেন:


ভারত তার আয়ের জন্য বাংলাদেশের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে না; ওদের জিডিপি ৪ ট্রিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশ থেকে আয় ১ ফোঁটা বৃষ্টির সমান।

ওবায়দুল কাদেরেরা মাফিয়া ধরণের আওয়ামী পরিবার; শেখ হাসিনা দলকে লাথিয়াল বাহিনীতে পরিণত করার জন্য ওবায়দুল কাদেরকে রেখেছেন।

২৬ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৫:১০

জ্যেষ্ঠ পান্ডব বলেছেন: আপনার সাথে একমত নই। বাংলাদেশ সঠিক রাজনীতি ও সঠিকভাবে পরিচালিত হলে ভারতের সাথে আমাদের অর্থনৈতিক ঘাটতি দুর হয়ে যেতো। এটা শেখ হাসিনা সরকারের ব্যর্থতা।

ওবায়দুল কাদেরেরা মাফিয়া ধরণের আওয়ামী পরিবার; শেখ হাসিনা দলকে লাথিয়াল বাহিনীতে পরিণত করার জন্য ওবায়দুল কাদেরকে রেখেছেন। - এটা সত্য।

৩| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ২:৫৮

সোনাগাজী বলেছেন:



৩) শেখ হাসিনা সরে যেতে হলে, মিলিটারীকে দিয়ে যাবেন; অথবা মিলিটারী উনার সরকারকে পংগু করে ফেললও মিলিটারী ভারত মুখী হবে না; সব বাংগালী ভারত বিমুখী।

২৬ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৫:১১

জ্যেষ্ঠ পান্ডব বলেছেন: মিলিটারী এখন সেই সক্ষমতায় নেই। কো ক্যু করতে হলে মিলিটারীতে অনেক বড় ধরনের পরিবর্তন ও রক্ত ক্ষয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৩:০০

সোনাগাজী বলেছেন:


৪) চীনারা বাংলাদেশে ব্যবসা করছে, ওরা সরকারী লোকদের চুরিতে সাহায্য করে; ভারতের সাথে বাংলাদেশের বানইজ্য কখনো বাড়বে না।

আমেরিকা চায় বাংলাদেশ ভালো করুক, ওরা কখনো বাংলাদেশের ক্ষতি করবে না।

২৬ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৫:১২

জ্যেষ্ঠ পান্ডব বলেছেন: আমেরিকা চায় বাংলাদেশ ভালো করুক, ওরা কখনো বাংলাদেশের ক্ষতি করবে না।

এই সব গল্প বাচ্চাদের বলবেন। যেমন গোফরান কিংবা রাজীব নূর।

গুফরান সাহেবকে ধন্যবাদ দিবেন। তিনি বোকা হলেও মানুষ খারাপ নন।

৫| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৩:০১

সোনাগাজী বলেছেন:



৫) আল্লাহ আমেরিকা, কানাডা ও ইউরোপের লোকদের ভালোবাসেন।

২৬ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৫:০৪

জ্যেষ্ঠ পান্ডব বলেছেন: এটা ভালো কৌতুক ছিলো।

৬| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৪:৩৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সব কিছু আল্লাহই ভালো জানেন।

২৬ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৫:১২

জ্যেষ্ঠ পান্ডব বলেছেন: অবশ্যই!

৭| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৭:৩১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




বাজে পোস্ট।

৮| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৭:৫৫

কামাল১৮ বলেছেন: মুসলমানদের মুসলমান ছাড়া পৃথিবীর কেউ বিশ্বাস করে না।ভারত ও চীন তাদের দেশের মুসলমানদের দৌড়ের উপর রাখে।আমেরিকা মুসলিম রাষ্ট্রগুলিকে তছনছ করে ফেললো।তাদের হাতে ধরিয়ে দিলো থালা।

৯| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:০০

কামাল১৮ বলেছেন: মন্তব্যটি পোষ্টের বাইরে হয়ে গেলো এই জন্য দুঃখিত।আমি পোষ্ট লিখি না। এই জন্য সুযোগ পেলেই কিছু কথা বলে ফেলি।

১০| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: আপনার লেখাটা পুরোপুরিই বাস্তবতার নিরিখে লেখা। তবে আশার জায়গা একটাই যে , বর্তমান সরকারের নির্বিচারে ছাত্রহত্যার পর খোদ ভারতেও প্রতিবাদ হচ্ছে। সেখানাকার জার্নালিস্টরা নিরপেক্ষ প্রতিবেদন করছে। ভারত আর চায়নার মাঝে পার্থক্য হচ্ছে যে ভারত একটি গনতান্ত্রিক দেশ যা চায়না নয়। চায়না চাইলেই যা করতে পারে ভারত তা করতে পারে না। ভারতে গনতান্ত্রিক কেবিনেট আছে , জনগন আছে। সবাইকে নিয়েই ভারত সরকারকে চলতে হয়।

তবে বিএনপি জামাতের আর ক্ষমতা কস্মিনকালেও পাওয়া সম্ভব না। এদের চরিত্রও জনগনের খুবই ভাল করে জানা আছে। যে নতুন প্রজন্ম রক্ত ঝড়িয়েছে , ঝড়াচ্ছে কিন্ত তারপরেও থেমে যাচ্ছে না , দেশের ভবিষ্যত নেতৃত্ব তাদের মাঝ থেকেই আসুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.