![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
''কিছুতেই আজকাল মানু্ষের চোখের দিকে তাকাতে পারি না-লজ্জা করে! ভিতরে কেবলই প্রাসাদ ভেঙে পড়ে, কেউ শোনে না: আমি সারাক্ষণ পঙ্গু, অর্থব ঘোড়ার ডাক শুনি।তাই,কিছুতেই আজকাল মানুষের, মানুষীর চোখের দিকে তাকাতে পারি না।'' ______শামসের আনোয়ার ________♣ ♣ ♣_______ ___________সৈয়দ আফসার ________জন্ম: ২১শে মার্চ ৭৯ [email protected]
সৈয়দ আফসার
আবছায়া
জলে ভাসে জল, চোখ হয় লীন
রহস্যে ঘিরে রাখো সব, স্থির থাকে মায়া
রাত্রি গভীর হলে ঘুরে আসে যে মুখ
সে কি তুমি?
দক্ষিণে সমুদ্রমহাল, উত্তরে আবছায়া...
চিহ্ন
কত আগেই তো বন্ধক রেখেছো শরীর
শুধু দ্রবণের ক্ষরণটুকু বাকি, মুঠোভর্তি খাম
তাই রক্তে লবণ চুষে খায়; মুঠো খুলে দেখি
আমার স্বপ্ন আঁকা পাখিদের ঠোঁটে
গাছ গোপনে রস টেনে নেয়
পাতা মেলে ধরে তার করুণ স্মৃতি
স্বীকার করি— আপত্তি যত সময় আর সুতোর ধারে
অনিদ্রায় আঁধার ঘনালে তুমি দেখি বহুক্রোশ দূরে
অন্ধ
চোখ বুঁজে অন্ধের ভান ধরে থাকি
দেখি অন্ধ হলে, চোখ কোথায় পালায়
হাতের আঙুলগুলো প্রসারিত হলে দেখি
নিশ্চুপ তুমি— দাঁড়িয়ে থাকা গাঁদাফুলের টবে
অন্ধকার নিরবতায় ঢাকা! দূরে রঙ-তুলি
ফলে
জলে কাটে জল ডরভয় জাগে, শরীর মৃদু কাঁপে
চোখে খুলতে ভয় হয়— চোখ যদি ফেটে যায় জলের তাপে
সময়
সময় উড়ে যায়, নদী কথা বলে
এ দৃশ্য মিশ্রিত হলে, হয়ত পাস্তরিত হবে
ভেসে যাওয়া স্রোত কিংবা ডুবাজলের ধারে
আমি চরে ভাসি দূরত্ব মেখে
তুই দাঁড়ালে নদীও হাসে— ভাবনা ফুরালে
লাল-নীল-বেগুনী হাসি পদে-পদে তিরস্কার করে
আমিও তার দানা খুঁটে খাই, চিবুতে থাকি ধীরে
দৃষ্টি ফেরালে কেউ চোখ মোছে, কাজল মেখে
কেউ জড়িয়ে ধরে নদী— স্রোতের বিপরীত স্রোতে
সম্ভাবনা
চৈত্রমাসে পলাশ ফোটে পাতার বর্ণ হয় ধূসর
ভ্যাপসা গরমে তৃষ্ণার্ত আমি কামনা করি বৃষ্টির
আশায়-আশায় স্বপ্ন জাগে তাকানো যে দৃষ্টিকাতর
ঝরের গতি বেড়ে গেলে গাছগাছালির করুণ সুর, মর্মর
বৃষ্টিতে কার না ভালো লাগে, ভাবনা জমা অষ্টপ্রহর
ছায়াকে যখন কামনা করি— হেসে ওঠে রোদের প্রখর
আবার যখন তৃষ্ণার্ত হবো ঢেলে দিও জলের আদর
চোখের জল শুকিয়ে গেলে জমা পড়বে লবণের স্তর
নাকফুল
আজ মেঘে মেঘে হাসছে আকাশ
কাঁদছে ফর্শা বাতাসের সই
কাল তার চোখে দেখি শ্রাবণের ঢল
ঘনঘোরে কাঁপছে জানালার কাচ
ফলে উদ্দেশ্য যত ফুটে ওঠে দানাবাঁধা মোহে
স্বপ্ন হারালে বুঝি উড়ে যায় আউলা চুল
মৃদু মন্ত্রে ঘামছে শরীর, দুলছে নাকফুল
মেহদির রঙ
বৃষ্টিতে ঝরে পড়ো, ভেঙে দাও দাগ
নির্বাক চোখে
স্বীকার করি স্বাভাবিকভাবে তুমি—
তুমি যেন দেহজাগা গাছ
ত্রত যে ঘুরে এসো আড়াআড়ি পথে
পথে যে রয়ে যায় সংশয়— নিস্পৃহ রীতি
নামবো কি জলে উড়ু হাওয়া বলুক
পাপড়ি ছিটানো হলো কার বিপরীতে, ফলে
বৃষ্টির দু’হাতে আজ দেখি মেহদির রঙ
মেঘ বৃষ্টি বরিষণ
যেতে যেতে______________বাঁধা পথে
________যারা চিনেছি জীবন
জেগে ওঠে _____________তোর ঠোঁটে
__________ একই সহমরণ
থিতি জনা _____________যত কণা
_______ফিরে আসে যায় চোখে
মানুষ কি ______________বন্য নাকি
_______এসিড ছুঁড়ছে মুখে
গূঢ় কথা ______________ঝরে পাতা
______ ঝরে যায় যত স্মৃতি
রোদ ছায়া_____________কত মায়া
_______মানুষ আর প্রকৃতি
যত আশা______________চোখে বাসা
_______একা চলে একা উড়ে
বাড়ি ফেরা_____________ভ্রান্ত যারা
_______চলে গেছে যারা দূরে
যেতে যেতে____________বাঁধা পথে
________থামা হবে একদিন
বহুদূরে ____________ যারা ফিরে
________মেঘ বৃষ্টি বরিষন
২০শে জুলাই ২০০৫
তোর কান্নার জলকণাগুলো থরথরিয়ে কাঁপছে
চশমার ফাঁকে
চুষে নিতে পারেনি মোলায়েম গালের তিল
আমি কখনো তোর কান্নামুখ দেখতে চাইনি
তাই অশ্রু ছাড়া আর কিছু গোপন করিনি
তবে আজ কেন তোর চোখে গড়িয়ে পড়বে জল
মুছে দিতে মানা করলে, ছুঁড়ে দিলে অসংখ্য ফরিয়াদ
জল ও গুহামুখ
জল তুমি গড়িয়ে পড়ো চৈত্রদাহ রোদে
দেখো আমার চিবুক রাখা বৃষ্টির ঠোঁটে
আরো কিছুদিন তোমার চোখের গোপনতা
দেখতে যাবো যে যা-ই বলুক, অত-শত বুঝি না
জল তুমি উড়ে এসো শ্রাবণধারায় বাধা দেব না
২.
তুমি যাও দূরে ওই দূর বনস্পতির দেশে
আমি তো বেশ আছি, ভালো আছি—
ডুমুর সেজে
স্মৃতি যত পাথর চাপায় দুলছে ডালে-ডালে
তবু স্মৃতির নিকট হয়ে গেছি বিমর্শ তালগাছ
তাই প্রতি মুহুর্তে মুখ লুকাই গুহার ভেতর
বরফজল
জল কেন তবে বরফ হয়ে যায়
আবার দেখি বরফ জলে ভেসে থাকে
বরফ-জলের কি এমন সম্পর্ক যে,
বরফ গলে-গলে জলে মিশে যায়—
সে-প্রশ্নের উত্তর জানা নেই বলে
জলের দিকে হাত বাড়ায়ে দেই, বোধে নির্বোধে
জলের ভাঁজে-ভাঁজে স্পর্শের দানা, মায়া
তুমি ঠিক দেখে নিও আমাদের দেখা হবে
কথা-টথা হবে জলের কাছাকাছি এলে
অনুকরণ
যাবার যে রাস্তা দেখছো
সে পথ ধরে হাঁটো… আর শেখো—
চেয়ে দেখো হয়তো কারো পদচিহ্ন
রয়ে গেছে পথে
যদি খুঁজে পাও তাকে তুমি থাকে অনুসরণ করো
বাকিটুকু মনোবলে রাখো, চোখ ভরে দেখো
তুমিও তো অতীতে ফেলে এসেছো কত পদচিহ্ন
যদি পারো পেছন ফিরে দেখো; আস্তে-আস্তে খুঁজো
রঙ
আমি অকারণে আঙুলের ফাঁক থেকে
ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখেছি জল ছোট-বড় পাতায়
এতে প্রকাশিত হতে দেখি বহু বিষয়, নানান কথা
তাই ফানকচুর পাতায় রেখেছি অশ্রু, আরো কিছু গ্লানি
ফলে নীরবে প্রতিশ্রুতিতে ফুটছে অস্থিরতা, স্বভাবসংকেতে
তাতে দুঃখেরও যদি বহুবিধ আকার থাকে, পরিতাপের
আকার ধরে দূরে চলে যাও, তবে দুঃখের কি নাম দেবো?
জানি না; এখনও পরিতাপের নাম দেয়া যেতো অনেক…
আর আমি যে-জল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখেছি পাতায়
তার কোন রঙ নেই বলে অশ্রুর রঙও কখনো পরিবর্তন হয়নি
পরিবর্তন হয় না
দূরত্ব
স্নানঘর সম্পর্কে আমার কৌতূহল খুব কম আর জল পড়ার শব্দ শুনতে
কার না ভালো লাগে; কখনো বৃষ্টির শব্দ ঘুম পাড়িয়ে দেয়, অনিচ্ছায়…
কখনো বৃষ্টি আর জল পড়ার শব্দ নৈঃশব্দে বাজে
যখন ভাবি বালতি আর মগের জল-ব্যবধান আড়াই ফুটের বেশি হবে না
আর ঝরনার চোখগুলো আমার দিকে চেয়ে আছে টলমল চোখে, কিন্তু জল
আর আমার দূরত্ব মাত্র দেড় ফুট তারচে’ বেশি হবে না
বাতিঘর
যতই স্পষ্ট ছিল বাতিজ্বলা ঘর, বাকিটুকু ছিল শুধু রাতের নীরবতা
তারচে’ রহস্যঘেরা ছিল তোমার হাসিঝরা মুখ আর আড়ালে থাকা
আনকোরা মায়া, কথা।কতবার নতজানু ভাব নিয়ে ঝরাপাতার মতো
ঝরেছে রাতের প্রত্যাশা। তাই বৃষ্টির অন্তরালে চোখ পাতা ছিল…
সহেছি বিজন ব্যথা
২.
বাতিজ্বলা ঘর আলো ছড়িয়েছিল বলে আমাদের কাবু করতে পারেনিঠিকই, আমি তো দেখেছি তোমার শরীর থেকে উড়ে গেছে বাতাস,
যেন মৃদু আলোর খেলা। আর আমি আলোর ভেতর রোপন করেছি গোছা-
গোছা স্মৃতির চারা…টের পাইনি যেন আমার পাশে শুয়ে আছে চেনা সেই রাতের নীরবতা
এক কাপ চা
আজ সবাই সহর্ষ সঘন রাতে কোন জল পান করে, কোন জলে বেশি আশা
জাগে… কতটুকু জলপানে মিটেছে পিপাসা।আর তুমি জলের পরিবর্তে আমাকে ঋণী করে ফেলেছো এককাপ লাল চায়ের কাছে। ভাললাগা অতিশয় প্রচল— প্রবাদ…ভালবাসা হতাশাযোজক… ভিন্ন অনুভব হতে পারে,ভিন্ন অনুভব যেতে পারে বলা? সে বোধটুকু জানা নেই, স্বরণে আসেনি কভু মনে পড়ে অবেলায় গেয়ে-ওঠা তোমার সুরেলা গানের কলি, গলার স্বতঃস্ফূর্ততা…
তাই চায়ের কাপে কবেই হারিয়ে ফেলেছি লোভ আর লাল ধোঁয়ার নিয়রে
খুঁজছি পুরনো স্মৃতি আর চোখের ভাষা… মূলতঃ চায়ের স্বাদটুকু আমার
অ্যালকোলাহলের আকাঙ্ক্ষা জাগায়নি বলে আজও ঋণী আমি ওই এক কাপ
চায়ের নিকট
রোদের পুড়ছে শরীর
আমি শুষ্ক হতে গিয়ে আর্দ্রতা খেয়ে ফেলেছি কুয়াশায় দিনে।রঙধনুর সাতরঙা বাহার তখনও ঠিক মনে পড়েনি তবু তুমি রৌদ্রে শুকাতে দিয়েছ জামা।চেনা সেই গোলাপি জামা চু’য়ে চু’য়ে নামছে জল, চু’য়ে চু’য়ে নামছে দিনের দহন ও জ্বালা।সেসব কথা ভাবতে গেলেই ভেঙে পড়ে আমাদের গ্লোবাল স্মৃতির পুরাণ… সূর্য্যমুখী ফুলের মতো দাঁড়িয়ে দেখছি রোদ আর রোদনের কথোপকথন। চু’য়ে চু’য়ে নামছে আরো কিছু জল, দেখো রৌদ্র চুষে নিয়েছে সব জলজামার আদর।রৌদ্রে সবকিছু দেখো কেমন সুনসান … সে-কথা স্মরণে রেখে কতবার শরীর পোড়াতে গেছি রোদে
অশ্রু তুলে নেয়া যায় না
সাঁতার শেখোনি তাতে কী, ডুবে যাও জলে
ঢোকে ঢোকে গিলে ফেলো সবটুকু জল
শুকিয়ে ফেলো ডোবা-নালা দীঘির ও পুকুর
শুনেছি অশ্রুতে ভেজাতে পারো বুক, শাড়ির আঁচল
আমি জানি অশ্রু দিয়ে রুমাল ভেজানো যায়
রুমাল থেকে অশ্রু তুলে নেয়া যায় না
সময়ের বিবর্তনে সবকিছু হারায়, হারিয়ে যায়
স্মৃতিরা কখনও সখনও দূরে যেতে পারে—
কখনও হারাতে চায় না
তাই বলি সাঁতার শেখোনি তাতে কী, জল তুলে নিতে পারো
কিন্তু তোমার জলের কাছাকাছি যেতে মানা
পথলিপি
ওই পথের রঙ ছুঁব কি ছুঁব না ভাবতে ভাবতে উড়ে গেল পদতল-মাটি আর
জলভেজা বালির কথা তবুও বাঁধা পড়তে হলো শুকনো জল আর পিঁপড়ের
নিকট এসে অথচ জলপতনের আগে আমাদের ডুবে যাবার কথা ছিলো
ঝোপজঙ্গলের পাশে, আর ওই পথ ছুঁব না বলেই তখনও আমরা খুঁজেছি
বহুবর্ণ পথের ডাঁটা;তোমার কথা শুনে লতা পাতার মতো বোবা হতে থাকি
স্বর্ণলতা গাছের মর্মরে...শুনেছি এখনও অতিযত্ন করে গুনে রাখো নীরবতা
যেন পত্রলিপিতে কেঁপে ওঠে স্মৃতিপথটুকু...
০২
এখন তুমি পাথরের ফাঁকে হারিয়ে যেতে চাও, পথের সরুপথ ধরে হেঁটে
চলো অর্ধনিমীলিত চোখের পাশে কথার মর্মটুকু জানার আগেই প্রস্তরলিপি
টুকরো টুকরো করে দেখো কবিতার শরীর,আড়ালবর্তী মুখের আভা; আমি
সে পথের ছিপি খুলে স্মৃতি পথ খুঁজি... খুঁজি ধূলিবালির শরীর; আর তুমি
অতি যত্ন করে ছুঁড়ে দিলে একটুকরো ঘৃণার সংলাপ... তাই গৃহফেরার
পথে হাঁটি, সাথে নিয়ে আসি সাধ করে কিছু নুড়ি পাথরের কণা
০৩
একদিন পথেরও ঘুম এলো চোখে আর আমি খুলতে চেয়েছি তোমার
পথের শরীর--- লাফ দিয়ে ওঠে দাঁড়ালো চেনা সেই মুখ, জ্বলন্ত তৃষ্ণার
মায়া,হয়তো সেসব মনে পড়ে না এখন;বিশ্বাস নিয়েই বেঁচে আছি আমরা
বৃষ্টি আর বরষার সুরে সে আমার কল্পনায় ধূণে ওঠা নিজস্ব গোপনতা
০৪
হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত যারা পথিকের বেশে, আমাদের জানা হলো কথা---
কীভাবে ফুলেফেঁপে ওঠে পথের গতিধারা রূপ আমাকে জাগিয়ে তুলে
কলাগাছের বাকল আর শীতল জলের মায়া... সে পথেই ফুটে ওঠে
প্রত্নজটিলতা আর রমণীর পদধূলির ছাপ... আরো কিছু নুড়ি পাথরের কণা
০৫
তবুও বলি আমাকে বেঁধে নিও পথে. ওই পথহারা প্রাণে সে পথের ক্ষরণ
থেকে বিভাজিত আমাদের হারানো পথের স্মৃতি আর জলভেজা ঠোঁটের
কথা। সে পথ থেকে সাধ করে আমি তুলে এনেছি আরো তিনটি শাদা
পাথর, শেষ বিকেলের ছায়া-রোদ... শুনেছি তুমি সে পথের মাঝে পেতে
রেখেছো সাতরঙা শাড়ির আঁচল
বৃষ্টি, বৃষ রাশির বালিকাটি ১মপর্ব
Click This Link
১২ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:০৭
সৈয়দ আফসার__১৯৭৯ বলেছেন:
আপা সত্যি বলতে কি আমি লিংক দিতে পারি না।
তবে ধারে-কাছে কারো কাছ থেকে শিখে নেবো হয়ত
সে আশা বুকে রাখি।
পড়ুন...
আপনি যতক্ষণ পড়বেন, আমি ততক্ষণ ভাল থাকবো।
ভাল থাকুন।
২| ১০ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৬:৪৫
কালিদাস কবিয়াল বলেছেন:
'একদিন পথেরও ঘুম এলো চোখে আর আমি খুলতে চেয়েছি তোমার
পথের শরীল..........'
তবু 'জলে ভাসে জল, চোখ হয় লীন'।
১২ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:০৮
সৈয়দ আফসার__১৯৭৯ বলেছেন: পাঠের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাল থাকুন।
৩| ১০ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৬:৪৭
নুশেরা বলেছেন: আচ্ছা আফসার, একটা কথা বলোতো, এটা পুরো লিখতে কতোটা সময় লাগলো? নাকি আগের লেখা?
[তোমার কবিতা বোঝা আমার সাধ্যের বাইরে। তবে মুগ্ধ হই বরাবরই। স্বতঃস্ফূর্ততা আর বরিষণ এদুটো বানান ঠিক কোরো খুঁজে পেলে ]
১২ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:১২
সৈয়দ আফসার__১৯৭৯ বলেছেন:
নুশেরা আপা,
পাঠ করেছেন জেনে প্রীত হলাম।
ভাল থাকুন।
৪| ১০ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৭:০৬
তানভীর রাতুল বলেছেন: পথলিপি সিরিজটা ভাল লাগছে
৫| ১০ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৯:২৮
অদৃশ্য বলেছেন: আফছার ভাই............... লিখাগুলো পাঠ করা হলো অথবা চোখ বুলালাম.........
শুভকামনা..........
৬| ১০ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:২৯
ফকির ইলিয়াস বলেছেন: আপনার কবিতা আমাকে আচ্ছন্ন করে রাখে ।
৭| ১১ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৮:৩৫
আমি ও আমরা বলেছেন: প্রীয়তে নিয়ে রাখলাম। দারুন লিখা।
৮| ১১ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:০৪
সহেলী বলেছেন: "রহস্যে ঘিরে রাখো সব, স্থির থাকে মায়া
রাত্রি গভীর হলে ঘুরে আসে যে মুখ
সে কি তুমি? "
" যতই স্পষ্ট ছিল বাতিজ্বলা ঘর, বাকিটুকু ছিল শুধু রাতের নীরবতা
তারচে’ রহস্যঘেরা ছিল তোমার হাসিঝরা মুখ আর আড়ালে থাকা
আনকোরা মায়া, কথা।কতবার নতজানু ভাব নিয়ে ঝরাপাতার মতো
ঝরেছে রাতের প্রত্যাশা। তাই বৃষ্টির অন্তরালে চোখ পাতা ছিল…
সহেছি বিজন ব্যথা ..."
ভাবছি আপনার লেখা আর পড়বো না ; যা কিছু মুগ্ধতা শুধু নয় , ভাঙ্গনের শব্দ জানে , এড়িয়ে যাওয়া ভাল সেই সব --আপন কিংবা পর ।
১১ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:১০
সৈয়দ আফসার__১৯৭৯ বলেছেন: আমি ধরে নিয়েছি যা ভাবি-ভাবছি তা কবিতা নয়। কবিতা কি কথার কথা, কথার ঝাপটা? যা চোখের সামনে ছবি হয়ে ভাসে। পাঠ্যবিষয় আমার কাছে কখনো কোমল, কখনো গুঞ্জন, কখনো রোমঞ্জক মনে হয়। যা প্রাণের ভেতর ঢুকে শ্বাস নেয়, আমাকে জাগিয়ে রাখে, সেও বাঁচে। জল কবিতাকে ডাকে, নদী কবিতাকে বুকে টানে, আকাশ কবিতাকে রূপ দেয়, বাতাস কবিতাকে ধান্যক্ষতে মেখে শিষ দেয়। বংশী বাজায়।
রহস্যের সাথে ক’বার দেখা হয়েছিল জানি না। তবুও তাকে নিয়ে লিখি। সিক্ত-ইতস্তত এই জীবনে লুকানো উষ্ণতা কমে গেলে, তার পরের বছর থেকে আমি রাতে ছাদে দাঁড়িয়ে সন্ধ্যাকে কিনে জ্যোৎস্না দেখবো। বর্তমান যাই হোক ভবিষ্যত চিরকাল ছন্দময় গতিময়, বিনষ্ট হবে না রহস্য-কল্পনা। বয়স বাড়লেও ভুলতে পারবো না এক সাথে একাধিক চিন্তা-ভাবনা। অনেক কিছু বেড়ে উঠতে দেখি লতানো দেহে, গাছে-ডালে-পাতায়, তার সাথে যদি স্বস্তি আসে, যদি বিপরীত গতির সাথে দেখা হয়ে যায়। যা দেখি সহসা ভালো লাগে না। নিসর্গ গাছপালা আর আকাশ ছাড়া আর কোনো দৃশ্য দেখতে ভালো লাগে না। ভালো আছি বলে মনে থেকে যায় তরুণ বয়স, বিস্মরণশীলা। তোমার কি মনে হয় লোমে পরিপূর্ণ থাকে কল্পপ্রচেষ্টা? এতোকাল শুধু সন্ধান। শুধু আয়োজন-সংগোপন। ব্যর্থ প্রত্যাশা। বেদনা নিজের সাথে রাখি তাতেও সুখ! কেননা ‘ফিরে এসো চাকা’ ভাবতে ভাবতে সহজে বানাতে পারি মাংস দিয়ে রকমারি কিমা। দেহের জ্বালার মতো, সহজে ওড়াতে পারি নিকোটিনের ধোঁয়া। সহজে কল্পনা করতে পারি কথকতা, যা হৃদয়ে প্রতিমা-প্রিয়তমার মুখোমুখি দাঁড়ায়, ওই যা আঘাতদায়ী স্মৃতি ... হাবিজাবি-নিমেষলভ্য ভাবনার বিষয় হবার কথাও নয়। দৃশ্য দেখি হৃদয়ের রোগ মুক্তির তাগিদে। এরূপ ভাবা ... ভাবনা-কল্পনা-আশা-আকাঙ্খা আমার কাছে এতো লোভনীয় মনে হয়। এসব ভেবে অবয়বহীন হয়ে যাই এমন বিষয়ে বাস্তব চিন্তাগুলো বুকের ভেতর হৃদয় জাগাতে গরম লাল চায়ের পেয়ালায় চুমুক বসাই। তারপর প্রশ্ন উঠতেই পারে! আপনার কি এ-রকম হয়?
জয় গোস্বামী যখন লিখেন ‘জীবন নিয়ে এক লাইন লিখা অসম্ভব’ তখন অন্ধকারে হাঁটি, অপরিচিতাকে হৃদয় দিয়ে বাঁধি। চোখ বন্ধ করে জানালায় দাঁড়াই। সময় বিস্ময়ে তাকাই। কেননা জীবনের বর্ণিল ছায়াগুলো যেভাবে ছায়াছবিতে ফুটে ওঠে, তেমনি কবিতা জীবনের রূপগুলোকে ধরে রাখে। কবিতা কি? জানার জন্য বুঝার জন্য অনেক ধী-সম্পন্ন পাঠকের সাথে আলোচনা করে তাদের জিজ্ঞাসা করেছি- কবিতায় এতো রহস্য, এতো ভাবনার দৃশ্যরূপ, এতো মগ্নতা-মুগ্ধতা, এতো চিন্তার খোরাক যেন মনের দর্পণ, দ্বিতীয় আয়না। একই কথা ঘুরে ফিরে আসে কবিতাকে কোনো অলঙ্করণ করা যায় না। আসলে কবিতা কি? কবিতা কি পরিস্ফুট সত্তা?
না-কথা? অস্থির ভেতর স্বস্থি রাখা? ক্ষতস্থানে নিজেকে খোঁজা? বুকের ভেতর দীর্ঘস্থায়ী চাপা ঘ্রাণের এপাশে-ওপাশে ক্রোধ জমিয়ে রাখা? নাকি রসাত্মক বাক্য লিখে কিছুটা সময় ভালোবেসে শীতবসন্ত হাওয়ার ঘুমে পার্কে বসে থাকা? ... আদি শুশ্রূষায় বেজে ওঠা সেতার। মুক্ত-চিন্তা, চিন্তার মুক্তি? যা পূর্ণতৃষ্ণায় জাগে। না তাও মনে হয় না। কবিতা কি তারচে’ বেশি কিছু? যার দীর্ঘ আলোড়ন আছে, পাল্টা প্রশ্ন করে না। বিষয়বস্তু আছে। কথা জমিয়ে রাখার ক্ষমতা আছে। স্বয়ং প্রকাশ-জিজ্ঞাসার নেশা আছে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আমার দীর্ঘশ্বাসে জমা স্মৃতিগুলো এক একটি কবিতা। উলটো হলেও ... না তাও কবিতা হতে পারে না। কবিতা অন্য কিছু ...
কবিতা আমায় অন্তর্লোকে জ্বালায়, পোড়ায়। উত্তাপে নাড়ায়। অবিশ্বাসের ভেতর অভিনয় শিখায়। নিজের ভেতর প্রাণপণ ঠেলাঠেলি করছি শেষ হচ্ছে না, সহজে ফসকে পড়ছি ধাঁধায়। দ্বিধায়। কবিতা কি শুধু কথার কথা? হাসায়-কাঁদায়। না, তাও কবিতা নয়, কবিতা অন্য কিছু। যা লিখিনি, যা লিখা হবে না এ-জনমে তা কি কবিতা? আহা! কত কিছুই ভাবি, যা মনে রাখিনি, যখন ঘুমে থাকি। অতি সহজে পেতে পারি অনেক কিছু কিন্তু কবিতা?... মনে মনে যা ভাবি কাজের ফাঁকে ঘরে ফেরার আগে ভুলে যাই, তাও কি কবিতা? যা উপলব্ধি দ্বারা ঘাত হই, ঘোরে মিশে যাই, অপেক্ষা গুনতে থাকি, মুরুগের ডাক শুনার আগে যা লিখি তাও কি কবিতা? কবিতা তাও নয়, কবিতা তারচে’ বেশি কিছু।
কবিতার আকর্ষণ, বলতো পারো নিজের মতো করে নান্দনিক উচ্চারণ, আর্তি-আত্মজিজ্ঞাসার বলতে না-পারা গুঞ্জন। কীর্তিনাশা-স্পন্দন - উদ্যম-চিন্তা একজন লিখেন অন্যজন পাঠ করেন তাও কি কবিতা? হৃদয়ের কল্পনায় কি এমন রহস্য থাকে যে পাঠের পর এক ধরণের আত্মতৃপ্তি-তৃষ্ণা-পিপাসা মিটে যা বারবার দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবায়, বাস্তবিক জীবনের মুখোমুখি করে। আত্মবিশ্বাসে মনোজগৎকে বুকের সন্নিকটে কাঁপায়, অবিশ্বাস রকম আবেগি করে তুলে, স্বপ্নগুলো মনে হয় স্পর্শহীন নিঃসঙ্গ। তখন কেন জানি মনে হয় কিছুই জানে না শোকপাখি ...। কবিতা তাও মনে হয় না। তাহলে কবিতা কি? কেন কবিতার জন্য পথ খুঁজে নেয়া হাজার বছর ধরে। কবিতায় কি এমন চুম্বকত্ব থাকে (উৎপ্রেক্ষা-উপমা-চিত্রকল্প) যা পাঠককে দুই মেরু থেকে টানে, স্পর্শ করে। তার ব্যাখ্যা করা যায় না। কবিতা কি প্রিয়তমার উপহার দেয়া রুমালে ভাঁজে লুকানো দু’লাইন লেখা, ''ভুলনা আমায়''। কবিতা তাও নয়, অন্য কিছু- কবিতা নিয়ে ঘুমাই। কবিতার রস-যশ আস্বাদন করি, নির্বাসনে জীবন বাস্তবতার ফাঁকে কবিতা খাই। কবিতা চিবাই। যান্ত্রিক জীবন-দর্শনের প্যানপ্যানানিতে দূর্বল মুহূর্তগুলোকে ফোটাই, অন্যতায় ক্ষিধে পাই।
ইন্দ্রিয় ও বোধির অন্তনাট্য ঋদ্ধ করে, ব্যক্তিগত লক্ষ্যভেদী ঘাত-প্রতিঘাত-অবস্থান-ভীরুতা-পরগাছাবৃত্তিও কবিতার ভেতর আবছায়ার মর্মস্থলে ঘুরতে দেখা যায়। ব্যক্তিক জীবন সবাই তাঁর সত্তার কাছে নিভৃতচারী। তাও কি কবিতা? কবিতা অন্য কিছু। কবিতা কি শুধু শব্দবদ্ধ করা। কবিতা বিষন্নতা-বেদনা-মুদ্ধতা-নারীপ্রেম-সজীবতা সময়কে ধরে রাখে। না তাও নয় কবিতা। কবিতা স্বপ্নের মতো মনে হয়, কিন্তু অন্তরাত্মার টানে স্বপ্ন দেখি না। সারাক্ষণ কবিতা নিয়ে ভাবি-কবিতা আমাকে কাছে টানে স্পর্শ করে, কবিতা কি যাদু জানে? কবিতা সুখে বাজে, দুঃখে বাজে, মনে বাজে, ক্ষণে বাজে। কবিতা চেতনে বাজে অবচেতনে বাজে। কবিতা সুরে বাজে ভোরে বাজে। তনুমন সেঁচে-ছেনে দেহের ভেতর অনুভূতিগুলো আলোড়িত-বিলোড়িত করে অনুরণন তোলে। স্পষ্ট জিজ্ঞাসার ব্যাপ্তি খুঁজে, কবিতা তাও নয়; কবিতা অন্য কিছু- অন্তর্লোকে যে সকল জিজ্ঞাসা ঘড়ির টুংটাং শব্দে প্রকট হয়ে ওঠা কিংবা নিজের ভেতর জেগে ওঠা নিজস্বতা।
দ্বিধা ও দূর্বলতা দ্বারা কবিতা প্রপীড়িত, তাও বলা যায় না। কারণ কবিতার নিজস্ব একটি দাবী আছে। কবিতা নদীর মতো হতে পারে, কিন্তু ভিনদেশে নদী দেখি না। এমনই নির্বাসন! নদী-খাল-বিল-গাছ-লতা-পাতার কোলাহল নেই। ঋতুর রূপ-পরিবর্তন নেই, মাঠ-ঘাট-মেঠোপথ নেই। পানির কলতান নেই। তবুও কবিতা তার ছন্দে বাজে। তার বিষয়বৈচিত্রের সহজতা রপ্ত করে বাজে। কবিতা আবশ্যক কিছু স্বকীয়তা কিছু সত্যকে আড়াল করে বাজে। কবিতা কি নিজের চারপাশে গড়ে-তোলা প্রতিরোধকৌশল,আত্মিক নিঃসঙ্গতা-বোধ, নিজের বিশালতা, সত্তার কাছে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, একাকীত্বের ভয়াবহতা, ভাঙনের স্পর্শকাতরতা। কবিতা কি গভীর সমুদ্রের ঢেউ নাকি মোমবাতি শিখা? যার জন্য বুকের গভীরে বেদনাপ্রবাহ মোমবাতির সাথে জ্বালিয়ে রাখি।
কবিতা কি ঝিনুকের খোলে লুকানো মুক্তাদানা। কবিতা কি রোদে পোড়া, বৃষ্টিতে ভেজা কোনো রূপকথা, তাও হয় না কবিতা। কবিতা ভালো লাগে তাই পড়ি। কবিতার স্পর্শে গড়াই। কবিতার ছন্দে হাঁটি, নিজেই পথ হয়ে যাই। কবিতা নিয়ে ঘুমাই। কবিতায় শান্তি পাই। কবিতার খুঁজে লংড্রাইভে ঘুরি। কবিতাকে উঁচা-উঁচা গাছের পাতায় খুঁজি। ওভারব্রিজের দিকে তাকাই, কবিতার ধ্যানে প্রাণপাখিকে আকাশের ডানায় উড়াই। কিন্তু কবিতা কি? আমি জানি না। আমার সমস্ত অনুভব-অনুভূতি-কাঙ্খা তারায় তারায় হাসে-কাঁদে। চুল-মাথা-চোখ-নাক-কান-ভ্রু-মুখ-ঠোঁট-জিহ্বা-হাত-পা শিরায়-শিরায় উত্তেজনা চড়ায়। কবিতা আলাদা জগতে বাস করে নতুন ভূবন সৃষ্টি করে, যেখানে আশা-আকাঙ্খার হাত ধরাধরি করে চলে।
জীবনের ছবি আঁকি, জীবনের চর্চা শিখি। কিন্তু কবিতা ...? কবিতা ছাড়া কি আর ব্যাকুল-অস্থিকে উদভ্রান্ত করবে? কে আমাকে বাঁচার স্বপ্ন দেখাবে? কে আমাকে রোদে স্নান করাবে, শান্তি দেবে? কবিতা ছাড়া কে হৃদয়ের ভেতর, ধ্যানের ভেতর, স্বপ্নের ভেতর বিবর্ণ ইচ্ছের মতো দ্যুতি-ব্যঞ্জনা ছড়াবে।
কবি কবিতা লিখেন, পিপাসার বেগে। সময়কে কাছে টেনে। কবিতায় কবিকে সর্বদা পীড়িত করে জীবনের পথে, কাঠ চেরাইয়ের শব্দে, অপরিণত ফল কিংবা অপরিচিত ফুলের সৌরভে, নারী-নিসর্গের স্পর্শে, জীবনের গ্লানি টেনে টেনে। কবি তাঁর ভাবনার জনক, কল্পনার জনক, উপমার জনক, আনন্দ-বেদনা-হাসি-কান্নার জনক। কবিতা পাপড়ি মেলে, রূপ ছড়ায়, আষাঢ়ে ফাগুণে, আঁধার ও আলোতে রহস্য বাড়ায়। মনোবেদনায় পোড়ায়, আশা-বিরহ ভালোবাসায়। আশ-পাশ থেকে তুলে আনা আমাদের আটপৌরে কথা, জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রয়োজনাতিহাসসহ প্রাত্যহিক জীবন ধারণের অনেক সত্যকে কবি অনাবশ্যক ভেবে এড়িয়ে চলতে হয়। কেননা মানুষ কখনও সমষ্টির ভেতর নিজেকে বিলীন করে দিয়ে নিঃস্বার্থ হতে পারে না। কবিতার রন্ধ্রে-রন্ধ্রে এতো আনন্দ, এতো প্রীতি এতো ছোঁয়া, এতো স্পর্শ স্মৃতিকথা, কথকতা ...। কবিতা ছাড়া-জীবন ধোঁয়ার মতো,- জীবন ছায়ার মতো ভাসে, যে অঙ্গার জ্বলে জ্বলে নিভে যাবে,- হয়ে যাবে ছাই,- সাঁপের মতন বিষ লয়ে-সেই আগুনের ফাঁসে জীবন পুড়িয়া যায়,- আমরাও ঝরে পুড়ে যাই! আকাশে নক্ষত্র হয়ে জ্বলিবার মতো শক্তি - তবু শক্তি চাই (জীবনানন্দ দাশ/ জীবন) কবি যা ভাবেন তাই লিখেন, কবি ছাড়া কে আর ভাবতে পারে - পৃথিবীর সমস্ত ধূসরপ্রিয় মৃতদের মুখ নক্ষত্রের রাত দেখতে পারে (জীবনানন্দ দাশ/ হাওয়ার রাত) কবি ছাড়া কে আর লুকাবে রহস্যের ভেতর? কবি ছাড়া কে বাস্তব - সন্ধানে তাকাবে দূর্বাভাসে উপলব্ধি করবে-পৃথিবীর সবরূপ লেগে আছে ঘাসে, (জীবনানন্দ দাশ/ সন্ধ্যা হয়-চারিদিকে) আলোতে আঁধারে কবিতা খুঁজি, খুঁজি সারারাত জুড়ে।
‘তথাকথিত ছোট সুখ ও ছোট দুঃখের পেছনে রয়ে যায় সমাজ ও সময়ের অনেক বড় সত্যের উপকূল রেখা। এই জন্য ছোট সুখ বা দুঃখ বলে কিছু হয় না।’ কেননা অণুকে ভাঙলে যেভাবে অসংখ্য পরমাণু পাওয়া যায় তেমনি অনেক সুখ-দুঃখ কল্পনার চোখে চোখে দেখলে তাতেও অনেক ভালোলাগা ভালোবাসার স্মৃতি-তৃপ্তি-ঘ্রাণ-আকাঙ্খা-বাসনা সান্ত্বনা পাওয়া যাবে। কবিতা শান্তি দেবে, তৃপ্তি দেবে। তোমাকে না-খুঁজে সারাক্ষণ সারা জীবন কবিতাকে খুঁজবো তার রক্ত খাবো মাংস খাবো হাড়গোড় খাবো। তুমি আমাকে না-বাসলেও ভালো, কবিতা আমাকে ছেড়ে যাবে না এই জীবনে। তাকেই আমি মনে-প্রাণে বাসবো ভালো।
আমার ভেতর জেগে ওঠা কতিার ঘোর-কল্পনা ... জীবনের কঠিন বাস্তবতাকে খুব সহজ করে জীবনের গান গাওয়া একেই তো আমরা বলি কাব্যময়তা। নিজের শৈশব-কৈশোর দেখেছি স্মৃতি উপরে তুলে। গাছ যেভাবে মাটিতে মূল ঘেড়ে তার ডালপালা ছড়ায়, পাতায় পাতায় হাওয়া উড়ায়, নিজস্বজগৎ ও বহির্জগত থেকে তাঁর অভিপ্রায়-কল্পনা-ভাবকে দোলায়-উৎরায়। মনে হয় যেন‘চেতনাগর্ভে ঋদ্ধ হওয়া এক সম্মোহনী ভ্রুণ।’ অন্তঃপুর-মনোবেদনা-রহস্য-স্পর্শ-প্ররোচনার ভেতর কবিকে নাড়ায়। পাঠককে নাড়িয়ে তুলে। যেন প্রাণের মায়াধারণ। কবিতা পাঠে কখনো তৃপ্তি দেয়, কখনো ভাবায়, নিরবতায় পাঠায়। হাসায়-কাঁদায়। জীবনকে নেশার মতো ঘুরায়। দুঃখ ঘুচায়। অন্যের সুরে বলি, কিন্তু কবিতা কি? কেন কবিতার গ্রহণ-যাত্রা জীবনে-জীবনে?
__সৈয়দ আফসার
কথা-ব্যথা-ব্যর্থতা-ভণিতা মিশলেই জন্ম নেয় একটি কবিতা।
কথা-ব্যথা-ব্যর্থতা-ভণিতা
ওইকথাগুলো আমার মনে হয় কবিতার মূলকথা।
কিন্তু উপরিউল্লেখিত কোন শব্দের সাথে আমার তেমন মিল নেই।
যাহা দ্বারা আমি কবিতার পথে হাঁটবো-
হয়ত সে আমার সীমাবদ্ধতা...
তবে আপনার ভাললাগা কবিতাগুলো লিখার সময় ২০০২-০৪সাল।
(ভরা যৌবণ কাল) কবিতায় অনেক আবেগ আছে হয়ত।
কিন্তু দেবার আগে অনেক ভয় বুকে ছিল ধী-সম্পন্ন পাঠকরা কি ওই
কবিতাগুলো পড়বেন!!! সে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল মনে।
যার জন্য কোন মন্তব্যের জবাব দিতে সংকোচ ছিল।
আমি আসলে কবিতা নিয়ে তেমন উচ্চাকাঙ্ক্ষা পোষণ করি না।
আমার জন্য লিখি, আর একটি মাত্র কারণ লুকানো তা হল
পুরনো স্মৃতিকে জাগাতে , ভবিষ্যতে পাঠ করা; তারচে' বেশি ভাবি না।
আর আপনার ভালা লাগাটুকু জেনে প্রীত হলাম অনেক।
ব্লগে আছে কটি কবিতা যেমন ''ভোরে রচিত কথাগুচ্ছ, দেয়ালপর্ব, অন্ধশিকারী''সহ আরো কিছু কবিতা পাঠ করলে প্রীত হবো।
আর নতুন লিখা ব্লগে বেশি দেই না কারণ কোন কোন লিটলম্যাগ
সম্পাদকরা করুণা করে হয়ত তাদের প্রত্রিকা'য় ছাপান তাই।
যদি ইচ্ছে করেন আমার প্রোফাইলে ই-মেইল করলে আপনাকে
নতুন কবিতা পাঠাতে পারবো হয়ত।
তাহলে পাঠ হউক নতুন একটি কবিতা
কিসে যেন রেগে গেলে তার মানে
হারানো কান্নাও হতে পারে গোপনে
আরো তিনটি বছর পর--
সবই বুঝি মৃদু ত্রুটি কাঁচা মাংশের ঘ্রাণে
ওই মুখ 'বর্ণিত হবার লোভে' লাজুক বাগানে
মনে ও বনে
এসব ঘটনা কুড়ি বছর পর কবিকে চিনে
শেষ দিবসে আমি যখন কিছু কথা জমিয়ে রাখি
কাঁধে-পিঠে ধূলির নগরে
কাঁপা হাতের আড়াল থেকে সর্বস্ব দাও
অতি গোপনে
_________________কুড়ি বছর পর
আপনি
ভাল থাকুন।
নিরন্তর...
৯| ১১ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:১৬
সহেলী বলেছেন: অত্যন্ত আবেগময় আবহে ফেলে দিল এ লেখা !
খুব ভাল হত যদি এ জবাবটা আপনি পোষ্ট হিসেবে দিতেন ;
আমি আপনার এই লেখাটার থেকে কিছু শিখতে চাই , বুঝতে চাই ।
শুভকামনা আপনার জন্য ।
১০| ১১ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৪
শত রুপা বলেছেন: কত আগেই তো বন্ধক রেখেছো শরীর
শুধু দ্রবণের ক্ষরণটুকু বাকি, মুঠোভর্তি খাম
তাই রক্তে লবণ চুষে খায়; মুঠো খুলে দেখি
আমার স্বপ্ন আঁকা পাখিদের ঠোঁটে
গাছ গোপনে রস টেনে নেয়
পাতা মেলে ধরে তার করুণ স্মৃতি
স্বীকার করি— আপত্তি যত সময় আর সুতোর ধারে
অনিদ্রায় আঁধার ঘনালে তুমি দেখি বহুক্রোশ দূরে
১১| ১১ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:৩৩
শাহনাজ সুলতানা বলেছেন: আফসার তোমার কবিতাগুলো পড়েছি। ভালো লাগলো। আগামীতেও পড়ার আগ্রহ রইল।
ভালো থেকো আফসার। আর দীর্ঘরাত জেগে থেকো না। শরীর খারাপ করবে।
১২| ১১ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:৩৬
শাহনাজ সুলতানা বলেছেন: সোহেলীর উদ্দেশ্যে তোমার লেখাটিও দারুণ হয়েছে।
১৩| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:২৪
আহসান জামান বলেছেন: চমৎকার!
১৪| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:২৮
শাহনাজ সুলতানা বলেছেন: ২০শে জুলাই ২০০৫
তোর কান্নার জলকণাগুলো থরথরিয়ে কাঁপছে
চশমার ফাঁকে
চুষে নিতে পারেনি মোলায়েম গালের তিল
আমি কখনো তোর কান্নামুখ দেখতে চাইনি
তাই অশ্রু ছাড়া আর কিছু গোপন করিনি
তবে আজ কেন তোর চোখে গড়িয়ে পড়বে জল
মুছে দিতে মানা করলে, ছুঁড়ে দিলে অসংখ্য ফরিয়াদ
এই কবিতাটি মনে দাগ কেটেছে। কি চমৎকার - তোর কান্নার জলকণাগুলো থরথরিয়ে কাঁপছে চশমার ফাঁকে-
-আচ্ছা আফসার, কান্নার জলকণাগুলো কি থরথরিয়ে কাঁপে? এক গভীর ভাবনায় ফেলে দিলে।
-----------------------------------------
সম্ভাবনা
চৈত্রমাসে পলাষ ফোটে পাতার বর্ণ হয় ধূসর
ভ্যাপসা গরমে তৃষ্ণার্ত আমি কামনা করি বৃষ্টির
আশায়-আশায় স্বপ্ন জাগে তাকানো যে দৃষ্টিকাতর
ঝরের গতি বেড়ে গেলে গাছগাছালির করুণ সুর, মর্মর
বৃষ্টিতে কার না ভালো লাগে, ভাবনা জমা অষ্টপ্রহর
ছায়াকে যখন কামনা করি— হেসে ওঠে রোদের প্রখর
আবার যখন তৃষ্ণার্ত হবো ঢেলে দিও জলের আদর
চোখের জল শুকিয়ে গেলে জমা পড়বে লবণের স্তর
------------------
নীচের লাইনগুলো বেশ ভালো লাগল-----আবার যখন তৃষ্ণার্ত হবো ঢেলে দিও জলের আদর
চোখের জল শুকিয়ে গেলে জমা পড়বে লবণের স্তর
- আফসার, চোখের জল শুকিয়ে গেলে লবণের স্তর কি কখনো জমা থাকে???????????
সবগুলো কবিতা দারুণ। তবে বেশ ঘোরের মধ্যে রয়ে গেছি এখনও ।কি পড়েছি কি পড়েছি এই ভেবে। তোমার কবিতা যতই পড়ছি মুগ্ধ হচ্ছি, আর ভাবছি কি করে এতো ভালো লিখ।? আবার এও ভাবি মোস্তাক আহমদ দীনের শিষ্য তো, এ রকম হবারই কথা।
তুমি অনেকদূর হেঁটে যাও তোমার কবিতা নিয়ে এই কামনা।
ভালো থেকো, তবে বেশি রাত জেগে থেকো না।
১৫| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৬:০৪
প্রেসিডেন্ট মামা বলেছেন:
আহারে রাত জাগা..............................!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
এই বয়সে রাত জাগতে পারি না।
১৬| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:৪৮
সহেলী বলেছেন: আপনাকে যে অনুরোধটা করেছিলাম সেটা কি রাখতে পারবেন ? উপরের জবাবটা পোষ্ট হিসেবে দিতে ?
১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:২৯
সৈয়দ আফসার__১৯৭৯ বলেছেন: অকর্মা সিরিজ
ডামাডোল বিহীন, শাওন-ভাদরে আমাদের যৌথদিন
ভাবছি মৃতস্মৃতি পুরো আধুনিক… হারানো আয়ুষ্কাল
আমি কি জানতাম!খোশ আমদেদ বলছে তার ভেজাচুল
চাল-ঘরের গ্রীল!বুক চিপা জামায় উড়ে না-আসা পার্বণ
প্রশান্তি মর্মকথা আমাদের ঘিরিয়া রাখছে কিয়ৎ পরিমান
পথের রূপ শেষ না-হতেই কে লাগাল চুম্বনসহ বুক-লক
যত বাহাদুরি করো মুই কেবল স্তনে আঁচড় ফোটাই নখ!
আমার ফিরে আসা,কেমন-কেমন লাগে আহ্!মন-হুতাশন
গোপনে আসা-যাওয়ার মূলপথে বাঁধলাম ঘর!
তুই কি তার অর্থ বুঝিস?... খুব দরকারী
ফিরে আসা ডেডলাইনের পর একখানা দাঁড়ি!
একসাথে চলছি তবু অনুভূতি-টনুভূতি অনগ্রসর
একই বাসস্টপ কিন্তু প্রতিদিনের সকাল ভিন্নরূপ
আজ তার দেখা পেলে কাল দেখি সে আসে নাই
আমরা শুধুই তিন!...উড়াই সরব সিগ্রেটের-ছাই
বাকি যতকথা আমার হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিলোপ
সকালে বাসস্টপে দাঁড়াই তুই-আমিসহ একটুকরো পাথর
পাশাপাশি কৃষ্ণাঙ্গনারী চশমার ফাঁক জুড়ে হাসে সাইডস্ক্রিন
কত সেন্টিগ্রেটে কাঁপছি আমরা গত পরশু, তবে সাবধান
দেখা যাক শৈত্যপ্রবাহহীন দেহের হাইব্রিড কি নীরবতার
বাসে যেতে যেতে প্রাত্যহিক নাস্তা হাতে বানানো স্যান্ডোইচ
সুইট-ক্রিসপ্ তোর নিত্যদিনের তালিকায়! তার বিফবার্গার
মিনারেল ওযাটার ক্যান-কোকাকোলা… মায়া জাগে পরস্পর!
কাল নিশ্চুপ ছিল হাসির টোল! যেন মধুচাক… স্পর্শ-আচঁ!
মিনিট বিশেক পর নেমে যাবি তুই
তিনস্টপ পর নাড়াবে হাত কৃষ্ণাঙ্গিনী
আমি ঠিক পরের স্টপে পায়ের শব্দগুনি
এভাবে প্রতিদিন কাজের রাস্তা মাড়াই
ছুটির দিনে ঘরে বসে মাকে ফোন করি
মা আমার প্রতিটি ক্ষণের স্পন্দন-আপন
মাকে দূরে রেখে সুখটাও খুব করুণ
মা বলে, ফিরে আয় খোকা তাড়াতাড়ি
__________________________
আসলে অনুরোধ কেন করতে হবে!
অবশ্যই পোষ্ট দেব একটু ভাবছি, এই আর কি...
আপনি মেইল করতে পারেন।
প্রোফাইলে আমার ঠিকানা পাবেন।
এটি একটি কবিতা বিষয়ক গদ্য হিসেবে যাবে।
ভাল থাকুন।
১৭| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:৪৯
সহেলী বলেছেন: হুবহু না দেন , এডিট করে সা.ইনের পোষ্টের মত !
১৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭
শিমুল সালাহ্উদ্দিন বলেছেন: বাহ্
+
ভালো লাগলো... শুভকামনা
দেখে আসবেন ঢু মেরে আমার ঘর।
Click This Link
১৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:০৩
দিব০০৭ বলেছেন: মাহবুব সাজ্জাদ কিংবা গেওর্গে আব্বাসের ব্লগে আমার সাম্প্রতিক মন্তব্য
মাশুক ইবনে আনিস একজন কবি, তবে দালাল কবি তিনি ফায়দা দেখলেই গেওর্গে আব্বাসকে লাথি মেরে ময়েজের পদ চুম্বন করবেন। তার এরুপ ডিগবাজির খবর তৃতীয় বাংলার মোটামোটি সবাই অবগত আছেন। দালালের লেখার ঐতিহাসিক মূল্য আছে ভেবে আত্মতৃপ্তিতে নৃত্য করুন কোন অসুবিধা নাই, কারণ ইতিহাস দালালদের মুখে কখনো পেচ্ছাবও করেনা। আর কাউয়া তো বাংলাদেশে পাওয়া যাবেই এখন বিলেতেও পাওয়া যায়, কাউয়া কিসের প্রতীক জানেন না বুঝি? কাউয়াকে ঘর থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করুন, নইলে নিজেও একদিন কাউয়ায় রুপান্তরিত হবেন। আর মাহবুব সাজ্জাদ (আড়ালে গেওর্গে আব্বাস) সাহস থাকে তো মন্তব্য মুছে না দিয়ে, অথবা নিজের একাধিক নিকের তেলে প্রফুল্ল না হয়ে সত্যের মুখোমুখি দাঁড়ান। কাজল রশীদের মন্তব্যের উত্তরে যদি এতোই উৎফুল্ল ছিলেন তা হলে মুছে দিলেন কেন? না আবার স্পেইসের দোহাই, কিংবা মুক্তবুদ্ধি, মুক্তচিন্তার? বাহাসে আসতে আপনাদের এতো ভয় কেন, বাহ! সাজ্জাদ অথবা আব্বাস আমি চ্যালেঞ্জ ছুড়ছি আমার সাথে বাহাসে নামুন হেরে গেলে নিকের আড়াল থেকে বেড়িয়ে এসে আপনাদের পায়ে ধরে মাপ চাইবো।
(আমি যা মন্তব্য করেছি আপনি ধারে কাছে দিয়েও যান নি, একটা যুক্তিও খন্ডন করতে পারেন নি, আপনি বলছেন আপনি ছায়া নন কায়া, কায়ার এতো দ্বিধা/ভয় কিসের!)
২০| ১৫ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:৪৬
সবাক বলেছেন:
অনেক লম্বা সিরিজ.....
বেশ কয়েকটা পড়লাম.... বরাবরই মোহনীয়।
২১| ১৫ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:৫৩
নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: সুন্দর
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৬:৪০
চিটি (হামিদা রহমান) বলেছেন:
আগের সিরিজটা এখনও শেষ করি নাই। আগের সিরিজের লিংকটা এই সিরিজে দিলে ভালো হয়। দুইটা একসাথে পাওয়া যেতো।
পড়ছি........।