চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি না পরে ধরা

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬

পরীক্ষা শেষ, তাই স্বভাবতই গীটার জোনে আড্ডা দিতে বন্ধুরা সবায় হাজির, গান বাজনা চলছে আড্ডার তালে তালে । আমাদের জোনের শেষে যে পিলারটা আছে সেখান থেকে পালা ক্রমে জোরায় জোরায় বসে ধানমণ্ডি এরিয়ার যত পাখি যুগল আছে, তাদের অনেকেই । সেদিকে খেয়াল না করেই চলছে আমাদের এক এর পর এক গানের ডেলিভারি । পাপ্পু দাঁর হৃদয়স্পর্শী লালনগীতিটা খুব মন দিয়ে শুনছি আর এর মধ্যে ব্যাঘাত ঘটাল যুগলচুত এক ময়দা পাবলিক । ‘‘কোথায় তুমি ? এত দেরী হচ্ছে কেন তোমার ? কি! তুমি এখন ও বাসা থেকে বের হওনি ? দিস ইজ টুঁ মাচ অভি । ইউ গো টুঁ হেল, আই এম গোয়িং, বায় ।’’ কথা গুলো এত জোরে হচ্ছিল যে অনিচ্ছা সত্ত্বেও কানে চলে এল । ‘‘ হা, শুভ, বেবি কই তুমি? আমার না একটুও ভালো লাগছে না । তোমাকে খুব মিস করছিলাম জানো, তাই ভাবলাম ফোন দেই । হাঁ, আমিও ল্যাক এই আছি বাট বেশিক্ষণ হয়তো থাকবনা । অক্কে, চলে এসো ।’’
কার্জন দাদার গীটার এর তাল তখন চরম পর্যায়ে, সকলে তাল মিলিয়ে তখন তুমুল পর্যায়ে গান গাচ্ছি । কিন্তু কপাল আজ ও খারাপ, প্রতিদিন এর মত আজও সেকেন্ড ইষ্টিং টা গেলো ছিরে । ধুর! সব মজাই নষ্ট । কিন্তু দাদাতো হাল ছাড়ার পাত্র না । পর পর এক ও চার নাম্বার টাও ছিঁড়ল । তবুও বাজছে গীটার আর বাঁধ ভাঙ্গা গান । আর রণ এ ভঙ্গ দিলো একটা হট্টগোল । কাছে যেতেই শুনতে পেলাম সেই ময়দা পাবলিক এর গলাটা । ‘‘ তুমি আমাকে সন্দেহ করছো অভি, ছিঃ অভি ছিঃ, আমি ভাবতেও পারিনি তোমার মন মানসিকতা এত নিচু, এত নোংরা ! ’’ চিল্লাচিল্লিতে আড্ডাটা ভালো লাগছিলনা । তাই আড্ডা শেষ করে বাসার দিকে এগোতে থাকলাম, হাঁটছি আর ভাবছি,চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি না পরে ধরা ।

১ টি +০/-০