নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অামি অামাকে চিনি... অামি অামাকে খুজি...

তাহিন

তাহিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হরতাল... আমরা জনগণ, অবশ্যই ফুটবল নই!!!

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১

বিশ্বজিৎ নিরীহ ব্যক্তি, সে হরতালের সমর্থক ছিল না। জীবিকার জন্য বেরিয়ে ছিল মানুষটি। কিন্তু তাকে জীবন দিতে হয়েছে। তাকে কারা মেরেছে তা টিভিতে দেখার পরও সময় লেগেছে গ্রেফতারে। কারণ তারা কোন দলের। দল আর ক্ষমতাই বর্তমান রাজনীতি শেষ কথা। জনগন আর গণতন্ত্র এখনো বোঝার বাকী। অবস্থা এমন হরতালের সমর্থক হলেও বিপদ, না সমর্থক হলেও বিপদ।



(ছবি: ইন্টানেট)প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব বলেন সন্ত্রাসীরা কোন দলের না। যদি তাই বিশ্বাস করে নিই, তবে প্রশ্ন হরতালে কারা ভাঙ্গচুর আর অগ্নিসংযোগ করে। মিছিল হতে ভাঙ্গচুর হয়। কেন আজ পর্যন্ত কোন দল তাদের মিছিল হতে ভাঙ্গচুরকারীদের আইনের নিকট সোপর্দ করেনি? যদি কত তবে বুঝতাম তাদের রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক আচরণ করছে।



সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হচ্ছে সংসদে সংখ্যা গরিষ্ট দলের সমর্থকরাও হরতাল বা অন্য রাজনৈতিক কর্মসূচীতে যখন ভাঙ্গচুর করে বা রাস্তা বন্ধ করে। তাদের ঠেকাবে কে?



গণতন্ত্র মানে রাজনৈতিক দলগুলো যা বলে তাই চুড়ান্ত, তা অব্যশই নয়। দলগুলোর পছন্দ মতো কোন কথা না হলে আমাদের অন্য দলে ঠেলে দেবে। এদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের যেন নিজস্ব কোন ভাষা নেই। দলের বাইরে যেন কোন ব্যক্তি নেই। আমরা জনগণ, অবশ্যই ফুটবল নই!



হরতাল আহবান করা রাজনৈতিক অধিকার। তবে ব্যক্তির অধিকার হরতালে সমর্থন দেবে, নাকি দেবে না। ভাঙ্গচুর, অগ্নিসংযোগ একটি ফৌজদারী অপরাধ। অথচ কাজটি প্রতিনিয়ত হচ্ছে। ভাঙ্গচুর আর অগ্নিসংযোগ দায় একজন আর একজনের উপর চাপাতে ব্যস্ত।



হরতাল দেয়া হয় মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায়। তবে হরতালে ভাঙ্গচুর, অগ্নিসংযোগ মানে মানুষের অধিকার হরণ। অবাক বিষয় হচ্ছে জনগনের সম্পদ ভাঙ্গচুর, অগ্নিসংযোগ যেন রাজনৈতিক দলগুলো অধিকার মনে করে।



জনগনে কাছে গিয়ে রাজনৈতিক সমস্যাগুলো বোঝানোর মাধ্যমে জনগনের সমর্থন নেয়ার সময় নেই। এ সকল কাজ এখন তারা করে না। তাই হরতালে অগ্নিসংযোগ, ভাঙ্গচুরের মতো ভয়াত্মক কার্যক্রম করে জনসমর্থনের আত্মতুষ্টিতে ভোগে। এমন পরিস্থিতিতে হরতাল না বলে বিষয়টি ভয়তাল করা উচিত।



অবাক বিষয় হচ্ছে হরতালে যারা ভাঙ্গচুর করে, অগ্নিসংযোগ করে তাদের ছবি ও ভিডিও পত্রিকা আর টেলিভিশনে প্রকাশ ও প্রচারিত হয়। প্রমাণ রয়েছে কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা হয় না। পত্রিকায় দেখলাম হরতালে ভাঙ্গচুর, অগ্নিসংযোগ পেশা হিসেবে দাড়িয়েছে। অবাক...



পত্রিকায় প্রকাশিত কত ঘটনার প্রেক্ষিতে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এ যাবত যারা মানুষের সম্পদ প্রত্যক্ষভাবে ধ্বংশ করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। পুলিশ এদের গ্রেফতার করে না। কারণ এখনো কোন রাজনৈতিক দলগুলো হরতালে এ ধরনের অপরাধ বন্ধে নৈতিকভাবে সমর্থন দিচ্ছে না।



সরকার প্রয়োজনে/ পছন্দ মতো অনেক আইন পাশ করেছে। বিগত ২ বছর ধরে হরতাল ও রাজনৈতিক কর্মসূচীতে ভাঙ্গচুর, অগ্নিসংযোগ বন্ধে একটি আইন পড়ে আছে, পাশ হচ্ছে না। কেন, কিসের জন্য তা প্রশ্ন? ভোট আসছে জনগন বিচার বিবেচনা করবেই....

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯

নতুন বলেছেন: আমরা জনগন তো সবাই রাজনিতিক দলের কমী`... ন্যায কথা বলবে কে?

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০২

তাহিন বলেছেন: দলগুলোর পছন্দ মতো কোন কথা না হলে আমাদের অন্য দলে ঠেলে দেবে। এদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের যেন নিজস্ব কোন ভাষা নেই। দলের বাইরে যেন কোন ব্যক্তি নেই। আমরা জনগণ, অবশ্যই ফুটবল নই!

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

নতুন বলেছেন: আমরা যে জনগন এবং জনগনের যে একটা ক্ষমতা আছে তা রাজনিতিক দলগুলি সবাইকে ভুলিয়ে দিয়েছে...

তাই এখন সবাই ভুলে গেছে যে আমাদের দেশের সকল ক্ষমতার উতস জনগন...

খালেদা/হাছিনা না..

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৮

তাহিন বলেছেন: ঠিক বলেছেন... জনগন ভুলে গেছে তার ক্ষমতা আছে... যে আমাদের ভোগাবে বা দায়িত্ব পালন করবে না তাকে ভোট দেব না...

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১২

তাহিন বলেছেন: ভালবাসি বাংলাদেশ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.