নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অামি অামাকে চিনি... অামি অামাকে খুজি...

তাহিন

তাহিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি দুই হাত জোর করে ক্ষমা চাই...

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

প্রিয় আলী আকবার ,

বীর মু্ক্তিযোদ্ধা

সুহিলপুর, ব্রাক্ষণবাড়ীয়া



জনাব,

আজ বিকেল ০৫.০০ শাহবাগে কিছু তরুন আপনার জন্য শোক নয়, ক্ষমা সভার আয়োজন করেছে। আপনার কাছে ক্ষমা চাইবে। আমি দুই হাত জোর করে ক্ষমা চাই...



১. মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট থাকা স্বত্বের চিকিৎসার জন্য সুপারিশ প্রয়োজন ছিল বলে;



২. জনগনে টাকা খরচ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কত কাজ হয়। কিন্তু আপনার মতো মানুষরা সুবিধায় পান না বলে।



৩. ক্ষমা চাই টাকার অভাবে আপনি ব্রাক্ষণবাড়ীয়া হাসপাতালের বারান্দায় পড়েছিলেন বলে;



৪. আপনার চিকিৎসার জন্য মেইল ফ্যাক্স করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে কোন উত্তর পাইনি বলে;



৫. আপনার জন্য আইসিইউ-র বেড যোগার করতে পারিনি বলে;



৬. ৪২ বছর আপনার জন্য বাসস্থান আর খাদ্য দিতে পারেনি বলে;



৭. দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন, ৪২ বছর রাস্তা পাহারা দিয়েছেন। কিন্তু আপনার সম্মান দিতে পারিনি।



৮. প্লট, পদ, বাড়ী, জমি, চাকরী সুবিধা আপনার মতো মানুষ যাদের প্রয়োজন তাদের নিকট পৌছাতে পারিনি বলে;



৯. ক্ষমা চাই আমাদের নিলজ্জতার জন্য, স্বার্থপরতার, সুবিধাবাদীতার জন্য। ক্ষমা আমাদের অক্ষমতার জন্য।



আপনি ত‌্যাগী লোক।ত্যাগ করেছেন বলেই সুবিধাবাদীরা ভোগ করে। আমাদের ক্ষমা করুন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

ছণ্ণ্ ছাড়া বলেছেন: ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না । ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী হিসাবে আমরা অত্যন্ত দুঃখিত।

স্বাধীন হয়ে গেলেন বীর সেনা আলী আকবর



হে চিরদিনের জন্য বিদায় নিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের তেলীনগর গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আলী আকবর। থেকেই বা কি করবেন। মুক্তির যুদ্ধ করছেন ঠিকই। কিন্তু মুক্তিতো মিলেনী। তাই অনেকটা নিরুপায় হয়ে তার চলে যাওয়া। যুদ্ধ করে যে দেশ স্বাধীন করছেন, সে দেশে মৃত্যুর পূর্বে বিনা চিকিৎসায় কষ্ট পাওয়ার চেয়ে একেবারে চলে যাওয়ায় তার কাছে সঠিক মনে হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানী ঢাকার ডিমাফ নামক একটি প্রাইভেট হাসপাতালে, আমাদের লজ্জা আর শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন এই বীর সেনা। তার প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে। দ্বিতীয় নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে বাদ এশা। সেখানে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান করা হবে। তৃতীয় নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় নামাজে জানাযা শেষে সুহিলপুরে উনার নিজ এলাকার মসজিদ মাঠে। শেষে সুহিলপুরের তেলিপাড়া উনার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

উল্লেখ্য , তিন দিন ধরে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। পরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে বেশ কিছু ব্লগার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যায়।সূত্র

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.