![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খাদ্য নিরাপত্তা, জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ, অর্থনীতির স্বার্থে
খাদ্যের জমিতে তামাক চাষ বন্ধে নীতিমালা প্রণয়নের দাবি
তামাক কোম্পানিগুলোর প্রলুব্ধকর প্রতারণায় দেশের বিভিন্ন জেলায় খাদ্যের জমিতে তামাক চাষের আগ্রাসন ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছেÑযা খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। এছাড়া পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তুলছে। তাই খাদ্যের জমিতে তামাক চাষ বন্ধ করাসহ তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। ৩০ মার্চ ২০১৪ বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট-এর মতবিনিময় সভায় বক্তারা উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন।
জোটের সচিবালয়ে কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন একলাব এর পরিচালক মো. শামসুল আলম। সভায় ধারণাপত্র তুলে ধরেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট পরিচালক এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম সভায় বক্তব্য রাখেন প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এনডিএফ) এর চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর সদস্য মো. সেলিম, জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (ন্যাশনাল এন্টি টিবি এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-নাটাব) এর কর্মসূচি ব্যবস্থাপক এ কে এম খলিল উল্ল্যাহ, টোব্যাকো কন্ট্রোল রিসার্চ সেল (টিসিআরসি) এর সহযোগী গবেষক ফারহানা জামান লিজা, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এর ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান, ইকো সোসাইটির আশুতোষ চ্যাটার্জি প্রমুখ।
এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, তামাক পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতি, মাটি ও পানির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই তামাককে ক্ষতিকর ভেষজ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় তিনি ১৮ক অনুচ্ছেদ (পরিবেশ ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও উন্নয়ন) এর উদ্ধৃতি তুলে ধরে বলেন, “রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যত নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণির সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন”।
তিনি বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮তম অনুচ্ছেদ (জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা) এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “জনগণের পুষ্টির স্তর-উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যেও উন্নতিসাধনকে রাষ্ট্র অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য বলিয়া গণ্য করিবেন এবং বিশেষত আরোগ্যেও প্রয়োজন কিংবা আইনের দ্বারা নির্দিষ্ট অন্যবিধ প্রয়োজনব্যতিত মদ্য ও অন্যান্য মাদক পানীয় এবং স্বাস্থ্যহানিকর ভেষজের ব্যবহার নিষিদ্ধকরণের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন”।
হেলাল আহমেদ বলেন, তামাক চাষীদের খাদ্যশস্য উৎপাদনে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, পৃষ্ঠপোষকতা ও ঋণ সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি উৎপাদিত খাদ্য শস্যের বাজার নিশ্চিত করতে পারলে কৃষকদের ক্ষতিকর তামাক চাষ থেকে সরিয়ে আনা সহজ হবে। ইবনুল সাঈদ রানা বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে দরিদ্র কৃষকদের তামাক চাষে প্রলুব্ধ করে। তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে আনতে তামাক কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করা জরুরি।
সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, পাবর্ত্য এলাকায় তামাক চাষের ফলে সেখানকার মাতমুহুরী, সাঙ্গু ইত্যাদি নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। যা মৎস্যসহ পানিনির্ভর প্রাণীদের জন্য ক্ষতিকর। পাশাপাশি তামাক পাতা প্রক্রিয়াজাত করণের কাজে নির্বিচারে বৃক্ষনিধনে পার্বত্য এলাকার বনজ সম্পদও ধ্বংস হচ্ছে। অবিলম্বে পার্বত্য এলাকায় তামাক চাষ বন্ধ করা দরকার। মো. শামসুল আলম বলেন, খাদ্য শস্য উৎপাদনের জমির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে কমছে, অথচ তামাক কোম্পানির প্রলুব্ধকর প্রচারনায় তামাক চাষের জমির পরিমাণ বাড়ছে। যা দেশের জন্য অমঙ্গলজনক।
©somewhere in net ltd.