![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করবে
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর প্রতিনিধি দলের সাথে স্বাক্ষাৎকালে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাস
বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়া নারী-শিশুসহ অধূমপায়ীদের জন্য ক্ষতিকর। তাই অধূমপায়ীদের স্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী জনসমাগমস্থলগুলো ধূমপানমুক্ত রাখতে হবে। পহেলা বৈশাখ এর মত গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় অনুষ্ঠানও ধূমপানমুক্ত পাবলিক প্লেস হিসাবে আইনে অন্তর্ভূক্ত বিধায় আইন অনুযায়ী এসব স্থানকে ধূমপানমুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আজ সকাল ১০টায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। পহেলা বৈশাখ ধূমপানমুক্ত রাখার অনুরোধ নিয়ে আজ সকাল ১০টায় মাননীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত দপ্তরে সাক্ষাত করতে গেলে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় তামাক নিয়ন্ত্রণনে সরকার অত্যান্ত ইতিবাচক। ইতিপূর্বেও এ আইন বাস্তবায়নে সরকার গুরুত্বপূর্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিগত বছরগুলোতে পহেলা বৈশাখে অনুষ্ঠানস্থল ও মেলা প্রাঙ্গন ধূমপানমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানস্থলগুলোতে বিপুল সংখ্যক নারী-শিশুসহ সব বয়সী মানুষের সমাগম ঘটে। তাই এসব অনুষ্ঠানকে ধূমপানমুক্ত রাখা জরুরী। নারী, শিশু এবং অধূমপায়ীদের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এবছরও পহেলা বৈশাখ নববর্ষের অনুষ্ঠানস্থল ধূমপানমুক্ত রাখার জন্য উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস ব্যক্ত করেন।
প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সেক্রেটারী জেনারেল হেলাল আহমেদ বলেন, এফসিটিসির আলোকে বাংলাদেশ সরকার “ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫” (২৯ এপ্রিল ২০১৩ এ- সংশোধিত) পাস করে। এ আইন অনুযায়ী বৈশাখী মেলা বা এ জাতীয় অনষ্ঠানমালা পাবলিক প্লেস। আইন অনুযায়ী এসব অনুষ্ঠানস্থল ধূমপানমুক্ত। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে সকল পাবলিক প্লেস ধূমপানমুক্ত রাখার বিধান করা হয়েছে।
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, নারী-শিশুসহ অধূমপায়ীদের পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে রক্ষা এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে বায়নকল্পে পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সব অনুষ্ঠান ধূমপানমুক্ত রাখতে অতীতের মতই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নের্তৃত্বে সচেষ্ট থাকবে বাংলাদেশ পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
প্রতিনিধিদলে আরো উপস্থিত ছিলেন এলাইন্স ফর কো-অপারেশন এন্ড লিগ্যাল এইড বাংলাদেশ (একলাব) এর নির্বাহী পরিচালক তরিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর মুখপাত্র সমস্বর এর নির্বাহী সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সুজন, সিরাক বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক এস এম সৈকত, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারী এবং ন্যাশনাল এডভোকেসী অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
মানুষকে সচেতন করতে হবে।
এবং সর্বাগ্রে সরকারকেই থাকতে হবে।।