নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একশত সিপাহী ঢাল-তলোয়ার লইয়া যে ক্ষমতা না রাখে, অনুতাপের হাত তাহার চেয়ে অধিক ক্ষমতা রাখে।
রাত থেকে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে, কখনো কখনো মাত্রা উঠা নামা করছে কিন্তু থামার কোন সম্ভাবনা নাই। বৃষ্টির রাত্রে ঘুমটা একটু ভাল হয় ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব শীতল শীতল অনুভূতি এসি ফ্যান সব ছাড়াই কম্বল মুড়ি দিয়ে থাকতে হয়।
তবে সমস্যাটা হল সকালে ঘুম থেকে উঠতে কাজের চোদ্দ গোষ্টি উদ্দার করা হয়। মুখ গম্ভির করে বসা থাকা অনেক সময় নিয়ে, তার পর আস্তে আস্তে ফ্রেশ হয়ে অফিসে যাওয়া।
আজকের দিনটাও ঠিক আমার জন্য এমন হল, নাহু নাহু করতে করতে অফিসে জন্য বাসা থেকে বের হলাম। মনটা কিছুতেই বিছানা ছেড়ে উঠতে চাচ্ছে না, কি আর কারার পেটের দায়ে যেতেই হবে।
বিছানা ছেড়ে উঠতে সকাল ৭টা বেজে গেছে, কোন রকম ফ্রেশ হয়ে অফিসের পানে দৌড়। বাসা থেকে বাস ষ্টপ পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়না যে কোন কোম্পানির গাড়িতে করে যাওয়া যায়। প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে যাত্রী ছাওনির নিচেও প্রায় ভিজে যাচ্ছি কোন রকম নিজেকে বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষাকরে বাসের অপেক্ষায় আছি। বাস এল কোন রকম বাসে উঠলাম যাত্রীর তেমন ভিড় নেই যাত্রী ছাউনি থেকে বাসের ছোট্ট একটু গেপেই ভিজে চোচির হয়ে গেছি। বাস থেকে নেমে ট্রেনে উঠলাম, এতক্ষন এয়ারকন্ডিশনের ভিতরে থেকে নিজেকে কিছুটা শুকিয়ে নিয়েছে। কোন রকম মান রক্ষার অফিস করা যাবে।
ট্রেন থেকে নেমেও একই সমস্যা বৃষ্টি হচ্ছে তবে তেমন বেশিনা কিন্তু এই বৃষ্টিতে ভিজে গেলেও অফিসে কাজ করা যাবেনা, মার্কেট থেকে কাপড় কিনে তারপর অফিসে ঢোকতে হবে।
কি করা যায় চিন্তা করছি, অফিসে দেড়িকরে গেলে বস কিছু বলে কিনা? আবার এইভাবে ভিজে অফিস করা যাবেনা। কি করব চিন্তা করছি।
- কি ব্যাপার! এই ভাবে দাড়িয়ে আছেন কেন? অফিসে যাবনে না? ৮টার উপরে বাজে?
পাশে তাকিয়ে দেখি তনি আমার পাশে দাড়িয়ে আছে, সেও কিছুটা ভিজে গেছে তবে ছাতা থাকাই আমার মত কাক ভিজা ভিজেনি।
- না যাব, কিন্তু বৃষ্টির মধ্যে কি করে যাব?
- আপনি ছাতা আনেন নি?
- না! আসলে গতকাল অফিসে ব্যাগ ছাতা সব ফেলে গেছি। তাই ষ্টেশনে দাড়িয়ে বৃষ্টি দেখছি। অনেক ভাল লাগছে বৃষ্টি দেখতে, আসুন দুইজনে একসাথে বৃষ্টি দেখি?
- বৃষ্টি আবার দেখার জিনিস হল?
মেয়েটা বৃষ্টির প্রতি তেমন আকর্ষন নাই, বৃষ্টি দেখার কথা শুনে মেয়েটা ভ্রু কুচকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে যেন জীবনের প্রথম অদ্ভূত কথা শুনছে। আমি মনে মনে ভাবছি, হুমায়ুন স্যার বেচে থাকলে এই মেয়েকে নিয়ে নতুন করে উপন্যাস লিখত হয়ত নাম থাকত '' ভিন্ন গ্রহের মেয়েটি'' ''আজব মেয়েটি'' ''সৌন্দর্য খুজে না পাওয়া মেয়েটি" অন্য নামও হতে পারত হুমায়ুন স্যারের তুলনা শুধুই উনি।
মেয়েটি অদ্ভুত দেখা শেষে কথা শুরু করল -
- এখানে দাড়িয়ে থেকে থেকে বৃষ্টি দেখবেন নাকি অফিসে যাবেন?
- বল্লামত আমার কাছে ছাতা নেই।
- তাতে কি আমার সাথে ত আছে, আসোননা একসাথেই যাই।
- কিন্তু এই ছোট্ট ছাতার নিজে দুই জন যেতে হলে একে অপরকে জড়িয়ে দড়ে রাখতে হবে, নইত দুজনই ভিজে যাব।
- আপনি যাবেন কিনা বলছি, জড়িয়ে দড়ে হাটবেন না ছেড়ে ভিজে ভিজে হাটবেন সেটা একান্তই আপনার ব্যাপার।
- আপনি কিছু মনে করবেন নাত?
- নাহ। কাল ব্যাগ ফেলে গেলেন কেন?
- গতকাল সন্ধা ৬টার সময় বস হটাৎ করে বল্ল শরি একটু কনকর্স যেতে পারবে? (কনকর্স হল আমাদের কোম্পানির বর্তমানে সবচেয়ে বড় একটা প্রজেক্ট ৪২ তলার ২টা টাওয়ার হচ্ছে, লোকেশনটা অনেক সুন্দর। সিঙ্গপুরের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা মেরিনা বে এর পাশে, বিচ রোডে। অনেক ভাল লাগে আমার এই প্রজেক্টে ঘুরতে, কিন্তু এই এপার্টমেন্ট এর দাম শুনলে মাথা তিনবার চক্কর দিয়ে উঠে ২বেড রুমের একটা ফ্ল্যাট নাকি ৪ মিলিয়ন সিঙ্গাপুর ডলার) একটা সমস্যা নাকি হয়েছে একটু দেখে আসত। বসের কথা ফেলার কোন উপায় নেই যেতে না চাইলেও যেতে হবে, কিছুটা মন মরা হয়ে গেলাম, তাই ভুলে ব্যাগ ছাতা কিছুই নেইনি শুধু ফাইলটা হাতে করে নিয়ে গিয়েছিলাম। কাজ শেষ করতে করতে ৭টা পার হয়ে গেছে তাই অফিসে আসা হয়নি সোজা বাসায় চলে গেছি।
- ইচ্ছা করে ফেলে যাননিত আবার, যে সকালে বৃষ্টি থাকলে………………
- থেমে গেলেন কেন?
- না, হইত চিন্তা করেছেন বৃষ্টি থাকলে অফিসে একটু দেড়ি করে যাওয়া যাবে। বসত কিছু বলতে পারবেনা।
- আর ভাবলাম আপনি বলেন কিনা ''সকালে বৃষ্টি থাকলে আমার সাথে এক ছাতার নিচে যাওয়া যাবে"
- হতেও পারে, আপনি যে ভাবে আামর সাথে গল্প করে অফিসে যাওয়ার জন্য সিগন্যাল এ দাড়িয়ে থাকেন, আর এই ব্যাপারটা অতি সামান্য মনে হচ্ছে।
- হতেও পারে, আপনার মত এত সুন্দর একটা মেয়ের পাশে থেকে হাটারও একটা অন্য রকম মজা।
- তাই?
- জ্বি।
- এই বৃষ্টির মধ্যে এই ভাবে দূরে দূরে থাকলে এই ছাতা কাওকেই বাচাতে পারবেনা, এই বলেই সে আমার কাধের উপর হাত রাখল।
মনের ভিতর কেমন যেন একটা করছে কিছুতেই বুঝানো যাচ্ছেনা।কি হচ্ছে কিছুই আমি বুঝতে পারছিনা এবং বুঝতে চেষ্টাও করছিনা, যা হচ্ছে ভালই হচ্ছে তাখলে বুঝার চেষ্টা করে লাভ কি।
- আগামী রবিবার যদি বৃষ্টি থাকে আমি আপনার বাসার পাশে আসব, তখন একসাথে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে বৃষ্টি দেখব। আপনি ভিজবেন আমার সাথে?
কিছুই উত্তর দিতে পারলাম না শুধু চোখের সামনে ভেসে উঠল আমি আর তনি হাতে হাত রেখে হাটছি আর বৃষ্টিতে ভিজছি।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৯
দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
বেশির ভাগটাই বাস্তবে ছিল, কিছু এড করা।
২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২১
কাউসার রানা বলেছেন: ভাল লাগলো। ধন্যবাদ।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৩
দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ পড়ার জন্য
৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বেশ!!!
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৪
দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: আমারও অনেক ভাল লাগল, কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই কমেন্ট করেছে : বেশ!!!
৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: বাহ!
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৪
দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
টুম্পা মনি বলেছেন: ভালো লাগল।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৬
দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভালো লাগল বেশ +++
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৬
দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৫
সেবা করতে চাই বলেছেন: বৃষ্টি আপনার জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল, চলুক বৃষ্টি প্রতিদিন।
তনি আর আপনি একসাথে, আমরা অপেক্ষা আছি আপনাদের আরো কাছে আশার সংবাদের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪১
ডরোথী সুমী বলেছেন: ভাল লেগেছে। তবে বাস্তবে এমন হলে মার খাওয়ার ভয় আছে!