নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারেককে নিয়ে তারবার্তায় যা বলেছিলেন মরিয়ার্টি

১৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

ওয়েবসাইট উইকিলিকস বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কয়েক লাখ গোপন তারবার্তা প্রকাশ করে অনেক আলোচনা-সমালোচনার জš§ দিয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন গোপন খবর ফাঁসের অংশ হিসেবে ২০১১ সালের ৩০ আগস্ট তারেক রহমানকে নিয়েও কিছু তারবার্তার তথ্য ফাঁস করা হয়। একই বছর বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে বিষয়টি ফলাও করে প্রকাশিত হয়। ২০১১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারেও তারেক রহমানকে নিয়ে এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশিত হয়। এখানে উইকিলিকসের ফাঁস করা তথ্য সম্বলিত ওই খবরটি অনুবাদ করে প্রকাশ করা হলো



উইকিলিকসের ফাঁস করা তথ্যে বলা হয়, ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টির ওয়াশিংটনে পাঠানো এক তারবার্তায় তারেক রহমান সম্পর্কে বলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভয়ঙ্কর রাজনীতিক এবং দুর্নীতি ও চুরির মানসিকতাসম্পন্ন সরকারের প্রতীক। তিনি বাংলাদেশে মার্কিন স্বার্থের প্রতি হুমকি। তাই তিনি যাতে কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না পারেন, সেই ব্যবস্থাই করা উচিত।



উইকিলিকসের ফাঁস করা তথ্যে বলা হয় মরিয়ার্টির পাঠানো তারবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছিল, মার্কিন দূতাবাস মনে করে, রাজনৈতিক দুর্নীতির অভিযোগে তারেক যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্যও ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর ব্যক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং বৈদেশিক সহায়তার লক্ষ্যমাত্রার ক্ষতিসাধন করতে পারেন তিনি।



ওয়াশিংটনে পাঠানো গোপন তারবার্তায় রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টি তারেক রহমানের বড় বড় দুর্নীতির কিছু উদাহরণ তুলে ধরেন। একই সঙ্গে তারেক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে সক্ষম হলে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কী কী বিরূপ প্রভাব হতে পারে সেটাও তুলে ধরে নিজের উদ্বেগের কথা জানান মরিয়ার্টি। উইকিলিকস বলেছে, তারেককে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেওয়া না-দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। তারেক লন্ডনেই অবস্থান করছিলেন ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (অবশ্য এখনো তিনি লন্ডনেই আছেন)। এদিকে মরিয়ার্টির এ সুপারিশের ৬ মাস পর ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স গীতা পাসি তারেকের বিষয়ে ওয়াশিংটনে আরেকটি তারবার্তা পাঠান। এতে বলা হয়, প্রেসিডেন্সিয়াল ঘোষণার আওতায় পররাষ্ট্র দপ্তর তারেকের ভিসা বাতিলের বিষয়টি বিবেচনা করছে।



রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টি তার তারবার্তায় লিখেন, তারেক রহমানের দুর্নীতি যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর। তার ভাঁড়ামি সরকারের প্রতি জনগণের আস্থাকে দুর্বল করেছে এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থিতিশীলতায় ক্ষয় ধরিয়েছে। মরিয়ার্টি আরো লিখেন, আইনের শাসনের প্রতি তারেকের তাচ্ছিল্য প্রদর্শনের কুখ্যাতি মার্কিন বৈদেশিক আর্থিক সাহায্যের প্রতি হুমকিস্বরূপ। যে সাহায্য দেওয়া হয় আইন সংস্কার, সুশাসন জোরদার করা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য।



মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরো লিখেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলের ঘুষ ও অর্থ আÍসাৎ এবং দুর্নীতি কেলেঙ্কারি বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সরাসরি ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করেছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে।



মরিয়ার্টির গোপন তারবার্তায় আরো বলা হয়, তার (তারেকের) কোটি কোটি ডলারের সরকারি অর্থ চুরি এই মডারেট মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ব্যাহত করেছে। যা দেশটিতে একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক সরকার শক্তিশালী করার মার্কিন উদ্যোগগুলোকেও দুর্বল করেছে। তা ছাড়া তারেকের যথেষ্ট দুর্নীতি মার্কিন মিশনের লক্ষ্যমাত্রার প্রতিও ভয়াবহ হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছিল।



তারবার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের তিনটি মূল অগ্রাধিকার কর্মসূচি রয়েছে। এগুলো হচ্ছেÑ গণতন্ত্রায়ন, উন্নয়ন ও বাংলাদেশের আকাশ সন্ত্রাসবাদীদের ব্যবহার করতে না দেওয়া। কিন্তু তারেকের দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ড এ তিনটি কর্মসূচিকেই ব্যাহত করেছে।



রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টি লিখেন, তার (তারেকের) অর্থ আÍসাৎ, চাঁদাবাজি এবং বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ আইনের শাসন ব্যাহত করেছে এবং তা গণতান্ত্রিক স্থিতিশীল বাংলাদেশ গঠনের মার্কিন লক্ষ্যমাত্রায় হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। এছাড়া তারেক যে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসা ও ঘুষের সংস্কৃতি তৈরি করেছেন তা বহুল প্রত্যাশিত বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার মার্কিন উদ্যোগকে থমকে দিয়েছে। আর এটা মার্কিন কোম্পানিগুলোর আন্তর্জাতিক তৎপরতাকেও জটিল করে তুলেছে।



তারবার্তায় আরো বলা হয়, আইনের শাসনের প্রতি তারেকের তাচ্ছিল্য বাংলাদেশের মাটিতে জেঁকে বসতে সন্ত্রাসবাদীদের উৎসাহ জুগিয়েছে। এটা দেশটিতে দারিদ্র্য বৃদ্ধি এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করেছে। মরিয়ার্টি লিখেন, সংক্ষেপে বাংলাদেশে যা কিছু খারাপ তার সব দায় তারেক ও তার সহচরদের।



মরিয়ার্টি সুপারিশ করেন, তারেককে প্রেসিডেন্সিয়াল ঘোষণা ৭৭৫০-এর বিষয়বস্তু করা হোক। এই ধারা বলে উল্লেখিত কারণে যুক্তরাষ্ট্রে যে কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ করা যায়। তবে তারবার্তায় বলা হয়, তারেকের স্ত্রী জোবায়দা রহমান, তাদের কন্যা জাইমা রহমান এবং তারেকের মা খালেদা জিয়ার জন্য দূতাবাস প্রেসিডেন্সিয়াল ঘোষণাটি প্রযোজ্য করার সুপারিশ করছে না।



তারেক রহমানকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দুষ্টু এবং ভয়ঙ্কর পুত্র অভিহিত করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিখেন, ২০০৭ সালে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে তারেক গ্রেপ্তার হন। পরের বছর ৩ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর তিনি চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান।



তারবার্তায় বলা হয়, সরকারি ক্রয় এবং রাজনৈতিক নিয়োগের ক্ষেত্রে তারেক প্রায়ই ঘুষ চাইতেন। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, ঘুষ কেলেঙ্কারি, অর্থ আÍসাৎ ও কর ফাঁকি অনেক মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও তারেক মুক্তি পেয়েছেন। মরিয়ার্টি লিখেন, সর্বোচ্চ আদালতের সঙ্গে গভীর আঁতাতের মাধ্যমে তারেক বিচার প্রক্রিয়ায় কারসাজি করতে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার তার জামিন আটকানোর যে চেষ্টা করেছিল তাকে জয় করতে সক্ষম হন।



বার্তায় বলা হয়, ‘আমরা বিশ্বাস করি তারেকের বেশ কয়েকটি পাসপোর্ট আছেÑ যুক্তরাজ্য যে পাসপোর্টে তাকে ভিসা দিয়েছে সেটিসহ। আরেকটি পাসপোর্ট ছিল ৫ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি বি-১/বি-২। যা ২০০৫ সালের ১১ মে ইস্যু করা হয়। আমাদের মনে হয় সেই পাসপোর্ট সরকার জব্দ করেছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি ডলার অর্জনের দায়ে গুরুতর অভিযোগ এনেছে। তার বিরুদ্ধে কয়েকটি চাঁদাবাজির মামলাও রয়েছে। যেগুলো বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে।



এ পর্যায়ে তারবার্তায় রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টি মার্কিন কোম্পানি সিমেন্সের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণসহ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কয়েকটি মামলার সংক্ষিপ্ত সার তুলে ধরেন। প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে সিমেন্স মামলার বিবরণে মরিয়ার্টি বলেন, ওই প্রত্যক্ষদর্শী তারেক ও তার ভাই কোকোর কাছে সিমেন্সের কাছ থেকে নেওয়া ঘুষ পৌঁছে দেন। সিমেন্সের চুক্তির কাজের মোট অর্থ থেকে প্রায় ২ শতাংশ ঘুষ নেন তারেক। যা মার্কিন ডলারে পরিশোধ করা হয়। মামলাটি এখন মার্কিন বিচার বিভাগ এবং এফবিআইও দেখভাল করছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরাত দিয়ে তারবার্তায় মরিয়ার্টি আরো লিখেন, এসব ঘুষ ও চাঁদাবাজির বাইরেও তারেক ব্যাপক অর্থ তছরুপে জড়িত ছিলেন। কয়েকজন সহচরের মাধ্যমে তিনি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ফান্ডের ৩ লাখ ডলার আÍসাৎ করেছেন। দুদকের বরাতে মরিয়ার্টি আরো বলেন, তারেক ছিলেন ওই তহবিলের সহ-স্বাক্ষরদাতা। ওই ফান্ডের অর্থ দিয়ে তিনি নিজ শহরে একটি জমি কিনেছেন। এছাড়া ওই তহবিলের অর্থ তিনি ২০০৬ সালের নির্বাচনি প্রচারণায় বিএনপির সদস্যদের মধ্যেও বিলি করেছেন। হাওয়া ভবনে ‘ছায়া সরকার’ চালাতেন তারেক রহমান : বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের মধ্যে ছিল আরেক ‘ছায়া সরকার’। এ সরকার চালাতেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন দল ও জোটের উচ্চপর্যায়ের বেশ কয়েক নেতা। ২০০৫ সালের ১১ মে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো হ্যারি কে টমাসের পাঠানো এক তারবার্তায় এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সম্পাদনা : তারেক

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
জিম মরিয়ার্টি ;) ;) ;) ;) ;) ;)

শার্লোক হোমস কই ----

তালপাতার সেপাহী - নামটাকে না পচানো ভালো - ভাই একটা অনুরোধ নতুন নাম নিয়ে রাজনীতির ফালতু প্যাচাল পারেন !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.