নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য রাজপথের আন্দোলনে আনা যাচ্ছে না জামায়েতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মীদের। আত্মরক্ষার জন্য আত্মগোপনের পথ বেছে নিয়েছে তারা। এ জন্য রবিবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল দিয়েও পিটটান দিয়ে প্রত্যাহার করে নিয়েছে ছাত্র শিবির। হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের মাত্র দশ মিনিটের অভিযানে শাপলা চত্বর থেকে সরিয়ে দেয়ার পর ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মীরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে গিয়ে পুলিশ হত্যা, আক্রমণ, গাড়িতে আগুন, ভাংচুর, ককটেল-বোমা হামলা, নাশকতা ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টির ঘটনায় হাজার হাজার জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মী মামলা-মোকদ্দমায় ফেঁসে যাওয়ায় তাদের মনোবল ভেঙ্গে গেছে। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
রবিবারের সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়ে প্রত্যাহার করে নেয়ার মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে তারা হরতালের ডাক দিয়েছিল রাজশাহী ও কুমিল্লায়। রাজশাহী ও কুমিল্লায় দেয়া হরতালের ডাকে সাড়া পায়নি তারা। ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মীরা আগের মতো জঙ্গী রূপে মাঠে না নামায় তাদের হরতাল সুপার ফ্লপ হয়েছে। রাজশাহী ও কুমিল্লায় তাদের হরতাল সফল না হওয়ার পরও রবিবার তারা সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল দিয়েও প্রত্যাহার করে নিয়ে আত্মরক্ষার পথ বেছে নিয়েছে।
শনিবার রাতে ইসলামী ছাত্র শিবিরের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ৩০ জুন রবিবারের হরতাল স্থগিত করা হয়েছে। তবে দাবি আদায় না হলে ৩ জুলাই থেকে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচী পালন করা হবে। আগের দিন শুক্রবার ইসলামী ছাত্র শিবিরের জেনারেল সেক্রেটারি আবদুল জাব্বার এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, সভাপতিসহ কেন্দ্রীয় ও জাতীয় নেতাদের মুক্তি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের আদালতে হাজির করা না করার প্রতিবাদে শনিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ হবে। দাবি আদায় না হলে ৩০ জুন রবিবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করা হবে। ছাত্র শিবিরের জেনারেল সেক্রেটারি দাবি করেন, শিবির সভাপতিকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে। একইভাবে মিথ্যা মামলায় জাতীয় নেতৃবৃন্দকে দীর্ঘদিন আটকে রেখে কারাগারে নির্যাতন চলছে। ছাত্রশিবির নেতাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে অপহরণ করিয়ে নিয়মানুযায়ী আদালতে হাজির না করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে চরম নির্যাতন করা হচ্ছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, জামায়েতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে। মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না তারা। এ জন্যই ছাত্র শিবির রবিবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়ে পরক্ষণেই পিটটান দিয়ে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ছাত্র শিবির যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে গিয়ে নিজেরাই ফেঁসে গেছে। পুলিশ হত্যা, পুলিশের ওপর আক্রমণ, পুলিশের গাড়িতে আগুন, ভাংচুর, ককটেল- বোমা তৈরি ও বিস্ফোরণ ঘটানো, নাশকতা ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির ঘটনায় এখন মামলা-মোকদ্দমার আসামি হয়ে রাজপথে আনা যাচ্ছে না তাদের। আত্মরক্ষার জন্য আত্মগোপনের পথ বেছে নিয়েছে শিবিরের নেতা-কর্মীরা।
সূত্র জানান, হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের গত মে মাসে শাপলা চত্বর থেকে মাত্র দশ মিনিটের অভিযান চালিয়ে হটিয়ে দেয়ার পর থেকে ছাত্র শিবিরে হতাশা নেমে এসেছে। পক্ষান্তরে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে জামায়াতÑশিবির ও হেফাজতে ইসলামের সহিংসতা দমনে আস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ছাত্র শিবির হরতালের ডাক দিয়ে মাঠে নামছে না, নয়তো প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। হরতালের ডাক দিয়ে মাঠে নেমে সহিংস ঘটনা ঘটানোর আগেই পুলিশের তাড়া খেতে হচ্ছে।
সূত্র জানান, যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষাবলম্বন করতে গিয়ে জামায়াতের তিন নেতা জামায়েতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ ও ঢাকা মহানগর কমিটির সহকারী সেক্রেটারি মোঃ সেলিম উদ্দিনকে শাস্তি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল আদালত অবমাননার দায়ে জামায়েতের তিন নেতাকে শাস্তি দেয়ার পরও বড় ধরনের কোন আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি জামায়াতÑশিবির। এ জন্যও শিবিরের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে।
যুদ্ধাপরাধীর মামলায় জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম, বর্তমান আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সিনিয়র নায়েবে আমির একেএম ইউসুফ, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, এটিএম আজাহার, আবদুল কাদের মোল্লা, মীর কাশেম আলীসহ প্রথম সারির সকল নেতাই আটক, বিচারাধীন, দন্ডাদেশপ্রাপ্ত ও ফাঁসির আসামি। যুদ্ধাপরাধী এসব নেতার পাশে দাঁড়াতে গিয়ে ছাত্র সংগঠনটি বিগত বছরগুলোতে সহিংস আন্দোলন গড়ে তুলে হাজার হাজার নেতা-কর্মী মামলার আসামি হয়েছে। এতে দলটির নেতা-কর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। নেতা-কর্মীদের আত্মগোপনে চলে যাওয়ার কারণে দলটির মেরুদন্ড ভেঙ্গে গেছে। নাকি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ থাকায় তরুণ প্রজন্মও তাদের পছন্দ করছে না? সুত্র
২| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৫৬
আতা2010 বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধা মানেই ধোয়া তুলসী পাতা নয় ! তাদেরও আছে লোভ আর ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা।
Click This Link
৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:১৬
সাহসী আমি বলেছেন: যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ থাকায় তরুণ প্রজন্মও তাদের পছন্দ করছে না
সহমত ...
৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪
নিষ্কর্মা বলেছেন: রিপোর্টের দুর্বল দিক হল গোয়েন্দা রিপোর্টের উদ্ধৃতি। এই গোয়েন্দারাই কয়েকদিন আগে বলেছিল যে শিবির বড় হামলা করবে, তাই শক্তি সঞ্চয় করছে। জনকণ্ঠ তাদের জন্য সুবিধাজনক অংশটুকুই ব্যবহার করেছে শুধু!
৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১১
মোহাম্মদ সোহেল হাসান বলেছেন: ভাই যেদিন হরতাল হওইয়ার কথা আগের দিন বিক্ষোভ মিছিলের ছবিগুলো তাদের পেজ এ গিয়ে দেখেন । মখার ভাষায় কথা বলে কি লাভ ?
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৩৪
তালপাতারসেপাই বলেছেন: যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ থাকায় তরুণ প্রজন্মও তাদের পছন্দ করছে না