নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপিতে বিদ্রোহের আশঙ্কায় তারেক

০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে শঙ্কিত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলের মধ্যে এখনও মাইনাস ফর্মুলা কাজ করছে, এমনটি আঁচ করতে পেরে তিনি বেশ কয়েক নেতার ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। যুক্তরাজ্য বিএনপির এক নেতা এসব তথ্য জানিয়ে বলেছেন, তারেক রহমান দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে চরম উত্কণ্ঠায় সময় কাটাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে তার দেশে ফিরে যাওয়া জরুরি হলেও মাথার ওপর ঝুলে থাকা মামলাগুলোই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যুক্তরাজ্য বিএনপির এক নেতার মতে, দলের প্রথম সারির অন্তত ছয়জন নেতা রয়েছেন, যারা আওয়ামী লীগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করলে তাতে যোগ দেওয়ার জন্য তৈরি হয়ে আছেন। সম্প্রতি লন্ডন সফরে আসা বিএনপির দুয়েক শীর্ষ নেতাও এ তালিকায় আছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া যারা আছেন তাদের একটি তালিকা তারেক রহমানের হাতে রয়েছে। ফলে সম্প্রতি লন্ডনে আসা নেতাদের সতর্কও করেছেন তারেক রহমান। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হবে কি না, তা নিয়ে তারেক রহমান শঙ্কিত। কারণ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করে রাখায় তার মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এটা বিএনপির নেতাকর্মীরা স্বীকার করেন। অন্যদিকে সাদেক হোসেন খোকা মেয়র থাকাকালে ঢাকা সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে দলের বাইরের মানুষের বেশি অংশগ্রহণকেও বাঁকা চোখে দেখা হচ্ছে। এভাবে বিভিন্ন কমিটিতে পদ পাওয়াকে কেন্দ্র করে দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করেছে। তাছাড়া তারেক রহমান সক্রিয় রাজনীতিতে আসার পর দলের যেসব জ্যেষ্ঠ নেতা তাকে মেনে নিতে পারেননি, তারা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন বলে জানা গেছে। সব কিছু মিলিয়ে তারেক রহমান স্বস্তিতে নেই। নির্বাচনের আগে তিনি দলকে কীভাবে গোছাবেন এবং কীভাবে দল থেকে আগাছা পরিষ্কার করবেন তা নিয়ে ভাবছেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির ওই নেতা। তিনি আরও বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল বরাবরই চরমে থাকে। কিন্তু নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই একে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন তারেক রহমান। তিনি আপাতত দেশে যেতে না পারলেও দল গোছানোর কাজটি লন্ডনে বসেই শুরু করেছেন। ফলে তিনি দল ও দেশবাসীর সমর্থন আদায় করতে সম্প্রতি এক ইফতার পার্টিতে দেশের উন্নয়নে কী কী করণীয়, এর বর্ণনা করতে গিয়ে মূলত নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। এটি তার রাজনীতিতে প্রবেশের প্রাথমিক কৌশলের অনুকরণ বলে মনে করছেন দলের নেতাকর্মীরা। তার উন্নয়ন কৌশলের বিভিন্ন দিকের সঙ্গে ‘গতানুগতিক নিয়ম থেকে সরে গিয়ে সরকার পরিচালনা’ করার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে বেশি। সরকার পরিচালনার আধুনিক নিয়ম কী হবে তা তিনি বলে না দিলেও তার পুরো বক্তব্যে সে আভাস পাওয়া গেছে। ফলে এ নিয়ে দলের সিনিয়র নেতারা সন্তুষ্ট নন বলে জানা গেছে। কারণ তার বর্ণিত কৌশলে দেশের উন্নয়নের কথা থাকলেও কোথাও সিনিয়র নেতাদের স্বার্থ রক্ষার ইঙ্গিত নেই। তারেক রহমানের উন্নয়ন পরিকল্পনায় তরুণদের অংশগ্রহণেরই ইঙ্গিত রয়েছে। তিনি আগের মতোই তরুণদের নিজের অনুকূলে রাখতে চান। ফলে এ নিয়েও ক্ষুব্ধ বিএনপির প্রবীণ নেতারা। তারা হিসাব বোঝে গনেশ উল্টে দিতে পারেন বলে মনে করছেন তারেক রহমানের লন্ডনের পরামর্শকরা। অন্যদিকে তারেক রহমান দীর্ঘ সময় লন্ডনে অবস্থান করায় যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে একরকম দলীয় সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এ মুহূর্তে এদের নিয়ে রাজনীতির মাঠে থাকা ছাড়া তার অন্য কোনো উপায়ও নেই। আর এর সুযোগ গ্রহণ করে যুক্তরাজ্য বিএনপির অনেক নেতা আগামী নির্বাচনে সিলেটের বিভিন্ন আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন। তারা ইতোমধ্যে নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে প্রচার-প্রচারণাও শুরু করেছেন। এতে করে যারা এখন সিলেটের ওইসব এলাকায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ।

জানা গেছে, প্রয়োজনে তারেক রহমান যুক্তরাজ্যের বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যবহার করলেও জাতীয় নির্বাচনে কাউকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার কথা ভাবছেন না। এ কথা জানাজানি হওয়ার পর যুক্তরাজ্য বিএনপিতে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। আগামী নির্বাচনে যার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বৃহত্তর সিলেটের বেশির ভাগ আসনে।

নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে দল নিয়ে অস্থির সময় কাটাচ্ছেন। দূর থেকে দেশে দলীয় সঙ্কট সমাধানের চেষ্টা করছেন। তবে তিনি অনেকটাই বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছেন।

- See more at: Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.