নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামায়াতী ব্লগারদের, হাইকোর্টের রায় নিয়ে ধর্মীয় উন্মত্ততা সৃষ্টির চেষ্টা!

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

আবার পিঠ বাঁচাতে অপপ্রচার আর বিকৃত তথ্য ছড়ানোর অপকৌশল নিয়েছে দলগতভাবে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াত নামের ক্রিমিনাল সংগঠনটি। নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার পর থেকেই এবার উচ্চ আদালতের ঐতিহাসিক এ রায়কে বির্তকিত করে মিথ্যা ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির মাধ্যমে ফায়দা লুটতে অপব্যাখ্যায় নেমেছে জামায়াত-শিবির চক্র। আর এ কাজে ব্যবহার করছে তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ ও ব্যক্তিকে। রায় নিয়ে উদ্ভট, বিকৃত এমনকি ঔদ্ধত্যপূর্ণ তথ্য অনলাইনে ছড়াচ্ছে জামায়াতিরা। বাঁশের কেল্লা থেকে শুরু করে জামায়াত-শিবিরের সকল প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফেসবুক, ইউটিউব, ব্লগ, টুইটারসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিরামহীন মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে। রায় নিয়ে মিথ্য তথ্য ছড়িয়ে সাধারণ মুসল্লিদের উস্কানি দিতে প্রচার চালানো হচ্ছে-এ রায় কেবল জামায়াত নয়, ইসলাম ও ইসলামী রাজনীতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তবে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতিদের সকল অপতৎপরতার বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের পক্ষে থাকা সকল ইসলামী দল, আলেম, ওলামা, পীর-মাশায়েকরা। তাঁরা অবিলম্বে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত রায় দেয়ার পর থেকেই জামায়াত-শিবিরের মদতপুষ্ট কিছু অনলাইন নিউজ এজেন্সি, ফেসবুক ও টুইটারে রায়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে। সেখানে বলা হচ্ছে, নিবন্ধন বাতিল করে জামায়াত নয় এ দেশ থেকে ইসলামকে নির্মূল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। আর এটাকে বিশ্বাসযোগ্য করতে আদালতে জামায়াতের বিরুদ্ধে রিটকারী হিসেবে ইসলামী দল ও সংগঠনের নাম উল্লেখ না করে প্রচার করা হচ্ছে, ‘রিট করেছিল আওয়ামী লীগ, কোথাও কোথাও প্রচার চালানো হয়েছে, রিট করেছিল মহাজোট।’ আদালতকে সরাসরি কটাক্ষ করে এসব পেজে লেখা হচ্ছে, এটা আ’লীগের রায়। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে এ রায় মানতে পারে না। এতে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করার আইনী দিকগুলোর ব্যাখ্যা না দিয়ে ইসলামের সঙ্গে স্পর্শকাতর কিছু বিষয় সামনে আনতে চাইছে তারা। ঢাকা মহানগর জামায়াতের ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, সরকার জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে মূলত ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আর শিবিরের বাঁশের কেল্লায় লেখা হয়েছে, হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে, সে রায় জামায়াতের বিরুদ্ধে নয় বরং স্বয়ং আল্লাহর বিরুদ্ধে। কেননা ‘আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস’ জামায়াতের গঠনতন্ত্রে থাকার কারণে সরকারের তাবেদার হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে।’ বাঁশের কেল্লা আরও লিখেছে, জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করার কয়েকটি কারণের মধ্যে দুইটি কারণ হচ্ছে, জামায়াতের সংবিধানে আছে সকল ক্ষমতার উৎস একমাত্র আল্লাহর কিন্তু বাংলাদেশে সংবিধানে আছে সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ। প্রশ্ন জুড়ে দিয়ে বলেছে, একজন ঈমানদার মুসলিম হিসেবে আপনিই বলুন, সকল ক্ষমতার উৎস কে? আল্লাহ নাকি জনগণ? যদি আল্লাহ হয় তাহলে আপনার নাগরিকত্ব সনদ অবৈধ। কারণ এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক! আর যদি বলেন জনগণ, তাহলে বলার কিছু নেই! তবে ভেবে দেখতে বলব, আপনি মুসলিম কিনা বা আপনার ঈমান ঠিক আছে কিনা? যদি কেউ আদালতের রায়ের সঙ্গে একমত পোষণ করেন তাহলে তার ঈমান ও মুসলমানিত্ব নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়! যা সরাসরি আদালতে রায়ের প্রতি অবমাননা। জামায়াতের ঘরোয়া আরেকটি ফেসবুক পেজ ‘বখতিয়ারের ঘোড়া’ সরাসরি আদালতকে কটাক্ষ করে লিখেছে, জামায়াতের বিরুদ্ধে আদালতের রায় কি শুধু দলটির বিরুদ্ধে? এই রায় আল্লাহর বিরুদ্ধে। কালেমায় বিশ্বাস স্থাপন করা প্রতিটি মুসলমানের বিরুদ্ধে। আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করে যদি দলটি নির্বাচনে অবৈধ হয় তাহলে আপনি আমি তো একজন মুসলমান হিসেবে সেই একই আস্থা ও বিশ্বাসে এই দেশের নাগরিক নই এবং ভোট দেয়ার জন্য অবৈধ। এই সংবিধান কিসের, যে সংবিধানে মানুষের ধর্মীয় অধিকার নেই, জনগণের চাওয়া পাওয়ার তোয়াক্কা নাই।

এদিকে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতিদের সকল অপতৎপরতার বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের পক্ষে থাকা সকল ইসলামী দল, আলেম ওলামা মাশায়েকসহ ইসলামী চিন্তাবিদরা। বলেছেন, এই জামায়াতিরা একাত্তরে ধর্মের নামে গণহত্যা করেছে। ধর্মকে বিকৃত করে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। এদের চেহারা পরিবর্তন হয় না। কারণ এরা ইসলাম নয় বরং মওদুদীবাদের হয়ে কাজ করে। ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগার ঈমাম ও খতিব বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলছিলেন, জামায়াতিরা জন্মের পর থেকে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করছে। এরা সব সময় অপপ্রচার করেই ফায়দা লুটতে চায়। এবারও তাই করছে। তিনি আরও বলেন, একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলই শেষ কথা নয়। একে নিষিদ্ধ করতে হবে। দেশ ও ইসলামের পবিত্রতা রক্ষা করতে হলে। জামায়াত ইসলামের শত্রু, ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী। একে নিষিদ্ধ করতেই হবে। আদালতে জামায়াতের বিরুদ্ধে রিটের বাদীপক্ষ বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব লায়ন এমএ আইয়াল জামায়াতিদের অপতৎপরতা সম্পর্কে বলেন, এই দল জন্মের পর থেকে একই অপকর্ম করেছে। পিঠ বাঁচানোর বৃথা চেষ্টা করছে রায় থেকে শুরু করে প্রতিকূলে যাওয়া সকল বিষয় নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে। তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মুসল্লিরা যানেন আদালতে জামায়াতের বিরুদ্ধে দেশের সত্যিকারের মুসলিম সংগঠনই লড়াই করেছে। তিনি আরও বলেন, যুদ্ধাপরাধী ইসলাম বিকৃতকারী মানবতাবিরোধী সন্ত্রাসী জামায়াতে ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এ দেশের জনগণের প্রাণের দাবি। ইসলাম বিকৃতকারী জামায়াত এ দেশের সহজ সরল মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মুক্তিকামী মানুষ হত্যা, নারী ধর্ষণ, গণহত্যা, লুটপাট জ্বালাও পোড়াও সহ এমন কোন অপকর্ম নেই যা করেনি। এখন যখন তাদের মানবতাবিরোধী অপকর্মের বিচার চলছে তখনও তারা পূর্বের ন্যায় হত্যা, গুপ্ত হত্যা, জ্বালাও পোড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পুলিশ হত্যার মাধ্যমে দেশে একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। এ সকল অপকর্মের অর্থের যোগানদাতা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। আদালতে রিটকারী বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোটের সভাপতি হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান বলেন, জামায়াত কোন ইসলামী দল নয়। এদের নিবন্ধনই কেবল নয়, এদের নিষিদ্ধ হওয়ার দাবি নিয়ে আমরা আদালতে যাব। রায়ের পর থেকেই এরা মিথ্যা তথ্য ছাড়াচ্ছে। এতে লাভ হবে না ওদের। আদালতে রিটকারী আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরও নজরে এসেছে জামায়াতিদের অপপ্রচারের পাঁয়তারার বিষয়টি। সংগঠনের সভাপতি হুমায়ূন কবীর বলেন, এরা সব সময় অপপ্রচার চালিয়ে ফায়দা লুটতে চায়। এবার তাদের শেষ রক্ষা হবে না।

তরিকত ফেডারেশনের সংবাদ সম্মেলন আগামীকাল : রায়ের পর প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের আহূত সংবাদ সম্মেলনের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। আগামীকাল রবিবার বিকেল ৩টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ঘোষণা অনুসারে আজ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করার কথা ছিল।

Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.