নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামাতের ধর্ম ধর্মের নামে অধর্ম

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩



ধর্মের নাম ব্যবহার করে এ দেশে যে অরাজকতা সৃষ্টি করছে জামাত তা কেউ মেনে নিতে পারে না। জামাতের অপকর্মের জন্য দেশের প্রতিটি বিবেকবান মানুষ তাদের ধিক্কার জানায়। আমরা যদি জামাতে ইসলামীর সঙ্গে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ইসলামের তুলনা করি তাহলে দেখতে পাই এদের মাঝে প্রকৃত ইসলামের শিক্ষার কিছু পাবো না। প্রকৃত ইসলাম আর জামাতের ইসলাম সম্পূর্ণ ভিন্ন। শুধু লম্বা জুব্বা-জামা, পাগড়ি আর দাড়ির মধ্যেই কি ইসলাম? জামাতে ইসলামীদের হয়তো এমনই ধারণা। হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জামাতের আদর্শের ফলে ইসলাম বিজয় লাভ করেছিল আর আজ এই জামাতীদের আদর্শে মানুষ ধর্মান্ধ ও জঙ্গি হয়। ইসলাম কখনো রগ কেটে, হত্যা করে, অপরের মাল লুট করে আর মারামারি করে প্রসার লাভ করেনি। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে ধর্মে বলপ্রয়োগ নেই। ইসলামের শিক্ষা ধর্মে জবরদস্তি নেই, মুসলমান যেন অমুসলমানদের ওপরে ইসলাম গ্রহণ করার জন্য বলপ্রয়োগ না করে। তাছাড়া এরূপ বলপ্রয়োগ করার প্রয়োজনীয়তাও নেই। ইসলাম সূর্যের ন্যায় “েীপ্যমান সত্য। আর ইসলামের শিক্ষা সকল ধর্মের শিক্ষা থেকে অনেক উন্নততর। বলপূর্বক মুসলমান বানানো ইসলামী ‘জিহাদে’র উদ্দেশ্যও তখন ছিল না আর সে যুগে বলপূর্বক কাউকে মুসলমান করাও হয়নি, কোনো যুদ্ধবন্দীকেও না।



ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, হিজরতের পূর্বে মক্কাবাসীরা মুসলমানদের তরবারির ভয় না থাকা সত্ত্বেও মুসলমানদের উন্নত আদর্শের ফলে ইসলাম গ্রহণ করেছে। সে সময়কার ইতিহাসের আর একটি বিস্ময়কর দিক হচ্ছে, যুদ্ধ বিগ্রহ চলাকালীন যতো লোক ইসলামের তবলিগ শুনেছে এবং মুসলমান হয়েছে তারচেয়ে বহু বহু গুণ বেশি লোক ইসলাম গ্রহণ করেছে শান্তির সময়ে। ইসলাম কখনো তরবারির দ্বারা প্রসার লাভ করেনি। ইসলাম প্রসার লাভ করেছে রাসূল করিম (সা.)-এর উত্তম আদর্শ ও ক্ষমার দৃষ্টান্তের মাধ্যমে। মুহাম্মদ (সা.) তরবারি দিয়ে মানব হৃদয়ের পাপ কালিমা সাফ করেছেন। তরবারির দ্বারা মানুষের ম-ু কেটে দূরে ফেলা গেলেও মানুষের হৃদয় থেকে পাপ ও কালিমা দূর করা যায় না? তরবারি দ্বারা মানুষের হৃদয় পবিত্র করা যায়, এমন আপত্তিকর অসত্য কথা কেবল যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামীরাই বলতে পারে। প্রকৃতপক্ষে ইসলাম বিজয় লাভ করেছিল সৃষ্টির সর্ব শ্রেষ্ঠ নবী, হজরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সা.)-এর শিক্ষা অনুপম সৌন্দর্যের গুণে আর অতুলনীয় চারিত্রিক মাধুর্যের বলে। তরবারি বা অস্ত্রের বলে নয়। এমন মহান নবীর আদর্শের সঙ্গে রগকাটা দলের তুলনা শুনতে বড়ই কষ্ট হয়।



জামাতে ইসলামী আজ ধর্মের নাম নিয়ে করছে অধর্ম আর দোহাই দিচ্ছে ধর্মের। ধর্মের কথা বলে সহজ-সরল লোকদের করছে বিপথগামী। কোনো ধর্মেই নৈরাজ্যের শিক্ষা দেয় না। আর ইসলাম শান্তির ধর্ম। বাংলাদেশ থেকে সকল প্রকার জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে হলে প্রথমে জামাত শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং ধর্মের নামে যে রাজনীতি করা হচ্ছে তা বন্ধ করতে হবে। যদি ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ হয় তাহলেই সম্ভব বাংলাদেশ থেকে সকল প্রকার জঙ্গিবাদ নির্মূল করা। বাংলাদেশে ধর্মের নামে রাজনীতির প্রধান হচ্ছে জামাতে ইসলামী আর এরা নিজেদের যতোই একটি পৃথক রাজনৈতিক দল বলুক প্রকৃতপক্ষে তারা মাওলানা মওদুদীর রাজনৈতিক দর্শনেই বিশ্বাসী। এ ছাড়াও বাংলাদেশে আরো কয়েক ডজন ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দল রয়েছে তবে এরা সবাই জামাতে ইসলামেরই সৃষ্ট। সময় বুঝে নাম পরিবর্তন করে।



এ কথা জামাতের এ দেশীয় নেতা গোলাম আযম ও প্রয়াত আব্বাস আলী খান সাহেবের বক্তব্য থেকেও জানা যায়। ২০০৮ সালের অক্টোবর মাসে জামাতে ইসলামী পাকিস্তানের ছাত্র ফ্রন্টের মুখপত্র মাসিক ‘হাম কাদাম’ পত্রিকায় জামাতে ইসলামী বাংলাদেশের সাবেক আমির গোলাম আযমের একটি সাক্ষাৎকার সংক্ষিপ্ত আকারে ছাপা হয়। এতে গোলাম আযম নিজের মুখে বলেছেন : ‘বাংলাদেশের জামাতে ইসলামীও মাওলানা মওদুদীর রাজনৈতিক দর্শন (চড়ষরঃরপধষ ঃযড়ঁমযঃং) অবলম্বন করেছে।’ [ মাসিক হাম কাদাম, লাহোর, অক্টোবর ২০০৮ সংখ্যা, পৃ-৮] জামাতে ইসলামী ইসলামের নাম ভাঙিয়ে রাজনীতি করলেও এদের মাঝে ইসলামের সার বা মূল শিক্ষা নেই। পবিত্র ইসলাম ধর্মের শিক্ষা হলো : ‘তোমরা প্রতিমা পূজার অপবিত্রতা পরিহার কর আর তোমরা মিথ্যা বলাও পরিহার কর (সূরা হজ্জ:৩০)। কিন্তু এ বিষয়ে জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা গুরু মাওলানা মওদুদীর বক্তব্য হচ্ছে : ‘বাস্তব জীবনে এমন কিছু চাহিদা রয়েছে যেগুলোর খাতিরে মিথ্যা বলা কেবল জায়েজই নয় বরং ওয়াজেব’ (মাসিক তরজুমানুল কুরআন, ৫০তম খ-, ২য় সংখ্যা, শাবান ১৩৭৭ হি. পৃষ্ঠা নম্বর : ১১৮) এরপর তিনি তার বক্তব্যের সমর্থনে পবিত্র হাদিসের মনগড়া এবং বিকৃত অর্থ করতেও দ্বিধা করেননি। যে রাজনৈতিক দল ইসলামের মতো সত্য ও সুন্দর ধর্মের নামে মিথ্যাচারের শিক্ষা দেয় তার কাছে নৈতিকতা ও সততার কিইবা আশা করা যায়?



জামাতে ইসলামী রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের নাম রেখেছে জিহাদ। আর এই উদ্দেশ্য সাধনের জন্য এ দলটি বলপ্রয়োগ করার শিক্ষা দেয়। ‘হাকিকাতে জিহাদ’ পুস্তিকায় মওদুদী এ কথা বার বার লিখেছেন। এই পুস্তিকার একস্থলে তিনি বলেছেন : ‘যে ব্যক্তি সত্যিই খোদার পৃথিবী থেকে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা দূর করতে চায়, যে ব্যক্তি মানবজাতির সংশোধন চায়, তার পক্ষে কেবল মৌখিক উপদেশদাতা ও শুধু বাহ্যিক শুভাকাঙ্খীর ভূমিকা পালন করা অর্থহীন। তার রুখে দাঁড়ানো উচিত এবং ভুল নীতির রাষ্ট্র-ব্যবস্থা নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে আর দুষ্কর্মকারীদের কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে সঠিক নীতি ও পদ্ধতির রাষ্ট্র-ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা উচিত।’ (মওদুদী রচিত হাকিকাতে জেহাদ, পৃষ্ঠা-১১)। তিনি আবার বলেছেন : ‘যে দেশেই তোমরা সরকারী ক্ষমতা লাভ কর, সেখানেই মানুষের সংশোধন কল্পে সোচ্চার হও, ভুল রাষ্ট্রনীতিসমূহকে শুদ্ধ করতে চেষ্টা কর। খোদা-ভীতিশূন্য আর লাগামহীন মানুষদের হাত থেকে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা ও আনুগত্য লাভের অবস্থান কেড়ে নাও।’ (মওদুদী রচিত ‘হাকিকাতে জেহাদ’ পৃষ্ঠা-১৫)।



এক পর্যায়ে একই পুস্তিকার আরেক স্থলে মওদুদী তার নিজ দলের পরিচয় নিজেই এভাবে তুলে ধরেছেন : ‘এটা ধর্ম প্রচারকারী উপদেষ্টা বা সুসংবা“াতাদের জামায়াত নয় বরং এটি হচ্ছে খোদার সেনাদলৃ তাই এই পার্টির জন্য রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা ছাড়া কোনো গত্যন্ত নেই’ [প্রাগুক্ত পৃ: ৫৫] অথচ পবিত্র ইসলাম ধর্মের নামে কোনো ধরনের উৎপীড়ন ও বল প্রয়োগের অনুমতি দেয় না। তাই ইসলামের নামে এই ফ্যাসিস্ট দর্শনের ধারক ও বাহকদের এ দেশের পবিত্র মাটিতে তাদের অন্যায় কর্মকা- পরিচালনার অনুমতি দেয়া যায় না।



আমরা চাই, বর্তমান সরকার দ্রুত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শেষ করে তার বাস্তবায়ন করা এবং আগামী নির্বাচনে যেন তারা অংশ নিতে না পারে সেই ব্যবস্থাও করা। আর এ দাবি আজ প্রত্যেকটি সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের দাবি। ধর্মের দোহাই দিয়ে অধর্ম যাদের পেশা তারা যেন এ দেশে আর কখনো ধর্মের কথা না বলতে পারে এটাই হোক পুরো জাতির অঙ্গীকার।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ত সত্যবাদী ভাই
এতে গোলাম আযম নিজের মুখে বলেছেন : ‘বাংলাদেশের জামাতে ইসলামীও মাওলানা মওদুদীর রাজনৈতিক দর্শন (চড়ষরঃরপধষ ঃযড়ঁমযঃং) অবলম্বন করেছে।’ [ মাসিক হাম কাদাম, লাহোর, অক্টোবর ২০০৮ সংখ্যা, পৃ-৮] জামাতে ইসলামী ইসলামের নাম ভাঙিয়ে রাজনীতি করলেও এদের মাঝে ইসলামের সার বা মূল শিক্ষা নেই। পবিত্র ইসলাম ধর্মের শিক্ষা হলো : ‘তোমরা প্রতিমা পূজার অপবিত্রতা পরিহার কর আর তোমরা মিথ্যা বলাও পরিহার কর (সূরা হজ্জ:৩০)। কিন্তু এ বিষয়ে জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা গুরু মাওলানা মওদুদীর বক্তব্য হচ্ছে : ‘বাস্তব জীবনে এমন কিছু চাহিদা রয়েছে যেগুলোর খাতিরে মিথ্যা বলা কেবল জায়েজই নয় বরং ওয়াজেব’ (মাসিক তরজুমানুল কুরআন, ৫০তম খ-, ২য় সংখ্যা, শাবান ১৩৭৭ হি. পৃষ্ঠা নম্বর : ১১৮) এরপর তিনি তার বক্তব্যের সমর্থনে পবিত্র হাদিসের মনগড়া এবং বিকৃত অর্থ করতেও দ্বিধা করেননি। যে রাজনৈতিক দল ইসলামের মতো সত্য ও সুন্দর ধর্মের নামে মিথ্যাচারের শিক্ষা দেয় তার কাছে নৈতিকতা ও সততার কিইবা আশা করা যায়?
.............. কারোর আদর্শ কি হবে ঐটা তার ব্যাপার। ব্যাক্তি খারাপ হলে দেশ সমাজের প্রচলিত ধারায় তার বিচার হবে।
আমি বা আপনি যারা ধর্মের নাম শুনলে আমাদের লেজ কাটা যায় এই কি ঠিক! যারা যেমন তেমন ই থাকবে। বিচার বিচারের গতিতে চলবে। যারা বিচারক তারা কি একটা মিথ্যা বলেন না । যদি তারা মিথ্যা পরিহার করেন তাইলে হয়। প্রতিটি দলে মিথ্যা বলার প্রতিযোগিতা চলছে কে কার থেকে মিথ্যায় আগায়া যাবে নাইলে আগামীতে ভোটের বক্স খালি যাবে।

২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

রাহুল বলেছেন: ধর্মের দোহাই দিয়ে অধর্ম যাদের পেশা তারা যেন এ দেশে আর কখনো ধর্মের কথা না বলতে পারে এটাই হোক পুরো জাতির অঙ্গীকার

৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

ডাক্তার আমি বলেছেন: আমরা চাই, বর্তমান সরকার দ্রুত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শেষ করে তার বাস্তবায়ন করা এবং আগামী নির্বাচনে যেন তারা অংশ নিতে না পারে সেই ব্যবস্থাও করা। আর এ দাবি আজ প্রত্যেকটি সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের দাবি।



সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.