নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘জামায়াত-শিবিরকে ছাড়া বিএনপি এক ঘন্টাও রাজপথে টিকবে না।’ - শিবিরের নেতা

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪১



প্রধান বিরোধী দল বিএনপির হাইকমান্ডের অতিশয় জামায়াতপ্রীতিতে ক্ষুব্ধ বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের অনেক নেতা। বিশেষ করে অনেক ছাত্রদল নেতাই এ ব্যাপারটিকে কোনোভাবেই সমর্থন দিতে পারছেন না। কিন্তু দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার ভয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতেও পারছেন না তারা। খুলনার জনসভায় অংশ নেয়া বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতার সঙ্গে কথা বলে এমনটিই জানা যায়।



তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চলমান রোডমার্চের অংশ হিসেবে খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে জনসভার আয়োজন করে বিএনপি। ১৮ দলীয় জোটের সাম্প্রতিক অন্যান্য জনসভার মতোই এই জনসভাতেও ব্যাপক শোডাউন দেয় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত দল জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির। তাদের বহন করা ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুনগুলোতে শোভা পায় মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত হওয়া জামায়াত নেতাদের মুক্তির দাবি।



সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে মঞ্চের সামনের জায়গাটি দখল করে নেয় শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এ নিয়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটিও হয়। এমনকি শিবিরের উদ্দেশে মঞ্চ থেকেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন জনসভার সঞ্চালক খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু এমপি। সমাবেশস্থলে মঞ্চের সামনের বেষ্টনি থেকে শিবিরের নেতা-কর্মীদের বারবার সরে যাওয়ার কথা বললেও তারা তা মানছিল না।



এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে তর্জনী উঠিয়ে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘এই শিবির, এই শিবির মঞ্চের কাছ থেকে সরে দাঁড়াও। তোমাদের বারবার বলার পরেও কথা শুনছ না কেন? কেউ বেড়ার উপর উঠবে না। বেড়ার উপর থেকে নেমে দাঁড়াও, এখনি নেমে দাঁড়াও।’



সমাবেশস্থল ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ৮০ ভাগ জায়গাই দখল করে আছে জামায়াত ও শিবিরের নেতা-কর্মীরা। প্রায় সবাই মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত নেতাদের মুক্তির দাবিতে ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড বহন করছেন। বেশ কয়েকটি বড় আকারের গ্যাস বেলুনও দেখা যায়। সেগুলোতে ছিল দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, গোলাম আজম, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদসহ আরও বেশ কয়েকজন জামায়াত নেতার ছবি।



সমাবেশ শুরু হয় খুলনা মহানগর শিবিরের সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফরাজির বক্তৃতা দিয়ে। এছাড়াও বক্তব্য দেন দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদী। তারা উভয়েই মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াত নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি চান।



এদিকে সমাবেশের শুরুতে গান গাইতে উঠে শিবিরের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন জাসাস এর সদস্য ও বিএনপি কর্মী সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন। তিনি বলেন, ‘শিবিরের প্ল্যাকার্ডগুলো খুবই ভালো হয়েছে, তাদের ধন্যবাদ।’



বেবী নাজনীনের এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মঞ্চে উপবিষ্ট অনেক বিএনপি নেতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতা বিবার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘নতুন রাজনীতিতে এসে এ ধরনের উল্টাপাল্টা কথা বলে অনেকেই দলের ক্ষতি করছেন। এমন বিশাল একটা জনসমাবেশে শিবিরের পক্ষে এ ধরনের কথা বললে দলের ইমেজ নষ্ট হয়।’



স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সাবেক এক ছাত্রদল নেতা এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘ইদানিং ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশে এসে বোঝা যায় না কাদের সমাবেশে এসেছি, জামায়াতের নাকি বিএনপির। জামায়াতে ইসলামী বিএনপিকে ধীরে ধীরে গ্রাস করে ফেলছে। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই বিএনপি জামায়াতের মাঝে বিলীন হয়ে যাবে।’



জনসভায় আগত খুলনা বিএনপির অনেক কর্মী-সমর্থকের সঙ্গে কথা বলেও একই অভিমত জানা যায়। কেন্দ্রের অতিশয় জামায়াতপ্রীতিতে সকলেই নাখোশ। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে খুলনা মহানগর ছাত্রদলের এক নেতা বিবার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘গত একমাস ধরে এই জনসভাকে সফল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি আমরা। অথচ আজ আমরা স্টেজ এর আশেপাশে ঘেষতে পারলাম না শিবিরের কারণে। এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিন পর ছাত্রদল করার মত লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না।’



এ ব্যাপারে শিবিরের এক দায়িত্বশীল নেতা বলেন, ‘রাজপথে এখন জামায়াত আর শিবিরই রাজনীতি করছে। আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপি বা ছাত্রদলের কাউকেই পাওয়া যায় না। আজকের সমাবেশের বেশিরভাগ লোকই আমাদের আনা। তাই মঞ্চের আশেপাশে আমরা থাকব এটাই স্বাভাবিক।’



তিনি আরো বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরকে ছাড়া বিএনপি এক ঘন্টাও রাজপথে টিকবে না।’
সত্র

পুরো মাঠ ঘিরে দেখা যায় ১৮ দলের সমাবেশ হলেও মাঠের ৮০ শতাংশ জায়গা ছিল জামায়াত শিবিরের দখলে।এদের হাতে ছিল যুদ্ধাপরাধীদের অভিযুক্ত-দের মুক্তি দেয়ার দাবিতে প্ল্যাকার্ড।

এ সময় মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম-কে উত্তেজিত কন্ঠে বলতে শোনা যায়, ‘জামায়াত শিবির হয়ে গেছে বিএনপি’র গলার কাঁটা যা বিএনপি না পারছে গিলতে না পারছে বের করতে’।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩০

নিহন বলেছেন: hmmm sibir chara age bnp raj pothe chilotona.....chagoder chgalami r kotto....

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫

তিক্তভাষী বলেছেন: কথায় যুক্তি আছে। জামাত-শিবির আর আওয়ামী লীগ উভয়দলেরই রাজপথে তান্ডব সৃষ্টির কুযোগ্যতা আছে। একদলের আছে রগকাটা প্রযুক্তি আর অন্যদলের আছে লগি-বৈঠা। এরা মূলতঃ একই রাজনীতি করে। দখল, সন্ত্রাস, জনমনে ভীতি তৈরী এদুদলের ট্রেডমার্ক।

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: আ. লীগ এবং বিএনপি দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু একটি দল জামাতকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করছে আর অপর দল কোন কারণ ছাড়াই জামাত নির্ভর হয়ে পড়ছে। কোন দলের কাজকেই ভাল বলার উপায় নেই। কিন্তু দ্বিতীয় দলটির জামাত নির্ভরতা দেশের জন্য ভাল কিছু বয়ে আনবে না।

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০

দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: বি এন পি এর ভেতরে লুকিয়ে থাকা ছুপা ছাগুদের গদাম দেওয়াই ব্লগের ছাগু লিডার আমার বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট করে ব্লগ আউট করতে চাচ্ছে । যারা সত্যিকারের বি এন পি করে তারা কোনদিনও জামাতকে মন থেকে মেনে নিবেনা।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.