নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেফাজতের মুনাফেকিঃ বিএনপির সঙ্গে 'ভোট বেইমানি'

২৭ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:২৫

৭ উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। ৫টিতে জিতেছে আওয়ামী লীগ আর ২টিতে জামায়াত।



ফটিকছড়িতে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে প্যানেল করে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী দেয় ইসলামী ঐক্যজোটের ব্যানারে হেফাজত। ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে জামায়াতকে বাদ দিয়ে হেফাজতকে একত্র করে বিএনপির এ প্যানেলটি তৈরি করে দেন বিএনপির উত্তর জেলা সভাপতি গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। সেই হেফাজতই বিএনপির সঙ্গে চরম 'ভোট বেইমানি' করেছে বলে জানিয়েছে দলটির নেতা-কর্মীরা। বিএনপি এ জন্য কৈফিয়ত তলব করবে। গত রবিবার অনুষ্ঠিত ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রাপ্ত ভোট তালিকা থেকে দেখা যায়, হেফাজত অধ্যুষিত এলাকায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভোট ভাগাভাগি করেছে হেফাজত। কেন্দ্র দখল করে ভোট 'লুটের' কাজও করেছে মিলেমিশে।

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পূর্ণ প্যানেলে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়। আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তৌহিদুল আলম বাবু ৮৯ হাজার ২৪০ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। তাঁর নিকটতম বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সরওয়ার আলমগীর পান ৩৩ হাজার ২৬৮ ভোট। এ ছাড়া জামায়াতের মাওলানা হাবীব আহমদ ১৩ হাজার ৩৭১ ভোট, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ছালাউদ্দিন পান তিন হাজার ৯৫৫ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের উত্তম কুমার মহাজন (৭৭ হাজার ৫২৩ ভোট)। একই পদে হেফাজতের আবু তালেব ৩৫ হাজার ৫৪৩ ভোট, জামায়াতের আলমগীর মো. ইউনুচ ২১ হাজার ৮৬৫ ভোট পান। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের জেবুন নাহার মুক্তার ৮৭ হাজার ৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। বিএনপির তামান্না হাসনাত ২৫ হাজার ১০৯ ভোট ও জামায়াতের সাজিয়া সোলতানা রাজা ১৬ হাজার ৫৫৮ ভোট পান।

ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরীর বাড়ির পাশে এবং নায়েবে আমির মাওলানা মুহিবুল্লাহর দৌলতপুর বাবুনগর মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভাইস চেয়ারম্যান পদে হেফাজতের প্রার্থী আবু তালেব এক হাজার ৪২৯ ভোট পেয়েছেন, বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সরওয়ার আলমগীর পেয়েছেন মাত্র ১১২ ভোট। আওয়ামী লীগের তৌহিদুল আলম বাবু পেয়েছেন এক হাজার ৫৫৯ ভোট। কেন্দ্রের মহিলা ভোটগুলো পেয়েছেন জামায়াতের সাজিয়া সোলতানা রাজা (এক হাজার ৫৯)। এ কেন্দ্রের তিন হাজার ৬৯১ ভোটারের মধ্যে এক হাজার ৯১০ জন ভোট দেন। জাফতনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আবু তালেব পেয়েছেন এক হাজার ৪১৬ ভোট, সরওয়ার আলমগীর পেয়েছেন ১২৬ ভোট, তৌহিদুল আলম বাবু পেয়েছেন এক হাজার ৩৬৬ ভোট। উত্তর ধর্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আবু তালেব পেয়েছেন ৭৬৬ ভোট, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী পেয়েছেন ২৩২ ভোট, আর আওয়ামী লীগের তৌহিদুল আলম বাবু পেয়েছেন এক হাজার ৮০৪ ভোট। হেফাজত অধ্যুষিত ভূজপুরের ৫০টি কেন্দ্রে একই ঘটনা ঘটেছে। এখানে আওয়ামী লীগ-হেফাজত ঐক্য হয়েছে।

উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, 'তারা ইসলামী ঐক্যজোটের নামে নির্বাচন করে। মাওলানা সেলিম ও মাওলানা মুজিবুল্লাহ মিলে এ প্যানেলটি তৈরি করে দিয়েছে। তারা কেন বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তার কৈফিয়ত চাওয়া হবে। আমি নির্বাচনের রেজাল্ট শিট সংগ্রহ করতে বলেছি। দেখে সিদ্ধান্ত নেব।' সুত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.