নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
পৃথিবীতে কেউই অপরিহার্য নয়। কোন চরিত্রহীন লোক যদি কোন মহান উদ্যোগের থেকে দূরে থাকে তাহলে সেটা ঐ উদ্যোগের জন্য মঙ্গলময়। প্রবাদ আছে, দুর্জন বিদ্যান হইলেও পরিত্যাজ্য।
আর আমি বলি, সুজনও অর্ধশিক্ষিত হইলে আরও বেশি পরিত্যাজ্য। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে কাজ করা, লেখালেখি করা, তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করার বহু লোক আছে। দুর্নীতিবাজ, দুশ্চরিত্র, লম্পট, ভ্রষ্ট মানুষ যত এই ধরনের কাজ থেকে দূরে থাকবে ততই মঙ্গল।
আইনের ধারাবাহিকতা বলবৎকরণ আদেশ ১৯৭১
মুজিবনগর, বাংলাদেশ, ১০ এপ্রিল ১৯৭১, শনিবার ১২ চৈত্র ১৩৭৭
আমি বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রপতি এবং অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল তারিখে এ আদেশ জারি করছি যে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে যে সকল আইন চালু ছিল, তা ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একইভাবে চালু থাকবে, তবে প্রয়োজনীয় সংশোধনী সার্বভৌম স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের জন্য করা যাবে। এই রাষ্ট্র গঠন বাংলাদেশের জনসাধারণের ইচ্ছায় হয়েছে। এক্ষণে, সকল সরকারি, সামরিক, বেসামরিক, বিচার বিভাগীয় এবং কূটনৈতিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী যারা বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করেছেন, তারা এতদিন পর্যন্ত নিয়োগবিধির আওতায় যে শর্তে কাজে বহাল ছিলেন, সেই একই শর্তে তারা চাকুরিতে বহাল থাকবেন। বাংলাদেশের সীমানায় অবস্থিত সকল জেলা জজ এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং সকল কূটনৈতিক প্রতিনিধি যারা অন্যত্র অবস্থান করছেন, তারা সকল সরকারি কর্মচারীকে স্ব স্ব এলাকায় আনুগত্যের শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করবেন।
এই আদেশ ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকর করা হয়েছে বলে গণ্য করতে হবে।
স্বাক্ষর:- সৈয়দ নজরুল ইসলাম
রাষ্ট্রপতি (অস্থায়ী) এবং উপ-রাষ্ট্রপতি
এটা সেই অর্ডার যা রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থা থেকে প্রধানমন্ত্রী শাসিত সংসদীয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছিলো। সেই সাথে রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি বৈধতা দেন ১০ এপ্রিলের সেই ঘোষনাপত্র এবং সকল সরকারি কার্যক্রমকে যা মুজিবনগর সরকার করেছিলো। যার মানে দাড়ায় ২৬ মার্চ থেকেই বাংলাদেশে সংবিধান ছিলো।
'একটি জাতির জন্ম' শিরোনামে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তাঁর নিজের লিখা নিবন্ধে (যেটা সাপ্তাহিক বিচিত্রায় প্রকাশিত হয়েছিল) বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে স্বাধীনতার 'গ্রিন সিগন্যাল' হিসেবে দাবী করেছেন। প্রামাণ্য এই দলিলখানিও সবার সমীপে শেয়ার করছি।
অনেকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতীক তারেকের পিতৃ পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আমি তীব্র ভাষায় এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তারেক জিয়া অন্য কারো সন্তান নন। কেননা একমাত্র জিয়াউর রহমানের পক্ষেই সম্ভব তারেকের মতো কুলাঙ্গার সন্তান জন্ম দেওয়া।
তারেক রহমান বলেছে "কারণ, এই ৪০০ টাকার মেজর, ২০০ টাকার ক্যাপ্টেন, ১০০ টাকার সিপাহি, ৫০ টাকার কৃষক কিংবা লুঙ্গি পরা গামছা পরা স্বাধীনতাকামী মানুষগুলোই কখনো একবেলা অথবা আধাবেলা খেয়ে না খেয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো। আওয়ামী লীগ নেতাদের মতো নিরাপদে কলকাতা পাড়ি জমালে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।"
প্রশ্ন হলো, আওয়ামী লীগ নেতারা যদি তারেকের ভাষ্য মতে কলকাতায় পালিয়ে যেয়ে থাকেন তাহলে এই টাকাগুলো দেশে থাকা মুক্তিযোদ্ধারা কোন সরকারের কাছ থেকে পেতো বা নিতো? আর ভারতে যাওয়া লোকদের যদি নিরাপদে কলকাতা পাড়ি জমানো বলা হয় তবে ১ কোটি রিফুজি কি? মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই কি তারেকের মূল উদ্দেশ্য নয়?
বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী ছিলেন, তার তো ট্রাভেল পাস থাকার কথা না। তিনি তো লন্ডনে এসাইল্যামে ছিলেন না। যারা এসাইল্যামে থাকে তাদের ট্রাভেল পাস থাকে যেমন পলাতক আসামী তারেকের আছে। ট্রাভেল পাস না নিয়ে কেন পাকিস্তানের পাসপোর্টে দেশে এসেছে সেই প্রশ্ন তারেকের।
তারেকে কাছে পাল্টা প্রশ্ন তোমার দাদার বাড়ি নানার বাড়ির দলিলগুলো পড়ে দেখেছো? ঐগুলো বাংলাদেশি না পাকিস্তানি? তোমার জন্ম কোথায়? করাচী বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে?
পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হবার পর প্রথম টাকা ছাপানো হয় ১৯৭২ সনের ৪ঠা মার্চ এর আগে বাংলাদেশে পাকিস্তান ও ভারতের রুপি চলতো। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও সেসব নোটই চলেছে। মুজিবনগর সরকারের কর্মচারীরা ভারতের মুদ্রায় তাদের বেতন নিতেন। সে হিসেবে তারেকের পিতাও পেমেন্ট পেতো ভারতের রুপিতে। বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়া পাকিস্তানি মুদ্রা মুজিবনগর সরকার ভারত হয়ে কাবুলে পাঠাতো এবং সেখান থেকে তা ভারতীয় মুদ্রায় বদল করা হতো। মুজিবনগর সরকার অবৈধ হলে এই সকল প্রক্রিয়াই অবৈধ। সেই সাথে এর অর্থ দাড়াবে মুজিবনগর সরকারের অধীনে করা জিয়ার মুক্তিযুদ্ধ অবৈধ, তার বেতন নেয়া অবৈধ, বীর উত্তম খেতাব নেয়া অবৈধ।
অবৈধ বাপের সন্তান তারেক তাহলে আর কি কি অবৈধ ঘোষনা করবে?
হা হা ডেইলি স্টার হাওয়া ভবনের যুবরাজরে ধুইয়া ফেলছে
The constitutional provision for the election of a prime minister in the Westminster model of parliamentary democracy is crystal clear. The leader of the majority party in parliament is elected prime minister.
BNP Senior Vice-chairman Tarique Rahman, who has been living for more than five years now in the UK, the birthplace of the Westminster style of parliamentary democracy, is supposed to have gained some knowledge of how a prime minister is elected in countries following this system.
His latest remarks terming Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman an illegal prime minister in newly independent Bangladesh, however, have proved that he has learnt nothing. Otherwise, he could not make such a ridiculous claim within two weeks of his ludicrous invention that it was none but his father Gen Ziaur Rahman who was the first president of Bangladesh.
His comment on Bangabandhu's premiership is tantamount to a rejection of the historic facts regarding the formation of Bangladesh's first provisional government in April 1971 that waged the Liberation War. The remark has also undermined the people's mandate and authority of the then elected representatives and distorted the constitutional history of Bangladesh.
Representatives elected to the national and provincial assemblies between December 7, 1970 and January 17, 1971 formed the Constituent Assembly and constituted the Mujibnagar government by issuing the Proclamation of Independence in April 1971.
Click This Link
তারেকের বুদ্ধিটা খারাপ না। লক্ষ্য করে দেখেন, আওয়ামী লীগের সব নেতারা সমস্বরে বলছে তারেকের মাথা নষ্ট, তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে। কাল যখন কোর্ট তাকে ২০০৪ সালের, ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলের নেত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র এবং সেই সাথে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের হত্যা ও অনেককে জীবনের তরে পঙ্গু করে দেয়ার দায়ে সাজা শুনাবে তখন তার আইনজীবি বলবে তারেক পাগল, আর এর সাক্ষ্য দিচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতারা।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১২
তালপাতারসেপাই বলেছেন: মামলা এরাতে নুরের মত কানাডায় থাকতে চায় হয়তো!
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৯
ফিলিংস বলেছেন: বি এন পি আন্দোলন জমাতে পারছেনা, তাবলে কি মাঠ ফাকা রাখা যায়,
তাই তারেক এখন মাঠ গরম করছে।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৮
তালপাতারসেপাই বলেছেন: লুল
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:২৮
হতাশ নািবক বলেছেন: @লেখক বলেছে:"তারেকের বুদ্ধিটা খারাপ না। লক্ষ্য করে দেখেন, আওয়ামী লীগের সব নেতারা সমস্বরে বলছে তারেকের মাথা নষ্ট, তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে। কাল যখন কোর্ট তাকে ২০০৪ সালের, ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলের নেত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র এবং সেই সাথে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের হত্যা ও অনেককে জীবনের তরে পঙ্গু করে দেয়ার দায়ে সাজা শুনাবে তখন তার আইনজীবি বলবে তারেক পাগল, আর এর সাক্ষ্য দিচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতারা।"
বিষয় টা তো ভাববার মত(?)