নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফের সহিংসতার ছক জামাত-শিবিরের

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫৭



দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রায় সাড়ে তিন মাসেরও বেশি সময় ঘাপটি মেরে থেকে ফের ‘গ-গোল’ পাকাতে মাঠে নামছে জামাত-শিবির। যুদ্ধাপরাধের দায়ে কারাবন্দী দলের আমির মতিউর রহমান নিজামী ও নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় ঘোষণাকে সামনে রেখে নতুন করে ‘সহিংস আন্দোলনের’ প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী এই চক্রটি। এবার আন্দোলনের নামে সম্পূর্ণ নতুন কৌশলে সহিংসতা সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে সারা দেশে সক্রিয় হচ্ছে দলটির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তাদের তা-ব কতোটা ভয়াবহ হবেÑ সে আশঙ্কায় জামাত অধ্যুষিত জেলাগুলোর সাধারণ মানুষ আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

জামাতের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, নতুন এই সহিংস আন্দোলনকে যে কোনো মূল্যে সফল করতে দলটির ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির এরই মধ্যে তৃণমূল পর্যায়ে অনেকগুলো ‘অ্যাকশন কমিটি’ গঠন করেছে। প্রতিটি কমিটির পেছনে রয়েছেন একজন করে সংগঠক ও পৃষ্ঠপোষক। সূত্র জানায়, আমির মতিউর রহমান নিজামী ও নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের সম্ভাব্য রায়ের প্রতিবাদ জানাতে খুব শিগগির সাতক্ষীরা, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, বাগেরহাট, গাইবান্ধা, বগুড়া ও চট্টগ্রামের সীতাকু-সহ জামাত অধ্যুষিত দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাঠে নামবে দলটির সশস্ত্র ক্যাডাররা।

এরই মধ্যে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ বিন সাঈদী প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে ‘অন্যায় রায়ের’ প্রতিবাদে সারা দেশের মানুষকে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামাতের মজলিসে শুরার এক সদস্য ভোরের কাগজকে বলেন, অন্যায়ভাবে যদি মওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঙ্গদী ও মতিউর রহমান নিজামীকে সাজা দেয়া হয় তবে তা দেশের মানুষ ভালোভাবে নেবে না। মানুষ তার প্রতিবাদ জানাবেই। রায় পক্ষে না এলে কী ধরনের কর্মসূচি দেবে জামাত এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত ছাড়া বলা যাবে না। তবে সরকারের আর কোনো অন্যায় জামাত নেতাকর্মীসহ দেশের মানুষ মেনে নেবে না। মানুষ এখন সরকারের অত্যাচার থেকে

বাঁচতে চায়। তাই সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ করা হবে।

জামাতের কয়েকটি জেলার নেতারা জানান, আমাদের দলের বিভিন্ন কমিটির সদস্যরা প্রায়ই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হচ্ছেন। তাই ‘অ্যাকশন কমিটি’ গঠনের ক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হচ্ছে। আমরা আমাদের ‘অ্যাকশন কমিটি’তে এমন ব্যক্তিদের সদস্য করছি যারা আর কোনো কমিটিতে এর আগে ছিলেন না বা নেই।

সূত্র জানায়, দিনাজপুর জেলার পাঁচটি উপজেলায় অ্যাকশন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিগুলোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন জেলা জামাতের শীর্ষ নেতারা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকার জন্য জামাত-শিবির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, সিরাত মাহফিল এবং পাঠচক্রের নামে একত্রিত হয়ে তারপর আন্দোলনের জন্য কর্মীদের প্রস্তুত করছেন। পুলিশি ঝামেলা এড়াতে জেলার স্বল্প পরিচিত এলাকাগুলোতে আন্দোলন করার পরিকল্পনা করছে জামাত। সাঈদীর জনসমর্থন আরো জোরদার করার উদ্দেশে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ব্যাপক প্রচারণাও চালাচ্ছে দলটি। দলের সক্রিয় নেতাকর্মীরা সাঈদীর রেকর্ড করা ধর্মীয় প্রচারণার বিভিন্ন অডিও ও ভিডিও ক্যাসেট শোনাচ্ছেন ও দেখাচ্ছেন ওই অঞ্চলগুলোর জনসাধারণকে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টও জামাত নেতা সাঈদীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদ-ের রায় বহাল রাখলে দলের তৃণমূলকে সংগঠিত হয়ে সাংঘর্ষিক আন্দোলন করার নির্দেশনা এরই মধ্যে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন জামাতের নীতিনির্ধারকরা।

এ বিষয়ে জামাতের ঢাকা মহানগরীর একজন সহকারী সেক্রেটারি বলেন, সরকার বাধ্য না করলে জামাত কেন রাজপথে নামবে? তিনি বলেন, সরকারের যদি শুভবুদ্ধির উদয় হয় তবে মওলানা সাঙ্গদীসহ জামাত নেতাদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে সাজা দেবে না। আর যদি রাজপথ আবারো উত্তপ্ত করতে চায় তবে অন্যায়ভাবে জামাত নেতাদের সাজা দেবে। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, মিথ্যা মামলায় জামাত নেতাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ। কোনোভাবেই অন্যায় মেনে নেবে না দেশের জনগণ।

মুক্তিযুদ্ধকালীন সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- কার্যকর করার আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। সাঈদীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের দেয়া এই মৃত্যুদ-াদেশের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা, বগুড়া, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁওসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নজিরবিহীন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায় জামাত-শিবির। ওই একটি দিনেই দেশের ১৫টি জেলায় জামাত-শিবিরের দাঙ্গায় চার জন পুলিশ সদস্যসহ ৩৩ জন মানুষ নিহত হয়েছিলেন। জামাত অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো সংশ্লিষ্ট এলাকার জনসাধারণকে নানাভাবে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছে। সংঘর্ষ ও নাশকতাসহ জামাত-শিবিরের যে কোনো ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে এলাকাগুলোর সাধারণ মানুষকে আশ্বাস দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কিন্তু তারপরেও আশ্বস্ত হতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোর সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। আতংক ও উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন তারা।

এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা জানান, জামাত-শিবিরের এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকা- মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে শৃৃঙ্খলা বাহিনীগুলো। স্পর্শকাতর এলাকাগুলোর ক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ভোরের কাগজকে বলেন, জামাত একটি ক্রিমিনাল দল। তাদের নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী। তারা যদি সাধারণ মানুষের জান-মালের ক্ষতি করে বা চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটায়; তাহলে তাদের এ ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকা- ঠেকাতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছে। এ জন্য যা যা করার সবই করা হবে।

উল্লেখ্য, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলার আপিল আবেদনের রায় যে কোনোদিন দিতে পারেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়াও আরেক যুদ্ধাপরাধী ও জামাতের অন্যতম শীর্ষ নেতা নিজামীর মামলার রায় এখনো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১-এ আটকে আছে। গত ২৪ মার্চ দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে রায়টি অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন ট্রাইব্যুনাল।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১৩

করিম বস বলেছেন: সব ছাগু কুত্তা গুলো কে দেশ থেকে জুতা পিটা করে বাহির করা হওক

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫

ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: তাও ভাল যে বলেন নাই ওরা লাড়া-চাড়া দেওয়ার জন্য "লাড় চাড়া কমিটি" গঠন করতেছে।
=p~ =p~ :-<

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.