নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
জামায়াত-শিবির কি দেশজুড়ে আবারও তাণ্ডব চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। গতকালের যুগান্তরে এ মর্মে খবর রয়েছে যে, মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের বিচারে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের রায়কে সামনে রেখে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ দলটির অন্যান্য নেতার আপিলের চূড়ান্ত রায় প্রক্রিয়াধীন হয়ে রয়েছে। যে কোনো দিন এদের একজনের রায় প্রদান করা হতে পারে। জামায়াত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রায়ের আগে ও পরে তারা রাজপথে পুরোমাত্রায় সক্রিয় থাকবে। হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দেয়ার পাশাপাশি এ সময়ে ঝটিকা মিছিল, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, এমনকি চোরাগোপ্তা হামলার মতো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডও চালাবে তারা।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর দেশে এক ধরনের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। অন্যতম বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও এবং নির্বাচনের আগে সহিংস আন্দোলন করলেও নির্বাচনের পর তারা এমন কোনো কর্মসূচি দেয়নি, যা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। জামায়াত-শিবিরের ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য। কিন্তু জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের প্রকাশিতব্য রায়কে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবির যে ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাতে শংকিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। জামায়াতের এক নেতা বলেছেন, সরকার তাদের সক্রিয় রাজনীতি করতে দিচ্ছে না। এমনকি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেও বাধা দিচ্ছে। এমন অবস্থায় শক্তি প্রদর্শনই তাদের শেষ ভরসা। সময়মতো তারা রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বরিশালসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে সর্বোচ্চ শক্তি প্রদর্শন করবেন। জামায়াত নেতার এ বক্তব্য যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে বলতেই হবে, দেশ আবার ৫ জানুয়ারির পূর্বাবস্থায় ফিরে যাবে।
জামায়াত-শিবিরের নাশকতার সঙ্গে আমরা পরিচিত। সংবিধান, আইন-আদালত ইত্যাদির প্রতি তাদের ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ নেই। ক্ষমতা লাভের আশায় হেন কোনো কাজ নেই, যা তারা করতে পারে না। এক সময় শিবিরের রগ কাটার অপসংস্কৃতি বহুল আলোচিত বিষয় ছিল দেশে। রগ কাটার সেই ধারা পরবর্তী সময়ে বহুমাত্রিক রূপ ধারণ করেছে। বলা বাহুল্য, তাদের বহুমাত্রিক নাশকতা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য হুমকিস্বরূপ। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, দেশের অন্যতম বৃহৎ গণতান্ত্রিক দল বিএনপিও জামায়াতের সঙ্গে জোট বাঁধায় এদের নাশকতার বিরুদ্ধে অবস্থান না নিয়ে বরং তাদের প্রশ্রয়ই দিয়ে থাকে। এ ধরনের রাজনৈতিক কৌশল দলের জন্য তো নয়ই, দেশ ও জাতির জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর, সন্দেহ নেই। জামায়াত-শিবির তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশিতব্য রায়কে কেন্দ্র করে নাশকতার যে প্রস্তুতি নিচ্ছে, সে সম্পর্কে সরকারকে এখনই সচেতন হতে হবে। বাড়াতে হবে গোয়েন্দা তৎপরতা। দেশ এমনিতেই অপহরণ-গুম-খুনের মতো ভয়ানক ব্যাধিতে আক্রান্ত। এ অবস্থায় জামায়াত-শিবিরের নাশকতা সরকার, এমনকি রাষ্ট্রকে আরও দুর্বল করবে। আমরা চাই, দেশ সব ধরনের সামাজিক ব্যাধিমুক্ত থাকুক। অন্যান্য শর্তের মধ্যে সরকারের সদিচ্ছা এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সুত্র
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:১১
নিষ্কর্মা বলেছেন: জামাত যদি এইবারে গুম-অপহরন ইস্যুকে তাদের মূল ইস্যু করে ফেলে, তাহলে কিন্তু সরকারের খবর আছে।