নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতির পিতাকে অবমাননা করা থেকে বিরত থাকুন

০৫ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৮:২৮





খালেদা জিয়া তার প্রতিটি বক্তৃতায় বর্তমান সরকারের প্রতি বিশোদগার করার পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা-উত্তর সরকারের ও পরোক্ষ ভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিষোদগার করেন। বঙ্গবন্ধুর সরকার স্বাধীনতা উত্তরকালে একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন, কোটি কোটি লোকের ঘরবাড়ি নির্মাণ করতে হয়েছে, দেশের সমস্ত বাজার, বন্দর, খাদ্যের গুদাম পাকিস্তানী সৈন্যরা স্থান ত্যাগের প্রক্কালে জালিয়ে-পুড়িয়ে ছাই বানিয়ে দিয়ে ছিল, বঙ্গবন্ধু বিদেশ হতে তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেশের মানুষের জন্য খাদ্য ও অন্যান্য পণ্য এনে দেশের লোককে খাইয়ে বাঁচিয়ে ছিলেন। দেশের সমস্ত ব্রিজ, কালভার্ট, রাস্তা-ঘাট সম্পূর্ণ পাকিস্তানীরা ধ্বংস করে দিয়ে ছিল। বঙ্গবন্ধু নিজে প্রভাব খাটিয়ে বিদেশ থেকে আর্থিক সহায়তা এনে ঐ সমস্ত ব্রিজ-কালভার্ট-রাস্তা নির্মাণ করে ছিলেন। দেশের সমস্ত শিল্প-কারখানা পাকিস্তানীরা ধ্বংস করে দিয়ে ছিল। বঙ্গবন্ধু অক্লান্ত পরিশ্রমে বন্ধু দেশের সহায়তা নিয়ে ঐ সমস্ত শিল্প-কারখানা গড়ে তুলে ছিলেন। যুদ্ধের কারণে বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলীর মোহনা সম্পূর্ণ মাইনে জর্জড়িত ছিল। বঙ্গবন্ধু ব্যক্তিগতভাবে রাশিয়াকে অনুরোধ করে বিনা খরচে বঙ্গোপসাগর মাইনমুক্ত করে বিদেশি পণ্যবাহী জাহাজের আগমন-নির্গমন নিরাপদ করে ছিলেন। ১৯৭২ হতে শুরু করে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটিকে গড়ে তোলার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে। অপর দিকে চীন ও আমেরিকার চরম বৈরিতার মুখেও বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্য পদ অর্জনের জন্য বঙ্গবন্ধুকে ঝড়ের বেগে এদেশ-ওদেশ সারা বিশ্বে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ফাঁসির ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে ক্ষান্ত হন নাই। তাকে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে গড়ে তোলার জন্য যে পরিশ্রম করতে হয়েছে তা অল্প কথায় বর্ণনা করা সম্ভব নয়। এরপরেও খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে এবং পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ করে দেশদ্রোহীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। জানা যায়, বঙ্গবন্ধু জিয়াকে বলে ছিলেন, পুতুল আমার মেয়ে, তুমি আমার মেয়েকে গ্রহণ করবে না? সাথে সাথে জিয়া পুতুলকে (খালেদা জিয়াকে) গ্রহণ করে খালেদা জিয়ার জীবন ফিরিয়ে দিয়ে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু যদি খালেদা জিয়াকে নিজের মেয়ে না বলতেন তাহলে জিয়া খালেদাকে গ্রহণ করতেন না। আর তারই প্রতিদান কি আজ খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুকে দিচ্ছেন? তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করতে খালেদার কি একটুও বুক কাঁপে না? তার প্রতিদান হিসেবেই কি খালেদা তার মিথ্যা জন্মদিন পালন করেন বঙ্গবন্ধুর প্রয়াণ দিবস ১৫ আগস্টে? বাংলাদেশের জনগণ এই নিষ্ঠুরতার জবাব কি দিবেন না? খালেদা কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর অবমাননার কি বাংলাদেশের জনগণ এরপরও মেনে নিবেন? আপনারা জানেন, সংবিধানে ৫ম সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল হবার কারণে জিয়াউর রহমানের সমস্ত কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তিনি পরিণত হয়েছেন অবৈধ প্রেসিডেন্ট। এ জন্যও কি জাতির পিতা দায়ী? এটাতো জাতির পিতার মহাপ্রয়াণের পরের ঘটনা। আমি জানতে চাই, বঙ্গবন্ধুকে খালেদা জিয়া অপমানিত করছেন কেন? বঙ্গবন্ধুর শাসন আমলের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া মিথ্যাচার করছেন কেন? খালেদা জিয়া দেশে বিষবাষ্প ছড়াচ্ছেন। ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তিনি দেশে দ্বৈত সরকার প্রতিষ্ঠা করে ছিলেন। অর্থাত্ তার সরকার একটি আর তার ছেলে তারেকের সরকার আরেকটি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তিনি শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়ে ছিলেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় ২২ জন নিরীহ লোক নির্মম ভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন। জঙ্গীবাদে দেশ আচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিল। দেশের বিচার বিভাগ ছিল জঙ্গীদের প্রধান টার্গেট। খালেদা জিয়া জঙ্গীদের প্রতিরোধ করার জন্য কোন ব্যবস্থা নেননি। তিনি বরং জঙ্গীদের উত্সাহ দিয়েছেন। একই দিনে জঙ্গীরা দেশের ৫০০ স্থানে বোমা বাজি করে তাদের প্রচণ্ড শক্তির জানান দিয়েছে। এই খালেদা জিয়া আবার ক্ষমতায় আসতে চায় কি উদ্দেশ্যে? শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য? জঙ্গীবাদ প্রতিষ্ঠা করে এদেশকে তালেবানি দেশে পরিণত করার জন্য? এ দেশের জনগণ সে সুযোগ দিবে না। জামায়াতের সাথে সুরে সুর মিলিয়ে আপনার লোকেরাও শ্লোগান দিয়েছিল "আমরা হব তালেবান, বাংলা হবে আফগান"। সে সব কথা বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। অনুগ্রহ পূর্বক এদেশকে আফগান বানানোর চেষ্টা করবেন না, আর জাতির পিতাকে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ ভাবে অবমাননা করবেন না।

খালেদা জিয়া বলে বেড়ান, রক্ষীবাহিনী মানুষ হত্যা করেছে। তাহলে পটপরিবর্তনের পর হত্যাকারী রক্ষী বাহিনীর অপরাধীদের বিচার হলো না কেন? বরং তাদের সেনাবাহিনীতে মার্চ করে দেয়া হলো। অর্থাত্ তাদের বিরুদ্ধে কিছুই করল না বরং পদোন্নতি দেয়া হলো। এটা খালেদার মিথ্যাচার। ২০০১-এ ক্ষমতায় এসে খালেদা যে অপারেশন ক্লিনহার্ট চালিয়ে শতাধিক লোককে নির্বিচারে হত্যা করেছিল সেজন্য খালেদার অবশ্যই বিচার হতে হবে। অপারেশন ক্লিনহার্ট খালেদা নিজ উদ্যোগে বানিয়ে ছিলেন। আর তাদের দ্বারা শতাধিক লোক হত্যা করার দায়ে খালেদাকে অবশ্যই ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলতে হবে। খালেদাকে বলব- আপনি নিজের হাতের দিকে তাকান, আপনার হাত রক্তে রঞ্জিত। আপনি খুনী। আপনি অনেক অপকর্মের হোতা। পরের প্রতি বিশোদগার না করে নিজের কথা ভাবুন। সুত্র

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৮:৫৮

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: er jonno sheikh hasina nije dai,karon se jatir jonok niye jokhon tokhon jekhane sekhane alochona kore ekjn jatio netake dolio neta baniye feleche.sob cheye boro kotha holo je jati jat chinena take jonok chenano bokami .

২| ০৫ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:২০

মাইরালা বলেছেন: মেজর জিয়াউর রহমানকে অবমাননা করা থেকে বিরত থাকুন।

৩| ০৫ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৪০

নিজাম বলেছেন: আরে ভাই এইটা কী বললেন? এটাই তো তাঁর বড় অস্ত্র!

৪| ০৫ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

নীল আকাশ ২০১৩ বলেছেন: শেখ মুজিব সকলের পিতা নয়। যারা মদ খেয়ে পাঁড় আওয়ামী লীগ, কেবল তাদের পিতা। কাজেই একজনের পিতাকে আরেকজনের পিতা বানানোর অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকুন। যারা (৭০%) শেখ মুজিবকে পিতা হিসেবে স্বীকার করতে চায়না, নিজের পিতৃ পরিচয়ে বাঁচতে চায়, তাদেরকে সেইমতই চলতে দিন।

৫| ০৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪

জামিল হাসান বলেছেন: অচাম কমেন্ট @নীল আকাশ ২০১৩

৬| ০৫ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪

কানা দাজ্জাল বলেছেন: কারো কারো একাধিক পিতা থাকতে পারে কিন্তু অধিকাংশই এক বাপের সন্তান আর মায়েরাও চরিত্রবান। তাই যাকে তাকে পিতা বলে চালিয়ে দিলেই বাপ বাপ বলে ঝাপিয়ে পরতে হবে, এটা মেনে নেবে না অনেকেই কেবল মাত্র অন্ধ আর বয়ড়া চামচা শ্রেনী ছাড়া। তাই বলে কাউকে পিতৃতুল্য সন্মান দিতে বাধা নেই যদি তার নাতী ও পুত্র কন্যারা নিজেদের বাপের নাম গুয়ের ড্রেনে না ডোবায়।

অন্যকে চড় অথবা গালি দিতে গেলে নিজের-ও ওই চড় আর গালি হজম করার শক্তি থাকা প্রয়োজন। গালিগালাজের আনুপাতিক হার বিশ্লেষন করলে,
হাসিনা : খালেদা = ১০০ : ৫ = ২০ : ১.

তাই কার আগে ক্ষেমা দেয়া উচিৎ সেটাই বিবেচ্য। তাছাড়া খালি গালি অথবা অবমাননা বাদ দিলে অশ্লীল বডি ল্যাঙ্গুয়েজ আর চোখ মুখ ও ঠোটের অঙ্গভঙ্গি-ও অবমাননার ইঙ্গিত হতে পারে। তাই এই অশালীন অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি কার মুখে বেশী শোভা পায়, তা একটু লক্ষ্য করুন। তাহলে অন্যকে বলার আগে নিজের দেবিকেই আগে শোধরাবেন।

৭| ০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৪৭

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: @নীল আকাশ পিতা মানে আব্বা না। :)

৮| ০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪

নীল আকাশ ২০১৩ বলেছেন: ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট, পিতা বলতে আব্বা বুঝাইনি। আমি যদি শেখ মুজিবকে আমার পিতা স্বীকার না করি, তাহলে কার কি বলার আছে? আমি বলতে চাই, বাংলাদেশের ৭০% এরও বেশি মানুষ উনাকে পিতা হিসেবে মানেনা। তাই শেখ মুজিবের অবমাননা বলতে জাতির পিতার অবমাননা বোঝাবেনা। একমাত্র যারা ধ্যানে জ্ঞানে চিন্তায় আওয়ামী লীগ - তারা ছাড়া শেখ মুজিব আর কারো জাতির পিতা হতে পারেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.