নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
পাঠক, জনগণ ও সুশীল সমাজকে বার বার বলব- একটু গভীরে যান, তালিকা করুন প্রত্যেকটি হত্যা, অগ্নিসংযোগ, রগ কাটা, কোপানো ইত্যাদি অপ-ঘটনার শিকার ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কারা এবং কারা এসব অপঘটনার পুতুল-হোতা? কেন সব অপঘটনায় নিহত, আহত হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী? কেন সব অপঘটনার হত্যা বা অন্য সন্ত্রাস বাস্তবায়নকারীও হয় সরকারদলীয় ব্যক্তি নতুবা সরকারের কোন না কোন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য? এসব ঘটনার ফলাফল কি? সরকারী দলের বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল- আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা হ্রাস, ভাবমূর্তি মলিন হওয়া এবং সর্বোপরি, চৌদ্দদলীয় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির জোট সরকারের ভাবমূর্তির সঙ্কট সৃষ্টি ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস নয় কি! সব ঘটনার যোগফল কিন্তু এইটিই! ভাল করে খেয়াল করুন, নিহত-আহতদের মধ্যে দুই একজন স্থানীয় পর্যায়ের গুরুত্বহীন শ্রমজীবী বিএনপি কর্মী ছাড়া প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী অথবা জাসদ-ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী যারা স্থানীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল অর্থাৎ উঠতি মুক্তিযুদ্ধপন্থী রাজনীতিকদেরই প্রধানত টার্গেট করা হয়েছে! শেষ পর্যন্ত, গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতা, বর্তমানের তরুণ কেন্দ্রীয় নেতা। তাহলে, এ কথা তো পরিষ্কার যে আওয়ামী লীগকে বধ করতে আওয়ামী লীগের মধ্যে যে লোভী ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী মুশতাকের মতো ব্যক্তি নেতাকর্মী হিসেবে অনুপ্রবেশ করেছে, তারা মুক্তিযুদ্ধপন্থী বধে নামবে যদি তারা ‘৭৫-এ মুশতাক, তাহের ঠাকুর, চাষী, ফারুক-রশীদ প্রমুখরা উপসেনা প্রধান জিয়াউর রহমানের মতোই রাষ্ট্রের ক্ষমতাবান কেউ অথবা তা না হলেও অর্থ, বিত্ত, অপরাজনীতিতে বলীয়ান কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর পূর্ণ সহায়তা লাভ করে! সেরকম অর্থাৎ অন্যরকম ক্ষমতাধর কেউ এসব অপঘটনার নেপথ্য সূত্রধর রয়েছে যে পূর্ণ করেছে মুক্তিযুদ্ধকে, মুক্তিযুদ্ধপন্থী রাজনীতিকে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দলকে এবং এসব দলের ‘উঠতি’ নেতাকর্মীদের ধ্বংস করবে!
পাঠক, স্মরণ করুন, ২০১৩’র ৫ মে’র হেফাজতের মতো এক অখ্যাত মোল্লা মৌলভীর অরাজনৈতিক সংগঠনের ওপর ভর করে মতিঝিল এলাকায় ‘৭১-এর মতোই একটি ছোটখাটো, কিন্তু ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল কারা, কেন? সরকার উৎখাতের জন্যই তো!
পাঠক, স্মরণ করুন অতীতকে, কেননা অতীতের রক্তপিপাসু অপঘটনার ভেতরেই নিহিত আছে আজকের ৭ খুন, ফেনীর পৈশাচিক খুন, দেশের নির্দিষ্ট কিছু জেলায় লাগাতার খুন, রগকাটা, হাত-পা কাটার দ্বারা খুন, সম্প্রতি মিরপুরে দশ বিহারীকে তুচ্ছ কারণে অগ্নিদগ্ধ করে হত্যার মতো চরম ঘৃণ্য ঘটনা! এই সব ঘটনায় বাস্তবায়নকারীরা যে কারও ‘ক্রীড়নকে’র ভূমিকা পালন করেছে, সেটি নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মূল আসামি প্রায় নিরক্ষর, সেজন্যই অন্যের পক্ষে অবৈধ উপায়ে অর্থ আয়ের মাধ্যম হয়ে নিজেও বিপুল ধনসম্পত্তি ও সন্ত্রাসী ক্ষমতার-মালিক হওয়া নূর হোসেনের গ্রেফতারের পরে দেয়া বক্তব্য থেকে পরিষ্কার হয়। সে বলেছে, তাকে ঢাকায় আনা হলে সে ক্রসফায়ারে নিহত হতে পারে! কেন? তাহলে, সে ধরা পড়ার ফলে এমন কোন ক্ষমতাশীন ব্যক্তি, সে রাজনীতিতে হোক বা নিরাপত্তা বাহিনীতে হোক এই ৭ খুনের নেপথ্যে আছে যে বা যারা নূর হোসেনের গ্রেফতারে ও স্বীকারোক্তিতে বিপদে পড়ে যাবে! সম্ভবত নিরাপত্তা বাহিনীর যে ব্যক্তি এ খুনের সঙ্গে জড়িত সেও মূল পরিকল্পক নয়, মূল পরিকল্পক রয়েছে আরও অনেক দূরে কালো পর্দার অন্তরালে! পাঠক, এ পর্যায়ে আপনাদের আবারও অতীতে নিয়ে যেতে হচ্ছে। ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের শেষ সময়ে পাকিস্তানীদের প্রণীত বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনক্শা অনুসারে খুন হবেন, এমন বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রস্তুত করে বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি ও কর্মস্থল থেকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে গিয়েছিল এবং নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল তার লক্ষ্য ছিল স্বাধীন হলেও বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি যেন প্রশাসন থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে দক্ষ পেশাজীবীর অভাবে মুখ থুবরে পড়ে! পাঠক, এই একই নীলনকশাকে ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত, আবার ২০০৮ থেকে আজ পর্যন্ত কিছুটা পরিবর্তন করে বাস্তবায়ন করে চলেছে নেপথ্যের ঐ বাংলাদেশবিরোধী চক্র ও ব্যক্তি! ২০০১ থেকে, প্রকৃতপক্ষে, ১৯৯৮ থেকে হত্যা ও দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করতে ধর্ষণ, নির্যাতন করার জন্য একটি তালিকা হয়েছিল যাতে হত্যার জন্য একদিকে জঙ্গী-হত্যাকারী তৈরি করা হয়, অপরদিকে হত্যার শিকার হয় প্রগতিশীল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী ও ছায়ানট, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রগতিশীল রাজনীতিক কাজী আরেফসহ অনেকে, সাংবাদিক শামছুর রহমান, হুমায়ন কবীর বালু, বিশ্বজিৎ সাহা সহ পঞ্চাশের বেশি সাংবাদিক! ২০০১ থেকে সারা দেশে চলেছে বর্তমানের মতোই সব জেলার উঠতি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নিধন, হিন্দুদের ধর্ষণ, লুট, দেশত্যাগে বাধ্য করার অব্যাহত প্রক্রিয়া! এ সময় স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাবশালী রাজনীতিকদের নিধনের তালিকা হয়েছিল যার মধ্যে রাজশাহীর মমতাজ উদ্দীন, গাজীপুরের এমপি আহসানউল্লা মাস্টার, সফল অর্থমন্ত্রী সাংসদ শাহ্ এসএম কিবরিয়াসহ উঠতি তরুণ প্রবীণ রাজনীতিক! ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হত্যার প্রধান টার্গেট ছিলেন তখনকার বিরোধী নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং সম্ভবত ট্রাকে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের সব শীর্ষ নেতা! ‘৭১- থেকে হিন্দু-মুসলমান নারীদের ধর্ষণ, ২০০১ থেকে হিন্দু নারী-বালিকা ধর্ষণ, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষকে চরম আঘাত করার পন্থা হিসেবে ব্যবহৃত হয় যা ২০০৮ থেকে আজ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ভোট হ্রাসেরও লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে!
পাঠক লক্ষ্য করুন, মুক্তিযুদ্ধপন্থী দল ক্ষমতায় থেকেও তাদেরই নেতাকর্মী খুন হচ্ছে, বিরোধী দলে থেকেও তাদেরই নেতাকর্মী, হিন্দু, আদিবাসী খুন হচ্ছে, আক্রান্ত হচ্ছে! পাঠক, ২০০৮-এ ক্ষমতায় বসতে না বসতেই সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহে যে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা খুন হন, বিডিআর জওয়ান খুন হন, তারা সবাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। নিহত সেনাদের প্রায় অর্ধেকের দেশ ছিল গোপালগঞ্জে, যে জেলাকে খালেদা জিয়া ‘গোপালী’ ‘গোপালী’ বলে বিদ্রূপ করেছেন! এদের বেশ ক’জন সেনা কর্মকর্তা জঙ্গী বাংলাভাই, আবদুর রহমান গ্রেফতারে ভূমিকা রেখেছিল এবং জেনারেল শাকিল, গুলজার প্রমুখ কর্মকর্তা জঙ্গী নির্মূলে গবেষণা কাজে নিয়োজিত ছিলেন! এরা যখন জঙ্গী উত্থানবিরোধী কাজ করে নিহত হন, তাহলে কারা এদের হত্যা করে লাভবান হবেন? নিশ্চয়, জঙ্গী তৈরিকারীই এদের কার্যক্রম বন্ধ করতে এবং বিডিআরে চরম বিদ্রোহ অবস্থা সৃষ্টি করে ২০০৮ এর নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মুক্তিযুদ্ধপন্থী জোট সরকারকে চরম অস্থিতিশীল অবস্থায় নিক্ষেপ করতেই এই বিশাল ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করেছিল!
এর মধ্যে ২০১৩-তে আবারও খুন ও দেশ ধ্বংসের নীলনকশা পরিচালনা করে খালেদা-বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মী! তাদের খুনের শিকার হয় এবার বাস-ট্রাক চালক, রাজপথ রেলপথ- রেল-বাস-ট্রাক, কৃষক, শ্রমিক, নারী-পুরুষ যাত্রী, এমন কি বনায়নের হাজার কয়েক বৃক্ষ! এই দেশ ধ্বংসের প্রক্রিয়াতেও পাওয়া যায় ‘৭১-এর ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিচ্ছবি। এরপর সংঘটিত হয়েছে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে উপলক্ষ করে ব্যাপক হিন্দু ও আদিবাসী নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা, এদের বাড়িঘর লুট, অগ্নিসংযোগ! এরই মধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী-সমর্থক খুন হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে!
২০১৪ তে নারায়ণগঞ্জে সংঘটিত হলো একেবারে ঠাণ্ডা মাথায় কাউকে তোয়াক্কা না করে অসীম দুঃসাহসে প্রকাশ্যে জনমানুষের সামনে সাত জন আওয়ামী লীগপন্থী স্থানীয় নেতাকর্মী-সমর্থক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিকে র্যা বের গাড়িতে অপহরণ, হত্যা, হত্যার পর শীতলক্ষ্যায় সুচারুভাবে সম্পন্ন করা লোমহর্ষক লাশ ডুবানোর কাজটি।
এ হত্যার শিকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং মুক্তিযুদ্ধপন্থীরা, ঘাতক ও কথিত সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের প্রায় নিরক্ষর, উচ্চবুদ্ধির কারো নির্দেশনা ব্যতীত যে কোন কাজই করতে অক্ষম, এমন সূক্ষ্ম অপহরণ ও হত্যা একা ওর পক্ষে চিন্তা করাও অসম্ভব, সাহস করা দূরে থাক! সুতরাং এই খুনী কি অর্থদাতা? নাকি ‘ভাড়াটে খুনী’ সাপায়ার? নাকি, দূরে প্রাসাদে বাস করা মুক্তিযুদ্ধকে ছিবড়া বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধপন্থীদের হাড়-মজ্জা চিবিয়ে খেয়ে আরও অনেক দূরে বাস করা বর্তমানে ক্ষমতাহীন কিন্তু ক্ষমতা দখলের জন্য উন্মাদ প্রায় ব্যক্তিদের লক্ষ্য- সরকারের ডান হাত, তার প্রধান ‘এলিট ফোর্স’কে কালিমালিপ্ত করে, নিষিদ্ধ করে সরকার উৎখাতের ক্ষেত্র তৈরি করা কাজটি প্রথম পর্যায় সম্পন্ন করেছে? সম্ভবত এই খুনীকে দিয়ে কাজ উদ্ধার করেছে যারা তাদের প্রথম স্তরের নির্দেশদাতাকেই সে জানে, চেনে ও মানে। পরের স্তরের পরিকল্পক-নির্দেশদাতা যার চেহারাতেই ধূর্ততা রয়েছে, তার সম্পৃক্ততা সে নাও জানতে পারে। আর একেবারে শেষ পর্যায়ের উচ্চস্তরের ক্ষমতাহীনরা যারা এ ঘটনার পর পরই এ বাহিনীকে নিষিদ্ধ করতে হবে বলে বার বার জনগণকে বোঝাচ্ছে, তাদের কোন সম্পৃক্ততা থেকে থাকলে তা এর অগোচরে থাকবে- রহস্য উপন্যাসের ঘটনা এমনই সাক্ষ্য দেয়! এর পর পর ফেনীতেও আওয়ামী লীগের উঠতি জনপ্রিয় নেতা হত্যা হলো তথাকথিত আওয়ামী লীগ দলে অনুপ্রবেশকারী ‘খুনী’ দলের হাতে! কারা, কাদের পক্ষে এ হত্যা করাল? তদন্ত সুষ্ঠু হলে তা বেরিয়ে আসবে।
পাঠক, চলে আসুন মিরপুরের বিহারী পল্লীতে দশ বিহারী যারা ‘বাঙালী’ই হয়ে গেছে, তাদের নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মারার আকস্মিক ঘটনায়! ‘বিহারীরা’ ‘৭১ থেকে এক রকম দেশহীন মানুষ হয়ে আছে যারা ‘৭১-এ মিরপুরেই বিশাল হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে বাঙালীর ইতিহাসে স্থায়িভাবে কলঙ্কিত হয়ে আছে! মনে হয় না কি, শুধু ওদের জমি যা সরকারী জমি তা দখলের জন্য এত বড় মাপের হত্যাযজ্ঞ হতে পারে না! মনে হয়, নেপথ্যে কেউ সেই পুরনো ‘৭১-এর ক্ষত কে উস্কে দিয়ে বাঙালী বিহারী দাঙ্গা বাধিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে অনেকটা বিডিআর বিদ্রোহের মতো চরম অরাজকতার মুখে ফেলতে উদ্যত হয়েছিল! এখানেও নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সদস্য, সরকারী সাংসদ, সরকারী হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। এটি দলের নেতাকর্মীদের ব্যবহার করা হতে পারে, কেননা, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা’র কাজটি অব্যাহতভাবে চলছে।
সরকারকে দ্রুত বিহারীদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে তাদের ‘৭১- পরবর্তী প্রজন্মকে নাগরিকত্ব প্রদান করে সবরকম নাগরিক সুযো-সুবিধা দিয়ে মানবতার পক্ষে অবস্থান নিতে হবে যার কোন বিকল্প নেই। ওদের নাগরিকত্বহীনতার দুর্বলতার সুযোগ যাতে কেউ গ্রহণ করতে না পারে, সেই আশ্রয়, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জীবিকা এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। ওরা আসলে উপমহাদেশের কুৎসিত রাজনৈতিক ইতিহাসের বলি মাত্র। ওদের নতুন প্রজন্মকে সুস্থ জীবন প্রদান আমাদের কর্তব্য। মুক্তিযুদ্ধে প্রাপ্ত বাংলাদেশ এ কাজই করে অন্যদের শিক্ষা দেবে।
শেষ করি, মিয়ানমারের বিসিপি’র সেনাদের হাতে আমাদের গর্ব, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার শহীদ হওয়ার পর জন্ম নেয়া বিধবার একমাত্র সন্তান বিজিপি’র সদস্য মিজানের নিহত হওয়ার ঘটনা দিয়ে। এই আক্ষেপটি থেকে যাবে সারাজীবন যে, বিজিপিতে অন্য সদস্যরা থাকতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার একমাত্র সন্তান, দেশপ্রেমিক, দক্ষ, আন্তরিক মিজানকেই অগ্রসর হতে হল শত্রুব্যূহে? অন্যেরা নিরাপদে থাকলেন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার একমাত্র সন্তান মিজান কেন বুলেটবিদ্ধ হলো? আমার ব্যক্তিগত দুঃখ শোকের অন্তহীন মিছিলে, প্রিয় অচেনা মিজান, তোমাকে একটি অভিবাদন। আশা করি তোমার প্রিয় মা, স্ত্রী, সন্তানদের দেখভাল বিজিবি দফতর ও সরকার নিজ কাঁধে নিয়েছে। নিয়েছেন তো?
২| ২৫ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০৪
জহিরুলহকবাপি বলেছেন: চমটকার
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০২
জহিরুলহকবাপি বলেছেন: চমটকার