নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচনে মাঠে গোয়েন্দারা

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৩৮



ষড়যন্ত্রের বড় জায়গার সন্ধানে মাঠে নেমেছে গোয়েন্দারা। পর্দার অন্তরালের কলকাঠি নেড়ে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা তৈরি করছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে এ খবর জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ’৭৫ সালের ১৫ আগস্টে সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ঘটনা এবং ’০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় বিরোধীদলীয় নেতা থাকাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে কৌশলগত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। কি ধরনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে তা কৌশলগত কারণে কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে অতীতের ঘটনার পুনরাবৃত্তির জন্য ইতোমধ্যেই দেশে ও দেশের বাইরে এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে প্রভাবশালী মহল জড়িত বলে আভাস পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। অর্থনৈতিক, সামরিক ও বেসামরিক উপায়ে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীরা।

গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু হওয়ার পর থেকেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এ জন্য আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, পাকিস্তান ও ভারতে লবিং শুরু করেছে জামায়াত-শিবির। যুদ্ধাপরাধীর বিচার বন্ধে ও রায় বাস্তবায়ন বন্ধে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের প্রভাব বিস্তার করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাকিস্তানী পার্লামেন্টে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের বিরুদ্ধে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের পক্ষে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাস করাসহ নানা ধরনের বক্তব্য দিয়েছে বাংলাদেশ বিরোধী পাকিস্তানী পার্লামেন্টারিয়ানরা। গত রমজান মাসে সৌদি আরবে এক সঙ্গে ইফতারের নামে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছেন জামায়াত নেতা যুদ্ধাপরাধীর সাজাপ্রাপ্ত আসামি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বড় ছেলে মাসুদ সাঈদী। বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াও ওমরাহ পালন উপলক্ষে সৌদি আরবে অবস্থানকালে আলোচনায় মিলিত হন তাঁরা। যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করে নানা ধরনের তৎপরতা চালাচ্ছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ও যুদ্ধাপরাধীর পক্ষের বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। এমনকি বিদেশের মাটিতে লবিং করার জন্য তাঁরা বিভিন্ন কোম্পানিকে নিয়োগ দিয়েছে কোটি কোটি টাকায়। গোয়েন্দা সংস্থা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এই বিষয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে।

সূত্র জানায়, অর্থনৈতিকভাবে দেশ ও রাষ্ট্রকে দুর্বল, পর্যুদস্ত, অপদস্থ করার জন্য বেছে নেয়া হয় পদ্মা সেতু ইস্যুকে। পদ্মা সেতুর কাজ শুরু না হতেই দুর্নীতির অজুহাত তুলে বিশ্বব্যাংকের ঋণ বাতিল করার ব্যাপারে তৎপরতা চালায় ষড়যন্ত্রকারীরা। আমেরিকায় গার্মেন্টস সামগ্রী রফতানি বন্ধে জিএসপি বন্ধে তৎপর হয় তারা। সরকারের এলিট ফোর্স র‌্যাব বাতিলের দাবিতে মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে কাজে লাগানো হয়। এমনকি স্বাধীন দেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালায় তারা। বিডিআর বাহিনীর সদস্যরা ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহ করে সেনা কর্মকর্তা নিধনযজ্ঞে মেতে ওঠার ঘটনার বিচারকার্য সম্পন্ন হওয়ার আগেই নানা ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতায় মেতে ওঠে একটি মহল। ওই ঘটনার বিচারকার্য সমাপ্ত হয়েছে এবং বিদ্রোহের নেপথ্যের অনেক প্রসঙ্গই উদ্ঘাটিত হওয়ার পরও থেমে নেই তাদের তৎপরতা। সম্প্রতি নয়াদিল্লীভিত্তিক ‘এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’ নামক একটি সংগঠন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে অবতীর্ণ করানোর পেছনে ষড়যন্ত্রকারীদের হাত রয়েছে। অধিকার নামক মানবাধিকার সংগঠক আদিলুর রহমান ‘র‌্যাবে’র বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রকাশনা বের করার পর যেই বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াও র‌্যাব গঠন করেছিলেন সেই তিনিই বাতিলের দাবি তোলেন। র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) যত দ্রুত সম্ভব এ বাহিনীকে বিলুপ্ত করার আহ্বান জানিয়ে গত জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠান নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।’

গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে নির্বাচন বন্ধে প্রায় প্রতিদিন পেট্রোল বোমা মেরে, আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে বিএনপি-জামায়াত-শিবির। ব্যাপক নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পরও গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। গত ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান বানচাল ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর তা বাতিল করার জন্য এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয় বিদেশীদেরও। ষড়যন্ত্রকারীদের এসব ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান এবং সফল হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করা হচ্ছে।

গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ষড়যন্ত্রের বড় জায়গাটি চিহ্নিত করে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য মাঠে নামানো হয়েছে গোয়েন্দা সদস্যদের। বিদেশীদের তৎপরতা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার ঘটনা খুবই সন্দেহজনক। বিদেশী তৎপরতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে গেছে জামায়াত-শিবিরের তৎপরতাও। কোথায় যেন ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। অনিশ্চিত ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির অশনিসঙ্কেতের পদধ্বনির পেছনের শক্তির উৎস খোঁজা হচ্ছে। এদেশের রাজনৈতিক দল, স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংক্রান্ত সংস্থা, প্রভাবশালী বিদেশী রাষ্ট্র, বিদেশী সরকার এবং নানা রকম আন্তঃরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

লিন্ক

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:১৬

মামুন ইসলাম বলেছেন: পক্ষ বাদী সংবাদ হলেউ সুন্দর একটি পোষ্ট এই জন্য লেখককে ধন্যবাদ । তবে ভাইয়া আমি রাজনীতি করিনা তাই লেখায় যুক্তী
তর্কবিতর্ক থাকতে পারে তাই অনুরোধ রইল আমাকে ভুলবুজবেন না।
বাংলা দেশের ছোট বড় আমরা সবাই কিনতু ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারীর ক্ষমতাশীন আওয়ামীলিগের নাটকিয় নির্বাচনের কথা জানি।
এখানে নাটকীয় ভাবে এরশাদ ও রওশনাএরাশদকে বিরোধী দল সাজিয়ে নির্বাচন দেওয়া ।
যতদূর মনে পরে একবার ছুনে ছিলাম জিয়া হত্যাকারী নাকী এরশাদের পুরো হাত আছে । তাহলে বিএনপি যদি ভুল করে যুদ্ধ অপরাধী জামায়েতের সাথে হাত মিলিয়ে সে ক্ষেত্রে কি আওয়ামীলিগ ভুল বা অপরাধ করেন নাই এরশাদের সাথে হাত মিলিয়ে । এতাই আমার প্রশ্ন । আমি আবার অনুরোধ করছি আমাকে ভুলবুজবেন না আমি কোন দল করি না ও কোন দলকে বিশ্বাশ করি না শুধু দেশের সাধারন মানুষ ও একজন সচেতন নাগরীক হিসেবে
একটি সুস্থ সমাধান চাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.