নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামাত, বিহারি, রোহিঙ্গা : দুধ কলা দিয়ে পোষা কাল সাপ

২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:১৩



সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা এই বাংলাদেশ। এই দেশে যেমন মানুষ বাস করে তেমনি মানুষ রূপী কাল সাপ বাস করে। আজ আমরা মানুষ রূপী কিছু কাল সাপের সাথে আমরা পরিচিত হবঃ

১। জামায়াত ইসলাম বাংলাদেশ নামক কাল সাপ গোষ্ঠী। (এদের মাঝে বিভিন্ন ভাগে আমরা ভাগ করতে পারি)।

২। বাংলাদেশে বসবাস করা মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা গোষ্ঠী।

৩। বাংলাদেশে বসবাস করা বিহারী গোষ্ঠী।

এই তিন প্রকারের মানুষ রূপী কাল সাপ আজ আমাদের আলোচনা বিষয়।





রোহিঙ্গা জঙ্গি ক্যাম্পে জামায়াত নেতা মীর কাসেম।



প্রথম প্রকারের‬ কাল সাপ দেশ এবং ধর্মের নাম বিক্রি করে দিনযাপন করে। দেশে জঙ্গিবাদের সৃষ্টি করে। বিভিন্ন ছুত ধরে দেশের ভিতরে জ্বালাও পোড়াও করে। জাতীয়তা বাংলাদেশী লিখে বাংলাদেশী পাসপোর্ট ব্যাবহার করে বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যাবহার করে তারা পাকিস্তানের যৌনাঙ্গ লেহন করে।মুক্তিযুদ্ধের সময় এই দেশে মানুষের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারি, পাকি আর্মিকে সহায়তা কারি, বেসামরিক নিরস্ত্র মানুষ হত্যাকারি, নারী ধর্ষণ কারি তথা একাত্তুরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধা গ্রস্থ করতে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির জন্য তারা হীন অপকর্ম নাই যা করতে পারে না। তারা তাদের উদ্দেশ্য (পুনরায় পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশকে একত্রি করন, যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি, দেশে তালেবান/আল-কায়দার মত জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করন) পুরনের লক্ষ্যে হেন কুকর্ম নাই যা তারা করতে পারে না।তারা এই জন্য, জীবন্ত মানুষ সহ গাড়ি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া,বোমা মেরে মানুষ হত্যা,মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোকজনদের ধরে ধরে জবাই, ধর্মীয় দাঙ্গা লাগানো, বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে অন্য ধর্মের মানুষের উপর অত্যাচার সহ সব ধরনের কুকর্ম করে থাকে। যদিও তারা তাদের জাতীয়তা বাংলাদেশী লিখে থাকে তবুও তারা নিজেদের বাংলাদেশী মনে না করে বাংলাদেশের জন্ম শত্রু পাকিস্তানের ভাই বলে পরিচয় দানে আনন্দ পেয়ে থাকে। এদের মাঝে বিভিন্ন প্রকার আছে, যাদের মধ্যে কেও কেও ছদ্মবেশ থাকে। তাদের ছদ্মবেশ গুলো আবার অনেক মজাদার হয়ে থাকে। যেমন ধরুন, অনেক সময় এদের মাঝে কেও কেও নিজেকে নাস্তিক দাবি করে থাকে কিন্তু প্রয়োজনে তারা তাদের নাস্তিকতার ছদ্মবেশ খুলে আসল বেশি হাজির হয়। আবার কেও কেও নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান দাবি করে, অনেকে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধাও দাবি করে কিন্তু যুদ্ধাপরাধীর বিচারকে ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মনে করে থাকে।



দ্বিতীয় প্রকার‬ মানুষ রূপী কাল সাপ হচ্ছে, এই দেশে রিফিউজি হিসাবে বসবাস কারি মিয়ানমারের অধিবাসী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। যারা নিজ দেশ থেকে বিতারিত হয়ে আমাদের দেশে বসবাস করে। কিন্তু তারা এই দেশে বসবাস করে এই দেশে মানুষের সাথে বেঈমানি করে থাকে। তারা অনেকে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যাবহার করে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপের দেশ গুলো সহ অনেক গুলো দেশে শ্রমিক হিসাবে যেয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, সেই সব দেশ গুলোতে গিয়ে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পরে। যেহেতু তারা বাংলাদেশী পাসপোর্ট ব্যাবহার করে তাই তাদের সকল কুকর্মের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের দোষী হতে হয়।

তারা যে বিদেশের মাটিতে কুকর্ম করে শুধু তাই নয়। তারা এই দেশের মাটিতেও কুকর্ম করে থাকে।তারা মিয়ানমার থেকে ইয়াবা হেরোইনের মত মাদক দ্রব্য এই দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ ঘটিয়ে থাকে। এবং সারা বাংলাদেশে তারা এই মাদক দ্রব্য ছড়িয়ে দিয়ে যুব সমাজকে ধ্বংসের দারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে।এছাড়াও জঙ্গি সৃষ্টিতে তারা ব্যাপক আকারে অবদান রেখে থাকে।জঙ্গিবাদ সৃষ্টির জন্য তারা বিভিন্ন ভাবে সহায়তা পেয়ে আসে জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশের কাছ থেকে।আর জঙ্গিবাদের অর্থায়নের জন্য তারা মাদক চোরাচালান অস্ত্র চোরাচালানের সাথে সম্পৃক্ত হয়।শুধু তাই না বিদেশে বপ্সবাস কারি রোহিঙ্গারা জঙ্গিবাদ সৃষ্টির লক্ষে বিপুল পরিমাণ টাকা প্রেরন করে থাকে।

তারা শুধু জঙ্গিবাদের সৃষ্টি করছে তা নয়, বিভিন্ন কু কর্মে জামায়াত কে সহায়তা করছে।এর ফল স্বরূপ জামাত তাদের কে বিভিন্ন ট্রেনিং দিয়ে যাচ্ছে। এবং আর্থিক ভাবেও সাহায্য করে যাচ্ছে।কক্সবাজার এলাকার বিভিন্ন হরতালে রোহিঙ্গাদের জামাতের হয়ে পিকেটিং করতে দেখা গেছে বলে জানা গেছে।



তৃতীয় প্রকারের‬ মানুষ রূপী কাল সাপ হচ্ছে এই দেশে বসবাস কারি বিহারীরা। তারা এই দেশে বসবাস করছে ভারত পাকিস্তান ভাগের অনেক আগের থেকে। ৪৭ এ দেশ ভাগের পরে এই দেশ থেকে অনেক হিন্দু ভারতে চলে যায় তেমনি অনেক বিহারী ভারত থেকে এই দেশে আসে পাকিস্তানে যায়। মুক্তিযুদ্ধের আগে তারা অনেক রাজার হালে ছিল এই দেশে। উর্দু ভাষাভাষী হওয়ায় তারা বাংলাদেশে বসবাস করেও বাঙ্গালীদের থেকে বেশি সুযোগ সুবিধা পেত।মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তারা তাদের ভাষাগত "জাতভাই" পাকিস্তানীদের পক্ষ অবলম্বন করে। শুধু যে পক্ষ অবলম্বন করে চুপ থাকে তাই নয় বরং তারা ঢাকা চট্টগ্রামে বিহারী অধ্যুষিত এলাকায় বাঙ্গালীদের ধরে ধরে জবাই করা, বাঙ্গালী মেয়েদের ধর্ষণ, বাঙ্গালীদের বাড়ি ঘর লুট শুরু করে।এমন কি তারা তাদের অধ্যুষিত এলাকা গুলোয় জল্লাদ খানা খুলে যেখানকার প্রধান কাজই ছিল বাঙ্গালীদের জবাই করা।



১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ এ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরো কিছু পাকিস্তানী সৈন্য, রাজাকারদের নিয়ে এই বিহারীরা ঢাকার মিরপুরে মিনি পাকিস্তান বানিয়ে রাখে। যা স্থায়িত্ব হয় ৩১ শে জানুয়ারি ১৯৭২ পর্যন্ত। ৩০ জানুয়ারি সেখানে মুক্তিযোদ্ধারে তাদের থেকে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য গেলে তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এবং মুক্তিযোদ্ধাদের লাশ গুম করে ফেলে। যেই লাশ গুলো আবিষ্কৃত হয় ১৯৯৯ সালে মিরপুরে বেশ কয়েকটি বধ্যভূমিতে।

মুক্তিযুদ্ধের পর এই বিহারীদেরকে পাকিস্তানিরা ফেরত নিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদেরকে বাংলাদেশ সরকার বেশ কয়েকটি জেনেভা ক্যাম্পে জায়গা দেয়। শুধু তাই নয়, মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে এই সকল নর পিশাচ বিভিন্ন ভর্তুকি পেয়ে আসছে বাংলাদেশ সরকারে কাছ থেকে।

কিন্তু এই নর পিশাচ গুলো নিজেদের ক্যাম্প এলাকায় বিভিন্ন রকম কুকর্ম করে আসছে।

হাত বোমা বানানো, মাদক ব্যাবসা, পতিতাবৃত্তি, বিভিন্ন চোরাচালান, জঙ্গিদের আশ্রয়, জঙ্গিবাদ সৃষ্টিতে জড়িত হওয়া, হরতালে জামাতের হয়ে গাড়ি জ্বালাও পোড়াও সহ বিভিন্ন কুকর্ম তারা করে আসছে।জানা যায় তাদের কুকর্মের প্রধান মদতদাতা জামাত এবং তাদের অঙ্গ সংগঠন শিবির।এদের মদতে বিহারী ক্যাম্প গুলোর আসে পাশের এলাকায় স্থানীয় জনগন জিম্মি হয়ে আছে।তারা বাংলাদেশে বসবাস করলেও তাদের মাঝে ৯৬% এখনো বাংলাদেশকে স্বীকার করে না। নিজেদের পাকিস্তানী বলেই মনে করে। অনেকে ভেবে থাকেন নতুন প্রজন্মের বিহারীরা নিজেদের বাঙ্গালী মনে করে কিন্তু তাদের ধারনা ভুল। কিছু সংখ্যক বিহারী নিজেদের বাঙ্গালী মনে করলেও অধিক সংখ্যক নিজেদের এখনো পাকিস্তানী মনে করে। তাই তারা এখনো উর্দু ভাষাকে নিজেদের ভাষা বলে মনে করে। যদি মুলত বিহারের ভাষা উর্দু নয় বলেই আমি জানি। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই বিহারীদের পাকিস্তানিরাও দেখতে পারে না।

তারা এই দেশে বসবাস করে ঠিকি কিন্তু এই দেশের মানুষের ক্ষতি ছাড়া কোন উপকার করে না তারা।



জঙ্গিবাদের মদতদাতা হিসাবে হেফাজতকে অর্থ জোগান দিতে হাটহাজারির মাদ্রাসায়, আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।



এই সব নর পিশাচ মানুষ রূপী কালসাপ গুলো বাংলাদেশে থেকে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের মানুষকে বিভিন্ন ভাবে ছোবল মারতে ব্যাস্ত। আর তাদের দোষর হিসাবে সাথে আছে পাকিস্তানী বেদয়াতি (মউদুদির সকল কর্মকাণ্ড বেদায়াতি বলে ঘোষণা দিয়েছেন তৎকালীন অনেক ইসলামিক স্কলার) রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ। আর এই সংগঠনটি বিভিন্ন ভাবে আমার আপনার থেকে টাকা আয় করে নিচ্ছে তাদের কুকর্ম করার জন্য। সুত্র

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৩৪

আহমেদ রশীদ বলেছেন: ষালার একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ

২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৫১

তালপাতারসেপাই বলেছেন: ত্রিভুজিয় মুদ্রা? ;)

২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৪০

সরদার হারুন বলেছেন: আপনার ধারণা বাস্তব সত্য। যারা মুক্তি যুদ্ব দেখেনি তারা জামাত এবং বিহারিদের চরিএ বুঝতে পারবেনা।
মানুষ যে কত খারাপ হতে পারে তার নমুনা এখনও জামাত দেখাচ্ছ।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০৭

তালপাতারসেপাই বলেছেন: সহমত। কিন্তু, জামাত এবং বিহারিদের কথা বল্লেন কিন্তু রোহিঙ্গাদের কথা বল্লেন না যে? /:)

৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: জামায়াতের চেয়ে আওয়ামী লীগ আরও কয়েকগুণ খারাপ। জামায়াত যদি সাপ হয়, তো আওয়ামী লীগ হল পাগলা কুকুর। সাপকে বিরক্ত না করলে কিছু করবেনা কিন্তু কুকুর একবার পাগল হলে সামনে যাকেপাবে, তাকেই কামড়াবে।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:১২

তালপাতারসেপাই বলেছেন: এক পাপের দোঁহাই দিয়ে আন্য পাপ পুন্য হয়ে যায়না।
পাপের বিচার হবেই।

৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২২

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: @লেখক: সহমত।
@নীল আকাশ: ৭১এর বেঈমানীর জন্য আগে রাজকার জামাতের বিচার করে নিই, তারপর আওয়ামী লীগকে নিয়ে ভাবব।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:২৪

তালপাতারসেপাই বলেছেন: সহমত।

৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭

জহিরুলহকবাপি বলেছেন: সহমত।

৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: দূর আকাশের নীল তার, ৭১ এ বেঈমানি কি জামায়াত করেছিল, নাকি আওয়ামী লীগ? অবিভক্ত পাকিস্তান এবং ইন্ডিয়ার খবরদারীর প্রশ্নে জামায়াতের যে কমিটমেন্ট ছিল, বাংলাদেশের জন্ম হবার আগ পর্যন্ত তারা সেই কমিটমেন্ট মেন্টেইন করেছে। যুদ্ধাপরাধ যদি তারা করে থাকে, তো সেই কমিটমেন্টের কারণেই করেছে । আর আওয়ামী লীগ?

৭ ই মার্চ স্বাধীনতার সংগ্রামের ঘোষণা দিয়ে সেই পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর সাথে আলোচনায় বসা, গ্রেফতারের আশংকা আগেই প্রকাশ করা সত্ত্বেও গ্রেফতার হওয়া, তার দলের বড় বড় নেতাদের ইন্ডিয়াতে পালিয়ে থাকা - এগুলো কি বেঈমানি নয়?

৮৬ নির্বাচনের কাহিনী, ২০০১ এর নির্বাচনের পরে এক মুহূর্ত সরকারকে শান্তিতে থাকতে না দেবার হুমকি, ১০ টাকা সের চাল, বিনামুল্যে সার, ঘরে ঘরে চাকরির প্রলোভন, নির্বাচনের পর সব ভুলে যাওয়া, অস্বীকার করা - এগুলো কোন পর্যায়ের ঈমানদারী? এর বিচার কে করবে? জামায়াত?

৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: ৫২-তে পাকিস্তান আমাদের ভাষা কেড়ে নিতে চাইল। প্রতিনিয়ত শোষণ ছাড়া পাকিস্তান আমাদের আর কি দিয়েছে? ৭০এর নির্বাচনে জয়ী হবার পরও ক্ষমতা দিতে চায় নি। এমন অবস্থায় স্বাধীনতা ছাড়া আর কি চাওয়া ছিল? সারা বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ল, জামাত ইসলামের দোহাই দিয়ে তখন পাকিস্তানীদের সাথে যোগ দিল। কোথায় ছিল সেই ইসলাম যখন পাকি সেনারা আমাদের মা-বোনদের ধর্ষণে মেতে উঠল? ইসলামের নাম নিয়ে কিভাবে জামাত সেই ধর্ষণে পাক সেনাদের সাহায্য করল? ধর্মের যুদ্ধ ইসলামেও হয়েছে, কিন্তু কোন যুদ্ধে নিরীহ মানুষ,শিশু হত্যা করা হয় নি? জামাতীরা কিভাবে নারী, শিশু, বৃদ্ধ হত্যার সেই হত্যাযজ্ঞে কিভাবে মেতে উঠল? আগে এসবের বিচার হোক, তারপর আওয়ামী লীগ হোক আর বিএনপি হোক, সব দুনীর্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হব।

৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: জামাতীরা নিরীহ বেসামরিক মানুষকে হত্যা ধর্ষণ নির্যাতন নিপীড়ন করেছে বা পাকিস্তানীদেরকে তা করতে সাহায্য করেছে - এই প্রচারণা আওয়ামী সমর্থিত মিডিয়ার, তাদের সমর্থক বুদ্ধিজীবিদের। এই নিয়ে ট্রাইব্যুনালে যারা অভিযোগ উত্থাপন করেছে, তদন্ত করেছে, মামলা লড়েছে, বিচার কাজ করেছে - এরা সবাই আওয়ামী রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরক্ষভাবে জড়িত বা একই আদর্শের ধারক ও বাহক। কোন নিরপেক্ষ আদালতে কখনোই এসব অভিযোগ প্রমাণ করা সম্ভব হবেনা। আমার কলিগের বাড়ি পিরোজপুর। ৭১ সালে জামাত নেতা দেলোয়ার সেখানে এসব অপকর্মে জড়িত ছিল - এরকম কিছু উনি বা ওনার পরিবারের কেঁউ কখনও শোনেননি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস - জামাতের সব নেতার ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটেছে।

তাই বলছি, যাদের অপরাধের অকাট্য কোন প্রমাণ নেই, যারা ধর্মীয় বিধিবিধান কঠরভাবে অনুসরণ করে, কোন রকম ঘুষ দুর্নীতির সাথে জড়িত নয়, খুব সাধারণ সাধাসিধা লাইফস্টাইলে অভ্যস্ত - তাদের বিরুদ্ধে এরবড় অপরাধের অভিযোগ কি যুক্তিতে বিশ্বাস করব?

৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৩৯

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: যুদ্ধের সময়কার পত্রিকাগুলোই সত্য কথা বলে, নিজামী, গোলাম আযমরা কে কি করছে।
গলাবাজি করে মিথ্যা আর কত বলবেন?

১০| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩০

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আপনার সাথে তর্ক করা বৃথা। আপ্নারসব কথা মেনে নিলাম। একটা অনুরোধ কি রাখবেন?

যুদ্ধের সময়কার অন্তত একটা পত্রিকার কাটিং দেখান, যেখানে আছে নিজামী বা গোলাম আযম অমুক অমুক জায়গায় অতজনকে খুন করেছে, অতজনকে ধর্ষণ করেছে, অতজনকে পাকি বাহিনীর হাতে ধরিয়ে দিয়েছে।

আশা করি এই অনুরোধ ফেরাবেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.