নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
গোলাম আজম পর্বের সমাপ্তি হয়েছে শেষ পর্যন্ত। বলা যায় অনেকটাই শান্তিপূর্ণ ভাবে। যা আংশকা করা হয়েছিল তেমন কিছু ঘটেনি। কৃত্রিম কফিন বানিয়ে তার পাশে শুয়োর বসিয়ে কজন তরুণ উল্লাস করলেও এ ব্যাপারে বাকিরা ছিল প্রায় নীরব।
জামায়াত এ ইসলামের জোট গুরু বিএনপি জানাজায় কাউকে পাঠায়নি এবং শোক-বানী পর্যন্ত প্রকাশ করেনি। গোলাম আজম ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের অপরাধ প্রমাণ করার জন্যআদালতের প্রয়োজন ছিল বলে মনে হয়না। স্বাধীনতা তথা মুক্তিযুদ্ধ মানেই সংগ্রাম, যুদ্ধ, মৃত্যু, লাশ আর বিজয়ের মিছিল। রাজাকার , আলবদর ও আলশামস নামক কিলিং মেশিনের তাণ্ডবে গোটা দেশ ছিল ভীত, সন্ত্রস্ত। আর এই গোলাম আজমরা ছিল এসব অপকর্মের পালের গোদা।
এদের ভিক্টিম হয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছি শহর হতে গ্রামে, গ্রাম হতে শহরে। ওরা খোলা আকাশের নীচে আমাদের উলঙ্গ করে মুসলমানিত্বের প্রমাণ নিয়েছে। হিসাবে না বনলে ধরে নিয়ে লাশ বানিয়েছে। জানাজায় লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটিয়ে এসব পাপ মোচন করা যাবে এমনটা ভেবে থাকলে ভুল করবেন কথিত আল্লার বান্দা দাবিদার এসব ’আউলিয়ার’ দল।
ফটোসেশন হইছে বলা যায়, নামায হইছে কিনা সে প্রশ্ন থেকে যাবে। কাতার ঠিক না থাকলে নামায হবার কোন যুক্তি নাই। বিশেষ করে ইমাম যেখানে বাকিদের সাথে একই কাতারে। এটা ইসলামে নাই, মওদুদীবাদে থেকে থাকতে পারে। যারা নামাযের নাম এই ধরনের ফটোসেশন করলো তারা কি মুসলমান নাকি মওদুদী?
পাপ কেবল পাপই। এর অন্যকোনো পরিচয় নেই। ৭১ আর ২০১৪ সালের পাপের ভেতর মৌলিক কোন তফাৎ নেই।
খবরটি প্রকাশ হয় ১০ অক্টোবর ২০১৪
বাকশক্তি হারিয়েছেন গোলাম আজম
বাকশক্তি হারিয়েছেন অধ্যাপক গোলাম আযম। কণ্ঠে আওয়াজ নেই,কথা বের হচ্ছে না। শারীরিকভাবে অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছেন তিনি।হাত-পা নাড়াচাড়া করতে চেষ্টা করছেন, কিন্তু পারছেন না। প্রেসার অনেক লো।’
আজ সন্ধ্যায় গোলাম আযমের ছেলে প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ-হিল আমান আজমী এ কথা জানিয়েছেন
তবে, বাকশক্তি হারানো গোলাম আজম ১০ তারিখের পর পায়ু পথে বায়ু ত্যাগ করেছেন আর তা থেকেই সন্তানের বোধন।.....
খোদার সাথে খোদগারির অপরাধ শিরক। আর অন্য সব অপরাধের যাক খুশি ক্ষমা আল্লাহ্ করবেন কিন্তু যে ব্যক্তি শিরক করে তাকে কোন সময় ক্ষমা করবেন না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৩
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আপনার লেখাতা অনেকটাই 'ফান' আকারে এসেছে। তবে এর মধ্যে ঘৃণা সৃষ্টির প্রচুর উপকরণ আছে। তবে কয়েকটি কথায় আমার আপত্তি আছে। অলরেডি আমি কালার হয়ে গেছি, যার শাস্তিস্বরূপ আমাকে ওয়াচে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সত্য কথা না বললে আমার ভাল লাগেনা।
- প্রথম ছবিটা আপনি যেভাবে দিলেন, এর সত্যতার ব্যাপারে অনেক সন্দেহ আছে। এর কোন রেকর্ডেড কপি নেই। ১৯৯১ সালে একজন বাঙালি যদি পথসভায় এ ধরণের উক্তি করতে পারে, তবে তো সে এমনিতেই রাষ্ট্রদ্রোহে অভিযুক্ত হবে। অন্য মামলা করার প্রয়োজনই পড়বেনা। কিন্তু ছবিটি যেভাবে দিয়েছেন, তা অনেকে হিস্টরিক্যাল ফ্যাক্ট হিসেবেই ব্যবহার করবে।
- এরকম কথা বলে থাকলে গণজাগরণ মঞ্চে এটি ব্যানার হিসেবে ঝুলত, অথচ ঐ সময় কোন ব্লগ, ফেসবুক বা কারো বক্তৃতায়, কোন নিউজপেপারে এটি উঠে আসেনি।
- নামাযে মুসল্লীরা যেভাবে দাঁড়িয়েছেন, জানাযা পড়াবার নিয়মে আমি কোন ব্যত্যয় দেখতে পাচ্ছিনা
- গোলাম আযম তার পুত্রকে মৃত্যুর ৫ মিনিট আগে অসিয়ত করে গেছেন - এটা কি তার পুত্র কোথাও বলেছেন। তিনি হাসপাতালে থাকার যে কোন সময় এই অসিয়ত করে থাকতে পারেন - এরুপ না হবার নিশ্চয়তা কি?
- গোলাম আযমের 'আদম সৃষ্টির হাকীকত' বইটি সংগ্রহ করে দেখুন তো এর কোথাও এরকম 'খোদার ওপর খোদগারী' করা আছে কিনা। আমাদের সংবাদপত্রের খবরে আমরা কেন যেন আস্থা রাখতে পারিনা।
আশা করব এরকম কমেন্ট লেখার কারণে মডারেশন প্যানেল আমায় ব্যান করে দেবেন না। কারণ আমি কোন নিয়ম ভঙ্গ করিনি।