নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির অবিস্মরণীয় অধ্যায়। একাত্তরে একদল স্বজাতিদ্রোহী শুধু পাকিস্তানকে সমর্থনই করেনি, তারা যুক্ত হয়ে পড়েছিল গণহত্যায়ও। তারা গড়ে তুলেছিল বিভিন্ন বাহিনী এবং এসব বাহিনী পাকিস্তানি সেনাদের দোসর হয়ে সব ধ্বংসযজ্ঞে শামিল ছিল। গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী গং তখন যে রকম রক্তপিপাসু হয়ে উঠেছিল, সে সবই ইতিহাসের পাতায় জ্বল জ্বল করছে। তাদের অপকর্মের বিচারের দাবি এ দেশের কোটি কোটি মানুষ বিগত চার দশক ধরেই জানিয়ে আসছিল। এই স্বজাতিদ্রোহী, ঘাতক চক্রকে রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীদার পর্যন্ত করেছিল বিএনপি। একটা জাতির এর চেয়ে গ্লানির বিষয় আর কি হতে পারে! স্বাধীন দেশেও জামায়াত-শিবির অর্থাৎ একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা কম ধ্বংসযজ্ঞ চালায়নি। শেষ পর্যন্ত বিগত মহাজোট সরকার বিলম্বে হলেও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে ও বর্তমান সরকারও এ ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলেই মনে হচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর বিচার হয়েছে, একজনের চূড়ান্ত দণ্ডও কার্যকর হয়েছে।
২৯ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ জামায়াতের আমির ও বদর বাহিনীর প্রধান মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই রায়ই জাতির প্রত্যাশিত। বলা যায়, এর ফলে গণদাবিরই জয় হলো। জামায়াত এই রায়ের বিরুদ্ধে ৩ দিনের হরতালের (মধ্য ২ দিন বাদ দিয়ে) ডাক দিয়েছে। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা খুব তিক্ত। যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর রায়ের পর কি তাণ্ডব ও নৃশংসতা তারা চালিয়েছিল তা ভুলে যাওয়ার নয়। তাদের এসব তাণ্ডবই ছিল আইন, আদালত, বিচার ব্যবস্থার প্রতি চ্যালেঞ্জসম। এবারো তাই মনে হলো। তাদের সমর্থনদানকারী রাজনৈতিক শক্তি এসব রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো প্রতিক্রিয়া প্রকাশ্যে ব্যক্ত না করলেও তাদের সমর্থন যে রয়েছে হরতালের প্রতি, এমনটি বলা যায় দ্বিধাহীনভাবেই। সম্প্রতি পত্রিকান্তরে ভারতীয় গোয়েন্দাদের বরাত দিয়ে দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশ, ভারতে ঘাপটি মেরে থাকা বাংলাদেশি জঙ্গিদের হিটলিস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ অনেক রাজনৈতিক নেতা ও প্রগতিমনা মানুষের নাম রয়েছে। জঙ্গিদের হিটলিস্টে বেগম খালেদা জিয়ার নাম এবারই প্রথম শোনা গেল। বিএনপি বিষয়টিকে কিভাবে দেখছে জানি না, তবে এ কথা তো সত্য যে, এই জঙ্গিরা জামায়াতেরই সৃষ্টি। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের শাসনামলে জঙ্গিরা দেশে কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল তাও ভুলে যাওয়ার নয়। মতিউর রহমান নিজামীসহ সব যুদ্ধাপরাধীর চূড়ান্ত শাস্তিই কাম্য। ওরা কোনো দিনই ক্ষমা পেতে পারে না। ওরা সেদিন অর্থাৎ একাত্তরে নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধ-বৃদ্ধা-গর্ভবতী কোনো বাছ-বিচার না করে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে। আজ কেন এই যুদ্ধাপরাধীর কারো কারোর বয়স ও শারীরিক অবস্থা আমলে নেয়া হচ্ছে তা বোধগম্য নয়। তারা সেদিন কোনো কিছুই আমলে নেয়নি। মানবতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধের সব মামলার কার্যক্রম গতিশীল করে দ্রুত আদালতের রায় কার্যকর করতে সরকারকে আরো তৎপর হতে হবে। নিজামীদের মৃত্যুদণ্ড অর্থাৎ চূড়ান্ত শাস্তি এ দেশের শান্তিপ্রিয়, প্রগতিবাদী, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও চেতনাধারী সবাইকে নিঃসন্দেহে খুশি করছে এবং করবে। আমরা বিলম্বে হলেও ইতিহাসের দায় মেটাচ্ছি। সময়ক্ষেপণ না করে এই দায় মেটানোর সব কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। কলঙ্ক মোচনে কোনো রকম শৈথিল্য প্রদর্শন কাম্য নয়। আদালতের রায়ের প্রতি সবাইকে হতে হবে শ্রদ্ধাশীল। আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার আরো মসৃণ করতে হবে সরকারকেই। সুত্র
০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৯
তালপাতারসেপাই বলেছেন: আপনি কি ইউরো খাওয়া এজেন্ট?
২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৫
খাটাস বলেছেন: ইউরো আপনার এই কমেন্ট করার জন্য জামাত আপনাকে কমেন্ট প্রতি কত টাকা দেয়? নাকি পাতা জাতীয় কিছু দেয়?
৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৯
ইউরো-বাংলা বলেছেন: আমার কমেন্টে যদি খাটাস রুপি মানুষরা বিস্ফোরিত সেটাই আমার পুরষ্কার, কসম হাসিনার।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৯
তালপাতারসেপাই বলেছেন: ইউরো খাওয়া এজেন্ট !
৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩২
খাটাস বলেছেন: নিজামি গোয়াজমের বিরুদ্ধে কিছু বললেই যিনি লীগের বুদ্দিজিবি হউয়ার অফার বিলি করেন, তাদের কথায় একটু বিস্ফোরিত হতে হয় বৈকি।
৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৭
ইউরো-বাংলা বলেছেন: লীগের বুদ্ধিজীবি হতে পারলে লাভের উপর লাভ। শুধু চাপাবাজি করেই কোটি কোটি টাকা কামাতে পারবেন। অবশ্য লীগ যতদিন ক্ষমতায় আছে ততদিনই।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১১
তালপাতারসেপাই বলেছেন: ইউরো খাওয়া বিলাতি এজেন্ট
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০১
ইউরো-বাংলা বলেছেন: চালিয়ে যান, আওয়ামী পে বুদ্ধিজীবি খাতায় নাম উঠে যাবে।