নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
একাত্তরে ফরিদপুরের নগরকান্দায় হত্যা, গণহত্যা ও ধর্ষণের মতো যুদ্ধাপরাধের দায়ে ওই এলাকার রাজাকার কমান্ডার জাহিদ হোসেন খোকন ওরফে খোকন রাজাকারের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত।
১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতের হয়ে কাজ করা খোকন স্বাধীনতার পর বিএনপির রাজনীতিতে জড়ান। ৩ বছর আগে নির্বাচনে জিতে নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র বনে যান ৬৬ বছর বয়সী এই যুদ্ধাপরাধী।
যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বৃহস্পতিবার এই পলাতক যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ সাজা ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
১০৯ পৃষ্ঠার রায়ে বলা হয়, জাহিদ হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ১১টি অভিযোগের মধ্যে ১০টি প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ ও ১০ নাম্বার অভিযোগে অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা, গণহত্যা, লুটপাট ও অগি্নসংযোগের দায়ে ফাঁসির রায় এসেছে।
এছাড়া ২, ৩, ৪ ও ১১ নাম্বার অভিযোগে আটক, ধর্ষণ, ধর্মান্তর ও দেশান্তরে বাধ্য করা, মানসিক নির্যাতন ও নিপীড়ন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনে পরামর্শ ও সহযোগিতার দায়ে আসামিকে মোট ৪০ বছরের কারাদ- দেয়া হয়েছে।জাহিদ হোসেন খোকনকে গ্রেপ্তার বা তার আত্মসমর্পণের পর এই সাজা কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক।
এই রায়ের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করা যাবে। তবে সেই সুযোগ নিতে হলে খোকন রাজাকারকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত আসা ১২টি রায়ের মধ্যে তিনটি মামলায় মোট চারজন পলাতক আসামির সর্বোচ্চ সাজা হলো।
ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায়ে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক রুকন আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার এবং নবম রায়ে একাত্তরের দুই বদর নেতা আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের ফাঁসির আদেশ আসে। পলাতক থাকায় তারা কেউ আপিলের সুযোগ পাননি।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তদন্ত শুরুর পর থেকেই পলাতক খোকন এখন কোথায় আছেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য নেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে। তবে সুইডেনপ্রবাসী বাংলাদেশিদের তথ্য অনুযায়ী, সেখানেই বড় ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে বহালতবিয়তে রয়েছেন খোকন।
রাজাকার কমান্ডার থেকে জনপ্রতিনিধি
ফরিদপুরের নগরকান্দার মোতালেব মিয়া ও জয়নব বেগমের দুই ছেলে এবং দুই মেয়ের মধ্যে জাহিদ হোসেন খোকন দ্বিতীয়। তার বড়ভাই জাফর হোসেনও একাত্তরে একজন রাজাকার কমান্ডার ছিলেন, যিনি চাঁদহাটের যুদ্ধে ধরা পড়ে জনতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের পিটুনিতে নিহত হন।
এ মামলায় প্রসিকিউশনের প্রথম সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমের জবানবন্দি থেকে জানা যায়, ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে ওই এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ছিলেন মওলানা মোহাম্মদ আলী। জাহিদ হোসেন খোকন ও তার বড়ভাই জাফর সে সময় মোহাম্মদ আলীর পক্ষে কাজ করেন।
একাত্তর সালের ২১ এপ্রিল নগরকান্দায় পাকিস্তানি বাহিনী এলে খোকন ও তার ভাই জাফর তাদের অভ্যর্থনা জানায়। এরপর জাফরের নেতৃত্বে একটি এবং মওলানা আবুল কালামের নেতৃত্বে আরেকটি মুজাহিদ বাহিনী গঠন করা হয়।
এ দুই বাহিনী পরে নগরকান্দার হিন্দুদের এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও সমর্থকদের বাড়িঘর লুটপাট, অগি্নসংযোগ, ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে লিপ্ত হয় বলে আদালতকে জানান কাশেম। স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় খোকন ছিলেন আনসার সদস্য।
ফরিদপুর অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে লেখা রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদীর ''৭১ সালের দশ মাস' এবং মুক্তিযোদ্ধা মো. সোলায়মান আলীর লেখা 'মুক্তিযুদ্ধে বৃহত্তর ফরিদপুর' বইয়ের তথ্য অনুযায়ী আনসার বাহিনীর প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে নগরকান্দার রাজাকার বাহিনীকে সুসংগঠিত করে তোলেন খোকন ও তার ভাই জাফর।
আর এ কাজে তারা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক রুকন আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের কাছ থেকেও সহযোগিতা পেতেন। পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে সে সময় খাড়াদিয়ায় নিজস্ব বাহিনী গড়ে তোলেন বাচ্চু, যা 'খাড়াদিয়ার মিলিটারি' নামে পরিচিতি পায়।
প্রসিকিউশনের তদন্ত সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ২৯ মে চাঁদহাটে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বড় ধরনের যুদ্ধ হয়। সেই যুদ্ধে জাফর নিহত হলে নগরকান্দা রাজাকার বাহিনীর প্রধান হন তার ভাই খোকন।
নগরকান্দা সদরের কোদালিয়া-শহীদনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মো. রফিকুজ্জামান অনু বলেন, 'জাহিদ হোসেন খোকন বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যেই বলেছেন যে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। এ নিয়ে তার মধ্যে এক ধরনের গর্ববোধও ছিল।'
স্বাধীনতার পর খোকন আত্মগোপনে যান এবং ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর খোকন এলাকায় ফেরেন।
সাংবাদিক ও কলাম লেখক আবু সাঈদ খানের লেখা মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস_ তৃতীয় খ-ে বলা হয়, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে জাহিদ হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে দালাল আইনে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধের আগে জামায়াতঘনিষ্ঠ খোকন বিএনপির রাজনীতিতে জড়ান জিয়াউর রহমানের আমলে। সর্বশেষ নগরকান্দা পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি হন। সেই সূত্রে ২০১১ সালে নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।
এরই মধ্যে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তদন্ত শুরু হলে মেয়র হিসেবে শপথ নেয়ার পরপরই নিরুদ্দেশ হন জাহিদ হোসেন খোকন। ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরুর পর সরকার তাকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় নগরকান্দায় ব্যাপক লুটপাট ও হুমকি দিয়ে অর্থ আদায় করেন খোকন ও তার ভাই জাফর, যা ট্রাইব্যুনালে দেয়া সাক্ষীদের বক্তব্যেও উঠে এসেছে।
নগরকান্দা পৌরশহরে তার একটি তিনতলা বাড়ি ছাড়াও বিপুল পরিমাণ জমিজমা রয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান।
খোকনের স্ত্রী আম্বিয়া বেগম, মেজ ছেলে লেনিন ও ছোট ছেলে পলিন দেশে থাকলেও ওই বাড়িতে থাকেন না। বড় ছেলে খায়রুজ্জামান লিংকন সুইডেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক।
খোকনের এক মেয়েও স্বামীর সঙ্গে স্টকহোমে থাকেন বলে সুইডেনপ্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক সৈয়দ আমিনুল এহসান জানান।
তিনি বলেন, 'জাহিদ হোসেন খোকন এখন সুইডেনেই আছেন। কয়েক দিন আগেও তাকে মেয়ের জামাই বদিউজ্জামান বদির সঙ্গে স্টকহোমে দেখা গেছে।'
মামলার পূর্বাপর
২০১২ সালের ১৬ এপ্রিল থেকে গত বছরের ২৮ মে পর্যন্ত জাহিদ হোসেন খোকনের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করে প্রসিকিউশনের তদন্ত কর্মকর্তা সত্যরঞ্জন রায়। এরপর ২৯ মে তার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়।
গত বছর ১৮ জুলাই অভিযোগ আমলে নিয়ে বিএনপির এ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হলে আদালতের নির্দেশে খোকনকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপরও তিনি হাজির না হওয়ায় তার অনুপস্থিতিতেই আদালত মামলার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলে। পলাতক খোকনের পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে আবদুুস শুকুর খানকে আইনজীবী নিয়োগ দেন বিচারক।
গত বছর ৯ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে খোকন রাজাকারের বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল।
২১ নভেম্বর থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সত্যরঞ্জন দাসসহ ২৪ জন সাক্ষ্য দেন। আসামি পলাতক থাকায় তার পক্ষে কোনো সাফাই সাক্ষী ছিল না।
এরপর দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১৭ এপ্রিল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে ট্রাইব্যুনাল।
দ্বাদশ রায়
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধের বহু প্রতীক্ষিত বিচার শুরু হয়। ২০১৩ সালের ২১ জানুয়ারি প্রথম রায়ে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক রুকন আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির আদেশ আসে। পলাতক থাকায় তিনি আপিলের সুযোগ পাননি।
৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় রায়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হয়, যা প্রত্যাখ্যান করে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নেয় হাজার হাজার মানুষ।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সেই আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে জনতার দাবির মুখে সরকার ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধন আনে। এর মধ্য দিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে দুই পক্ষেরই আপিলের সমান সুযোগ তৈরি হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ এ মামলার চূড়ান্ত রায়ে কাদের মোল্লাকে প্রাণদ- দেয়, যা কার্যকর করা হয় ১২ ডিসেম্বর।
ট্রাইব্যুনালের তৃতীয় রায়ে গত বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির আদেশ হলে দলটির ঘাঁটি বলে পরিচিত এলাকাগুলোতে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি হিসেবেই পুলিশসহ নিহত হয় ৭০ জনেরও বেশি মানুষ।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে সাঈদী আপিল করলে চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর 'দেইল্যা রাজাকার' নামে খ্যাত এই জামায়াত নেতার সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদ-ের আদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
গত বছর ৯ মে ট্রাইব্যুনালের চতুর্থ রায়ে জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকেও মৃত্যুদ- দেয় ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুই পক্ষের আপিল শুনানি শেষে গত ৩ নভেম্বর দ- বহাল রাখে আপিল বিভাগ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও উস্কানির দায়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন জামায়াত আমির গোলাম আযমকে গত বছর ১৫ জুন ৯০ বছরের কারাদ- দেয় ট্রাইব্যুনাল। এটি ছিল ট্রাইব্যুনালের পঞ্চম রায়।
রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি চলার মধ্যেই গত ২৩ অক্টোবর রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৯২ বছর বয়সী জামায়াতগুরু।
গত বছর ১৭ জুলাই ষষ্ঠ রায়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকেও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদ- দেয়া হয়।
এরপর ১ অক্টোবর সপ্তম রায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রামের সাবেক সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় আসে। তারাও রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেছে।
গত বছর ৯ অক্টোবর বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীমকে আমৃত্যু কারাদ- দেয় আদালত। যুদ্ধাপরাধের দ- ভোগের মধ্যে ৮৩ বছর বয়সে ৩০ আগস্ট মারা যান আলীম। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর ১১ মাস কারাবন্দি অবস্থায় হাসপাতালের প্রিজনসেলে ছিলেন তিনি।
বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে একাত্তরের দুই বদর নেতা আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে গত বছর ৩ নভেম্বর মৃত্যুদ- দেয় ট্রাইব্যুনাল। তারা দুজনেই পলাতক।
দশম রায়ে ২৯ অক্টোবর জামায়াত আমির একাত্তরের বদরপ্রধান মতিউর রহমান নিজামীকেও দেয়া হয় সর্বোচ্চ সাজা, যিনি বাঙালি জাতিকে সমূলে ধ্বংস করতে 'স্বেচ্ছায় ও সচেতনভাবে' ইসলামের অপব্যবহার করেন বলে রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়।
একাদশ রায়ে ২ নভেম্বর চট্টগ্রামের আলবদর কমান্ডার মীর কাসেম আলীকেও আদালত মৃত্যুদ- দেয়। জামায়াতে ইসলামীর এই শূরা সদস্যকে দলটির প্রধান অর্থ জোগানদাতা বলা হয়ে থাকে।
©somewhere in net ltd.