নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
এ জগতে হা্য়!
কে দায় নিতে চায়?
সিলেটি নেতারা কেন,
শুধু পালাতে চা্য়?
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরীর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। গত ছয়দিন ধরেই সিলেটে নেই তিনি। চারদিন হয় নগরভবনে যাননি একবারও। করপোরেশনের কোন কার্যক্রমেও তার অংশগ্রহণ নেই। এমনকি তার নিয়মিত ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ। সরকার গুম করে ফেলল নাকি?
আরে না!
গত বৃহস্পতিবার সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিলের পর থেকে মেয়র আরিফকে আর জনসম্মুখে দেখা যাচ্ছে না। গ্রেফতার এড়াতে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আত্মগোপন করেছেন কি না এই বিষয়টি এখন আলোচিত হচ্ছে। তবে মেয়র আরিফুল হকের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, তিনি আত্মগোপন করেননি, প্রয়োজনীয় কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর ঢাকায় অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার গণসংযোগ কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন মঞ্জু। তিনি বলেন, মেয়রের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব বলেন, মেয়র জরুরী কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন। কিন্তু কি জরুরী কাজ এবং কবে থেকে অফিস করবেন এ ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি তিনি।
অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জেলা বিএনপির এমনিতেই বেসামাল অবস্থা। নেতা কর্মীরা নিজেদের কোন্দল নিয়ে নিজেরাই ব্যস্ত। তার এই দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াবার ফুরসত নেই তাদের। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে অনেকটা ফুরফুরা মেজাজে ছিলেন। দ্বিধা বিভক্ত বিএনপির ঘর সামাল দিতে কেন্দ্র যখন ভাবনা চিন্তায় অস্থির, তখনই আরিফুল হকের বিজয় সংবাদ বিএনপির জন্য সুসংবাদ বয়ে নিয়ে আসে। জেলা বিএনপির কোন্দল মেটাতে আরিফ নিয়ামক শক্তি হিসাবে কাজ করতে পারবেন এমন আশা নিয়ে দিন গুনছিল কেন্দ্রীয় কমান্ড। কিন্তু সরকারের বিপরীতে অবস্থান করে এতদিন আরিফ নিজের মেয়র পদের চেয়ারটি সুসংহত করতে হিমশিম খেয়ে আসছেন। দলের হাল ধরার মতো সময় পাননি। তিনি এখন নিজের সমস্যা দেখবেন নাকি দল দেখবেন। সব মিলিয়ে এখন লেজেগোবরে অবস্থা।
সুত্র
©somewhere in net ltd.