নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল আদালত অবমাননা

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৬

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছিল তাদের দণ্ডের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী যে হরতালের ডাক দিয়েছে তা আদালত অবমাননার শামিল। আলবদর প্রতিষ্ঠাতা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ের পর থেকেই জামায়াত একটানা হরতাল শুরু করেছে। সর্বশেষ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আপীল বিভাগে চূড়ান্ত রায ঘোষণায় জামায়াত আবারও নতুন করে হরতালের কর্মসূচী দিয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের রায়ের পর জামায়াত হরতাল দেয়া বিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ আইনকর্মকর্তা মাহবুবে আলম বলেছেন, এটা আদালত অবমাননার শামিল।



পাশাপাশি দেশের আইনবিশেষজ্ঞগণও একই অভিমত ব্যাক্ত করে বলেছেন, মামলায় আসামি পক্ষ শুনানি করেছেন,যুক্তিতর্কে অংশগ্রহণন করেছেন। আবার রায় ঘোষণার পর হরতালের ডাক দিচ্ছেন,যা আদালত অবমাননার শামিলই নয়, এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতারও শামিল। রাজনৈতিক কারণে হরতাল হতে পারে। রায়ের ব্যাপারে হরতাল ডাকাটা আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা নেই। হরতাল ডাকার বিরুদ্ধে যে কেউ আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন্ এমনকি আদালতও স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দিতে পারে।

এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, যারা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল ডাকে তারা আদালত অবমাননা করে। হরতাল একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার। সেটা কখনই আদালতের ওপর প্রযোগ করতে পারে না। এটা চরম ধৃষ্টতা। আইনের ওপর শ্রদ্ধাবোধ থাকলে তারা হরতাল দিতে পারত না। তিনি আরও বলেন,‘রায় আদালতের ব্যাপার, এটা রাজনৈতিক বিষয় নয়। প্রত্যেক রায়ের পরই যে জামায়াত হরতাল ডাকে সে বিষয়ে আদালতকে জানানো হয়েছে। আদালত বিষয়টি দেখবে বলে জানিয়েছে।

সুপীমকোট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক সিনিয়র আইনজীবী শ.ম রেজাউল করিম বলেছেন, আমার কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গÑবিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও আইনবিভাগ । আইনবিভাগের স্বাধীন বিচার কার্যের এবং রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল আহ্বান করা বা আইনী প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে প্রতিবাদ করা শুধু আদালত অবমাননাই নয় রাষ্ট্রদ্রোহিতাও বটে। সে কারণে হরতাল আহ্বানকারীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ছাড়াও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়ের হতে পারে।

রায়ের ব্যাপারে হরতাল আইনের শাসনের প্রতি শদ্ধা নেই এটাই বোঝায়। দ্বিতীয়ত, যারা যুদ্ধাপরাধী এবং এর সমর্থক তারা যুদ্ধাপরাধ করেছে এখন অস্বীকারের শামিল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.