নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘নজর’ কাড়তে দলের মধ্যম ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের লন্ডন সফর বেড়েছে। ওয়ান-ইলেভেনের পর দলের সংস্কারপন্থী বলে পরিচিতদের কয়েকজন সম্প্রতি লন্ডন গেছেন। এ ছাড়াও বিগত সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় ‘নিষ্ক্রিয়তা’র কারণে দলে যারা ‘অবস্থান’ হারিয়েছেন এবং দলে গুরুত্বপূর্ণ পদবি পেতে চান এমন নেতারা এখন লন্ডনমুখী হচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির অর্ধশত নেতা লন্ডনে গিয়েছেন। তাদের কেউ তারেক রহমানের দেখা পেয়েছেন, কেউ দেখা না পেয়ে ফিরে এসেছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের গত টার্মে রাজনীতিতে অনেকটা নিষ্ক্রিয় ছিলেন তারেক রহমান। কিন্তু ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর তারেক রহমান দলীয় রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় হয়ে ওঠেন। হাওয়া ভবনে তাকে ঘিরে তৈরি করা বলয়ও সক্রিয় হয়ে ওঠে।
গত কয়েক মাসে লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে যারা দেখা করতে গেছেন তাদের তেমন কাউকে নিরাশ করেননি তিনি। তার ঘনিষ্ঠরা বলছেন, এখন প্রায় সবার সঙ্গেই দেখা করেন বিএনপির ভাবী কাণ্ডারি। কিন্তু অল্প কয়েকজন যারা দেখা পান না বা দেখা পেতে দীর্ঘদিন সময় ঘুরতে হয়, তাদের ওপর তারেক রহমান বিরক্ত— এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ একজন বলেন, ‘ভাইয়া (তারেক রহমান) এখন আর আগের মতো নেই। সবার সঙ্গেই দেখা করেন। যদি কেউ দেখা না পান, তাহলে বুঝতে হবে তার ওপর রুষ্ট তিনি।
সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আহমেদ আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, এরশাদ উল্লাহসহ অনেকে তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করেছেন। এছাড়া মধ্যসারির কয়েকজন নেতাও তার দেখা পান বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। এর বাইরে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠরা হরমামেশাই তার দেখা পান।
প্রায় একই সময়ে দেখা করতে গিয়েও ব্যর্থ হন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। বেশ কয়েকদিন চেষ্টা করে দেখা করতে ব্যর্থ হয়ে শুক্রবার সকালে দেশে ফেরেন তিনি। অবশ্য তাড়াহুড়ো করে দেশে ফেরার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তার ঘনিষ্ঠ একজন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালের সঙ্গে খালেদা জিয়ার সাক্ষাতের সময় উপস্থিত থাকতে তিনি দেশে ফিরে আসেন।
জানা গেছে, কূটনীতিকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী। যার কারণে তার ওপর ক্ষুব্ধ তারেক।
যুক্তরাষ্ট্রে চিকিত্সা নিতে যাওয়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা সম্প্রতি লন্ডনে যান। সেখানে তার ছেলে পড়ালেখা করেন। মাল্টিপল ভিসা নিয়ে আমেরিকা থাকায় একটি নির্দিষ্ট সময় পর তাকে অন্য দেশে গিয়ে আবার আমেরিকায় যেতে হয়। সেই নিয়ম মেনে তিনি লন্ডন গিয়েছেন। তবে এর ভিতরে অন্য রাজনীতি আছে বলে অনেকে বলে বেড়াচ্ছেন।
জানা গেছে, গত সাত দিন চেষ্টা করেও তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি সাদেক হোসেন খোকা। লন্ডনের একটি সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত খোকা দেখা করতে পারেননি।
জানা গেছে, তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ এবং খোকা অনুসারী বলে পরিচিত ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুম কয়েকদিন আগে লন্ডনে যান। তারেক রহমানের সঙ্গে খোকাকে দেখা করিয়ে দিতেই তিনি সেখানে গেছেন। তবে গত তিন দিন চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
লন্ডনের একটি সূত্র জানিয়েছে, হয়তো খোকা তারেক রহমানের দেখা পাবেন। তবে দেখা করতে ‘সময়’ পেতে তাকে যে বেগ পেতে হয়েছে, তাতে এটা নিশ্চিত যে, তারেক রহমান তার প্রতি সন্তুষ্ট নন।
ওয়ান-ইলেভেনের পরবর্তী সময়ে সংস্কারপন্থী হওয়ায় খোকার ওপর বেশ ক্ষুব্ধ তারেক রহমান। এছাড়া বিগত সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় ‘পালিয়ে’ থাকায় তার ওপর বেশ অসন্তুষ্ট হন তিনি। সুত্র
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৮
নিলু বলেছেন: বুজতে পারলাম ণা
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৬
নিজাম বলেছেন: হালুয়-রুটির জন্য যা যা করা দরকার তা তা করাই তো আসল বুদ্ধিমানের কাজ!!!!