নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

পালাতক ওরা ১১ জন কোথায়?

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৩



গাড়ি ভাংচুর ও অগি্নসংযোগের মাধ্যমে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর সঙ্গে জড়িত ১১ জনের ছবি প্রকাশ করে তাদের ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পুলিশ। রাজধানীজুড়ে এসব অপরাধীর ছবি সংবলিত পোস্টারও বিতরণ করা হয়েছিল। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়েবসাইট ও অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও তাদের ছবি প্রকাশ করা হয়। গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়েও তাদের ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল। তবে সেই ছবি প্রকাশের এক বছর পার হলেও পুরস্কার ঘোষিত ১১ নাশকতাকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তারা কোথায় আছে, তাদের নাম-ঠিকানা দীর্ঘ সময়েও জানতে পারেনি পুলিশ।

ওই ১১ জনের তাণ্ডবের ভয়াবহতা বোঝাতে তাদের দেশ ও জাতির শত্রু এবং সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করেছিল পুলিশ। ছবি প্রকাশ করা ১১ জনকে ঢাকা শহরের প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি বলেও ওই সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, সেদিন জামায়াত-শিবির মতিঝিলসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছিল।

এসব তাণ্ডবে মূল নেতৃত্ব দানকারী জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মতিঝিল তাণ্ডবে মাঠ পর্যায়ে নেতৃত্বে থাকা ১১ জন আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পুরস্কার ঘোষিত ১১ জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ জন্য তিনি নগরবাসীর সহায়তাও কামনা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওই ১১ জনের নেতৃত্বে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকা, আরামবাগ ও মতিঝিল এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। ওই দিন জুমা নামাজের পর তাদের নেতৃত্বে ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি দল ওই এলাকায় ১৭টি গাড়ি পুড়িয়ে তাণ্ডব সৃষ্টি করে। তারা ফুটপাতের দোকানপাটও পুড়িয়ে দেয়। মাত্র ২০ মিনিটের এ জ্বালাও-পোড়াও তাণ্ডবে এক ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল ওই এলাকায়।

সেদিন শুক্রবার হলেও মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পরীক্ষা চলছিল। তাণ্ডব সৃষ্টিকারীদের ব্যাপক বোমাবাজিতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বোমাবাজির ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে যায় পুরো এলাকা। ভাংচুর আর অগি্নসংযোগের মুখে পড়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা দিশেহারা হন। তাণ্ডবের মুখে ওই এলাকায় দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যরাও পিছু হটেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেই তাণ্ডবের ঘটনায় মতিঝিল থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়। ওই মামলাগুলোতে জামায়াত-শিবিরের ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়। মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক মফিজুর রহমানের পর এখন মামলাটির তদন্ত করছেন একই থানার উপপরিদর্শক দুলাল চন্দ্র কুণ্ডু।

পুলিশের এ দুই তদন্ত কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, মামলাগুলোতে এখন পর্যন্ত জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও মতিঝিল থানা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদকসহ এজাহারনামীয় ১৪ জন এবং সন্দেহভাজন আরও ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে পুরস্কার ঘোষিত ১১ জনের কেউ ছিল না।

পুলিশ কর্মকর্তা মফিজুর রহমান জানান, মামলায় জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাকে পুরস্কার ঘোষিত ১১ জনের ছবিও দেখানো হয়েছিল। তবে তিনি কাউকে চেনেন না বলে দাবি করে বলেছেন, তাদের সেদিনের কর্মসূচিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন অংশ নিয়েছিল। এ ধরনের তাণ্ডব কেন্দ্রীয় নেতাদেরও কাম্য ছিল না।

মতিঝিল থানার ওসি ফরমান আলী সমকালকে বলেন, পুরস্কার ঘোষিত আসামিদের চিহ্নিত করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। সোর্স ছাড়াও জামায়াতের বিভিন্ন কর্মসূচি থেকে সংগ্রহ করা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে এখনও ১১ জন কারও নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

ওই ১১ জনের বিষয়ে ডিএমপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে দেখা যায়, তাণ্ডবে নেতৃত্ব দেওয়া ১১ জনের ছবি দিয়ে তাদের ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে প্রতিজনের জন্য এক লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে ধরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়_ 'গত ১৩ ডিসেম্বর (২০১৩) শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে ছবিতে প্রদর্শিত সন্ত্রাসীরা ফকিরাপুল ও মতিঝিল এলাকায় অগি্নসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এসব সন্ত্রাসী দেশ ও জাতির শত্রু। প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি।' এ জন্য ডিবি পুলিশের কন্ট্রোল রুমের একাধিক ফোন নম্বর এবং ই-মেইল অ্যাড্রেসও দেওয়া হয়। সুত্র

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৩

মিতক্ষরা বলেছেন: আসল শত্রু তো গায়ের জোরে বসে থাকা এই অবৈধ সরকার। র‌্যাব দিয়ে একের পর এক গুম করছে মানুষ জনদের।

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৫

হাবিবুর রাহমান বাদল বলেছেন: মাফ করবেন ভাই, আজকের পেমেন্ট ঠিকমত পেয়েছেন তো?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.