নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
গত ৫ জানুয়ারি বিএনপি-জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের ছোড়া বোমার আঘাতে অন্ধ হওয়ার পথে ফেনী সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মেধাবী ছাত্র মিনহাজুল ইসলাম অনিক। তার ডান চোখ ও ব্রেন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বোমায় একমাত্র ছেলের এমন পরিস্থিতিতে দিশাহারা পরিবার। একমাত্র ছেলেকে প্রকৌশলী হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন বোমা বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়ার পথে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনিকের মা ছেলের অপরাধ কি তা জানতে চেয়েছেন বোমাবাজ আর তাদের নির্দেশদাতাদের কাছে।
অনিকের পিতার নাম মিজানুর রহমান (৪৭)। ২০০৫ থেকে ওমান প্রবাসী। মা জেসমিন রহমান (৩৮) গৃহিণী। একমাত্র বোন ফাহমিদা আফ্রিন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া থানাধীন জৈলসকুর গ্রামে। সুখের সংসার। সচ্ছল পরিবার। তেমন আর্থিক টানাপোড়েন নেই। দুই সন্তানকে মানুষ করাই মায়ের একমাত্র কাজ। বিদেশে পিতার ঘাম ঝরানো টাকায় তাই করছিলেন মা। সন্তানদের মানুষের মতো মানুষ করতেই পরিবারটি ফেনী শহরের ডাক্তারপাড়া এলাকায় বসবাস করছেন। কিন্তু বিধি বাম। সে স্বপ্নে বালি পড়েছে। বোমায় তছনছ করে দিয়েছে সে স্বপ্ন।
গত ৫ জানুয়ারি। বিকেল আনুমানিক পৌনে ৫টা। প্রতিদিনের মতো অনিক তার সহপাঠী একই স্কুলের ছাত্র এসএসসি পরীক্ষার্থী হৃদয়ের (ডাকনাম) সঙ্গে মাস্টারপাড়ার বিজয় স্যারের বাসায় গণিত বিষয়ে প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফিরছিল। ওইদিন অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট সারাদেশে সমাবেশ করার চেষ্টা করছিল। এ নিয়ে ফেনীতে ব্যাপক হাঙ্গামা হচ্ছিল। পুলিশের বাধার মুখে ফেনীর বিভিন্ন জায়গায় বোমা হামলা চালায় ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মী ও সন্ত্রাসীরা।
অনিক আর হৃদয় ডাক্তার গলির কাছে এলে একটি বোমা তাদের মুখে পড়ে বিস্ফোরিত হয়। সঙ্গে সঙ্গে রক্তে ভিজে যায় দুই ছাত্র। ওই রাতেই আহতদের ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে হৃদয়কে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আর অনিককে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অনিক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, পুরো মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে শুয়ে আছে ভবিষ্যতের মেধাবী প্রজন্মের অন্যতম সদস্য অনিক। ছেলের বিছানার পাশেই বিলাপ করে কাঁদছেন মা জেসমিন রহমান।
অনিকের সার্বিক পরিস্থিতি জানতে চাওয়া মাত্রই উচ্চৈস্বরে কাঁদতে থাকেন। বলেন, আমার একমাত্র বুকের ধন। তার ডান চোখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্রেনেও মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত। ভবিষ্যতে অনিকের অবস্থার কতটা উন্নতি হবে তা নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকরা। তারা সুস্পষ্ট করে তেমন কিছুই বলতে পারছেন না। বিষয়টি সময় সাপেক্ষ। তিনদিন ধরে এক কাপড়ে হাসপাতালে আছি। চোখের জল শুকিয়ে গেছে। ক্ষুধা নেই। কিছুই খেতে ইচ্ছে করে না। মাত্র ২ মাস আগেই ছেলের এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি দেখতে বাড়ি এসেছিলেন স্বামী। সুস্থ-স্বাভাবিক ছেলেকে রেখে গেলেন। আর এখন কি অবস্থা। আমি এর কি জবাব দেব। জেএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পেয়েছে অনিক। এবার এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা। একমাত্র ছেলেকে বুয়েট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে গড়ে তোলার ইচ্ছা। বুয়েটে সুযোগ না পেলে বিদেশ থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর পড়ানোর ইচ্ছা আছে। কিন্তু আজ সবই অনিশ্চিত। ভবিষ্যতে অনিকের কি অবস্থা হতে পারে সে সম্পর্কে চিকিৎসকরা আগাম তেমন কিছুই জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। এরপরই আবার গগনবিদারী আর্তনাদ করতে থাকেন অনিকের মা। অজানা আশঙ্কায় তিনি সবার কাছে পাগলের মতো দোয়া চেয়ে বেড়াচ্ছেন।
কান্নারত অনিকের মা বিলাপ করে বলছিলেন, ঘরে বসে টেলিভিশনে খবর দেখেছি। কোনদিন ভাবিনি নিজেরাই একদিন পত্র-পত্রিকা, বেতার-টেলিভিশনের খবর হয়ে যাব। বোমার আঘাতে আমার স্বপ্ন উড়ে যাওয়ার যোগাড় হয়েছে। ছেলের চোখ আর ব্রেন চিরতরে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কি অপরাধ ছিল আমার ছেলের। আমি তার জবাব চাই বোমাবাজ আর বোমাবাজদের নির্দেশদাতাদের কাছে। বোমাবাজরা আমার সব কেড়ে নেয়ার যোগাড় করেছে। ছেলের যদি মারাত্মক কিছু হয়ে যায়, আর মেয়ে বিয়ে দেয়ার পর কি হবে আমার আর আমার স্বামীর? আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াব? আমি বোমাবাজ আর তাদের নির্দেশদাতাদের আমার ছেলের পরিণতির মতো শাস্তি চাই।
আমাদের ফেনী সংবাদদাতা জানান, বোমা হামলায় দুই স্কুলছাত্র আহত হওয়ার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ঘটনার পরদিন থেকেই ফেনী সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করছে। কর্মসূচীতে সংহতি প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, বিভিন্ন সংগঠন, ফেনী পৌর মেয়র হাজী আলাউদ্দিন ও ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ সমাজের বিভিন্নস্তরের মানুষ। সংসদ সদস্য আহত দুইজনের চিকিৎসার জন্য প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার টাকা করে একলাখ টাকা আনুদানসহ চিকিৎসার পুরো ব্যয়ভার বহনের ঘোষণা দিয়েছেন।
সুত্র
২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৪০
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: জামায়াত-শিবির বোমা মারেনা, তারা মারে গুলতি - পত্রিকার খবর ভালো করে পড়ে নিয়েন।
কামায়াত শিবির পুলিশের গুলি উপেক্ষা করে মিছিল করার সাহস দেখায়, পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তাকে গণধোলাই দেখার দুঃসাহস করে।
আর চোরাগুপ্তা বোমা হামলা বা সিভিলিয়ানদের উপর আক্রমণ হয় বিএনপির চোরেরা, নয় আওয়ামী লীগের গুন্ডারা করে প্রতিপক্ষের ঘাড়ে দোষ চাপানোর জন্য - এটা একদম প্রমাণিত সত্য।
ফেনীতে জামায়াত শিবিরের কার্যক্রম তেমন নেই। খালেদা জিয়ার গ্রামের বাড়ি - তাই সন্দেহের তীর মূলত বিএনপির উপরেই পড়বে। কিন্তু কোন কিছু হলেই দোষ চাপানোর সবচেয়ে সস্তা ঘাড় হয়ে গেছে জামায়াতের - এই কারণে এসব ধান্দা এখন আর কেউ বিশ্বাস করেনা।
৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯
দধীচি বলেছেন: দেখ হাম্বা ভাল করে দেখ--------
● ৪ জানুয়ারি ২০১২ সাতীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে জুয়েল ও পলাশ স্বামীকে মারধর করে আটকে রেখে এক নৃত্যশিল্পকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
● ১৯ জানুয়ারি ২০১২ সিলেটের জকিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা মিছরা জামান কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হন এক মহিলা।
● ২৪ জানুয়ারি ২০১২ সরাইলে যুবলীগ ক্যাডার জাকির কর্তৃক যৌন হয়রানির শিকার হন এক তরুণী।
● ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে গণধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর বাবা মামলা করতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে।
● ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সমুদয়কাটি ইউনিয়নের সুন্দর গ্রামে মা (৩০) ও মেয়েকে (১১) ধর্ষণের পর হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
● ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ চট্টগ্রামে র্যাব পরিচয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণ করে ৩ বখাটে।
● ১২ মার্চ ২০১২ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ বাজার এলাকায় স্বামীর অনুপুস্থিতিতে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে যুবলীগ কর্মী সুমন।
● ‘পিরোজপুরে ছাত্রলীগ নেতার কাণ্ড : প্রেমিকার নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে শহর থেকে গ্রামে’ (জানুয়ারি ২০১২)।
● খুলনা বিএল কলেজে ছাত্রলীগের দখলে থাকা হল গুলোতে বিপুল পরিমান রামদা ও কনডম উদ্ধার করেছেন। অর্ধেক ছাত্রের বিছানার নীচে কনডম পাওয়া গেছে সাথে মধুও!
● যুবলীগ অফিসে গনধর্ষণ যুবতীর আত্ত হত্যা!
● ছাত্রলগ নেত্রীর দেহ ব্যবসা নিয়ে ইডেনে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ!
● ঢাকা পলিটেকনিক্যাল ক্যোম্পাসে ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষন দুই ছাত্রলীগ!
● ঢাকা পলিটেকনিক্যাল ক্যোম্পাসে ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষন দুই ছাত্রলীগ!
● বর্ষবরণ অনুষ্ঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি.এস.সিতে ২০-৩০ বা তার চেয়ে আরো বেশী বোন বিবস্ত্র ও লাঞ্চিত হয়েছে।
● দেশের আলোচিত টাঙ্গাইলের মধুপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বাধা।
● স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে পরিবার বাড়িছাড়া: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের পাগলার নন্দলালপুরের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস
● বাগেরহাটের কচুয়া এলাকায় গডফাদার হিসেবে খ্যাত উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শেখ মাহফুজুর রহমানের ধর্ষণের শিকার হয়ে অবশেষে প্রাণ বাঁচাতে স্বামী সন্তানসহ এক সংখ্যালঘু পরিবারকে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যেতে হয়েছে।
● রংপর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মহিলা হোস্টেলে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেতারা জোরপূর্বক ঢুকে ছাত্রীদের গালিগালাজ ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে!
● ধর্ষণ ও নির্যাতনের সংবাদ প্রকাশের পর এক কিশোরীকে স্থানীয় ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা তুলে নিয়ে গেছে।
● বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হোস্টেলে গভীর রাতে কলেজের ভিপি ও ছাত্রলীগ নেতাদের মাতাল অবস্থায় অনুপ্রবেশ।
● সুধুমাত্র ২০১২ সালেই ধর্ষণের পর হত্যা হয়েছে ১৭২ জন নারী।
তথ্যসূত্র- – (বাংলাদেশ পুলিশ সদর দফতরের অপরাধ পরিসংখ্যান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এমআরটি, মানবাধিকার সংগঠনসমূহ, দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক আমার দেশ , দৈনিক মানবজমিন ও দৈনিক কালের কণ্ঠ )
৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০২
দধীচি বলেছেন: ● ৫ জুলাই ২০১০ টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে তার ভিডিও চিত্র ধারণ করে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। ধর্ষিতা কিশোরী উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। ৫ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সখীপুর বাজারে আসে খাতা কিনে বাড়ি ফেরার সময় হাবিবুল্লাহ ওরফে হাবিব, ছাত্রলীগ নেতা আরিফ, সখীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত সিকদারের ভাগ্নে বাবুল, নাতি আকাশ মেয়েটিকে মোটরসাইকেলে করে হাজিপাড়ায় ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। সেখানে হাবিব মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় তার সহযোগীরা ধর্ষণের চিত্র ভিডিও করে। পরে আরেকজন ধর্ষণ করতে গেলে মেয়েটি সযোগ বুঝে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। মেয়েটিকে ধাওয়া করে ছাত্রলীগ নেতারা। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরিস্থিতি টের পেয়ে ধর্ষণকারী ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। ফিল্মি স্টাইলে এ ধরনের ধর্ষণের ঘটনা সামাজিক অবয়ের চিত্র প্রকাশ করে।
● ২০১০ সালের ৪ এপ্রিল কাওসারের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, ৬ এপ্রিল ছাত্রলীগ নেতা বাবু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ১৪ এপ্রিল টিএসসির বৈশাখী কনসার্টে ছাত্রলীগের মধ্যম সারির নেতাদের হাতে তরুণীদের শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা দেশবাসীকে হতবাক করে। এছাড়া ১৯ এপ্রিল বগুড়ায় ছাত্রলীগ নেতা ডিউ কর্তৃক এক তরুণী এবং ২৮ এপ্রিল পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগ নেতা বরকত খান কর্তৃক স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শারিরীকভাবে নাজেহাল হন।
● ‘মোরেলগঞ্জে তরুণীকে গণধর্ষণের পর বিষ খাইয়ে হত্যা’ (নভেম্বর ২০১০)
● ২১ এপ্রিল ২০১০ পটুয়াখালীতে বাহাদুর নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীর নেতৃতে ৬/৭ জন যুবক এক গৃহবধুকে ধর্ষণ করে।
● ২২ এপ্রিল ২০১০ ভোলার লালমোহনের কচুয়াখালী গ্রামে বিএনপি কর্মী শফি মাঝির স্ত্রী ও মেয়েকে আওয়ামী লীগ কর্মীরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে । এছাড়া ভোলায় উপনির্বাচনের পরদিন যুবলীগ নেতা সিরাজ মিয়া বিএনপি সমর্থিত নান্নু মেম্বারের ভাতিঝা রুবেলের স্ত্রীকে ধর্ষণ করে।
● ১৩ মে ২০১০ সিলেট পলিটেকনিকে ছাত্রলীগ নেতা সৈকত শ্রেণীকে এক ছাত্রীকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে।
● এছাড়া কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের সোনাইকান্দি গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা শাহিন রেজার পুত্র পান্না (২২) তার একজন সহযোগীকে নিয়ে স্বামী পরিত্যক্তা এক মহিলাকে (৪০) ধর্ষণ করে।
● ৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ বগুড়ার শাজাহানপুরে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী প্রকৃতির ডাকে বাইরে গেলে বখাটে আলামিন তাকে ধর্ষণ করে। পরে মামলা করতে গেলে যুবলীগ নেতা আবু সাঈদ বাধা দেয়।
● ‘গার্মেন্ট কর্মীকে ধর্ষণের পর জিহবা কেটে দিয়েছে যুবলীগ কর্মী’ (ডিসেম্বর ২০১১)।
● ‘মুসলিম কিশোরীকে পাশবিক নির্যাতন : হিন্দু যুবক গ্রেফতার’ (সেপ্টেম্বর ২০১১)। ‘
● ভিকারুননিসার ছাত্রী ধর্ষণ : আসামি শুধুই পরিমল’ (আগস্ট ২০১১)।
● ‘ধর্ষণের জ্বালায় আগুনে জ্বলল মেয়েটি’ (ফেব্র“য়ারি ২০১১)।
● ‘নারায়নগঞ্জে দু ভাইকে বেঁধে রেখে বোনকে ধর্ষণ’ (ফেব্র“য়ারি ২০১১)।
● ‘ধর্ষণের পর আবার অপমান : সইতে না পেরে আত্মহত্যা’ (ফেব্র“য়ারি ২০১১)।
● ‘টঙ্গিতে তিন তরুণীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা’ (জানুয়ারি ২০১১)।
৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৫
নিশাত তাসনিম বলেছেন: আপনার মতে শিবির বোমা মেরেছে। এই জন্য আমিও আপনার মতো শিবিরকে ধিক্কার জানাই। সকল বোমাবাজ ধ্বংস হোক।
সেই সাথে আমি সর্বপ্রথম ধিক্কার জানাই স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ কে যারা সম্পূর্ণ গায়ের জোরে প্রায় ৬ কোটি মানুষকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে হত্যা করে , একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে জোর করে একনায়ক তন্ত্রের দিকে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে দেশে বোমাবাজি করার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২৭
খেলাঘর বলেছেন:
পুরো শিবির, বিএনপি'র একাংশ ও আওয়ামী লীগের একাংশ আগামী ১০ বছরের ভেতর দেশ ছাড়তে বাধ্য হবে।