নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপিকে বার বার এ ধরনের পরামর্শ কারা দিচ্ছ?

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:১৮

বিএনপি চেয়ারপার্সনের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর আকস্মিক মৃত্যুর খবর শুনে শোকার্ত মা বেগম খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল গিয়েছিলেন গুলশানস্থ বিএনপির কার্যালয়ে। এই কার্যালয়েই বিএনপির চেয়ারপারসন অবস্থান করছেন গত ৪ঠা জানুয়ারি থেকে। পুত্র শোকে কাতর বেগম জিয়া তার কনিষ্ঠ সন্তানের অকাল মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারবেন না। এতে তিনি পৃথিবীর সন্তান হারানো সকল মায়ের মত কান্নায় ভেঙে পড়তে পারেন, মূর্ছা যেতে পারেন। বিলাপ করতে করতে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলতে পারেন। এমনকি গুরুতর অসুস্থ হতে পারেন-এটাই তো স্বাভাবিক। তাঁকে চিকিত্সকের পরামর্শে ঘুমের ওষুধ দেয়াও হতে পারে। এটাও স্বাভাবিক। কিন্তু একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক বৈরিতা ভুলে পুত্র শোকে মুহ্যমান তাঁর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে সমবেদনা জানাবেন এটাও অস্বাভাবিক কিছুই নয়। কিন্তু দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী কারও বাড়িতে শোক জানাতে গিয়ে সে বাড়িতে প্রবেশ করতে পারবেন না, এটা মোটেও স্বাভাবিক ঘটনা নয়। বাংলাদেশেতো নয়ই, বরং পৃথিবীর ইতিহাসে এমন শিষ্টাচার বহির্ভূত ঘটনা কখনোই ঘটেছে কিনা তা কারও জানা নেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাড়িতে প্রবেশ করতে না দিয়ে তাঁকে অপমানিত করে বিএনপির কোন্ লাভ হয়েছে এটা ভাবার কোন কারণ নেই। বরং প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতা, আন্তরিকতা ও রাষ্ট্রনায়কোচিত দৃষ্টিভঙ্গীর বিজয় হয়েছে এখানে। প্রায়শই সমালোচনা মুখর একটি ইংরেজী দৈনিকের প্রধান শিরোনামে প্রধানমন্ত্রীর এই মহানুভবতাকে ‘রেয়ার জেশ্চার’ বা বিরল সৌজন্যতা হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এখানে সঙ্গত কারণেই বলা যায়, পুত্র শোকে কাতর বেগম জিয়া অসুস্থ হয়ে ঘুমিয়ে পড়তেই পারেন। কিন্তু বিএনপির কার্যালয়ে কি এমন কেহই ছিলেন না যারা ন্যূনতম ভদ্রতাটুকুও বোঝেন না।
কার বা কাদের পরামর্শে প্রধানমন্ত্রীকে গেটের বাইরে থেকে বিদায় নিতে বাধ্য করা হলো। এ প্রশ্ন উঠতেই পারে। বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসের বক্তব্য বিষয়টিকে আরও বিব্রত করেছে। তিনি শোক বই হাতে বাড়ির বাইরে এসে তালাবদ্ধ গেটের ভেতরে থেকেই বলেছেন, তিনি শোক বই নিয়ে আসতে আসতে প্রধানমন্ত্রী চলে গেছেন। দেশের একটি অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলের চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারীর ন্যূনতম কিছু দায়িত্ব জ্ঞান থাকা দরকার। দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী এবং অপর একটি অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রধানকে বাড়িতে বা অফিসে প্রবেশ করতে না দিয়ে বাইরে দাঁড় করিয়ে কি শোক বইতে স্বাক্ষর নেয়া যায়।
এই সাধারণ শিষ্টাচার ও দায়িত্বজ্ঞান কোন বড় দলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের থাকবে না এটা মনে হয় না। এখানে অনেকেই মনে করছেন যাদের বুদ্ধি-পরামর্শে প্রধানমন্ত্রীকে শোকার্ত বেগম জিয়াকে সমবেদনা জানাতে দেয়া হয়নি তারা সঠিক পরামর্শ দেননি। বরং একই ধরনের পরামর্শে বিগত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পূর্বে বিএনপি চেয়ারপার্সন প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ সত্ত্বেও সংলাপে যাননি। এমনকি ব্যাপক জনমত পক্ষে থাকা সত্ত্বেও ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বয়কট করে এ নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়া হয়।
এসব পরামর্শে প্রকারান্তরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনারই লাভ হচ্ছে। একইভাবে প্রধানমন্ত্রীকে শোকার্ত বেগম জিয়াকে শোক জানাতে না দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কোন ক্ষতি হয়নি বরং রাজনৈতিকভাবে তিনিই লাভবান হয়েছেন। পাশাপাশি অনেকে এ প্রশ্নটিও করেছেন, পুত্র শোকে অসুস্থ বেগম জিয়া ঘুমিয়ে থাকলেও সমবেদনা জানাতে আসা প্রধানমন্ত্রীকে গেট খুলে ভেতরে নিয়ে বসানো যেতো। এমনকি কার্যালয়ে রক্ষিত শোক বইতে মন্তব্যও নেয়া যেতো। যারাই প্রধানমন্ত্রীকে কার্যালয়ের ভিতরে না ঢোকার ক্ষেত্রে নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছেন তারা আসলে বিএনপির কোন মঙ্গল করেননি। বরং বিএনপির ক্ষতিই করেছেন তারা। এমনটি অন্তত বিএনপির অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী ও সাধারণ মানুষ মনে করছে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:০১

নিলু বলেছেন: লিখে যান

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮

আনিসুর র বলেছেন: মওদুদ। যখনই যেনেছি ওখানে মওদুদ আমে তখই ভেবেছি একটা কিছু হবে। হয়েছে।

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

হাসানুর বলেছেন: শিমুল বিশ্বাসদের মতো বেয়াদব ও মূর্খ লোকদের দ্বারা পরিবেষ্টিত বলেই বিএনপি নেত্রী আজ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। শোকে মুহ্যমান খালেদা জিয়াকে সান্ত¡না দিতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়নি। এটা চরম বেয়াদবি। খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে শোক বই নিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী কী রাস্তায় দাঁড়িয়ে এই শোক বইয়ে স্বাক্ষর করতেন?

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭

নবীউল করিম বলেছেন: পেট্রোল বোমাসহ আ'লীগ নেতার ভাতিজা আটক Click This Link

যাত্রাবাড়ীতে পুুলিশের সামনেই আগুন দেওয়া হয় বাসে!
Click This Link

বোমা বানাতে নিহত বাপ্পী ছাত্রদলের নয়, ছিলেন আ'লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক - See more at: Click This Link
http://www.tazakhobor.org/bangla/bangladesh-local-news/38130-2015-01-25-03-39-17?q=129ff87de2fd68ae2680bf95e49de0b2052743123


বেওয়ারিশ হিসাবে দাফন করা কে ছিল এই জিসানঃ Click This Link

অস্ত্র দেওয়া হয়েছে কি হা–ডু–ডু খেলার জন্য?
Click This Link
ঢাবির ৪০০ ""মদখোর"" ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
http://www.somewhereinblog.net/blog/lpo/30008879

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.