নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাত দিনের ছক নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি : উদ্দেশ্য নাশতকার দায় সরকারের ওপর চাপানো

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১৩

হরতাল-অবরোধের নাশকতার দায় সরকারের ওপর চাপাতে চাইছে বিএনপি। পেট্রলবোমাসহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটানোর সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা হাতেনাতে ধরা পড়লেও এ বিষয়ে দলটির পক্ষ থেকে কোনো ধরনের ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে না। বরং সহিংসতার ঘটনায় ২০দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা জড়িত নয় বলে দাবি করছে তারা।

বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শান্তিপূর্ণ অবরোধে নাশকতার জন্য সরকারই দায়ী। এ বিষয়টিকে প্রমাণ করার টার্গেটও নিয়েছে দলটি। শুধু বিবৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে উপযুক্ত প্রমাণ দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার জন্য সাতদিনের চূড়ান্ত ছক নিয়ে মাঠে নামছে তারা। এ জন্য টিম আকারে তদন্ত কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে দলীয় হাইকমান্ডের কড়া নির্দেশনা সারা দেশে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এছাড়া রোববার থেকে ৭২ ঘণ্টা হরতালে রাজধানীসহ সারা দেশে নাশকতায় যুবলীগ, ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের ওপর কড়া নজর রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন একাধিক নেতা।

অন্যদিকে, টানা অবরোধ কর্মসূচির মাধ্যমে হয়তো বিএনপি ও জামায়াত তাদের দাবি আদায়ে চেষ্টার পাশাপাশি তারা মনে করছে, আন্দোলনে জনসমর্থন না পেলেও হরতাল-অবরোধে নাশকতার দায় যত বেশি সরকারের ওপর চাপানো যাবে, ততই তাদের চাপে ফেলা সহজ হবে। সমঝোতার জন্য সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপও বাড়বে। সরকার হার্ডলাইনের অবস্থান থেকে সরে এসে তাদের সঙ্গে সংলাপের টেবিলে বসতে বাধ্য হবে। এমন চিন্তা-ভাবনা ও পরিকল্পনা থেকেই বিএনপি তাদের কর্মসূচি থেকে পিছু হটছে না।

জামায়াত সূত্রে জানা যায়, বিএনপি-জামায়াত জোটের সমর্থক মহলসহ ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা গত দুই মাসে অল্প পরিচিত কিছু ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করেছে। এমনকি কয়েকটি ওয়েবসাইট হাতবোমা ও ককটেল বোমা বানানোর পদ্ধতি শেখাচ্ছে এবং চলমান আন্দোলনে আরো বেশি নাশকতা চালানোর উসকানি দিচ্ছে। এই ওয়েবসাইটগুলো ফেসবুকে তাদের পেজে পোস্টকৃত বিষয়বস্তুকে ব্রেকিং, গোপনীয়, ফাঁস ইত্যাদি বিশেষণ দিয়ে আকর্ষণীয় করে তুলছে। এসব ফেসবুক পেজে থাকে হামলা, নাশকতা ও গ্রেপ্তারের খবর। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পতনের দিন ঘনিয়ে আসছে- এ ধরনের বক্তব্য পোস্টে হিসেবে ব্যবহার করে নাশকতার দায় চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

বিজিবি সূত্র জানায়, বিএনপির ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলাকালে নাশকতা রোধে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ২১৬ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দায়িত্ব পালন করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচির ধরন বুঝে আরো ৭৮ প্লাটুন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে মহাসড়কে নিরাপত্তার জন্য ১২৩ প্লাটুন এবং বিভিন্ন স্থানে নাশকতা এড়াতে দায়িত্বপালন করছে ৮৫ প্লাটুন। কিন্তু এ বিষয়টিকে নিজেরা নাশকতায় করে তার দায় এড়ানোর বাড়তি পরিকল্পনা বলেই মনে করছেন।

অন্যদিকে, টানা হরতাল-অবরোধে জনসমর্থন আদায় করতে না পারলেও চোরাগোপ্তা পেট্রলবোমার আগুনে সারা দেশেই ভয়ভীতি ও আতঙ্ক ছড়াতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু তার দায় কোনোভাবেই নিজেদের কাঁধে নিতে নারাজ বিএনপি। তাই নিজেদের পিঠ বাঁচাতে এবং সরকারের কাঁধে দায় চাপাতে প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছে দলটি। শুধু তাই নয়, দলটির বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে দেয়া হচ্ছে আলাদা বিবৃতি।

অবরোধে নাশকতার দায় সরকারের কাঁধে চাপিয়ে গত ১৯ জানুয়ারি নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া বলেন, চলমান নাশকতার জন্য আওয়ামী লীগই দায়ী। আমরা এর দায় নেব না। এসব ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগই জড়িত। পুলিশকে সামনে দিয়ে নাশকতা চালাচ্ছে। মানুষের জীবনের বিনিময়ে আমরা রাজনীতি করতে চাই না, কখনো করিনি। অতীতে যাত্রীবাসে গান পাউডার দিয়ে আগুনে মানুষ পুড়িয়ে মারা, বোমা মেরে ও লগি বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে মানুষ হত্যা এবং পুলিশ খুনের অপরাজনীতি আওয়ামী লীগই করেছে। এখনো তারাই সুপরিকল্পিতভাবে এসব নৃশংস ঘটনা ঘটাচ্ছে।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমের এক বিবৃতিতে দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, অবরোধ চলাকালে সরকারের এজেন্টরা গাড়িতে আগুন ও পেট্রলবোমা ছুড়ছে, হাতেনাতে ধরাও পড়ছে অথচ দোষ চাপাচ্ছে বিএনপির ওপর। রিজভী আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, খিলগাঁওয়ের ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনি, নড়াইল পৌরসভার কাউন্সিলর ইমরুল কায়েস, কানসাটের মতিয়ার রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছাত্রশিবির নেতা আসাদুজ্জামান তুহিনসহ জোটের আরো বেশ কিছু নিষ্ঠাবান কর্মীকে এরই মধ্যে পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করে হত্যা করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ভোরের কাগজকে বলেন, নাশকতাকে ছাড় দেয়া যায় না। আন্দোলনের নামে চোরাগোপ্তা হামলার মাধ্যমে বিএনপি নাশকতার যে দায় সরকারের ওপর চাপাতে চাইছে সে বিষয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। রাজনীতির নামে বোমাবাজ-সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের কোনোভাবেই রেহাই দেয়া হবে না। আমরা যেভাবে এগোচ্ছি তাতে আসল অপরাধীরা সামনে আসবেই।

২০ দলীয় জোটের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগকে নাশকতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সাম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেছে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে ২০ দলীয় জোটের আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগের কিছু দুষ্কৃতকারী যানবাহনে পেট্রলবোমা, ককটেল নিক্ষেপসহ নানা নাশকতা করে ২০ দলীয় জোটের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের অপচেষ্টা করতে ছাত্রলীগ চলমান আন্দোলনে নাশকতা করছে, পুলিশের নাকের ডগায় নাশকতা করছে দুর্বৃত্তরা। কিন্তু পুলিশ ধরতে পারছে না, কারণ তারাই সরকারের এজেন্ট। ছাত্রলীগকে এই অপকৌশল থেকে বেরিয়ে আসতে আহ্বান জানান তারা। এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ অভিযোগ করেছেন, সারা দেশে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও নাশকতা চালিয়ে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির ও বিএনপিসহ ২০ দলের নেতাকর্মীদের ওপর দায় চাপাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশবাসীর কাছে এটা অত্যন্ত স্পষ্ট, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে আওয়ামী লীগ। মানুষের জানমালের ক্ষতি করার রাজনীতিতে জামায়াত বিশ্বাস করে না।

রাজনৈতিক জয়-পরাজয়ের জটিল অঙ্ক থেকেই আন্দোলনে বিএনপি হার্ডলাইনে অবস্থান নিয়েছে বলে একাধিক নেতা জানিয়েছেন। এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, আন্দোলনে জনগণকে রাজপথে নামাতে ব্যর্থ হয়েই বিএনপির পর্দার অন্তরালে থেকে চোরাগোপ্তা হামলার মাধ্যমে তাদের আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার অপচেষ্টা করছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬

নিলু বলেছেন: সিরিজ বোমা কারা মেরেছিলও , আবার জজ মিয়ার নাটক মঞ্ছস্ত হতে যাচ্ছে কি ? কিংবা কুকুরের মাথায় টুপি দিয়ে ? লিখতে থাকুন

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮

প্রািন্ত বলেছেন: মনগড়া লেখা দিয়ে মানুষকে প্রলুব্ধ করবেন না। অবশ্য আওয়ামী ঘড়ানায় এটা চলে। আমি কখনও আওমীলীগ, বিএনপির রাজনীতির ফারাক দেখি না। নেতিবাচক রাজনীতি দু দলেরই নিত্যকর্ম। পেট্রোল বোমায় মানুষ মরা অবশ্যই নিন্দনীয়। কিন্তু বর্তমান সরকার যে, কর্মকান্ড করছে তা অবশ্য বিবেকবান মানুষ হিসেবে ঘৃণা করি। আমরা অতীতে রাজপথে প্রকাশ্যে লগি বৈঠা দিয়ে মানুষকে পিটিয়ে মারতে দেখেছি। আজ বিএনপির কার্যালয়ের বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বিদুৎ বিভাগের কর্তব্যরত লাইনম্যান বলেছেন, আমরা থানার নির্দেশে এটা করেছি। ব্যাস এর সারমর্ম বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই। তাহলে বিরোধীদলকে এসব করতে বাধ্য করছে কারা? এই পোষ্টের লেখক সহ সকল বিবেকবান মানুষকে প্রশ্ন করছি- যদি বিএনপি ভোটার বিহীন নির্বাচনে ৫% ভোট নিয়ে জোড় করে ক্ষমতা ধরে রাখতো তাহলে আওয়ামীলীগ কি করতো? আজ পর্যন্ত অনেক জায়গায় এই প্রশ্ন করেছি। কিন্তু কোন ব্যক্তিই এর উত্তর দেয়নি। দিতে পারেনি। এবার নিজের দুঃখের কথা বলি, হয়তো অনেকে আমাকে অকৃজ্ঞ বা অদেশ প্রেমিক বলতে পারেন। আমার যদি সামর্থ থাকতো তাহলে আমি এদেশে ছেড়ে চলে যেতাম। কারণ এদেশের নিলর্জ রাজনীতিকদের কারণে দেশের ভাবমুর্তি এমন স্থানে গিয়ে পৌছেছে যে, আজ আর নিজেকে বাঙ্গালী বলতে আগের মত গর্ববোধ করিনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.