নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা এবং জনৈক খলনায়ক

৩০ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৩৯

সুজাত মনসুরবিএনপি-জামায়াত জোটের বর্তমান পেট্রলবোমা-ককটেল অবরোধ-হরতালের জন্য সরকার বা সরকারি দল কর্তৃক খালেদা জিয়াকে প্রথমে গাজীপুরে এবং পরে ৫ জানুয়ারি ২০১৫-তে ঢাকায় সমাবেশ করতে না দেয়াই একমাত্র কারণ বলে কতিপয় নিরপেক্ষ ভেকধারী নাগরিক সমাজ, কতিপয় রাজনীতিক, সাংবাদিক, কলাম লেখক এবং মধ্যরাতের টকশোওয়ালারা (মাহমুদুর রহমান মান্নার ভাষ্যে যাদের তারা তৈরি করে পাঠান সরকারের বিপক্ষে এবং বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে বলার জন্য) ডুগডুগি বাজিয়েই চলেছেন। যদিও এটিই মূল কারণ নয়, এটি একটি অজুহাত মাত্র। বর্তমান মানুষ পুড়িয়ে মারার অবরোধ-হরতালের অন্তর্নিহিত কারণ আরো গভীরে প্রোথিত, যা ইতোমধ্যেই মুক্তিবুদ্ধিসম্পন্ন অনেক সাংবাদিক ও কলাম লেখক বা বুদ্ধিজীবী বিভিন্ন গণমাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আমার আলোচনার বিষয় কিন্তু তা নয়।
তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেই, এটাই মূল কারণ তাহলে বলতেই হয় বিএনপি তার ফল ভোগ করছে। কেননা, প্রতিটি ক্রিয়ারই একটি প্রতিক্রিয়া আছে। বাংলাদেশের ইতিহাসের খলনায়ক জেনারেল জিয়াউর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বিগত প্রায় বছর দুয়েক ধরে লন্ডনে বসে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে মনগড়া সব বক্তব্য দিয়ে দেশে-বিদেশে বঙ্গবন্ধুকে অপমান ও ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ সম্ভবত গত বছরের ডিসেম্বরে সে জাতির জনককে এমন একটি শব্দে ভূষিত করে, যা গত ৪৪ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে ঘৃণিত একটি শব্দ। ফলে দেশে-বিদেশে, বিশেষ করে দেশের অভ্যন্তরে এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। স্বয়ং বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন, যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের অন্য সহযোগী সংগঠন যতদিন পর্যন্ত তারেক রহমান তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা না চাইবে, ততদিন পর্যন্ত দেশের যে কোনো জায়গায় খালেদা জিয়ার কোনো ধরনের সমাবেশ করতে না দেয়ার ঘোষণা দেয় এবং গাজৃীপুরের জনসভা প্রতিহত করা হয় ও ঢাকায় ৫ জানুয়ারির সমাবেশে সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করে। অবশ্য ঢাকার সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণ হিসেবে গোয়েন্দারা ব্যাপক নাশকতা, এমনকি হেফাজতি কায়দায় বিএনপি-জামায়াতের আরেকটি ধ্বংসাত্মক ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করে। গাজীপুরের আগে কিন্তু খালেদা জিয়া সারা দেশে দশটিরও অধিক জনসভা করেছেন সরকার বা সরকারি দল কোনো ধরনের বাধা প্রদান করেনি।
বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ করে তারেকের বক্তব্যকে অনেকেই বিশেষ করে নাগরিক সমাজের একাংশ ও কতিপয় সাংবাদিক-কলামিস্ট একজন অর্বাচীন বালকের উক্তি বলে উড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। কেউ কেউ এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কথা বলা সমীচীন নয় অথবা এটাকে কেন্দ্র করে খালেদা জিয়াকে সভা-সমাবেশ করতে না দেয়া গর্হিত কাজ এবং গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করার শামিল বলে অভিহিত করেছেন। কিন্তু এটি যে শুধু একজন অর্বাচীন বালকের উক্তি নয়, বিএনপি-জামায়াতের মূল রাজনৈতিক এজেন্ডা, তাই প্রমাণিত হয়েছে খালেদা জিয়ার ৩১ ডিসেম্বরের (২০১৪) সংবাদ সম্মেলনে তারেকের বক্তব্যকে সমর্থনদানের মাধ্যমে। বিএনপি-জামায়াত তাদের সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই, নিরাপদ দূরত্বে অবস্থানকারী তারেককে দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে খাটো ও বিতর্কিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত আন্তর্জাতিক শক্তি।
বাংলা, বাঙালি এবং বঙ্গবন্ধু এক ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিও এটা ভালো করে জানে, তাই বঙ্গবন্ধুকে যদি বিতর্কিত করা যায়, যদি তার অস্তিত্বে আঘাত করা যায়, তাহলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির অস্তিত্বেই আঘাত করা হবে। অর্থাৎ বাংলা এবং বাঙালির কাছ থেকে যদি বঙ্গবন্ধুকে পৃথক করা যায় তাহলে, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের আদলে নব্য পাকিস্তান বানানো সম্ভব হবে। সম্ভব হবে ইতিহাসের খলনায়ক জিয়াউর রহমানকে নায়কের আসনে অধিষ্ঠিত করা। জিয়াউর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরুর দিন থেকেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে এক নম্বর হওয়ার চেষ্টা করেছেন। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগঠকদের অনেকেই পরবর্তিতে বলেছেন, তাকে (জিয়া) যখন স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠের জন্য নিয়ে আসা হয় তখন সে প্রথম যে ঘোষণাপত্রটি তৈরি করে সেখানে নিজেকে দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে উল্লেখ করেন। কিন্তু ওইখানে অবস্থানরত চট্টগ্রামের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং বেতার কেন্দ্রের সংগঠকদের আপত্তির কারণে তা সংশোধন করে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠে বাধ্য হন। কিন্তু তার এক নম্বর হওয়ার খায়েশ তখনো রয়ে গিয়েছিল। তাই পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের খুনিরা যখন তার সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ স্থাপন করে, তখন তিনি সম্মতি জানিয়েছিলেন এবং একই বছরের ৭ নভেম্বর তথাকথিত সিপাহি-জনতার বিপ্লবকে কাজে লাগিয়ে নিজের ইচ্ছা পূরণের সুযোগ নিয়েছেন।
আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে। জিয়াউর রহমান কখনো নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি না করলেও, মুক্তিযুদ্ধের যে মূল চেতনা জাতীয়তাবাদ সেখানেই আঘাত করেন। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত রাজনৈতিক শক্তিকে পুনর্বাসনের নিমিত্তে প্রবর্তন করে বাঙালি জাতীয়তাবাদের বদলে বাংলাদেশি জাতীয়বাদ। ‘জয় বাংলা’র বদলে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’, ‘বাংলাদেশ বেতার’-এর বদলে ‘রেডিও বাংলাদেশ’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র’কে সংবিধান থেকে বাদ দেয়া হয়। জিয়াউর রহমান নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে দাবি না করলেও পাঠ্যপুস্তকে কিন্তু স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসের বদলে একটি অদ্ভুত ইতিহাস সন্নিবেশিত করা হয় নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার জন্য। আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে যে একটি সুদীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে এবং সে ইতিহাসের একজন মহানায়ক রয়েছেন তার কোনো অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায় না। মনে হবে আমাদের স্বাধীনতা একটি গায়েবি স্বাধীনতা। এই ইতিহাস বিকৃতি চলেছে দীর্ঘ একুশটি বছর, পরবর্তীতে যুক্ত হয়েছে স্বাধীনতার ঘোষক বিতর্ক। এই বিতর্কের অবতারণাকারীরা যে বিষয়টির ওপর ভিত্তি করে যুক্তি দাঁড় করাতে চায় তাহলো, ২৬ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, তাঁর গ্রেপ্তার হওয়া এবং ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমানের বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ।
এ নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়েছে। এটাই ঠিক স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ২১ বছরে যা করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও তা পারবে না। কেননা ইতিহাস তার আপন গতিতে এগিয়ে চলে, কারো কথায় বা হুকুমে ইতিহাসের গতি পরিবর্তিত হয় না। আর হয় না বলেই আজ সত্য উদ্ভাসিত হয়েছে। নতুন প্রজন্ম আজ স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারছে। ২৬ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু আত্মগোপনে না গিয়ে গ্রেপ্তার হলেন এবং গ্রেপ্তার হওয়ার আগে যে তিনি স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে যান সে ব্যাপারে অধ্যাপক-লেখক মযহারুল ইসলামের লেখা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’ গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি এবং আমার ব্যক্তিগত একটি স্মৃতিচারণ করে লেখাটি শেষ করতে চাই।
তিনি লিখেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমার পাশে এসে বসলেন। রাত্রি তখন প্রায় সাড়ে ১০টা। ইতোমধ্যে বাংলা ও ইংরেজিতে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটির মুসাবিদা সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে ছিলেন তাজউদ্দীন আহমেদ, জেনারেল ওসমানী, তাঁদের সঙ্গে ছিলাম আমি। বঙ্গবন্ধু স্বয়ং ডিকটেশন দেন, কলম ছিল জেনারেল ওসমানীর হাতে। তাঁকে তখন বেশ পরিশ্রান্ত অথচ প্রশান্ত দেখাচ্ছিল।’ (পৃষ্ঠা ৩৩ এবং ৩৪)। মযহারুল ইসলাম আরো লিখেছেন তিনিও বঙ্গবন্ধুকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘…আপনারা আশ্রয় পাবেন, অস্ত্রও পাবেন। সে ব্যবস্থা আমি সম্পন্ন করে রেখেছি। কিন্তু আমি নিজে যদি চলে যাই, কাল দেশ স্বাধীন হলে পর যখন বাংলার মাটিতে ফিরে আসব, আমার হাজার হাজার মা-বোন-ভাইয়েরা এসে যখন বলবে, মুজিব তুমি তো নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে সংগ্রাম করে জীবন রক্ষা করেছ- কিন্তু আমার স্বামী, আমার পিতা-মাতা, আমার ভাই, আমার বোন, এদের তুমি কি আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছিলে, ফিরিয়ে দাও, তাদের তুমি ফিরিয়ে দাও- তখন আমি তাদের কী জবাব দেব, বলুন। না, না আমি পারি না। আমি যেতে পারি না। মরতে হয় মরব। মৃত্যুকে তো কোনোদিন আমি ভয় করিনি। কিন্তু আই মাস্ট শেয়ার দ্য সাফারিংস অফ মাই পিপল এ্যালংউইথ দেম। আই মাস্ট শেয়ার। আই কান্ট লিভ দেম অন দ্য ফেইস অফ ফায়ার। আমি পারি না।’ (পৃষ্ঠা ৩৪ এবং ৩৫)। দেশ ও জাতির প্রতি কতটুকু দরদ, আবেগ, অনুভূতি, মায়া এবং দায়িত্ববোধ থাকলে একজন মানুষ মৃত্যুকেও তুচ্ছ করতে পারে, এটাই কি তার জ্বলন্ত প্রমাণ নয়। এরপরও যদি কোনো রাজনৈতিক শক্তি, তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য শঠতা বা মিথ্যার আশ্রয় নেয় এবং বঙ্গবন্ধুর মতো ইতিহাসের মহানায়কের ভূমিকাকে বিতর্কিত করার মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে চায় তাদের কি ছেড়ে দেয়া যায়, না ক্ষমা করা যায়? বরং যারা স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির অস্তিত্বকেই প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, অর্থাৎ যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বেই বিশ্বাস করে না, বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে না, সভা-সমাবেশ দূরে থাক, বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই।
২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণা সংক্রান্ত আমার একটি ব্যক্তিগত স্মৃতি আছে। আমার তখন শৈশবকাল। বযসে ছোট হলেও, জ্ঞান ঠনঠনে। ছাত্রলীগের ক্ষুদে কর্মী, কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকলেই ছুটে যাই। ২৬ মার্চ সকালে শুনতে পাই আমাদের স্থানীয় বাজারে (বর্তমানে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলা) আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সমবেত হয়েছেন, চরম উত্তেজনা নিয়ে আমিও ছুটে যাই সেখানে। গিয়ে দেখি থানা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুসের হাতে একটি টেলিগ্রামের কপি আর সেটাই হলো বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণার দলিল, যা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে এসে পৌঁছেছে। সেখানে আলোচনা চলছে কিভাবে আমাদের অঞ্চলে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রস্তুতি নেয়া যায়। পরদিন (২৭ মার্চ) স্বকণ্ঠে শুনি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান সংবলিত মেজর জিয়ার সেই ঘোষণাটি, যা আজো কানে বাজে।
ভাষা আন্দোলন, ৬ দফা ও ১১ দফা ভিত্তিক উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস, ৭ মার্চের ভাষণ এবং সর্বশেষ ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে গত চার দশকেরও অধিক সময় ধরে অনেক বই, অনেক প্রবন্ধ-নিবন্ধ, কলাম, উপন্যাস, কবিতা লেখা হয়েছে। নতুন করে লেখার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না, তবুও লিখতে হয়, লিখতে হবে বিবেকের তাড়ানায়, ফি বছর বিভিন্ন দিবসগুলোতে।
সুত্র

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:০০

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এটা মার্কিন দলিল থেকে শুরু করে ৭১ সালের সব বিশ্ব মিডিয়া বলছে । এটা নিয়ে বিতর্কের কোন সুযোগ নেই । আর মেজর জিয়া বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ভাষণ দিয়েছিলেন ২৭ মার্চ ।

যাই হোক আপনার সব লেখাই আমার প্রিয় । অনেক অনেক শুভ কামনা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.