নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী নেতৃত্ব হালাল হয়ে গেল? সিসিতে জামায়াত চায় ৩ নারী কাউন্সিলর

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:০২

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির ঘাড়ে চেপে বসেছে জামায়াত। ৪১ ওয়ার্ড কাউন্সিলের মধ্যে ১২ এবং ১৪ নারী সংরক্ষিত কাউন্সিলরের মধ্যে ৩টি চায় জামায়াত। বিএনপি ১০ কাউন্সিলর পদে (৮ কাউন্সিলর ও ২ সংরক্ষিত ওয়ার্ড) ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত জানালেও তা মেনে নেয়নি জামায়াত। এটি নিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত দর কষাকষি করে রাজনৈতিকভাবে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে জামায়াত। একদিকে জামায়াতে ইসলামীর চাপ অন্যদিকে দলীয় কাউন্সিলরদের চাপে বেকায়দায় আছে বিএনপি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩০টিতে কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে জামায়াত। এর মধ্যে কমপক্ষে ১৫টি ওয়ার্ডে বিএনপিকে ছাড় দিতে রাজি নয় তারা। এসব ওয়ার্ডে জোটের সমর্থন চায় জামায়াত। না পেলে এককভাবেই নির্বাচন করবে। আবার জামায়াতকে ছেড়ে দেয়া কয়েকটি ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীও নির্বাচন করতে অনড়। এ অবস্থায় টেনশনে রয়েছে জামায়াতও। বিশেষ করে ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত হাসান ওসমান ও ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে আব্বাস জসিম নির্বাচন করতে এখনো অনড় রয়েছেন। তবে জোটের স্বার্থে বিএনপি তাদের বুঝিয়ে নির্বাচন থেকে সরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে ১৭ জুন অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৪১টি সাধারণ কাউন্সিলরের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ২০ জন, বিএনপির ১৮ জন, জামায়াতের ১ জন ও ২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেন। ১৪টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১০ জন আওয়ামী লীগ ও ৪ জন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী জয়লাভ করে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চট্টগ্রাম নগর জামায়াতে ইসলামীর এক নেতা জানায়, চট্টগ্রাম মহানগর ও আশপাশে তাদের সাংগঠনিক শক্তি বিএনপির চেয়ে কম নয় বরং কোথাও কোথাও বেশি। বিএনপি ভোটারদের মধ্যে ভাসমান ও কম আয়ের সাধারণ ভোটার রয়েছে। তারা সব সময় একই মাত্রায় কার্যকর থাকে না। অঞ্চল ও ব্যক্তি সম্পর্ক ভেদে তারা বিএনপি প্রার্থীকে ভোট দেবে এমন নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু জামায়াত ইসলামী সাংগঠনিকভাবে ওই নিশ্চয়তা দিতে পারে বিধায় নির্বাচনে জয়ী হতে হলে বিএনপি জামায়াতকে বাদ দিয়ে এককভাবে প্রার্থী দেয়ার চিন্তা বাদ দিতে হবে বলে মনে করেন ওই নেতা। তিনি আরো জানান, মেয়র নির্বাচনকে সামনে নিয়ে জামায়াত ইসলামী তাদের শক্তি ও কৌশল প্রয়োগ করে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করতে তৎপর রয়েছে। প্রকাশ্যে তাদের দেখা না গেলেও ভোটের মাঠে তারা থাকবেন ঠিকই।

সূত্র জানায়, কাউন্সিলর পদে একক প্রার্থী সমর্থন দিতে ২০ দলীয় জোটের বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে দুই দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। কিন্তু এখনো এক হতে পারেনি জামায়াত-বিএনপি।

জামায়াত সেসব ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে বিএনপির কাছে একক প্রার্থী চেয়েছে তা হচ্ছেÑ ৫ নম্বর মোহরা, ৮ নম্বর শুলকবহর, ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী, ১৩ নম্বর উত্তর পাহাড়তলি, ১৬ নম্বর চকবাজার, ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া, ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদ, ৩২ নম্বর আন্দরকিল্লা, ৩৫ নম্বর বক্সিরহাট, ২৯ নম্বর পশ্চিম মাদারবাড়ি, ৩৭ নম্বর উত্তর মধ্যম হালিশহর, ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর।

তিন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ১৭, ১৮ ও ১৯ নম্বর (পশ্চিম বাকলিয়া, পূর্ব বাকলিয়া ও দক্ষিণ বাকলিয়া) সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড, ৩১, ৩৪ ও ৩৫ নম্বর (ফিরিঙ্গিবাজার, পাথরঘাটা ও বক্সিরহাট) সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড এবং ৩৯, ৪০ ও ৪১ নম্বর (দক্ষিণ হালিশহর, উত্তর পতেঙ্গা ও দক্ষিণ পতেঙ্গা) সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড।

বিএনপি জামায়াতকে যে সব ওয়ার্ড ছেড়ে দিতে আগ্রহী তা হচ্ছে ৮ নম্বর শুলকবহর, ১৬ নম্বর চকবাজার, ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী, ১৩ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী, ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদ, ২৯ নম্বর পশ্চিম মাদারবাড়ি ৩২ নম্বর আন্দরকিল্লা, ৩৫ নম্বর বক্সিরহাট। এর মধ্যে ২০১০ সালে ১৭ জুন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ড ও ১৩ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড থেকে জামায়াত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছিলেন।

এবারের নির্বাচনে ২টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর জামায়াতকে ১০টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ছাড় দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। অন্য ৫টিতে আগে থেকে নিজেদের কাউন্সিলর থাকায় জামায়াতকে ছাড় দেয়নি বিএনপি। গতবারে জামায়াতের কোনো নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়নি। এবার তারা তিনজন নারী কাউন্সিলর মেয়র ভবনে পাঠাতে চায়। তাদের সাংগঠনিক অবস্থা ওই এলাকায় শক্তিশালী হয়েছে বলে মনে করে জামায়াতে ইসলামী। এর মধ্যে ১৭, ১৮ ও ১৯ নম্বর (পশ্চিম বাকলিয়া, পূর্ব বাকলিয়া ও দক্ষিণ বাকলিয়া) সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড এবং ৩৯, ৪০ ও ৪১ নম্বর (দক্ষিণ হালিশহর, উত্তর পতেঙ্গা ও দক্ষিণ পতেঙ্গা) সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড ছাড় দিতে চায় বিএনপি। কিন্তু ৩১, ৩৪ ও ৩৫নং (ফিরিঙ্গিবাজার, পাথরঘাটা ও বক্সিরহাট) ওয়ার্ড বিএনপির থেকে ছাড় নিতে শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে জামায়াত। Click This Link

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:২৮

আছিফুর রহমান বলেছেন: ক্ষমতায় যাইতে সব হালাল

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: হালাল তো কবেই হইছে, তা না হলে জোট হয় কি করে?

৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০০

পাভেলহক বলেছেন: নারী সংরক্ষিত কাউন্সিলরা কি নেতৃত্ব দিবেন নাকি সহযোগী হিসেবে কাজ করবেন? উনারা ত শুধু নারীদের ব্যাপারেই কাজ করবেন নিজ নিজ এলাকায়। বুঝে-শুঝে লিখুন।

৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১৩

সাদী ফেরদৌস বলেছেন:

সাইদিঃ বুঝলা খালু , তুমি বুড়া হইছ কি হইছে মেশিন পাতি সব ঠিক ই আছে । আহ ! বুকের সাইজ দেহ মইত্তা ! আহহারে আহ !

(মরাল অফ দা ষ্টোরিঃ নারি নেতৃত্ব হারাম , আলাপ করতে আরাম )

৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: এই প্রশ্নের খুব উপযুক্ত জবাব আমার কাছে আছে, কিন্তু দেবনা। কারণ এই দালাল ব্লগার কোন কমেন্টের জবাব দেয়না।

৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৫৪

মুজিব আলম বলেছেন: শুনেছি আপনি বিদেশে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। তাভাই আওয়ামী লিগের পক্ষে ভাবে বেলাল্লাপনা না করলে কি চলেনা?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.