নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ জামায়াত ও বাংলাদেশ

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭

বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এক মহাবিপদসংকুল সময় অতিবাহিত করছে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি রয়েছে অমানিশার ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত। অর্থনীতি, কৃষি, শিক্ষা, চিকিৎসা ও নিরাপত্তাসহ সর্বক্ষেত্রে বিরাজ করছে অনিশ্চয়তা। পেট্রলবোমার কাছে জিম্মি অবস্থায় রয়েছে সাধারণ মানুষের জীবন। কখন, কোথায়, কীভাবে যে জীবন প্রদীপ নিভে যাবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। জীবনের তাগিদে বের হওয়া খেটে খাওয়া মানুষগুলো পতিত হচ্ছে দুর্বৃত্তদের দুর্বৃত্তায়নের হিংস্র থাবায়। ধ্বংস করা হচ্ছে রেললাইন, স্কুল-কলেজ, যাত্রীবাহী বাস, গাছপালা, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ রাষ্ট্রীয় সম্পদ। তাদের কাছ থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও। নাশকতাকারীদের রোষানলে পড়ে মানুষ যেমন হারাচ্ছেন তাদের সর্বস্ব, তেমনি দেশ ধাবিত হচ্ছে ভয়াবহ সংকটের দিকে। আন্দোলনের নামে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা কোনো সভ্য সমাজের কাজ হতে পারে না। হরতাল-অবরোধের দোহাই দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে বিএনপি-জামায়াত জোট যে সহিংস বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে তার প্রতিবাদী ভাষা কী হতে পারে সেটা শুধু ভুক্তভোগী মানুষগুলোই বলতে পারবেন।
দেশবিরোধী পরাজিত শক্তি বারবার তাদের সহিংস চেষ্টা চালিয়ে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার হীন চেষ্টায় মত্ত রয়েছে। পাকিস্তানি জুলুমবাজদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া স্বাধীন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পাকপ্রেমী অসংখ্য প্রেতাত্মা। বঙ্গভূমে জিইয়ে থাকা পাকিগোষ্ঠী এ দেশকে আবারও পাকিস্তান বানানোর পুরনো খায়েশ নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রতিশোধ হিসেবে বেছে নিচ্ছে সাধারণ মানুষের জীবন। ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে একাত্তরের ঘাতক শক্তি জামায়াত নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। আর এতে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে দাবি করা বিএনপির প্রধান মিত্র হলো একাত্তরে বাঙালি নিধনযজ্ঞে নেতৃত্ব দেওয়া দল জামায়াত। ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ নামক বঙ্গভূমিকে নিশ্চিহ্ন করতে পাকিস্তানের পেসক্রিপশনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে শত্রুপক্ষ। স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পর দেশে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে তখন বিচারকার্যকে ভিন্ন খাতে নিতে বিএনপি ও জামায়াত নানা কৌশল অবলম্বন করছে। কখনো তারা দেশের বিরুদ্ধে কথা বলছে, কখনো স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকার বানাতেও দ্বিধাবোধ করছে না। সর্বশেষ প্রতিশোধ মেটাচ্ছে ককটেল ও পেট্রল বোমার আগুনে দগ্ধ করে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘হাইকমিশনে বসে পাকিস্তানি কর্মকর্তার এত অপকর্ম’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটির বর্ণনায় প্রতীয়মান হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নের পথকে বাধাগ্রস্ত করতে পাকিস্তান কতটুকু মরিয়া। বহির্বিশ্বে যে দেশটি ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে সেই পাকিস্তান বাংলাদেশকে আবারও মরণ কামড় দেওয়ার জন্য বারবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে অবস্থান করে নিজেদের হাইকমিশনে বসে বাংলাদেশকে ঘায়েল করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে পাকিস্তানি কুলাঙ্গাররা। একাত্তরে বিতর্কিত কর্মকা-ের জন্য অভিশপ্ত পাকিস্তান বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা না চেয়ে উপরন্তু আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় যুদ্ধাপরাধ বিচার নিয়ে নাক গলানোর চেষ্টা করছে। পাকিস্তান দূতাবাস কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট সংবাদটির বর্ণনায় বেরিয়ে আসে বাংলাদেশবিরোধী কর্মকা-ের নানা তথ্য। এতগুলো অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পরও হাতেনাতে পাকড়াও হওয়া পাকিস্তানি দূতাবাস কর্মকর্তা মাযহারের ঘটনা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একাত্তরের পাপী নিকৃষ্ট পাকিস্তান পায়ের তলায় পিষ্ট হয়েও ওপরে ওঠার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববুকে নিজেদের অবস্থান নড়বড়ে হওয়া সত্ত্বেও কোনো মাথাব্যথা নেই পাপিষ্ঠ পাকিগোষ্ঠীর।
বাংলাদেশ যখন বহির্বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত পাকিস্তান তখন বোমার আঘাতে ল-ভ- দিশাহীন অন্ধকারাচ্ছন্ন একটি রাষ্ট্র। মেরুদ-বিহীন একঘরে পাকিস্তান জামায়াতকে উসকানি দিচ্ছে বাংলাদেশকে ঘায়েল করার জন্য। পাকমদদে বিএনপির মাথায় ছাতা হয়ে জামায়াত এ দেশে পেট্রলবোমা দিয়ে মানুষ হত্যা করছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘নাশকতার পুরোভাগে জামায়াত-শিবির’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে উঠে আসে জামায়াত কর্তৃক নাশকতার নানা চিত্র। ২০১৩ সালে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মানবতাবিরোধী অপরাধের রায় ঘোষণার পর সরকার পতনের মিশনসহ ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর জন্য দেশব্যাপী ব্যাপক নাশকতা চালায় জামায়াত-শিবির। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের ফলে ব্যর্থ হয় তখনকার প্রচেষ্টা। জামায়াত-শিবিরের প্রথম সারির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হওয়ায় বাইরে থাকা নেতাকর্মীরা নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান গোয়েন্দারা। ঢাকা মহানগর পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ জানুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় এক মাসে রাজধানীতে ১৬৮টি যানবাহনে অন্নিসংযোগসহ ১১টি যানবাহন ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। নাশকতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ১৮৬ জনের মধ্যে ৮৪ জনই জামায়াত-শিবিরের কর্মী এবং বাকিরা বিএনপির কর্মী ও ভাড়াটে লোক। অনুসন্ধানে দেখা যায়, পুলিশি অভিযানের ফলে নাশকতাকারীরা স্থান পরিবর্তন করে রাজধানীর ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় গাড়িতে আগুন এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে।
জামায়াতের এমন মারমুখী অবস্থানের ফলে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন থেকে শুরু করে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বিএনপি-জামায়াত হরতাল-অবরোধের নামে যে নৃশংস বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে মাঠে নেমে মানববন্ধন করে বিভিন্ন সংগঠন এবং সুশীল সমাজ। এসব মানববন্ধন থেকে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবিও উত্থাপিত হয়। বিভিন্ন মহল থেকে বিএনপিকে জামায়াত ছেড়ে আসার জন্যও আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া বেলজিয়ামভিত্তিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ বিএনপিকে জামায়াত ছেড়ে অহিংস আন্দোলন করার পরামর্শ দেয়। জামায়াতের মূল শরিক বিএনপি যদি তাদের ছেড়ে চলে যায় তাহলে জামায়াতের অবস্থান নড়বড়ে হয়ে যাবে। তাই বিএনপির আস্থা পাওয়ার উদ্দেশ্যে জামায়াত মাঠে থেকে মানুষ হত্যা করে মরণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট যদি সময় থাকতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে ভুলের মাশুল আওয়ামী লীগকেই দিতে হবে। স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগকেই এ দেশের ভালো-মন্দ চিন্তা করে সামনের দিকে এগোতে হবে। নইলে ভূলুণ্ঠিত হবে বাংলাদেশ, মৃত্যু ঘটবে ত্রিশ লাখ শহীদ আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির ইতিহাসের। সুত্র

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:১৯

প্রামানিক বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.