নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাসিনা-শিমুল হটটকঃ খালেদাকে খাদে ফেলেছে

১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১:১৫

খালেদার বাসায় সালাহউদ্দিনের স্ত্রী-শিমুল হটটক হয়। শিমুল বিশ্বাস বলেন ম্যাডামকে বেকায়দায় ফেলেছেন । বিএনপি ই এখন মহা প্রব্লেমে পড়লো। সিলেট অঞ্চল দিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারত হয়ে নেপালে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ। কিন্তু নেপালে ভূমিকম্প হওয়ায় আর নেপাল যাওয়া হয়নি তার। এদিকে সালাহউদ্দিনের সন্ধান পাওয়ার পর স্ত্রী হাসিনা আহমেদ মঙ্গলবার দুপুরে খালেদা জিয়ার বাসায় গিয়ে তার বিশেষ সহকারী এ্যাডভোকেট শামসুররহমান শিমুল বিশ্বাসের সঙ্গে ‘হটটকে’ লিপ্ত হন। শিমুল বিশ্বাস হাসিনা আহমেদকে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, আপনার স্বামী ভারতে পালিয়ে গেছে আপনি তা জেনে আমাদের জানাননি কেন? এর জবাবে ক্ষিপ্ত হয়ে হাসিনা বলেন, সালাহউদ্দিনকে ভারত পাঠিয়েছেন আপনারা। তাই এখন আপনারাই জানেন, আমি জানি না। সূত্রমতে, সালাহউদ্দিন আহমেদের নামে বেশ ক’টি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে টানা অবরোধ চলাকালেই একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ পরিস্থিতিতে টানা এক মাস অজ্ঞাত স্থানে থেকে বিএনপির পক্ষে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠানোর পর গ্রেফতার এড়াতে ১০ মার্চ রাতে উত্তরা একটি বাসা থেকে স্বেচ্ছায় উধাও হন তিনি। আর তার এ উধাও হওয়ার বিষয়টি জানতেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও সালাহউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। কিন্তু এটাকে নিয়ে রাজনীতি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চেয়েছিলেন তারা। তাই ধারাবাহিকভাবে মিথ্যাচার করছিলেন। কিন্তু বিধি বাম হওয়ায় অবশেষে ধরা পড়ে গেলেন সালাহউদ্দিন। সেই সঙ্গে জারিজুরি ফাঁস হয়ে গেল বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার। উত্তরার একটি বাসা থেকে উধাও হওয়ার পর সিলেট সীমান্ত দিয়ে সালাউদ্দিন আহমেদ ভারত পাড়ি জমান। প্রথমে অসম ও পরে মেঘালয় রাজ্যে যান তিনি। সেখান থেকে নেপালে পালিয়ে যাওয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলেন সালাউদ্দিন। কিন্তু ২৫ এপ্রিল নেপালে ভূমিকম্প হওয়ায় নেপাল যেতে পারেননি তিনি। সূত্রমতে, মঙ্গলবার দুপুরে স্বামী সালাহউদ্দিনের সঙ্গে ফোনালাপ শেষে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় যান হাসিনা আহমেদ। এ সময় হাসিনা আহমেদকে দেখেই উত্তেজিত কণ্ঠে খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস বলতে থাকেন আপনার স্বামী ভারতে পালিয়ে গেছে আপনি তা জেনেও আমাদের জানাননি কেন? এর জবাবে ক্ষিপ্ত হয়ে হাসিনা বলেন, সালাহউদ্দিনকে ভারত পাঠিয়েছেন আপনারা। তাই এখন আপনারাই জানেন, আমি জানি না। একপর্যায়ে খালেদা জিয়ার হস্তক্ষেপে হটটকের অবসান হয়। তবে এ হটটকের বিষয়টি
খালেদা জিয়ার বাসা ও হাসিনা আহমেদের পক্ষ থেকে গোপন রাখার চেষ্টা করা হয়। এদিকে অনেক জল্পনা-কল্পনার পর সালাহউদ্দিন নাটকের অবসানের বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। মাহফুজ রহমান নামের একজন লিখেছেন, নাটকীয়তার পর আসল কথা হলো সালাহউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে মেঘালয় পুলিশ। এরপর তাকে গতকাল বিকেলেই মিমহ্যাঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রশ্ন হলো এতদিন কেন তিনি ভারতে পালিয়ে ছিলেন।

hasina salaudএদিকে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের নিখোঁজ হওয়া এবং দুই মাস পর ভারত থেকে স্ত্রীকে ফোন দেয়ার ঘটনা বিএনপির মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির মুখোশকেই জাতির সামনে ফের উন্মোচিত করে দিয়েছে বলে মনে করছেন সরকার ও বিরোধী দলের নেতারা। মঙ্গলবার জনকণ্ঠের কাছে দেয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সরকার ও বিরোধী দলের বেশ কজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আন্দোলন-নির্বাচনসহ সবক্ষেত্রে ব্যর্থ বিএনপি সালাহউদ্দিনকে ‘গুমের’ অভিযোগ করে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চেয়েছিল, তা আজ জাতির সামনে প্রমাণ হয়ে গেছে। পরাজিত দলের নেত্রী খালেদা জিয়াও সস্তা সেন্টিমেন্ট আদায়ে সালাহউদ্দিনকে সরকার ও প্রশাসন ‘গুম-খুন’ করতে পারে এমন অভিযোগ করেছিলেন। বিএনপি নেত্রী সবকিছু জেনেশুনেই যে এমন মিথ্যাচার করেছিলেন, তাও আজ জাতির সামনে স্পষ্ট হয়ে গেছে। তাই এখন খালেদা জিয়ার উচিত, সরকার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে তাঁর করা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়ে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও দুঃখ প্রকাশ করা।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপির নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর কথা হয়েছে, এমন খবরই প্রমাণ করে এতদিন বিএনপি মিথ্যাচার করেছে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এতদিন দাবি করেছেন, সালাহউদ্দিন আহমেদ র‌্যাবের কাছে আছে। আর সালাহউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ বলেছেন, নিখোঁজ সালাহউদ্দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আছে। তাদের এসব অভিযোগগুলো যে নিছকই মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক ছিল, তা বর্তমানে প্রমাণ হয়ে গেছে।
মোহাম্মদ নাসিম পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি সবদিক থেকে ব্যর্থ হয়ে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই এই নাটক সাজিয়েছিল। সালাহউদ্দিনের গুমের বিষয়ে বিএনপি দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল। কিন্তু গণমাধ্যমে প্রকাশিত এসব খবরে এবং সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী নিজেই ভারত থেকে তাঁর স্বামীর ফোন পাওয়ার ঘটনা প্রকাশ করায় বিএনপির মিথ্যাচারের কাহিনী আবারও দেশবাসীর সামনে প্রকাশ পেয়েছে। দেশের জনগণ ভবিষ্যতে বিএনপির কোন মিথ্যাচারে আর বিভ্রান্ত হবে না।
জাসদের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের অন্তর্ধানের সঙ্গে সরকার ও প্রশাসনের কোন ধরনের সম্পর্ক ছিল না তা আজ জাতির সামনে পরিষ্কার হয়ে গেছে। এটা নিয়ে বিএনপি নোংরা রাজনীতি করেছিল। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া সালাহউদ্দিনের ‘নিখোঁজ’ হওয়া নিয়ে সরকার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে গুমেরও অভিযোগ এনেছিলেন। কিন্তু আসল রহস্য আজ ফাঁস হয়ে গেছে। খালেদা জিয়ার উচিত সরকার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রত্যাহার এবং জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ভারত থেকে দীর্ঘদিন পর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদের ফোনের বিষয়টি রহস্যজনক। দেশের সব মানুষের আজ প্রশ্ন, বিএনপি কেন গুমের অভিযোগ এনে রাজনৈতিক ইস্যু তৈরির চেষ্টা করেছিল? এতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছে, আতঙ্কিত হয়েছে। কোন রাজনৈতিক দলের জন্য এটা যথার্থ কোন কাজ নয়।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ও প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সালাহউদ্দিন আহমেদের নিখোঁজ হওয়া এবং দু’মাস পর স্ত্রীকে ভারত থেকে ফোন দেয়ার ঘটনা বিএনপির ‘অন্তরালের ব্যাপার’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, বিলম্বিত হলেও এটা একটা ভাল খবর। এসব তাদের (বিএনপি) অন্তরালের ব্যাপার। তবে আমরা আশা করি, সালাহউদ্দিন আহমেদ খুব দ্রুতই মেঘালয় থেকে আপন আলয়ে আসবেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি যে জন্মলগ্ন থেকেই মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে তা আবারও জাতির সামনে প্রমাণ হয়ে গেল। আন্দোলন-নির্বাচনসহ সবক্ষেত্রে পরাজিত হয়ে দিশেহারা বিএনপি সালাহউদ্দিন আহমেদের নিখোঁজের ঘটনাকে নিয়ে জাতির দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এতদিন লুকিয়ে থাকার পর ভারতের মেঘালয় থেকে স্ত্রীকে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের ফোন করার বিষয়টি রহস্যজনকও বটে। তবে জাতির সামনে বিএনপির আসল মুখোশ উন্মোচিত হয়ে গেছে। এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আমাদের দাবি হচ্ছে, ভারত থেকে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে নেপথ্যের সকল তথ্য উদঘাটন করে তা জাতির সামনে প্রকাশ করুক। সূত্র

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১:৪৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এটাই আমাদের রাজনীতির আরেকরূপ।। নিজেরাই নিজেদের লোককে খুন করে(এমনকি দুপুরে একসাথে ভাত খেয়ে) অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেয়াতো কম দেখলাম না!!বড়ই বিচিত্র ই রাজনীতি।।

১৫ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:১৭

তালপাতারসেপাই বলেছেন: আপনাকে তো রিমান্ডে আনা দরকার

২| ১৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ৮:৫৫

প্রবালরক বলেছেন: শিলং-এর মানুষ দেখেছে সালাহ্রউদ্দীনকে চোখ বাঁধা অবস্থায় গাড়ী থেকে ঠেলে নামিয়ে দেয়া হয়। শিলং-র খবরের কাগজে ডাক্তারদের মতামত হিসাবে ছাপা হয় যে সালাহউদ্দীনকে ইলেকট্রিক শক দিয়ে তার স্মৃতিশক্তিতে গোলমাল করে দেয়া হয়েছে। এতকিছুর পরে লেখক বসে কল্পনার ফানুষ উড়িয়ে একটা অপরাধের ভিক্টিমকে উপহাস করছেন। মানসিকভাবে লেখক অসুস্থ্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.