নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাঠপ্রশাসনে বিএনপি জামায়াত ও ফ্রিডম পার্টি অনুসারী কর্মকর্তা

৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৫৫

প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বিএনপি, জামায়াত ও ফ্রিডম পার্টির অনুসারী একশ্রেণীর কর্মকর্তা ‘ঘাপটি’ মেরে আছেন। এর মধ্যে কয়েক জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে উচ্চ পদে কর্মরত রয়েছেন। প্রশাসনের ভেতরে তারা একটি নেটওয়ার্কে সক্রিয় থাকায় যে কোনো মুহূর্তে সরকারকে বিতর্কের মুখে ফেলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্প্রতি একটি সংস্থা সরকারের উপর মহলে এমন প্রতিবেদন দিয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রশাসনে বিএনপি ও জামায়াত অনুসারী একশ্রেণীর কর্মকর্তা সরকারবিরোধী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে একটি ‘বলয়’ তৈরি করছেন। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেই এসব করা হচ্ছে।
সম্প্রতি সরকারের একটি সংস্থা সর্বশেষ নিয়োগ দেয়া নতুন ২০ জেলা প্রশাসকসহ ডিসিদের ওপর একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। এই প্রতিবেদনে ছাত্রশিবির, ছাত্রদলের ক্যাডার ও একসময়ের ফ্রিডম পার্টি করা ৬ ডিসির কথা বলা হয়েছে। নবম ব্যাচের কর্মকর্তা রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক (ডিসি) রফিকুল ইসলাম খান বুয়েট ছাত্রশিবিরের সভাপতি ছিলেন। নড়াইলের ডিসি মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ কট্টর বিএনপি পরিবারের সদস্য। দিনাজপুরের ডিসি মীর খায়রুল আলম ছাত্রদলের ক্যাডার ছিলেন। তিনি একসময়ে ফ্রিডম পার্টি করতেন। নোয়াখালীর ডিসি বদর মনি ফেরদৌস ও তার স্ত্রী সাবিনা আলম হবিগঞ্জের ডিসি। এই ডিসি দম্পতি দু’জনেই বিএনপি পরিবারের সদস্য। এছাড়া চুয়াডাঙ্গার ডিসি সায়মা ইউনূস ঘোরতর বিএনপি অনুসারী কর্মকর্তা। ওই প্রতিবেদনে ৬ বিতর্কিত ডিসির খোঁজ মিলেছে বলে জানা গেছে।
আগামী ২৮ থেকে ৩০ জুলাই ৩ দিনের জেলাপ্রশাসক সম্মেলনে থাকছেন বিতর্কিত ৬ ডিসি।
বিএনপি অনুসারী যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মনজুর কাদের। এ কর্মকর্তা ১২ বছর ধরে একই মন্ত্রণালয়ে রয়েছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আইয়ুব আলী একজন কট্টর জামায়াত অনুসারী কর্মকর্তা। মেডিকেল শিক্ষার উন্নয়নের দায়িত্বে রয়েছেন এই কর্মকর্তা।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে রয়েছেন যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুন্যালে সাজাপ্রাপ্ত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপন ভাগনে সৈয়দ আলী রেজা।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শফিকুল করিম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের নেতা ছিলেন। একই এলাকার হওয়ায় যোগাযোগমন্ত্রীর পিএসের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ওই মন্ত্রণালয়ে প্রভাব নিয়ে আছেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে উপসচিব জাকির আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের ছাত্রদলের ভিপি ছিলেন।
এসব কর্মকর্তা প্রশাসনে বিএনপি ও জামায়াত অনুসারী কর্মচারীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছেন। তারা যে কোনো মুহূর্তে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে পারেন বলে প্রশাসন সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন। Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.