নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
আগামী ১৫ আগস্ট ৭১তম জন্মদিন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। এবার কেক না কেটে অনাড়ম্বরভাবে দিনটি পালন করবেন তিনি। প্রতিবছর ১৪ আগস্ট রাত ১২টা ১ মিনিটে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে কেক কেটে জন্মদিন পালন করেন তিনি। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার এ দিনে ঘটা করে জন্মদিন পালন করায় সমালোচনাও কম শুনতে হয়নি তাকে। কিন্তু কোনো কিছুই জন্মদিন পালন করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। কিন্তু এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। নিজের জন্মদিন পালন না করে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নতুন নজির গড়তে চান তিনি। বিএনপির চেয়ারপারসনের সূত্র ও নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
দলীয় সূত্র জানায়, জন্মদিন পালনের ব্যাপারে দলের চেয়ারপারসন এবার অনেকটাই চুপচাপ। দলীয়ভাবেও নেই কোনো জাঁকজমক আগাম প্রস্তুতি। তা ছাড়া সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের ১০ তারিখ লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন তিনি। সেখানে তিনি তার বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। আর জন্মদিনটা ছেলে ও তার পরিবারের সঙ্গে সাদামাটাভাবেই পালন করবেন তিনি। আসতে পারেন আরাফাত কোকোর বউও। গত জানুয়ারি মাসে ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পরে পরিবারের সবার সঙ্গে এই প্রথম দেখা হচ্ছে খালেদা জিয়ার। জন্মদিনে পারিবারিক পুনর্মিলনের সুযোগ হলেও ছোট ছেলের অনুপস্থিতিতে জন্মদিনটা খুব একটা ঘটা করে পালন করতে চান না তিনি।
সূত্রটি আরো জানায়, এ ব্যাপারে একটি ক‚টনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে জাতীয় শোক দিবসে জাঁকজমকপূর্ণ জন্মদিনের অনুষ্ঠান না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। খালেদা জিয়াও ওই ক‚টনৈতিক চ্যানেলকে এ বিষয়ে পজেটিভ ইঙ্গিত দিয়েছেন। এমনকি পারিপার্শ্বিক চাপ ও সমালোচনা থেকে মুক্তি পেতে দলীয় নেতাকর্মীদেরও এ বিষয়ে আগাম সতর্ক করেছেন তিনি। তবে আগামী ১৫ আগস্ট বেলা ১১টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিজেদের মতো করে দলীয় প্রধানের জন্মদিন পালন করবেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এখানে দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলেও সূত্রটি নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ নেতা জানান, আওয়ামী লীগ অন্য বারের তুলনায় এবার বড় পরিসরে বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য ৪০ দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রতিবারের মতো এবারো জাতীয় শোক দিবসে কেক কেটে আড়ম্বরপূর্ণভাবে জন্মদিন পালন না করতে খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। শুধু তাই নয়, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে খালেদা জিয়ার সমসাময়িক বক্তব্য এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় বহালের পরও বিএনপির নমনীয়তা দেখে এমন আশা করছেন নেতারা।
এদিকে গত ৪ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বাংলাদেশে কোনো তর্কবিতর্ক দেখতে চাই না। আমরা চাই, যার যে সম্মান প্রাপ্য, তিনি তা পাক। খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন ১৫ আগস্ট না। তারপরেও তিনি তা পালন করেন। কেক কাটেন। আমি কয়েক দিন আগে বলেছি, আমরা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাই। স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সময় পার করেছি। আমরা চাই, সবাই মিলে সর্বজনীনভাবে জাতির পিতার মৃত্যু দিবস পালন করি। খালেদা জিয়াকে প্রস্তাব করেছিলাম, আপনি দয়া করে ১৫ আগস্ট আপনার জন্মদিন পালন না করে ১৬ বা ১৭ তারিখে করেন। একই সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুও ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করার সমালোচনা করেন।
অন্যদিকে ১ আগস্ট সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিনের কেক না কাটার আহ্বান জানান। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক এ বিএনপি নেতা এ আহ্বান জানান। খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট আপনার জন্মদিন হতে পারে, কিন্তু ভুলে যাবেন না এটি আমাদের জাতীয় শোক দিবস। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। এ জন্য বিশ্ব দরবারে আমরা প্রশংসিত। তাই শোক দিবসে জন্মদিনের কেক কাটবেন না। আসুন, সবাই মিলে জাতীয় শোক দিবস পালন করি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির আন্তজার্তিক বিষয়ের সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন গণমাধ্যমকে বলেন, জন্মদিন পালন করার বিষয়টি একান্তই একজনের ব্যক্তিগত বিষয়। তিনি আরো বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল। তার নেতাকর্মী-সমর্থক-ভক্ত রয়েছে। এটা তাদের অনুভূতির ব্যাপার। তবে খালেদা জিয়া নিজে থেকে কখনো জন্মদিন পালন করেন না বলেও দাবি করেন তিনি।
সু্ত্র
২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০৩
মোগল সম্রাট বলেছেন: ------------------- ফালাইতাছেন মুনে হয়
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৫২
এসব চলবে না..... বলেছেন: "তবে খালেদা জিয়া নিজে থেকে কখনো জন্মদিন পালন করেন না বলেও দাবি করেন তিনি"
আসাদুজ্জামানের এইটা কি মুখ নাকি হাঁসের পু__কি ?
সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে আঙ্গুল বাকা করতে হয়।
এবার জন্মদিন পালন করলে পাছা উদাম করে বাইড়ানো হবে এমন হুশিয়ারীতে যারা ভয় পাইয়া লন্ডন যায় গা তাদের সম্পর্কে কিছু বলার নাই।
এবার একটা কুইজঃ
নিচের ছবিতে দেশ নেট্রী কি করতাছেন?
১. কেক বানাইতাছেন
২. কেক বেচতাছেন
৩. কেক দেখতাছেন
৪. ___ ফেলাইতেছেন?